জহির খান-রাহুল দ্রাবিড়কে সঙ্গী হিসেবে পেলেন রবি শাস্ত্রি
নানা জ্বল্পনা-কল্পনা শেষে ভারতীয় ক্রিকেট দলের পরবর্তী কোচ হিসেবে রবি শাস্ত্রির নামই ঘোষণা করেছিলো শচীন টেন্ডুলকার, সৌরভ গাঙ্গুলি এবং ভিভিএস লক্ষ্মণদের নিয়ে গঠিত ক্রিকেট অ্যাডভাইজরি কমিটি (সিএসি)। এরপর তৈরি হয় চরম নাটকীয়তা। কারণ সিএসির ঘোষণার পরক্ষণেই ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড বিসিসিআইর বর্তমান কমিটি অব অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (সিওএ) জানিয়ে দেয়, তারা এখনও কোচের নাম নিয়ে পর্যালোচনা করছেন। সব ঠিক হলেই কেবল কোচের নাম ঘোষণা করা হবে।
অবশেষে সিওএ’ও প্রধান কোচের নাম ঘোষণা করেছে। রবি শাস্ত্রিই বিরাট কোহলিদের কোচ। আগামী দুই বছর, অথ্যাৎ ২০১৯ বিশ্বকাপ পর্যন্ত ভারতীয় ক্রিকেট দলের প্রধান কোচ হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন রবি শাস্ত্রি।
তবে, এবার আর রবি শাস্ত্রি একা নন, বিসিসিআই তার দুইজন সঙ্গীও নির্বাচন করে দিয়েছে। বোলিং পরামর্শক হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়েছে সাবেক পেসার জহির খানকে। একই সঙ্গে বিদেশ সফরে ভারতীয় দলের ব্যাটিং পরামর্শক হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন রাহুল দ্রাবিড়।
পূর্ববর্তী কোচ অনিল কুম্বলের মেয়াদ শেষ হয়ে যায় এই জুনেই। তবে, মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই কোচের পদ থেকে সরে দাঁড়ান কুম্বলে। এর আগে নতুন কোচের জন্য যে আবেদন পত্র আহ্বান করেছিল বিসিসিআই, তখন আবেদন করেননি রবি শ্রাস্ত্রি। কুম্বলে পদত্যাগের পর নতুন করে আবেদন আহ্বান করা হয়। তখনই কোচ হওয়ার দৌড়ে যোগ দেন শাস্ত্রি।
এরআগে ২০১৪ সালে ভারতীয় ক্রিকেট দলের টিম ডিরেক্টর হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন শাস্ত্রি। এ সময় তিনি কোচ হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন এবং বেশ সাফল্যও অর্জন করেন। তবুও, ২০১৬ সালে কোচ নিয়োগ দেয়ার সময় রবি শাস্ত্রিকে সরিয়ে দিয়ে অনিল কুম্বলেকে কোচ হিসেবে নিয়োগ দেয় সিএসি। এ কারণে কিছুটা রুষ্ট ছিলেন রবি শাস্ত্রি।
শেষ পর্যন্ত শচীন টেন্ডুলকারের অনুরোধেই নাকি আবার কোচ হতে আবেদন করেন শাস্ত্রি। সোমবার ছিল কোচপ্রার্থীদের সাক্ষাৎকার। শচীন-সৌরভ-লক্ষ্মণরা (সিএসি) সাক্ষাৎকার নিয়েছেন পাঁচজনের। রবি শাস্ত্রি, বিরেন্দর শেবাগ, টম মুডি, রিচার্ড পাইবাস এবং লালচাঁদ রাজপুত। ফিল সিমন্স সাক্ষাৎকারে উপস্থিত হননি।
এদের ভেতর থেকে রবি শাস্ত্রিতেই বাছাই করে নেয় ক্রিকেট অ্যাডভাইজরি কমিটি। তারা প্রথমে শাস্ত্রির নাম ঘোষণা করলেও পরে বিসিসিআইর কমিটি অব অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (সিওএ) তার সঙ্গী হিসেবে জহির খান এবং রাহুল দ্রাবিড়ের নাম ঘোষণা করে।
আইএইচএস/এমএস