গণপরিবহন সংকটেও অসহনীয় যানজট
রাজধানীতে দিন দিন বেড়েই চলছে যানজটের তীব্রতা। অসহনীয় যানজটে অতিষ্ঠ রাজধানীবাসী। এরপরও অফিস বা কর্মক্ষেত্রে যেতে দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করতে হয় সাধারণ মানুষকে। একইভাবে অফিস শেষে ফেরার সময়ও একই চিত্র চোখে পড়ে রাজধানীতে।
রাজধানীতে গণপরিবহন সংকট চরম আকার ধারণ করছে যার ফলে ভোগান্তিতে পড়েছে নগরবাসী। প্রতিনিয়ত প্রতিযোগিতা করে বাসে উঠতে গিয়ে ধাক্কা-ধাক্কিতে মারাত্মক দুর্ঘটনা ঘটনা ঘটছে অহরহ।
অন্যদিকে, গণপরিবহনে ভাড়া নিয়ে চলছে ভয়াবহ নৈরাজ্য। বিভিন্ন রুটে যানবাহন সংকটের কারণে নির্ধারিত ভাড়ার অতিরিক্ত আদায় করছে পরিবহন সংশ্লিষ্ঠরা।
মিরপুর শেওড়াপাড়া থেকে প্রতিদিন মতিঝিলে অফিস করেন আব্দুল্লাহ আল মামুন। তিনি বলেন, প্রতিদিন অফিসে যাওয়ার সময় বাসের জন্য প্রায় এক ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হয়। আমার মতো অসংখ্য যাত্রী প্রতিদিন এভাবে অপেক্ষা করে।
তিনি আরো বলেন, বেশির ভাগ বাস পরিপূর্ণ থাকায় যাত্রী নেয়ার মতো কোনো পরিস্থিতি থাকে না। আর যদি বাসটি হালকা ধীরে চলে তাহলে যাত্রীরা হুমড়ি খেয়ে উঠার চেষ্টা করে। এ চিত্র নিত্যদিনের।
মিরপুর কাজীপাড়া থেকে ইডেন মহিলা কলেজে যাওয়ার জন্য প্রতিদিন বাসে উঠতে যুদ্ধ করতে হয় শিক্ষার্থী তাহমিনা রহমানকে। তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, প্রতিদিন দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা করে হাজারও পুরুষের সঙ্গে ঠেলাঠেলি করে বাসে উঠতে হয়। দাঁড়িয়ে বাঁদুড় ঝোলা হয়ে খুব কষ্ট করে গন্তব্যে পৌঁছালেও বেশিরভাগ সময়ই আমরা বাসে উঠতে পারি না। বিশেষ করে সকালে গাদাগাদি করে বাসে উঠা চরম দুর্ভোগের।
রাজধানীর রামপুরা থেকে গুলিস্তানগামী বাসে উঠতে চেষ্টা করে বারবার ব্যার্থ হচ্ছিলেন হাসিবুর রহমান নামের এক বেসকরকারি চাকরিজীবী। কারণ বাসগুলো ছিল যাত্রী পরিপূর্ণ, যেন তিল ধারণের ঠাঁই নেই।
হাসিবুর রহমান বলেন, প্রতিদিন সকালে পরিবহন সংকট এখানকার নিত্যদিনের ঘটনা। গণপরিবহন সংকট যেন চরম আকার ধারণ করেছে। তবে কোনভাবে বাসে উঠতে পারলেও পড়তে ভয়াবহ যানজটে। তাই বাসে উঠতে না পেরে বেশিরভাগ দিনই রিকশা দিয়ে গুলিস্তান যাই, কিন্তু রিকশা চালকরাও পরিস্থিতি বুঝে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করে।
এএস/এসকেডি/এএইচ/পিআর