সুপার লিগে সেরা একাদশের ৫ জনকে পাবে না মোহামেডান!

ঈদের ছুটির পর আগামী ৬ এপ্রিল থেকে শুরু হবে ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের (ডিপিএল) নবম রাউন্ড। ১৩ এপ্রিল শেষ হবে প্রথম পর্ব। ধারণা করা হচ্ছে, সর্বোচ্চ দুইদিন পর, ১৬ এপ্রিল থেকে মাঠে গড়াবে সুপার লিগ।

সুপার লিগের প্রসঙ্গ আসতেই একটি কৌতূহলী প্রশ্ন জাগছে কারো কারো মনে। সেটি হলো- যদি ১৬ এপ্রিল থেকে সুপার লিগ শুরু হয়, তাহলে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টেস্ট স্কোয়াডে থাকা ১৪-১৫ ক্রিকেটার খেলতে পারবেন না। তাদের বাদ দিয়ে সুপার লিগ খেলতে রাজি হবে দলগুলো?

ভাবছেন, এটা আবার কেমন প্রশ্ন? জাতীয় দলে ডাক পাওয়া ক্রিকেটার ছাড়া সুপার লিগ খেলতে রাজি না হওয়ার প্রশ্ন আসছে কেন?

প্রশ্ন উঠেছে এই কারণে যে, জাতীয় দলের দায়িত্ব পালনরত ক্রিকেটারদের ছাড়া সুপার লিগে কয়েকটি দল চরম বিপাকে পড়বে। তাদের শক্তি কমে যাবে অনেকটুুকু। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে কাগজে-কলমের এক নম্বর দল মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব।

এখন পর্যন্ত ৮ ম্যাচে ৬ জয়ে ১২ পয়েন্ট নিয়ে গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্সের সঙ্গে যৌথভাবে দ্বিতীয় স্থানে আছে মোহামেডান। সাদা-কালোদের থেকে ২ পয়েন্ট বেশি পেয়ে সবার ওপরে আকাশি-হলুদ জার্সির আবাহনী লিমিটেড।

জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজের দল ঘোষণা হলে মোহামেডানের লাইনআপে আসবে ব্যাপক পরিবর্তন। হার্ট অ্যাটাকের কারণে এমনিতেই দলে নেই অধিনায়ক তামিম ইকবাল।

ভাবা হচ্ছে, মোহামেডানের সেরা একাদশের অন্তত চারজন- মুশফিকুর রহিম, তাসকিন আহমেদ, মেহেদী হাসান মিরাজ ও তাইজুল ইসলাম ডাক পাবেন টেস্ট দলে। এর ফলে খুব স্বাভাবিকভাবে মোহামেডানের শক্তি কমবে কয়েকগুণ।

একাদশের সেরা পাঁচজন অপরিহার্য ক্রিকেটার ছাড়া মোহামেডানের পক্ষে শিরোপা জেতা তো কঠিন হবেই, শিরোপার দৌড়ে টিকে থাকাও হবে দায়।

এর বাইরে সবার ওপরে থাকা আবাহনীকেও নাজমুল হোসেন শান্ত, মুমিনুল হক ও নাহিদ রানার মতো তিন প্রধান পারফরমার ছাড়া খেলতে হবে। ওই ৩ জনের টেস্ট দলে থাকা নিশ্চিত।

অবশ্য নাহিদ রানা প্রথম টেস্ট খেলে চলে যাবেন পাকিস্তানে। সেখানে পাকিস্তান সুপার লিগ (পিএসএল) খেলবেন ডানহাতি গতিতারকা।

একইভাবে লিজেন্ডস অব রুপগঞ্জ ও প্রাইম ব্যাংকের ২ থেকে ৩ ক্রিকেটার সুপার লিগ খেলতে পারবেন না। এই দল থেকে জাকের আলী অনিক ও মাহমুদুল হাসান জয়ের টেস্ট দলে থাকার সম্ভাবনা খুব বেশি। জাকির হাসান এবং দুই পেসার খালেদ আহমেদ ও হাসান মাহমুদেরও টেস্ট দলে ডাক পাওয়ার সম্ভাবনা আছে।

এর বাইরে অগ্রণী ব্যাংকের বাঁহাতি ওপেনার সাদমান ইসলাম টেস্ট দলের সম্ভাব্য ওপেনার হিসেবে ডাক পেতে যাচ্ছেন। সুপার লিগে উঠতে পারলে তরুণ বাঁহাতি ওপেনার সাদমানের সার্ভিস পাবে না অগ্রণী ব্যাংক।

এছাড়া গাজী গ্রুপের এনামুল হক বিজয়, মোহামেডানের মাহিদুল ইসলাম অংকন ও প্রাইম ব্যাংকের শাহাদাত হোসেন দিপুরও টেস্ট দলে ডাক আসতে পারে।

জাগোনিউজের খবর পেতে ফলো করুন আমাদের গুগল নিউজ চ্যানেল।

সব মিলিয়ে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজের জন্য সুপার লিগে বেশ কয়েকটি দলই ক্ষতিগ্রস্ত হবে। অন্তত ৩-৪টি দলের শক্তির হেরফের ঘটবে। এর মধ্যে মোহামেডানের ওপরই বেশি প্রভাব পড়বে। অপরিহার্য ক্রিকেটারদের ছাড়া কী করে মোহামেডান, সেটাই দেখার।

এআরবি/এমএইচ/এমএস