দুর্গন্ধের দুর্ভোগে পথচারীরা
রাজধানী ঢাকাকে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে ‘পরিচ্ছন্ন বছর ২০১৬’ ঘোষণা করেছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মোহাম্মদ সাঈদ খোকন। দায়িত্ব নেয়ার পর পরই কোরবানির বর্জ্য অপসারণে প্রশংসিত হয়েছিলেন দুই নগরপিতা আনিসুল হক এবং সাঈদ খোকন। তবে রাজপথ ও অলিগলি থেকে যত্রতত্র ডাস্টবিনের বর্জ্যের তীব্র দুর্গন্ধে নাকাল হচ্ছেন রাজধানীবাসী।
রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় সরজমিনে ঘুরে দেখা যায়, সড়কের পাশের ডাস্টবিন থেকে সিটি কর্পোরেশনের গাড়ি নিয়মিত ময়লা সরিয়ে নিলেও জমে থাকা বর্জ্যের তীব্র দুর্গন্ধে নাকাল পথচারীরা। রাজধানীর মতিঝিল, আরামাবাগ, শান্তিনগর, খিলগাঁও রেলগেট, মুগদা-বাসাবো, সেগুনবাগিচা, বাড্ডা, কাঁটাবন, নিউমার্কেট, আগারগাঁও তালতলা বাসস্ট্যান্ড, শেওরাপাড়াসহ বিভিন্ন সড়কের পাশে ডাস্টবিনের উৎকট দুর্গন্ধে নাভিশ্বাস হয়ে উঠছে পথচারীরা। নাক চেপে প্রায় দৌড়ে পথটুকু পার হচ্ছে তারা।
শান্তিনগর মোড় এলাকায় নাক চেপে দ্রুত পার হচ্ছিলেন বেসরকারি চাকরিজীবী আহম্মেদ এজাজ। সাংবাদিক পরিচয় পেয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে তিনি বলেন, সড়কের পাশে একটার পর একটা বড় বড় ডাস্টবিন উন্মুক্ত অবস্থায় পড়ে আছে। ছড়াচ্ছে তীব্র দুর্গন্ধ। নাক-মুখ চেপে ধরে সাধারণ পথচারীদের পার হতে হচ্ছে দৌড়ে। দুর্ভোগ পোহাচ্ছে মানুষ, কিন্তু দেখার কেউ নেই।
একই সমস্যায় বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী তহমিনা আক্তার বলেন, “সড়কের পাশে রাখা ডাস্টবিন পথচারীদের স্থায়ী দুর্ভোগের কারণ। তীব্র দুর্গন্ধে এসব এলাকা দিয়ে যাওয়া-আসাই মুশকিল।”
নোংড়া ও দুর্গন্ধময় এ সড়ক দিয়ে পথচারীরা নাক-মুখ চেপে দ্রুত এগিয়ে যান জানিয়ে আরামবাগের ডাস্টবিনের পাশের টং দোকানি হায়দার আলী বলেন, বাতাস আসলে দুর্গন্ধে পেট ফুলে উঠে, তবু পেটের দায়ে এখানে ব্যবসা করতে হয়।
ডাস্টবিনের পরিচ্ছন্ন কর্মীদের সঙ্গে কথা হলে তারা জানান, জন দুর্ভোগের কথা ভেবেই আমরা নিয়মিতই পরিষ্কারের চেষ্টা করি। তবে ময়লা আবর্জনা সরাতে গেলে কিছুটা দুর্গন্ধ ছড়াতে পারে।
এ বিষয়ে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপক ক্যাপ্টেন রকিব উদ্দিন জাগো নিউজকে বলেন, “জনদুর্ভোগের বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে আমাদের মাথায় আছে। এ সমস্যা নিরসনে খুব শিগগিরই আমরা বিভিন্ন পদক্ষেপ নেব, ইতোমধ্যেই বিভিন্ন কাজ চলছে।”
জনদুর্ভোগ নিরসনে প্রতিদিনই পরিষ্কার প্রক্রিয়া অব্যাহত আছে বলেও জানান তিনি।
এএস/আরএস/এসএম