২০১৮ সালের মার্চের মধ্যেই জবির প্রথম সমাবর্তন
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) উপাচার্য দায়িত্বে আগামী ২০ মার্চ তিন বছর পূর্তি হচ্ছে অধ্যাপক ড. মীজানুর রহমানের। এ তিন বছরে বিশ্ববিদ্যালয়ের অবকাঠামোগত দৃশ্যমান উন্নয়ন কাজ করার চেষ্টা করেছেন তিনি। বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের বহু প্রতীক্ষিত নির্মাণাধীন ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলের কাজ শুরু ও কেরাণীগঞ্জে শিক্ষার্থীদের আবাসিক হলের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থায়নে জমি কিনেছেন তিনি। শুরু করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়টির শিক্ষার মানোন্নয়নে যাত্রাও। তার নিরলস প্রচেষ্টায় জবির শিক্ষক সংখ্যা ২২০ থেকে ৫৫০ এ পৌঁছেছে। একইসঙ্গে শিক্ষকরা বিদেশে থেকে পিএইচডি ডিগ্রি এনেছেন যা এক সময়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকদের স্বপ্ন ছিল।
দক্ষিণ এশিয়ার মার্কেটিংয়ের ফিলিপ কটলারখ্যাত অধ্যাপক ড. মীজানুর রহমানের সঙ্গে সম্প্রতি কথা হয় জাগো নিউজের। সাক্ষাৎকারটি নিয়েছেন জাগো নিউজের জবি প্রতিনিধি সুব্রত মণ্ডল।
জাগো নিউজ : কেমন আছেন, স্যার?
ড. মীজানুর রহমান : এইতো ভালো (হেসে..)।
জাগো নিউজ : জবির উপাচার্যের দায়িত্ব কেমন উপভোগ করছেন?
ড. মীজানুর রহমান : তিন বছর হতে চলেছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে দায়িত্ব নিয়েছি। আমি যখন যোগদান করেছিলাম সে সময় থেকে এখন অনেক উন্নত হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়টি। বিশেষ করে একাডেমিক এনভায়রনমেন্ট, বিশ্ববিদ্যালয়ের ফ্লেভার বা ভাব। যেটুকু শুরুতে দেখেছিলাম তার থেকে অনেক উন্নত হয়েছে। মনে রাখতে হবে এটি একটি কলেজ ছিল, কলেজ থেকে ট্রান্সসেকশন করে বিশ্ববিদ্যালয় করা হয়েছে। যার একটি পরিপূর্ণ বিশ্বদ্যিালয়ে হওয়ার জন্য শিক্ষা সংস্কৃতির পরিবর্তন আশা দরকার ছিল, তা ধীরে ধীরে আসছে। এ তিন বছরে কী পরিবর্তন হয়েছে যারা বিশ্ববিদ্যালয়ে আছেন তারা ভালোভাবে পর্যবেক্ষণ করলে বুঝতে পারবেন।
জাগো নিউজ : বিভিন্ন মহল থেকে শোনা যায়, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় একটি ভুল সিদ্ধান্ত বা আইনের মধ্যে দিয়ে যাত্রা শুরু করেছে -এ বিষয়ে আপনার মতামত কী?
ড. মীজানুর রহমান : না, ভুল সিদ্ধান্ত এই অর্থে বাংলাদেশে অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয় হয়েছে। সেখানে নতুন নতুন জায়গা করে বিস্তৃতি পরিসরে বিশ্ববিদ্যালয় করা হয়েছে। সেখানে স্থাপনা, একাডেমিক ভবন, হল ও প্রশাসনিক ভবন করা হয়েছে। আর আমাদের এটি হল। পুরান ঢাকার খুবই ঘনবসতিপূর্ণ এবং ব্যবসা বাণিজ্যের কেন্দ্র সদরঘাট। সেখানে মাত্র ৭.৫ একর জায়গার উপর ৩৫টি বিভাগ, ১৮/২০ হাজার শিক্ষার্থী। সেদিক থেকে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়কে নদীর (বুড়িগঙ্গা নদী) করা যেত। সে জন্য বলছি, এরকম একটি কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তর করা খুব কঠিন কাজ। এইভাবে না হয়ে যদি আলাদা বিশ্ববিদ্যালয়ে হতো তাহলে সেটিকে যেভাবে ইচ্ছে গড়ে তোলা যেতো। এখন যে আকৃতি আছে সেখানে নতুন করে মাস্টার প্লান করে কিছু করা খুবই কঠিন কাজ। সেই অর্থে বলছি।
জাগো নিউজ : শিক্ষার্থীরা বেদখল হওয়া ১২টি হল উদ্ধারে আন্দোলন করছে। এ হল উদ্ধার কিংবা নতুন হল নিয়ে আপনার পরিকল্পনা কী?
