ভিডিও EN
  1. Home/
  2. বিশেষ প্রতিবেদন

আসছে বিনিয়োগ, চলছে কাজ, প্রাণবন্ত হয়ে উঠছে নতুন শিল্পনগরী

প্রদীপ দাস | প্রকাশিত: ১২:৪৫ পিএম, ২৪ মে ২০২১

কৃষিজমি কিংবা বসতভিটার জমিতে কলকারখানা স্থাপন যেন না হয়, সেদিকে জোর দিচ্ছে সরকার। তবে সরকার শিল্প-কলকারখানার বিকাশ চায় না, এমনটা ভাববার অবকাশ নেই। বরং পরিবেশবান্ধব ও পরিকল্পিত শিল্পনগরী গড়ে তুলতে দীর্ঘদিন ধরে কাজ করে আসছে সংশ্লিষ্ট সরকারি কর্তৃপক্ষ। এ লক্ষ্যে সরকার দেশে ১০০টি শিল্পনগরী গড়ে তুলতে কাঠ-খড় পুড়িয়ে যাচ্ছে। ইতোমধ্যে এ পদক্ষেপের ফলাফলও দৃশ্যমান হতে শুরু করেছে। শিল্পনগরীগুলোতে দেশি-বিদেশি বিনিয়োগ আসতে শুরু করেছে। কোম্পানিগুলোকে জমি হস্তান্তরও করা হচ্ছে সমানতালে। চলছে বিনিয়োগকারীদের কারখানা স্থাপনের কাজ। ফলে শিল্পনগরীগুলো কর্মচঞ্চল হয়ে উঠছে ক্রমাগত। সংশ্লিষ্টদের আশা, শিল্পনগরীগুলোর ওপর ভিত্তি করেই এগিয়ে যাবে আগামীর অর্থনীতি।

এক বছরে তিন শিল্পনগরে ১১৫ প্রতিষ্ঠানের ৩৯৮২ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ প্রস্তাব

বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষের (বেজা) তথ্যমতে, ২০২০ সালের জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত সময়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব শিল্পনগর, সাবরাং ট্যুরিজম পার্ক এবং জামালপুর শিল্পনগরে দেশি-বিদেশি মোট ১১৫টি প্রতিষ্ঠানকে ১ হাজার ৩০৭ দশমিক ৫৯ একর জমি বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। এই তিন শিল্পনগরে দেশি-বিদেশি বিনিয়োগ আসছে মোট ৩ হাজার ৯৮২ বিলিয়ন মার্কিন ডলারেরও বেশি। তার মধ্যে দেশীয় বিনিয়োগ ৩ হাজার ৪৮০ মিলিয়ন ডলারের বেশি এবং ৫০২ মিলিয়ন ডলারের বেশি-বিদেশি বিনিয়োগ। আর এর মাধ্যমে কর্মসংস্থান তৈরি হবে ৩ লাখ ৪৫ হাজার ৭৫১ জন মানুষের।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব শিল্পনগরে ৯৪ জন বিনিয়োগকারীকে ১ হাজার ১২০ দশমিক ৪৩ একর জমি বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। সেখানে সম্ভাব্য বিনিয়োগের পরিমাণ ৩ হাজার ৭১০ মিলিয়ন ডলারের বেশি। এর মধ্যে স্থানীয় বিনিয়োগ ৩ হাজার ৩০৭ মিলিয়ন ডলারের বেশি এবং বিদেশি বিনিয়োগ ৪০৩ মিলিয়ন ডলারের বেশি। এতে কর্মসংস্থান তৈরি হতে পারে ৩ লাখ ৩৪ হাজার ৬৯২ জনের।

সাবরাং ট্যুরিজম পার্কে ১২ বিনিয়োগকারীকে বরাদ্দ দেয়া হয়েছে ১১৬ দশমিক ১৬ একর জমি। এতে এখানে দেশীয় বিনিয়োগ হতে পারে ১৪৬ মিলিয়ন ডলারের বেশি এবং বিদেশি বিনিয়োগ হতে পারে ৯৮ মিলিয়ন ডলারের বেশি। আর কর্মসংস্থান তৈরি হবে ৯ হাজার ১৮৫ জনের।

