ফতুল্লা স্টেডিয়ামেই প্রস্তুতি ম্যাচ আয়োজনের চেষ্টা বিসিবির
এখন আর স্মিথ বাহিনীর বাংলাদেশে আসা নিয়ে কোন সংশয় নেই। বাংলাদেশে খেলতে আসা নিয়ে আর কোন সংশয় বা সন্দেহ না থাকলেও সংশয়ের এক চিলতে কালো মেঘ ঠিকই আছে। অজিরা আসার পর দুই টেস্টের সিরিজে খেলতে নামার আগে যে একটি মাত্র প্রস্তুতি ম্যাচ খেলবে, তা কোন মাঠে হবে?
তা নিয়ে আছে রাজ্যের সংশয়। যে ভেন্যুতে খেলা হবার কথা, সেই ফতুল্লার খান সাহেব ওসমান আলী স্টেডিয়ামের বাইরে ও ভেতরে এখনো পানি জমা। ফতুল্লা স্টেডিয়ামের মূল প্রবেশ দ্বার থেকে মাঠে ঢোকার প্রায় ২৫০ গজ এলাকার পুরোটা জুড়ে পানিতে ঢাকা। আর আউটার স্টেডিয়ামের সবুজ ঘাস এখন দুই থেকে আড়াই ফুট পানিতে তলিয়ে গেছে।
এদিকে দুই দিনের অনুশীলন ম্যাচের সময়ও এগিয়ে আসছে। দিনক্ষণের হিসেবে আর বাকি মাত্র ১৩ দিন। এখন প্রশ্ন একটাই, ঐ সময়ের আগে অল্প ক'দিনের মধ্যে ফতুল্লা স্টেডিয়াম খেলার উপযোগি হবে কি না? সপ্তাহ খানেক আগেই এ সংশয়ের বীজ অঙ্কুরিত হয়েছে। তবে এটাও সত্য, বিসিবি কখনই প্রস্তুতি ম্যাচের ভেন্যু হিসেবে ফতুল্লা খান সাহেব ওসমান আলী স্টেডিয়ামকে বাতিলের ঘোষনা দেয়নি। ভেতরে ভেতরে বিকল্প ভেন্যুর কথা ভাবলেও এখন পর্যন্ত বোর্ডের কোন শীর্ষ কর্তা একবারের জন্য বলেননি ফতুল্লায় প্রস্তুতি ম্যাচ হবে না।
বরং ভেতরের খবর, বিসিবি এখন পর্যন্ত ফতুল্লায় ম্যাচ আয়োজনের সম্ভাব্য সব রকম চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। বিসিবি পরিচালক ও গ্রাউন্ডস কমিটির চেয়ারম্যান হানিফ ভুঁইয়ার কণ্ঠেও আশার সংলাপ। মঙ্গলবার দুপুরে জাগো নিউজের সঙ্গে আলাপে বিসিবি গ্রাউন্ডস কমিটির চেয়ারম্যান পরিষ্কার জানিয়ে দিলেন, ‘আমরা এখনো ফতুল্লা ভেন্যু বাতিল করিনি। আজ থেকে আমাদের ( বিসিবির ) উদ্যোগে শুরু হয়েছে পানি নিষ্কাশন ও মাঠ খেলা উপযোগি করার কাজ । আমরা ফতুল্লায় প্রস্তুতি ম্যাচ আয়োজনের প্রাণপণ চেষ্টাই করবো।’
ফতুল্লা স্টেডিয়ামের প্রবেশ দ্বার থেকে মাঠ পর্যন্ত বিশাল জায়গা এবং আউটার স্টেডিয়ামের পুরো এলাকা পানির নিচে। সেই পানির কিছু অংশ গড়িয়ে মূল মাঠেও গিয়ে পড়ছে। খান সাহেব ওসমান আলী স্টেডিয়ামের আউট ফিল্ডের সীমানার ধারেও কিছু কিছু জায়গায় পানি। এ পানি সড়িয়ে মাঠ কি খেলা উপযোগি করা সম্ভব ?
এ প্রশ্নর জবাবে হানিফ ভূঁইয়া বলেন, ‘পিচ শতভাগ অক্ষত। সম্পূর্ণ ভালো ও খেলার উপেযোগি। তার এতটুকু ক্ষতি হয়নি। কোন রকম বাড়তি পরিচর্যার দরকার নেই। আউটফিল্ডের ৪০ গজ বেশ ভাল আছে। তার বাইরে কোথাও কোথাও পানি জমা। কিওরেটর আমাকে নিশ্চিত করেছেন হাতে যে ১২/১৩ দিন সময় আছে তার মধ্যে আউটফিল্ড পুরোপুরি তৈরি করা সম্ভব।’
এআরবি/এমআর/জেআইএম