৩৪০ রানের বিশাল ব্যবধানে ইংল্যান্ডকে হারাল দক্ষিণ আফ্রিকা
নেতা পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে ভাগ্যেরও পরিবর্তন হয়ে গেলো দক্ষিণ আফ্রিকার। আগের ম্যাচে, লর্ডস টেস্টে দক্ষিণ আফ্রিকাকে ২১১ রানে হারিয়েছিল ইংল্যান্ড। ওই ম্যাচে প্রোটিয়াদের অধিনায়ক ছিলেন ডিন এলগার। নিজের পারিবারিক সমস্যা শেষ করে দ্বিতীয় টেস্টেই দলের নেতৃত্বভার গ্রহণ করেন ফ্যাফ ডু প্লেসিস। একই সঙ্গে ট্রেন্টব্রিজেও প্রোটিয়াদের ভাগ্য ফিরল। টেস্টের একদিন থাকতেই ইংল্যান্ডকে ৩৪০ রানের বিশাল ব্যবধানে পরাজিত করল দক্ষিণ আফ্রিকা।
দ্বিতীয় ইনিংসে জয়ের জন্য ইংল্যান্ডের সামনে ৪৭৪ রানের বিশাল লক্ষ্য বেধে দিয়েছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। জিততে হলে রীতিমত রেকর্ড গড়তে হতো ইংল্যান্ডকে। কারণ, টেস্ট ক্রিকেটে চতুর্থ ইনিংসে রান তাড়া করে জেতার রেকর্ড ৪১৮ রানের। ব্রায়ান লারার নেতৃত্বে ওয়েস্ট ইন্ডিজ এই রেকর্ড গড়েছিল ২০০৯ সালে।
আর ইংল্যান্ড তো চতুর্থ ইনিংসে সর্বোচ্চ ৩৩২ রান তাড়া করে জেতার রেকর্ড রয়েছে। তাও ১৯২৮ সালে মেলবোর্ন ক্রিকেট গ্রাউন্ডে। ট্রেন্ট ব্রিজে সর্বোচ্চ রান তাড়া করার রেকর্ড ২৮৪। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ২০০৪ সালে এই রান তাড়া করে জিতেছিল ইংল্যান্ড। সুতরাং, ৪৭৪ রান তাড়া করতে পারলে যে অনেকগুলো রেকর্ড তারা একসঙ্গে গড়ে ফেলতে পারতো তাতে সন্দেহ নেই। কিন্তু প্রোটিয়ারা তা আর হতে দিল কই!
৪৭৪ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে প্রোটিয়াদের পেস এবং স্পিন- দু'দিক থেকেই সাঁড়াসি আক্রমণের শিকার হয় ইংলিশরা। লাঞ্চের পর ঘণ্টাখানেক পর্যন্ত টেনে নিতে পারলো জো রুটের দল। শেষ পর্যন্ত ৪৪.২ ওভারে অলআউট হলো ১৩৩ রানে।
শুরুতে প্রোটিয়া পেসাররা, শেষ এসে ইংলিশদের চেপে ধরে স্পিনার কেশব মহারাজ। দক্ষিণ আফ্রিকান বোলারদের সামনে শুরুতে কিছুক্ষণ টিকতে পেরেছিলেন কেবল ওপেনার অ্যালিস্টার কুক। তিনি খেলেন সর্বোচ্চ ৪২ রানের ইনিংস। এছাড়া ২৭ রান করেন মঈন আলি। বেন স্টোকস ১৮ এবং জনি বেয়ারেস্ট করেন ১৬ রান। বাকিরা দুই অংকের ঘরও ছুঁতে পারেননি।
৬ উইকেটে ১২২ রান থেকে ১৩৩ রানেই শেষ হয়ে যায় ইংল্যান্ডের ইনিংস। শেষ ৬ রানে পড়েছে ৪ উইকেট। ২০১৩ সালের পর এমন ব্যাটিংয়ের মুখোমুখি হয়নি ইংলিশরা। আর ১৩৩ রানে ইংলিশদের বসিয়ে তো ৩ উইকেট তুলে নিল প্রোটিয়ারা।
প্রোটিয়া পেসার ভারনন ফিল্যান্ডার ৩টি, ডুয়ানে অলিভিয়ের এবং ক্রিস মরিস নেন ২টি করে উইকেট। ইনিংসের বাকি ৩ উইকেট দখল করলেন স্পিনার কেশব মহারাজ। ব্যাটে-বলে অসাধারণ নৈপুণ্য দেখিয়ে ম্যাচ সেরার পুরস্কার জিতে নেন ভারনন ফিল্যান্ডার।
আইএইচএস/আরআইপি