জাতীয় দলে ফের সুযোগ পেলে যা করতে চান সোহান

লক্ষ্য বেশি না। আজ শুক্রবার শেরে বাংলায় মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবকে হারাতে নুরুল হাসান সোহানের ধানমন্ডি স্পোর্টস ক্লাবের দরকার ছিল মাত্র ২১৭ রানের। ওয়ানডে ফরম্যাটে যা একেবারে মামুলি লক্ষ্য।
মামুলি এ কারণে যে, বিকেএসপির ৩ ও ৪ নম্বর মাঠে ৩০০ রানও নিরাপদ নয়। আর শেরে বাংলায় রানের মিটার আড়াইশোর নিচে নামলেই বিপদ। সেখানে মোহামেডানের ২১৬ রান তো অনেক কম।
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
কিন্তু আগের রাতের বৃষ্টি ও সকালে মেঘে ঢাকা আকাশের নিচে শেরে বাংলার উইকেট ছিল খানিক কঠিন। যে কারণে ২১৭ রানও খুব কম নয়। ধানমন্ডির ইনিংস শুরুর অল্প সময় পরই তা বোঝা গেল।
তাসকিন আহমেদ ও আবু হায়দার রনির বলে উইকেটের পিছনে ক্যাচ তুলে শুরুতেই বিদায় নেন ধানমন্ডির দুই টপঅর্ডার সাঞ্জামুল ইসলাম ও ফজলে রাব্বি। অন্য প্রান্তে হাবিবুর রহমান সোহান খানিকক্ষণ নিজের মতো করে খেলে ১৬ বলে ৩ বাউন্ডারি আর ২ ছক্কায় ৩১ রান করে ক্যাচ দেন ডিপ মিডউইকেটে।
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
সময় গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে বিপর্যয় ঘনীভূত হলো ধানমন্ডির। ৬৮ রানে পতন ৫ উইকেটের। এক পর্যায়ে ১১৭ রানে নেই ৭ জন। তখন হয়তো ধানমন্ডি ড্রেসিংরুমেও নিশ্চিত পরাজয়ের চিন্তাই ভর করছিল সবার মনে।
কিন্তু ধানমন্ডি অধিনায়ক নুরুল হাসান সোহান সেই ভগ্নদশা দলের পক্ষে ধ্বংসস্তূপে দাঁড়িয়েও জয়ের স্বপ্ন দেখছিলেন। শুধু স্বপ্ন দেখা নয়, জয়ের প্রাণপণ চেষ্টাও করেছেন এ সাহসী ক্রিকেটার।
বিজ্ঞাপন
সঙ্গীহী সোহান শেষ পর্যন্ত ধানমন্ডিকে একাই বীরের মতো লড়াই চালিয়ে যান। বিধ্বংসী ব্যাটিং করে সেঞ্চুরিও হাঁকিয়ে ফেলেন। তবে শেষ পর্যন্ত দলকে হারের কবল থেকে বাঁচাতে পারেননি তিনি। ৯৩ বলে ৪ ছক্কা ও ১০ বাউন্ডারিতে ১০০ রানের লড়াকু ইনিংস খেলে সাজঘরে ফেরেন সোহান। ডানহাতি উইকেটরক্ষকের বিদায়ের ফলে ৪৩.৩ ওভারে মোহামেডানের চেয়ে ২৩ রান কম থাকতেই (১৯৩ রান) শেষ হয় ধানমন্ডির ইনিংস।
দলকে জয়ের কাছে নিয়েও জেতাতে না পারার আক্ষেপ পোড়াচ্ছে সোহানকে। খেলা শেষে গণমাধ্যমের সামনে ধানমন্ডি অধিনায়কের সোজা কথা, ‘দল হারলে আমার সেঞ্চুরির কোনো মূল্য নেই। যদি দলকে জেতাতে পারতাম, তখন এই মুহূর্তটি স্মরণীয় হয়ে থাকতো।’
৪৪তম ওভারের প্রথম দুই বলে মোহামেডান পেসার মোহাম্মদ সাইফুদ্দীনকে ছক্কা মারেন সোহান। তৃতীয় বলে মারতে গিয়ে ক্যাচ হন তাওহিদ হৃদয়ের হাতে। হাতে ৬ ওভার বাকি থাকতেও কেন সাইফুদ্দীনকে মারতে গেলেন?
সোহানের জবাব, ‘আমি শেষ পর্যন্ত চেষ্টা করেছি। যখন মিড উইকেটের বলটি মারলাম, তখন জানতাম যে ভালো টাইমিং হলে ছক্কা হতে পারতো। কিন্তু গ্যাপে না গিয়ে আউট হয়ে যাই।’
বিজ্ঞাপন
জাতীয় দলে খেলা নিয়ে ভাবনা কী? মুশফিকুর রহিম আর মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের ছেড়ে দেওয়া খালি জায়গায় সাদা বলে আবারও জাতীয় দলে ফেরার সম্ভাবনা আছে সোহানের। তা নিয়ে কী ভাবছেন?
ধানমন্ডি ক্যাপ্টেনের ব্যাখ্যা, ‘জাতীয় দলে খেলা সব সময়ই গর্বের ব্যাপার। সবসময় সেরাটা দেওয়ার জন্য চেষ্টা করি। যদি সুযোগ আসে, তবে নিজের সেরাটা দেবো।’
সোহান আরও যোগ করেন, ‘যেখানে শেষ করেছি, সেখান থেকেই যেন শুরু করতে পারি, সেই উদ্দেশ্যে কাজ করবো।’
বিজ্ঞাপন
এআরবি/এমএইচ/এএসএম
বিজ্ঞাপন