মন্ত্রী আর গাড়ি বহর দেখে ভয় পেলেন বৃক্ষমানব
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন অ্যান্ড প্লাষ্টিক সার্জারি ইউনিটের পাঁচতলার কেবিনে ঢুকে বৃক্ষমানব আবুল বাজানদারকে দেখে ভয়ে আঁতকে উঠলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম। ভয় পেয়েছেন এমনটা সেখানে তাৎক্ষণিকভাবে প্রকাশ না করলেও বিস্ময়ভরা দৃষ্টিতে এক পলক তাকিয়ে থেকে ডা. সামন্তলালসহ মেডিকেল বোর্ডের অন্যান্য সদস্যদের কাছ থেকে আবুলের রোগ ও চিকিৎসার সর্বশেষ পরিস্থিতি সম্পর্কে জানতে চাইলেন।
জানা গেছে, স্বাস্থ্যমন্ত্রী যেমন বৃক্ষমানব আবুলকে দেখে ভয় পেয়েছেন ঠিক তেমনি আবুল ও তার পরিবারের সদস্যরা ভয় পেয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কেবিনে আসা হাসপাতাল পরিচালক, স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদ নেতা ও বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের বিশাল বহর ছাড়াও বিভিন্ন ইলেট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ার ক্যামেরা পারসনদের ঘন ঘন আলোর ঝলকানিতে। ক্লিক ক্লিক শব্দে যখন ক্যামেরার সাটার পড়ছিল তখন আবুল অনেকটা ভয়ে জড়োসড়ো হয়ে পড়ে।
কেবিনে উপস্থিত আবুলের মাকে সান্তনা দিয়ে বললেন, আবুলের সব চিকিৎসার খরচ বহন করবে সরকার। ফিরে এসে বার্ন ইউনিটের সম্মেলন কক্ষে সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত গণমাধ্যম কর্মীদের জানান, আবুল বাজানদারকে দেখে আমি প্রথমে ভয় পেয়ে গিয়েছিলাম। একটা জলজ্যান্ত মানুষের হাত পায়ে গাছের মতো শেকড় গজানোর দৃশ্যটি ভুলার মতো নয়।
স্বাস্থ্যমন্ত্রীর আগমন উপলক্ষে সকাল থেকেই ঢামেক বার্ন ইউনিটে বিভিন্ন গণমাধ্যম কর্মীরা উপস্থিত হন। মন্ত্রী আসার আগে নিরাপত্তাপ্রহরীরা গণমাধ্যম কর্মীদের নানাভাবে আবুলের কেবিনে যাওয়া বন্ধ রাখতে পারলেও মন্ত্রী আসার পর পর এক ঝাঁক গণমাধ্যম কর্মী কেবিনে ঢুকে পড়ে স্থির চিত্র ও ভিডিও রেকর্ড করতে থাকেন।
মেডিকেল বোর্ড প্রধান বার্ন বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. মো. আবুল কালাম সংবাদ সম্মেলনে গণমাধ্যম কর্মীদের হাসপাতালে যখন তখন উপস্থিত না হয়ে তাদের মাধ্যমে তথ্য জানার অনুরোধ জানান। অবাধ যাতায়াতে আবুলের শারীরিক নানা সমস্যা হতে পারে বলে তিনি মন্তব্য করেন।
এমইউ/জেএইচ