ড. মীজানুর রহমান : সবার আগে বলা দরকার, যে হলগুলোকে বেদখল বলছি, সেগুলো হিন্দুদের পরিত্যক্ত বাড়ি। সেগুলোতে তৎকালীন জগন্নাথ কলেজের ছাত্ররা থাকতো। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ২০০৫ সালে আর ১৯৮০ সালের পর থেকে কলেজের কেউ থাকতেন না। হিন্দুদের পরিত্যক্ত বাড়িতে যখন যেটা খালি হতো, ছাত্ররা তখন থাকতো। সেক্ষেত্রে হলের জায়গা জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের নামেও ছিল না। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের নামে কোনো কাগজপত্র নাই। তবে সেগুলো সরকারি সম্পত্তি, এছাড়া জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের হল নাই। তাই তদানীন্তন জগন্নাথ কলেজের সম্পত্তি দাবিতে এগুলো জগন্নাথের পাওয়া উচিত বলে সরকারের কাছে দাবি করেছি। তবে দখলদাররা কাগজপত্র করেছে, ডকুমেন্টস তৈরি করছে, সেখানে মার্কেট তৈরি করছে। আবার তা বিক্রি করে দিয়েছে বিভিন্ন লোকের কাছে। জটিলতা একটি দুটো নয়। এছাড়া আবার সেগুলো সরকারের ‘খ’ তফসিলভুক্ত।
জাগো নিউজ : ‘খ’ তফসিলভুক্ত জায়গা দীর্ঘমেয়াদি লিজ নেয়া হয়?
ড. মীজানুর রহমান : ‘খ’ তফসিলভুক্ত সম্প্রতি এক বছরের লিজ দেয় না সরকার। বাণী ভবন, হাবিবুর রহমান হল পাই লিজের মাধ্যমে। একবছর টাকা দিয়ে আবেদন করে লিজ পাই। আবার বছর ঘুরে লিজের জন্য আবেদন করতে হয়। দীর্ঘমেয়াদি লিজ দেবে না সরকার। তিনটি হলের লিজের টাকা জমা দিয়ে হল পরিদর্শনে গিয়ে হতাশ হয়েছি। কারণ হল বলতে যা বুঝায় তার কিছুই নেই ওখানে। তবে কর্মচারীদের আবাসন করা যেতে পারে। সরু জমি ও বসত বাড়ির মধ্যে হল করাও দুষ্কর। করলেও এলাকার ভিতর গোলমাল লেগেই থাকবে। হাবিবুর রহমান হলসহ যে হলগুলো আছে সেগুলোতে বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্য কাজে ব্যবহার করা যাবে। তাছাড়া সরকার ছোট ছোট হলের জন্য প্রকল্পও দেয় না।
জাগো নিউজ : নতুন হল নির্মাণের সর্বশেষ অবস্থা এখন কোন পর্যায়ে?
ড. মীজানুর রহমান : কাজ পুরোদমে চলছে। প্রকল্পটি দীর্ঘ সময় লাগছে সরকারের এডুকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং ডিপার্টমেন্টের জন্য। এটি আমার নিয়ন্ত্রণে নয়। সরকারই এর দেখভাল করছে। তবে কোনো সমস্য চোখে পড়লে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানকে আমি তাগাদা দেই।
জাগো নিউজ : বিশ্ববিদ্যালয়ে নতুন কোনো প্রকল্প আছে কি?
