ভিডিও EN
  1. Home/
  2. বিশেষ প্রতিবেদন

সেরা প্রযুক্তি ব্যক্তিত্বের তালিকায় জয়-পলক

প্রকাশিত: ০৭:৩৮ এএম, ২৮ জানুয়ারি ২০১৬

বাংলাদেশের উন্নয়নে যুগান্তকারী এক দর্শন ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ প্রতিপাদ্য। সমৃদ্ধ ও উন্নত সোনার বাংলা গড়তে নতুন অভিধা হিসেবে ডিজিটাল বাংলাদেশ প্রতিপাদ্য বাস্তবায়িত করছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন সরকার। তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি (আইসিটি) খাতে বাংলাদেশকে বিশ্বের রোল মডেলে পরিণত করতে সরকার ও বেসরকারি খাত একযোগে কাজ করছে। যা দেশের উন্নয়নে সুদূরপ্রসারী প্রভাব ফেলবে। বর্তমান বিশ্বে জনগণের ক্ষমতায়ন ও দারিদ্র্য দূরীকরণের অন্যতম হাতিয়ার তথ্যপ্রযুক্তি। এ হাতিয়ারকে ধারণ করে প্রতিনিয়ত এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ।

বাংলাদেশের তথ্য-প্রযুক্তির অবস্থা দ্রুত পরিবর্তিত হচ্ছে। বড় কোন পরিবর্তন মানুষকে কেন্দ্র করে হয়ে থাকে এবং বাংলাদেশের প্রযুক্তির ক্ষেত্রেও তা ব্যতিক্রম নয়। কিছু ইতিবাচক সামাজিক পরিবর্তনের জন্য তারা এখনও কাজ করে যাচ্ছেন এবং আরও ভালো কিছু করারও সামর্থ্য আছে তাদের। ২০১৫ সালের এমন সেরা ১৫ ব্যক্তির একটি তালিকা তৈরি করেছে অনলাইন টেক পোর্টাল হাই-ফাই পাবলিক ডট কম।

১. সজীব ওয়াজেদ জয়
SajeebWazed-Joy

বাংলাদেশের তথ্যপ্রযুক্তির উন্নয়নে সবচেয়ে বড় দায়িত্ব পালন করছেন প্রধানমন্ত্রীর তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়। তথ্যপ্রযুক্তির উন্নয়নে তার বাস্তবভিত্তিক নির্দেশনায় এগিয়ে যাচ্ছে দেশের তথ্যপ্রযুক্তি খাত। অর্জিত বিদ্যার সবটুকুই তিনি দেশের উন্নয়নে কাজে লাগাচ্ছেন। দেশের জন্য তার এই সেবার ব্রত জাতীয় উন্নতির এক সবুজ সংকেত। যুক্তরাষ্ট্রের দ্য ইউনিভার্সিটি অব টেক্সাস এ্যট আর্লিংটন থেকে কম্পিউটার বিজ্ঞানে স্নাতক শেষ করেন তিনি। পরবর্তীতে হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে লোকপ্রশাসন বিষয়ে স্নাতকোত্তর করেন। ২০০৭ সালে তিনি ইয়াং গ্লোবাল লিডার নির্বাচিত হোন।

২. জুনাইদ আহমেদ পলক
Zunaid-Ahmed-Palak

বাংলাদেশের তথ্যপ্রযুক্তির উন্নয়নে সজীব ওয়াজেদ জয়ের সঙ্গে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন তরুণ মন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। বর্তমান মন্ত্রীসভার তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের (আইসিটি) প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করছেন জুনাইদ আহমেদ পলক। প্রতিমন্ত্রীর নিরলস শ্রমে দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলেও প্রযুক্তির সেবা পৌঁছে দেয়া সম্ভব হয়েছে।

বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ সাইটেও বেশ সক্রিয় এই তরুণ মন্ত্রী। নিজের ওয়েবসাইটও নিয়মিত আপডেট করেন তিনি। বাংলাদেশের আইসিটি ভিশন-২০২১ পূরণের লক্ষ্যে বিভিন্ন কারিগরি ও আইসিটি উদ্যোগেরও তদারকি করেন পলক। বেসিস এবং এটুআইয়ের সঙ্গে কাজ করে যাচ্ছেন তিনি। হ্যাকাথন এবং ডিজিটাল ওয়ার্ল্ড ২০১৪ ও ২০১৫-এর মতো আয়োজন সফল করতে তার অসামান্য ভূমিকা রয়েছে।

৩. শামীম আহসান
Shamim-Ahsan

শামীম আহসান একজন আইসিটি উদ্যোক্তা এবং এখনি.কম (Akhoni.com) সাইটের সহ-প্রতিষ্ঠাতা। ই জেনারেশন (eGENERATION) লিমিটেড, বেঞ্চমার্ক তার সর্বশেষ ভেঞ্চার। সেইসাথে দুইবার বেসিস সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন শামীম। প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে তিনি ‘বাংলাদেশের সেরা তরুণ উদ্যোক্তা’র পুরস্কারও গ্রহণ করেছেন। তার অধীনে বিভিন্ন আইসিটি মেলা ও সেমিনার আয়োজিত হয়েছে। অনেক আন্তর্জাতিক সম্মেলন এবং সেমিনারে স্পিকার হিসেবেও বক্তব্য রেখেছেন শামীম। বর্তমানে তিনি ফেনক্স ভেনচার ক্যাপিটালের সাধারণ অংশীদার হিসেবে কাজ করে যাচ্ছেন।

৪. এএইচএম মাহফুজুল আরিফ
arif

কম্পিউটার সোর্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাহফুজুল আরিফ। গণমাধ্যমে তার নাম কম উচ্চারিত হলেও তথ্যপ্রযুক্তিতে অবদান অনেক। ২০১৪ সালে বাংলাদেশ কম্পিউটার সমিতির সভাপতি নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে তিনি মিডিয়ার সামনে আসা শুরু করেন। তথ্যপ্রযুক্তির উন্নয়নে ২০১৫ সালে তিনি সারা বাংলাদেশে বিসিএস আইসিটি এক্সপোর আয়োজন করেন।

৫. ফাহিম মাশরুর
fahim-mashroor
বাংলাদেশ বৃহত্তম অনলাইন জব পোর্টাল বিডিজবস ডটকমের প্রতিষ্ঠাতা এবং সিইও হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন ফাহিম মাশরুর। ২০০০ সালের দিকে ইন্টারনেট বাংলাদেশে পরিচিতি পেতে শুরু করে। সেই সময়ে ইন্টারনেট নতুন জেনেও ফাহিম ঝুঁকি নিয়ে কলেজ ডিগ্রি শেষ করার পর ইন্টারনেট পোর্টালের দিকে ঝুঁকে পরেন। প্রথমে কয়েকজন বন্ধু ও কম্পিউটার নিয়ে নিজের বাসায় শুরু করেন বিডিজবস ডটকম। তরুণদের পছন্দমত কাজ খুঁজে নেওয়ার জন্য কোনো সাইট তৈরি করতে চেয়েছিলেন তিনি। এভাবে কাজ করতে করতে বিডিজবস ডটকমের লক্ষ্য এখন তরুণদের চাকরি খোঁজার সাইট হিসেবে কাজ করা। সম্প্রতি ৩৮.৫ কোটি টাকার বিনিময়ে বিডিজবস অস্ট্রেলিয়ার এক নম্বর চাকরি খোঁজার সাইট সিক-এর কাছে ২৫% শেয়ার বিক্রি করেছে।

৬. সবুর খান
Sabur-khan

ড্যাফোডিল গ্রুপের চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক সবুর খান। তিনি ২০০২-২০০৩ সালে বাংলাদেশ কম্পিউটার সমিতির (বিসিএস) সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ২০১২ সালের ২৯ ডিসেম্বর ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই) সভাপতির দায়িত্ব পান তিনি।

