ভিডিও EN
  1. Home/
  2. বিশেষ প্রতিবেদন

অভিজিৎ হত্যা : আসামি শনাক্তে আটকে আছে তদন্ত

প্রকাশিত: ০৯:২০ পিএম, ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৬

বিজ্ঞানমনস্ক লেখক ও ব্লগার অভিজিৎ রায় হত্যাকাণ্ডের এক বছর পেরিয়ে গেলেও আসামিদের ‘শনাক্তকরণের’ মধ্যেই আটকে আছে তদন্তকাজ। এঘটনার কয়েকদিন পর হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত আনসারুল্লাহ বাংলাটিমের ৫ সদস্যকে শনাক্ত করা হয়েছে বলে দাবি করেছিল পুলিশ। তবে এক বছরে সেই শনাক্তকারীদের গ্রেফতার করতে ব্যর্থ হয়েছে তারা।

গত বছরের ২৬ ফেব্রুয়ারি বইমেলা থেকে বের হওয়ার পথে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি এলাকায় কুপিয়ে হত্যা করা হয় বিজ্ঞানমনস্ক লেখক ও ব্লগার অভিজিৎ রায়কে। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় তার। এঘটনায় গুরুতর আহত হন অভিজিতের স্ত্রী রাফিদা আহমেদ।

এঘটনার পরপর হত্যাকাণ্ডের দায় স্বীকার করে নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন আনসারুল্লাহ বাংলাটিম। হত্যাকাণ্ড তদন্তের দায়িত্ব পায় মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ।

হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত সন্দেহে গত ১২ মাসে এঘটনায় মোট আটজনকে গ্রেফতারও করে ডিবি। তবে এদের মধ্যে কেউই হত্যাকাণ্ড সংগঠনের সময় ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন না বলে জানিয়েছে পুলিশ। এদের মধ্যে ফারাবি ও রাহী নামে দুজনকে হত্যাকাণ্ডে প্ররোচণা প্রদানের অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়। ২০১২ সালেই ব্লগারদের হত্যা করার একটি তালিকা প্রকাশ করেছিল ফারাবি। তালিকায় অভিজিতের নামও ছিল। আর গ্রেফতার হওয়া বাকি ছয়জন আনসারুল্লাহ বাংলাটিমের অনুসারী। তাদের বিরুদ্ধে হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার কোনো প্রমাণও নেই পুলিশের কাছে।

অভিজিৎ হত্যাকাণ্ডের তদন্তের বর্তমান অবস্থা জানতে চাইলে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত কমিশনার মনিরুল ইসলাম বলেন, ‘অভিজিৎ হত্যাকাণ্ডে সরাসরি অংশ নিয়েছিল এমন তিনজন এবং ঘটনাস্থলের আশেপাশে অবস্থান করছিল এমন ছয়জনকে শনাক্ত করা হয়েছে। তাদের নজরদারিতে রাখা হয়েছে। এমনকি গত কয়েকদিনে তাদের গ্রেফতারে অভিযানও চালানো হয়েছে। খুব শিগগিরই তাদের গ্রেফতার করা হবে।’

মনিরুল ইসলাম বলেন, ‘এ হত্যাকাণ্ডটি ছিল একেবারই ক্লুবিহীন। এসব মামলার তদন্তের ক্ষেত্রে অনেকটা সময় লাগে। হত্যাকারীরা সুপরিকল্পিত উপায়ে অভিজিতকে হত্যা করে সটকে পড়ে। তাদের শনাক্ত করতে প্রায় বছরখানেক সময় লেগে যায়।’

এদিকে তদন্তের গতি নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করে অভিজিতের বাবা অজয় রায় জাগো নিউজকে বলেন, ‘পুলিশের তদন্তে সন্তোষজনক অগ্রগতি লক্ষ্য করা যাচ্ছে না। পুলিশ বলছে, তিনজনকে শনাক্ত করেছে, আরো ৭ জনকে অভিযোগের ভিত্তিতে আটক করেছে। তারা নাকি ডিএনএ হাতে পায়নি। পেলে বিশদভাবে তদন্ত করে আমাকে জানাবে। আবার হতাশ হয়েওতো লাভ নেই। পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তারা যোগাযোগও করতে চায় না। কথা বলে না। বলে হলে আপনাকে জানাবো। তবে এতে আশান্বিত হওয়ার কিছু দেখি না। হতাশ হয়েও কী লাভ দেখা যাক কী হয়।’

অভিজিতকে হত্যার কয়েকদিন পর এফবিআইয়ের ৫ কর্মকর্তা ঘটনাস্থলে গিয়ে সেখান থেকে আলামত সংগ্রহ করে যুক্তরাষ্ট্রে নিয়ে যায়। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও হত্যাকাণ্ডের সময় ঘটনাস্থলে উপস্থিতদের ডিএনএর ফলাফল এখনো পাঠায়নি তারা।

এবিষয়ে মনিরুল ইসলাম বলেন, গ্রেফতারকৃতদের ডিএনও সংগ্রহ করে এফবিআইয়ের কাছে পাঠানো হয়েছে। অভিজিৎ ও গ্রেফতারকৃত আসামিদের ডিএনএ পরীক্ষাও শেষ হয়েছে। এখন কিছু প্রশাসনিক জটিলতার কাজ চলছে। এটি শেষ হলে প্রতিবেদনগুলো আমরা হাতে পাবো। যুক্তরাষ্ট্র থেকে প্রতিবেদন আসুক আর না আসুক, গোয়েন্দা কর্মকর্তাদের প্রচেষ্টায় অভিজিৎ হত্যাকারীদের শনাক্ত করা হয়েছে।

এআর/বিএ

আরও পড়ুন