সাকিব-মিরাজদের কোচ হয়ে আসা নিশ্চিত করলেন ম্যাকগিল
রুয়ান কালপাগে চলে যাওয়ার পর এক বছরেরও বেশি হতে চলল। এখনও পর্যন্ত একজন স্পিন কোচ পায়নি বাংলাদেশ। মাঝে অনেকের কথাই বলা হচ্ছিল। ভারতীয় দু’জন স্পিন কোচের নাম শোনা গিয়েছিল বিসিবির তরফে; কিন্তু শেষ পর্যন্ত তাদের কারও দেখা মেলেনি। এমনকি বিসিবিও গত এক বছর ধরে বলে আসছিল, এখন আসছে-তখন আসছে বাংলাদেশ দলের স্পিন কোচ।
তবে, শেষ পর্যন্ত সব আলোচনা-সমালোচনা দূর করে দিয়ে বিসিবি প্রেসিডেন্ট নাজমুল হাসান পাপন নিজেই জানালেন- কোনো ভারতীয় নয় একজন অস্ট্রেলিয়ানই তাদের প্রথম পছন্দ। শেন ওয়ার্নের সতীর্থ লেগ স্পিনার স্টুয়ার্ট ম্যাকগিল। তাকেই সাকিব-মিরাজদের স্পিন কোচ হিসেবে নিয়োগ দিতে চায় বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড। ম্যাকগিলকে পেলে, তিন মাসের জন্য দায়িত্ব দিয়ে দেখতে চায় তারা।
৩০ জুলাই বিসিবি প্রেসিডেন্ট এই ঘোষণা দেয়ার পর বেশ কিছুদিন পার হয়ে গেলেও স্টুয়ার্ট ম্যাকগিল আদৌ আসবে কী আসবে না- তার কোনো খবর শোনা যাচ্ছিল না। জাগো নিউজের পক্ষ থেকে তিন দিন আগে বিসিবির ক্রিকেট অপারেশন্স কমিটির চেয়ারম্যান আকরাম খানের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে, তিনি নিশ্চিত করে কিছু বলতে পারেননি। শুধু জানিয়েছেন ম্যাকগিল এখনও নিশ্চিত নয়।
তিনি শুধু জানিয়েছেন, বিসিবির পক্ষ থেকে ম্যাকগিলের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে। তিনি আগ্রহীও বটে। তবে সত্যি সত্যি এখন তিনি বাংলাদেশে আসবেন কি না, আসলে কবে আসবেন- সে সব কিছুরই নিশ্চয়তা পাওয়া যায়নি।
তবে আজ বিসিবির তরফেই জানা গেল, বাংলাদেশকে নিশ্চয়তা দিয়েছেন অস্ট্রেলিয়ার সাবেক লেগ স্পিনার স্টুয়ার্ট ম্যাকগিল। ক্রিকেট অপারেশন্স কমিটির চেয়ারম্যান আকরাম খানই জানিয়েছেন, স্টুয়ার্ট ম্যাকগিল কোচ হতে চান বাংলাদেশের স্পিনারদের। তবে তিনি কোচ হিসেবে দায়িত্ব নেয়ার জন্য কবে নাগাদ বাংলাদেশে এসে পৌঁছাবেন- সেটা এখনও নিশ্চিত নয়। কারণ, ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার কাছ থেকে এনওসি (অনাপত্তিপত্র) না পেলে তো তিনি আসতে পারবেন না।
আকরাম খান জানিয়েছেন, ‘আমরা এখন ম্যাকগিলের অনাপত্তি পত্র পাওয়ার অপেক্ষায় আছি। অনাপত্তি পত্র পেলেই তিনি ঢাকায় চলে আসবেন। তবে আমরা চাই তিনি অস্ট্রেলিয়া সিরিজের আগেই স্পিনারদের নিয়ে কাজ শুরু করুক।’
যদি অস্ট্রেলিয়া সিরিজের আগেই আসতে না পারেন ম্যাকগিল, তাহলে কী হবে? এর জবাবে ম্যাকগিল জানালেন, ‘যদি সিরিজের আগেই আমরা তাকে না পাই, তাহলে সিরিজ চলাকালীনই হয়তো তাকে আমরা আমাদের সঙ্গে ড্রেসিংরূমে পাবো। এবং যত তাড়াতাড়ি সম্ভব তিনি কাজ করার জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র পেয়ে যাবেন।’
আইএইচএস/আরআইপি