সবুর খান ৯০ দশক থেকে তথ্য প্রযুক্তি ব্যবসায়ী হিসেবে ব্যবসা শুরু করেন। তিনি ২০০৪-২০০৬ মেয়াদে ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের পরিচালক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন। এছাড়া ২০০২-২০০৩ মেয়াদে প্রধানমন্ত্রীর তথ্য-প্রযুক্তি টাস্ক ফোর্সের সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। একই সঙ্গে ইসলামিক চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ, এশিয়ান ইউনিভার্সিটি প্রেসিডেন্টস ফোরামসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংগঠনে দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ড্যাফোডিল আন্তর্জাতিক বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা ও পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান। এছাড়া ওয়ার্ল্ড ইনফরমেশন টেকনোলজি অ্যান্ড সার্ভিসের (উইটসা) পরিচালনা পর্ষদের সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন তিনি।

৭. সোনিয়া বশির কবির
12527

মাইক্রোসফট বাংলাদেশের বর্তমান প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এবং সমসাময়িক উদ্যোক্তাদের জন্য একটি রোল মডেল সোনিয়া বশির কবির। সিলিকন ভ্যালি থেকে প্রশিক্ষণ ও পড়াশুনা শেষ হওয়ার পর তিনি ওরাকল এবং সান মাইক্রোসিস্টেমের মতো প্রতিষ্ঠানে কাজ করেছেন। তিনি বিক্রয়, আর্থিক ব্যবস্থাপনা, টিম বিল্ডিং এবং কৌশলগত পরিকল্পনাসহ বিভিন্ন সেক্টরে কাজ করেছেন। বাংলাদেশে মাইক্রোসফট এবং ডেল এর হয়ে কাজ করছেন। বর্তমানে তিনি দরিদ্রদের জন্য শিক্ষা ব্যবস্থা সহজ করতে প্রযুক্তি ব্যবহার করার জন্য সরকারের সঙ্গে কাজ করছেন।

৮. মিনহাজ আনোয়ার
Minha

বাংলাদেশে প্রযুক্তি সেক্টরে তরুণ উদ্যোক্তা হিসেবে মিনহাজ আনোয়ার বেশ পরিচিত মুখ। তিনি বেটার স্টোরিজ লিমিটেডের প্রধান হিসেবে কাজ করছেন। একই সঙ্গে ফাউন্ডার ইন্সটিটিউট নামে একটি সংগঠনের পরিচালক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করছেন। গত বছর আন্তর্জাতিক সংগঠন জেসিআই বাংলাদেশে নিজ নিজ সেক্টরে সফল ১০ ব্যক্তিত্বকে পুরস্কার দেয়। মিনহাজ আনোয়ার সেই দশজনের একজন হিসেবে পুরস্কার পান। বাংলাদেশে প্রথম হার্ডওয়ার প্রতিযোগিতার একজন সংগঠকও তিনি।

৯. রাজিব আহমেদ
rajeeb

ই-কমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ই-ক্যাব) এর সভাপতি রাজিব আহমেদ। তার নেতৃত্বে ই-ক্যাব দেশের ই-কমার্স খাতের উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছে। ২০১৪ সালে যাত্রা শুরু করে ই-ক্যাব। বর্তমানে এর সদস্য সংখ্যা ৩১০। ই-ক্যাব নানাভাবে উদ্যোমী তরুণ-তরুণীদের সহযোগিতা করেছে যার ফলে এদের অনেকের জীবন বদলে গেছে।


১০. রিয়াদ শাহির আহমেদ হুসাইন
Shahir-Ahmed-Husain

বাংলাদেশের প্রথম ডিজিটাল মার্কেটিং বিজ্ঞাপনী সংস্থা ম্যাগনিটো ডিজিটাল (Magnito Digital) এর প্রধান নির্বাহী রিয়াদ শাহির আহমেদ হুসাইন। বাংলাদেশের মানুষকে ডিজিটাল মার্কেটিংয়ে দক্ষ করে তুলছেন তার প্রতিষ্ঠান।

১১. ওয়াসিম আলিম
Waseem-Alim

ওয়াসিম আলি চালডালে’র সহ-প্রতিষ্ঠাতা এবং প্রধান নির্বাহী। চালডাল ডটকম ২০১৩ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। চালডালের আগে ওয়াসিম সিগফিগের প্রোডাক্ট স্ট্র্যাটেজি ডিরেক্টর হিসেবে কাজ করতেন।

