ভিডিও EN
  1. Home/
  2. বিশেষ প্রতিবেদন

বাবার চেয়েও বেশি যোগ্য মেয়র সাঈদ খোকন

প্রকাশিত: ০২:০১ পিএম, ০৭ মার্চ ২০১৬

‘আমার বেল্টের দোকানটা বুলডোজার দিয়া গুঁড়াইয়া দিছে। কিছু মাল সরাইতে পারছি। একটু পিলারটার লগে বাইন্দা রাখতে দেন।’ -আনুমানিক বিশ-বাইশ বছরের এক যুবক রাজধানীর নিউ সুপার মার্কেটের (দক্ষিণ) ওভারবিজ্রের নিচে দাঁড়িয়ে এভাবেই অনুরোধ করছিলেন মার্কেটের নিরাপত্তারক্ষীদের কাছে।

যুবকের বার বার অনুরোধে নিরাপত্তারক্ষী ভারি গলায় বলেন, “ভাইরে আমার কিছুই করার নেই। ব্রিজের শুরুর পিলার থেকে মার্কেটে ঢোকার সিঁড়ির পিলার পর্যন্ত কোনো স্থাপনা থাকবে না। এটা মেয়রের (সাঈদ খোকন) কড়া নির্দেশ। অফিস কর্মকর্তারাও আমাদের বলে দিয়েছেন, আদেশ অমান্য করলে চাকরি নট।”

Newmarket

ঘটনাটি সোমবার বিকেল সাড়ে ৩টার। নিউ মার্কেটের এই ওভারব্রিজের চারপাশে হকাররা বহু বছর যাবত অবৈধ স্থাপনা গড়ে ব্যবসা চালিয়ে আসছিল। বিভিন্ন সরকারের আমলে রাস্তার দুই পাশে অবৈধ দোকানপাট উচ্ছেদ হলেও বিজ্রের গোড়ায় কখনো উচ্ছেদ অভিযান চালানো হয়নি। তাই উৎসুক জনগণ আশেপাশে ভিড় জমিয়েছিলেন। বাস, রিকশা, মোটরসাইকেল, প্রাইভেট কার, সিএনজি বেবী ট্যাক্সির যাত্রীরাও তাকিয়ে ছিলেন অবাক দৃষ্টিতে।
 
জানা যায়, ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন (ডিএসসিসি) এর উদ্যোগে সোমবার দুপুর ১২টা থেকে এ উচ্ছেদ অভিযান চালানো হয়। এর দুই ঘণ্টা আগে ডিসিসি কর্মীরা মাইকযোগে অবৈধ স্থাপনা সরিয়ে ফেলার নির্দেশ দিলেও দখলদাররা তাতে কর্ণপাত করেননি।

Newmarket
 
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ফুটপাতের ওই সকল দখলদাররা মার্কেটের নেতা ও স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাদের সঙ্গে  যোগাযোগ করে অভিযান বন্ধের তদবির করলেও শেষ পর্যন্ত অভিযান বন্ধ হয়নি।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে নিউ মার্কেটের একাধিক ব্যবসায়ী জানান, মার্কেটের সামনের খোলা স্থানটি হকাররা এমনভাবে দখল করে রেখেছিল তাতে প্রকৃত ব্যবসায়ীরা ক্ষতিগ্রস্থ হতেন। ওভারব্রিজের সামনের রাস্তা ও ফুটপাত দখল থাকায় ভদ্র ক্রেতারা এদিক দিয়ে মার্কেটে আসতে চাইতেন না। সামনের জায়গাটি ফাঁকা রাখলে ব্যবসা উপযোগী পরিবেশ হবে।

Newmarket

আজিমপুর এলাকার বাসিন্দা ও একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা জাগো নিউজকে বলেন, “মেয়র হানিফের চেয়েও তার ছেলে বেশি যোগ্য। বুকের পাটা বড় না হলে এ উচ্ছেদ কার্যক্রম চালাতে পারতেন না।”

সজিব নামের একজন হকার জানান, কখনও ভাবতে পারেনি বিজ্রের গোড়ায় উচ্ছেদ অভিযান চালানো হতে পারে। তারা নিয়মিত থানা পুলিশসহ অনেককেই টাকা দিতেন। তবে উচ্ছেদ হলেও এখানে আবারও দোকান বসবে বলে মনে করেন তিনি।

কয়েকজন ব্যবসায়ী ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, একদিকে উচ্ছেদ হয় আরেক দিকে হকাররা দোকান বসায়। ক্ষমতাসীনদের ও পুলিশ প্রশাসনের সহযোগিতা না পেলে অবৈধ স্থাপনা কখনও গড়ে উঠত না।

এমইউ/আরএস/এবিএস