ড. মীজানুর রহমান : হ্যাঁ, সরকারের কাছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ২৫০ কোটি টাকার একটি অধিকতর উন্নয়ন প্রকল্প আমরা জমা দিয়েছি। যার কার্যক্রম শুরু হয়েছে ২০১৬ সালের ১ জানুয়ারিতে। এখন এটি প্লানিং পর্যায়ে। সরকারের তালিকাভুক্ত উন্নয়ন প্রকল্প এটি। বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন হয়ে একনেকে যাওয়ার প্রক্রিয়ার মধ্যে রয়েছে প্রকল্পটি। প্রকল্পের মধ্যে রয়েছে- জবির ২০তলা বিশিষ্ট বিজ্ঞান ভবন ও ছেলেদের জন্য এক হাজার আসনবিশিষ্ট বঙ্গবন্ধু হল নির্মাণ। হলের জন্য জায়গা নির্ধারণ করা হয়েছে কেরাণীগঞ্জে জেলাখানার বিপরীতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্রয়কৃত জায়গায়। ওখানে হল করার মতো উচু জায়গায় আছে। তবে কিছু উচুনিচু জায়গা ভরাট করতে হবে। আশা করছি, আগামী জুলাই মাসের আগেই একনেকে প্রকল্পটি পাস হলে হলের কাজ শুরু করা যাবে।
জাগো নিউজ : জবির দ্বিতীয় ক্যাম্পাসে কি একাডেমিক ভবন থাকবে?
ড. মীজানুর রহমান : সেটা এখনই বলা যাবে না। তবে ভবিষ্যতে নতুন কোনো বিশেষায়িত বিভাগ খোলা হলে সেখানে করা হবে। যেমন- সমুদ্র বিজ্ঞান, কৃষি বিজ্ঞান বিভাগ, ফিশারিশ ইনস্টিটিউট, ফরেস্টি বিভাগ। কারণ এ বিভাগগুলোর জন্য জায়গা দরকার। এছাড়া জবি বিশ্বের একমাত্র বিশ্ববিদ্যালয় যার উপাচার্যের কোনো বাসভবন নেই।
জাগো নিউজ : বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের গবেষণা কাজে আপনার সহযোগিতা ও শিক্ষকদের আগ্রহ কতটুকু?
ড. মীজানুর রহমান : আমাদের প্রায় ১০০ জন শিক্ষক দেশের বাইরে পিএইচডি ডিগ্রি নিচ্ছেন। এর মধ্যে কেউ চলেও এসেছেন। আবার অনেক শিক্ষকরা যাচ্ছেন। এবার ৩০-৩৫ জন বাইরে যাচ্ছেন। তাদের অধিকাংশ কোরিয়া, জাপান, নিউজিল্যান্ড, কানাডার মতো দেশে পিএইচডি গবেষণা করছেন। আমাদের রসায়ন বিভাগে ২১ জন শিক্ষকের মধ্যে ১৩ জনের পিএইচডি ডিগ্রি আছে। আর পাঁচজন পিএইচডি ডিগ্রির জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছেন। তবে আশার কথা হচ্ছে, আমাদের আগে গবেষণার কিছুই ছিল না, এখন এমফিল পিএইচডি চালু করা হয়েছে। ইতোমধ্যে ৯৫ জন গবেষণা করছেন। প্রতিটি বিভাগে জার্নাল বের করছে। বিজ্ঞান অনুষদের শিক্ষকরা ভালো জার্নাল লিখছেন যা দেশে বিদেশে সমাদৃত হচ্ছে। আমাদের এখানে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন, হেকেপ ও বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অর্থায়নে ৬০টি বিভিন্ন প্রজেক্টের গবেষণা কাজ চলছে।
জাগো নিউজ : জবি শিক্ষার মানোন্নয়ন কিভাবে মূল্যায়ন করবেন আপনি?
ড. মীজানুর রহমান : মানোন্নয়নের কোনো শেষ নেই। আমি মানোন্নয়নে যাত্রা শুরু করেছি মাত্র। এ যাত্রা অব্যাহত থাকবে। আমাদের অনেক দূর যেতে হবে।
জাগো নিউজ : জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় আয়তনে ছোট হওয়ায় তা দেশে প্রথম ডিজিটাইলজড করার সুযোগ আছে কি?
ড. মীজানুর রহমান : না, আমরা টোটাল বিডি র্যানের আওতায় বিশ্ব ব্যাংকের ২ কোটি ৭৫ লাখ টাকার ডিজিটাল সেন্ট্রার করা হচ্ছে। বিডি র্যান বিশ্বের সব বিশ্ববিদ্যালয়ে ডিজিটাল সাইবার সেন্ট্রারে যুক্ত হচ্ছে। ওয়াইফাইয়ের মাধ্যেমে শিক্ষার্থীরা সারাবিশ্বের বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারবে। আমাদের শিক্ষকদের বিনা সুদে ল্যাপটপ কেনার জন্য ৫০ হাজার টাকা লোন দেয়া হয়েছে। এমনকি আমার কর্মকর্তারাও এ সুযোগ পেয়েছেন। কাগজের বই বন্ধ করে ই-বুকের দিকে যাচ্ছি।
জাগো নিউজ : জগন্নাথের সাইবার ই-লাইব্রেরি গত তিন মাস ধরে বন্ধ?