১২. কাওসার আহমেদ
Kawshar-Ahmed

বাংলাদেশের প্রথম জুমলা টেমপ্লেট ক্লাব জুমশেপার (Joomshaper) এর প্রতিষ্ঠাতা এবং প্রধান নির্বাহী কাওসার আহমেদ। ওয়েব টেমপ্লেট তৈরিতে জুমশেপার বর্তমানে বিশ্বের অন্যতম শ্রেষ্ঠ প্রতিষ্টান। বাংলাদেশের বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান জুমশেপারের টেমপ্লেট ব্যবহার করছে। বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘর, বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও বাংলাদেশ ওপেন সোর্স নেটওয়ার্ক এর টেমপ্লেট ব্যবহার করছে। ২০১৫ সালে ভারতের ব্যাঙ্গালুরে অনুষ্ঠিত জুমলা ওর্য়াল্ড কনফারেন্সে জুমশেপার কো-স্পন্সর হিসেবে অংশগ্রহণ করে।

১৩. মুহাম্মদ নাজিমুদ্দৌলা
Nazimuddaula

বাংলাদেশের প্রথম দিকের ইন্টারনেট উদ্যক্তাদের মধ্যে নাজিমুদ্দৌলা একজন। জি অ্যান্ড আর ২০০৯ সালে এর যাত্রা শুরু করে। ইন্টারনেট ব্যবসা শুরু করার চেষ্টা এবং ব্যর্থতা শেষে জি অ্যান্ড আর শেষ পর্যন্ত অ্যাড নেটওয়ার্ক হিসেবে কাজ শুরু করে ২০১০ সালে। বর্তমানের এই অবস্থায় আসতে প্রতিষ্ঠানটির প্রায় ছয় বছর সময় অপেক্ষা করতে হয়েছে। গত কয়েক বছরের তুলনায় প্রতিষ্ঠানটি বর্তমানে খুব দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে।

১৪. মাহমুদুল হাসান সোহাগ
Mahmudul-Islam-Shohag

খুব দ্রুত এগিয়ে যাওয়া নতুন প্রজন্মের প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে অন্যরকম গ্রুপ অন্যতম। এর প্রতিষ্ঠাতা এবং চেয়ারম্যান মাহমুদুল হাসান সোহাগ। সোহাগ বাংলাদেশের গত কয়েক বছরের সবচেয়ে সফল এবং বিস্ময়কর উদ্যোক্তা। তিনি স্বপ্নবান উদ্যোক্তা হিসেবে বেশ পরিচিত। এছাড়াও ব্যবসার স্বতন্ত্র সব ধারণার কারণে তিনি বেশ জনপ্রিয়। ইলেক্ট্রনিক ভোটিং মেশিন [ইভিএম] তৈরি করে আলোচনায় এসেছেন বেশ আগেই। জামালপুর জেলার সরিষাবাড়ীর এই তরুণ আক্ষরিক অর্থেই একজন সফল উদ্যোক্তা।


১৫. আরিফ নিজামি
887893

ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির ইঞ্জিনিয়ারিং শিক্ষার্থী আরিফ নিজামি নতুন উদ্যোক্তা হিসেবে কাজ করে যাচ্ছেন। ২০১১ সাল থেকে বাংলাদেশ জাতিসংঘের যুব ও ছাত্র সমিতির নির্বাহী সদস্য হিসেবে কাজ করেছেন। এরপর তিনি হ্যাকাথন, ডেভফেস্টের মতো আয়োজনে অংশ নেন। আরিফ গুগল ডেভেলপমেন্ট গ্রুপ (জিডিজি) ঢাকার সংগঠক হিসেবেও কাজ করছেন। প্রিনার ল্যাবসের প্রতিষ্ঠাতা এবং স্টার্টআপ গ্রিন্ড বাংলাদেশের চ্যাপ্টার ডিরেক্টর হিসেবেও দায়িত্ব পালন করছেন তিনি।

এআরএস/এসআইএস/আরআইপি