ভিডিও EN
  1. Home/
  2. বিশেষ প্রতিবেদন

রংপুরে বৃক্ষমানব পরিবারের পাশে দাঁড়িয়েছে প্রশাসন

প্রকাশিত: ১১:১৫ এএম, ০৭ মার্চ ২০১৬

রংপুরে বৃক্ষমানব পরিবারকে সহযোগিতা করার লক্ষে সার্বিক বিষয়ে খোঁজ-খবর নিতে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সংশ্লিষ্ট উপজেলা প্রশাসনকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।  

এছাড়াও সমাজসেবা অফিস ও স্বাস্থ্য অধিদফতরের আওতাধীন সকল কার্যালয় ওই পরিবারটির স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করার আশ্বাস দিয়েছেন। বিভিন্ন ব্যাংক ও সাহায্য সহযোগিতা প্রদানকারী সংস্থাও ওই পরিবারটির খোঁজ-খবর নেয়া শুরু করেছেন।

‘এবার রংপুরে বৃক্ষমানব পরিবারের সন্ধান’ শিরোনামে গতকাল রোববার জাগো নিউজে সংবাদ প্রকাশিত হবার পর বিষয়টি সর্বত্র আলোড়ন সৃষ্টি করে। বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি অফিসগুলো এমনকি চায়ের দোকানেও আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয় বৃক্ষ মানব পরিবারের খবরটি।
 
পীরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এসএম মাজহারুল ইসলাম জাগো নিউজকে বলেন, এ ব্যাপারে জেলা প্রশাসক মহোদয় নির্দেশনা দিয়েছেন। উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তার মাধ্যমে খোঁজ নিয়ে তাদের সাহায্যার্থে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
 
উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা জয়নাল আবেদীন জাগো নিউজকে জানান, বিষয়টি সরেজমিনে পরিদর্শন করে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
 
জেলা প্রশাসক রাহাত আনোয়ার জাগো নিউজকে বলেন, বৃক্ষমানব পরিবারটির খবর নিতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। তাদের চিকিৎসার সাহায্যার্থে জেলা প্রশাসন প্রযোজনীয় সহায়তা প্রদান করবে।

Tree-Man-Top
 
এদিকে পীরগঞ্জের স্থানীয় একটি সূত্র জানায়, রংপুর থেকে বেসরকারি দুটি ব্যাংকের কর্তৃপক্ষ ওই পরিবারটি সম্পর্কে খোঁজ-খবর নিতে সংশ্লিষ্ট উপজেলা শাখার ব্যাংক কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়েছে। শিগগিরই তারা সরজমিনে খোঁজ নিয়ে প্রয়োজনীয় আর্থিক সহায়তা দেবেন বলে সূত্রটি নিশ্চিত করেছে।

হাতে পায়ে গাছের মতো শিকড় গজানো বিরল এই রোগে আক্রান্তরা হলেন, জেলার পীরগঞ্জ উপজেলার রামনাথপুর ইউনিয়নের আব্দুল­্লাহপুর কালসারডাড়া গ্রামের তাজুল ইসলাম (৪৮) ও তার ছেলে রুহুল আমিন (১০)। দীর্ঘদিন ধরে তারা এ রোগে আক্রান্ত হয়ে দুর্বিষহ জীবনযাপন করছেন।
 
তাজুল ইসলামের বাবা আফাস মুন্সি এ রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান। তার বড় ভাই বাছেদ আলীও এ রোগে আক্রান্ত। কিছুদিন আগে তার দু’পা কেটে ফেলা হলেও হাতে গাছের মতো গজানো শিকড় নিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছেন বাছেদ।

তাজুলের দুই ছেলে রুবেল মিয়া (১২) ও রুহুল আমিন (১০)। রুবেল সুস্থ ও স্বাভাবিকভাবে জন্ম নিলেও রুহুল আমিন হাত ও পায়ে বড় বড় নখ নিয়ে জন্মগ্রহণ করে। এখন রুহুল যতই বড় হচ্ছে শিকড়ের মতো গজানো নখগুলোও বড় হচ্ছে। তারা বাবা ছেলে কখনোই নিজ হাতে খেতে পারেন না। কোনো কাজ করতে না পারায় ভিক্ষা করে জীবিকা নির্বাহ করছেন তাজুল ও তার ছেলে রুহুল।

এমএএস/আরআইপি