ড. মীজানুর রহমান : না, বন্ধ নয়। ই-লাইব্রেরি খুব ভালো করে চলছে। সেখানে বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থীদের কম্পিউটার প্রশিক্ষণ দেয়া হচ্ছে। প্রশিক্ষণ না নিলে ই-লাইব্রেরি শিক্ষার্থীরা চালাবে কী করে? বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থীরা এই ই-লাইব্রেরি ব্যবহার করছে।
জাগো নিউজ : ক্যান্টিনে সুলভ ও ভালো মানের খাবারের অভাব -এ বিষয়ে প্রশাসন কী উদ্যোগ গ্রহণ করেছে?
ড. মীজানুর রহমান : খাবারের মান যা আছে তা ভালো। খাবারের মান যে অবস্থায় আছে তাতেই শিক্ষার্থীরা ফাউ খাচ্ছে। ক্যান্টিন ভালো করতে হলে ছাত্রদের ভালো হতে হবে। এমনিতেই ক্যান্টিনের খাবার বিভিন্ন দিক থেকে ফাউ খেয়ে খাবার অপচয় করে। ক্যান্টিন পরিচালকের কাছ থেকে এ রকম অভিযোগ মাঝে মধ্যে পাই। যে পরিমাণ লোক খাবার খাচ্ছে সে পরিমাণ টাকা পাচ্ছে না। খাবার মান ভালো হলে দাম বৃদ্ধি পাবে। যা অনেকের সাধ্যের মধ্যে থাকবে না। ক্যান্টিনে সংকট নিরসনের আরেকটি ক্যান্টিন করে দিয়েছি। সেখানে সুলভমূল্যে ভালো মানের খাবার সরবরাহ করা হয়।
জাগো নিউজ : শিক্ষার্থীরা সমাবর্তনের দাবি তুলছে?
ড. মীজানুর রহমান : যারা পাস করেছেন তাদের সমাবর্তন দেয়া হয়। তবে সমাবর্তন সম্পর্কে আমার নিজস্ব মতামত হলো সমাবর্তন ছোট খাট ব্যাপার না। আমি চাইলেই পারি না। বর্তমান ছাত্রদের তীব্র সমস্যা রয়েছে। ল্যাবে প্রয়োজনীয় যন্ত্র নাই, চেয়ার নাই, রসায়ন ল্যাবের কেমিকেল নাই। আমি বর্তমান ছাত্রদের প্রতি বেশি মনোযোগী। তবে প্রথম সমাবর্তন সেটাও করা দরকার। প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের বেশি গুরুত্ব দেবো না বর্তমান শিক্ষার্থীদের বেশি গুরুত্ব দেবো? তারপরও মনে করি সমাবর্তন হওয়া উচিত। আমাদের বর্তমান ক্যাম্পাসে সমাবর্তন সম্ভব নয়। আবার কোনো পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তন বিশ্ববিদ্যালয়ের বাইরে করা হাস্যকর। বিশ্ববিদ্যালয়ের সমবর্তন বিশ্ববিদ্যালয়ে করতে হয়। তাছাড়া রাষ্ট্রপতিকে আনার মতো পরিবেশ এখানে নেই।
জাগো নিউজ : তবে কি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে সমবর্তন হবে না?
ড. মীজানুর রহমান : বর্তমান ক্যাম্পাসে সমাবর্তন করা যাবে না। আমার যেটা পরিকল্পনা, আগামী বর্ষা মৌসুমে যদি আমাদের দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের জায়গা ভরাট করতে পারি, মাঠ সমান করতে পারি। তাহলে সেখানে সমাবর্তন হবে। আগামী বছর মানে ২০১৭ শেষ থেকে ২০১৮ সালের মার্চের মধ্যে সমাবর্তনের ইচ্ছে আছে।
জাগো নিউজ : সময় দেয়ার জন্য জাগো নিউজের পক্ষ থেকে আপনাকে ধন্যবাদ।
ড. মীজানুর রহমান : জাগো নিউজকেও ধন্যবাদ।
আরএস/জেএইচ/এসকেডি/বিএ