ভিডিও EN
  1. Home/
  2. বিশেষ প্রতিবেদন

বোঝার উপায় নেই এটা যাত্রী ছাউনি!

প্রকাশিত: ০২:৫০ এএম, ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৬

যাত্রীদের সুবিধার জন্য প্রধান সড়কের পাশেই নির্মাণ করা হয়েছিল যাত্রী ছাউনিটি। তবে গভীরভাবে লক্ষ্য না করলে বোঝার কোনো উপায় নেই এটি সত্যিকারার্থেই যাত্রী ছাউনি। হকারদের দখলে বদলে গেছে এর চিত্র।

সরেজমিনে পল্টনে এমন চিত্রই দেখা গেছে। পল্টন মোড় থেকে মতিঝিলের পথে বাইতুল মোকাররম মসজিদের একটু আগেই যাত্রী ছাউনিটির অবস্থান। কিন্তু ছাউনিটিতে যাত্রীদের বসাতো দূরের কথা এর নিচ দিয়ে হাঁটাই মুশকিল হয়ে পড়েছে বলে মনে করেন এ পথে চলাচলকারীরা।

এদিকে নগরবাসীদের কাছে রাজধানীর নয়াপল্টন ব্যস্ত এলাকা হিসেবেই পরিচিত। কারণ মতিঝিলের মতো বাণিজ্যিক এলাকা, জাতীয় মসজিদ বাইতুল মোকাররম, সচিবালয় ও গুলিস্তানের মতো ব্যস্ত এলাকা এর পাশেই অবস্থিত।

জানা গেছে, এ পথ দিয়ে প্রতিদিন অগণিত পথচারীর চলাফেরা কথা বিবেচনা করে যাত্রী ছাউনিটি নির্মাণ করা হলেও গত কয়েক বছর ধরে এটা বেদখল হয়ে গেছে।

সরজমিনে দেখা যায়, হকারদের কয়েকটি দোকান ও একটি সংবাদপত্র বিক্রয়কেন্দ্র স্থাপন করা হয়েছে যাত্রী ছাউনিটির নিচে। ঠাসাঠাসি করে দোকান বসানোয় এর নিচ দিয়ে স্বাভাবিকভাবে চলাফেরাও অসম্ভব হয়ে পড়েছে।

Satri-Sawni

যাত্রী ছাউনিটির পাশে নিরাপত্তার দায়িত্বে নিয়োজিত শহিদুল নামের একজন গার্ড জাগো নিউজকে জানান, তিনি যতদিন ধরে এখানে কর্মরত আছেন ততদিন যাত্রী ছাউনির নিচে দোকান দেখে আসছেন।

পুলিশ বা প্রশাসনের অন্য কেউ উচ্ছেদ করতে এসেছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, উপরের লোকদের হাত আছে। তাই কখনোই এখানে দোকান বন্ধ থাকে না।

নিচে অবস্থানরত কয়েকজন হকারের সঙ্গে কথা বলতে চাইলে এ বিষয়ে অপারগতা প্রকাশ করেন তারা। মাসিক ও ক্ষেত্র বিশেষে দৈনিক ভাড়া দিয়েই এখানে ব্যবসা করছেন বলেও তারা জানান।

এদিকে, যাত্রী ছাউনিটির নিচে গত দুই বছর ধরে দোকান পরিচালনা করেন মিজান। তিনি জাগো নিউজকে জানান, মাসিক আট হাজার টাকা ভাড়ায় যাত্রী ছাউনির নিচে ব্যবসা করি। তবে যাকে ভাড়া দিচ্ছেন তার নাম প্রকাশে অনীহা প্রকাশ করেন তিনি।

এমএম/এমজেড/পিআর