জামালপুর শিল্পনগরে ৯ বিনিয়োগকারীকে ৭১ একর জমি বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। এখানে ২৬ মিলিয়ন ডলারের বেশি দেশীয় বিনিয়োগ হবে। এতে ১ হাজার ৮৭৪ জনের কর্মসংস্থান তৈরি হবে।

এই তিন শিল্পনগরে যাদের বিনিয়োগ

বেজার তথ্যমতে, ২০২০ সালের জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর মেয়াদে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব শিল্পনগর এবং সাবরাং ট্যুরিজম পার্কে বাংলাদেশ ছাড়াও পাঁচটি দেশের সাতটি প্রতিষ্ঠান বিনিয়োগের আবেদন করেছে। তাদের মধ্যে বঙ্গবন্ধু শিল্প নগরীতে রয়েছে- যুক্তরাজ্যের বার্জার পেইন্টস বাংলাদেশ লিমিটেড, চীনের জিয়াংজু ইয়াবাং ডায়েস্ট কোম্পানি লিমিটেড, জিহং মেডিকেল প্রোডাক্টস (বিডি) কোম্পানি লিমিটেড, সিসিইসিসি বাংলাদেশ লিমিটেড এবং অস্ট্রেলিয়ার হা টেক লিমিটেড। আর সাবরাং ট্যুরিজম পার্কে নেদারল্যান্ডের লিজার্ড স্পোর্টস বি.ভি. এবং সিঙ্গাপুরের ইন্টার-এশিয়া গ্রুপ প্রাইভেট লিমিটেড বিনিয়োগের আবেদন করেছে।

আর বাংলাদেশি প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে বঙ্গবন্ধু শিল্পনগরে বিনিয়োগের আগ্রহ প্রকাশ করেছে টেকনো ইলেক্ট্রনিক্স, ভিকার ইলেক্ট্রিক্যালস লিমিটেড, ইস্ট এশিয়া কক্স, এক্সপোর্ট কম্পিটিটিভনেস ফর জবস, আসটেক লিমিটেড, সামুদা ফুড প্রোডাক্টস লিমিটেড, পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি অব বাংলাদেশ, মেট্রো স্পিনিং লিমিটেড, মাকসনস টেক্সটাইল লিমিটেড, রামকি এনভিরো সার্ভিসেস প্রাইভেট লিমিটেড, উত্তরা মটরস লিমিটেড, বিআইটিএসি, ইউনিটেক্স স্পিনিং লিমিটেড, সায়মন বিচ রিসোর্ট লিমিটেড, ম্যাস সুজ লিমিটেড, বিজিএপিএমইএ, সুপার রিফাইনারি প্রাইভেট লিমিটেড, এন. মোহাম্মদ প্লাস্টিক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড, ইফাদ অটোস লিমিটেড ও বিজিএমইএ।

এছাড়া, বঙ্গবন্ধু শিল্প নগরে বাংলাদেশ এগ্রিকালচার প্রোডাক্টস লিমিটেড, কনফিডেন্স পাওয়ার হোল্ডিংস লিমিটেড, পিইবি স্টিল এলায়েন্স লিমিটেড, মডার্ন সিনটেক্স, ডেল্টা ফার্মা লিমিটেড, মেরিকো বাংলাদেশ লিমিটেড, নিট প্লাস লিমিটেড, হেবিটাস ফ্যাশন লিমিটেড, এশিয়া কম্পোজিট মিলস লিমিটেড ও কে এ ডিজাইন লিমিটেডের বিনিয়োগ প্রস্তাব মূল্যায়ন পর্যায়ে আছে।

সাবরাং ট্যুরিজম পার্কে বিনিয়োগের প্রস্তাব করেছে হোয়াইট অর্কিড গেস্ট হাউজ, মুনলাইট ওভারসিস, গ্রেট আউটডোরস অ্যান্ড অ্যাডভেঞ্চার্স লিমিটেড, বিসিএস (এডমিন) মাল্টিপারপাস ওয়েলফেয়ার কো-অপারেশন সোসাইটি, নিট প্লাস লিমিটেড, বায়োটেক প্রিন্টিং প্লাস লিমিটেড, ইফাদ অটোস লিমিটেড, ইফাদ মটর লিমিটেড, দ্য কক্স টুডে লিমিটেড এবং সুইট ড্রিম ম্যানেজমেন্ট লিমিটেড।

জামালপুর অর্থনৈতিক অঞ্চলে বিনিয়োগের জন্য আবেদন করেছে নোবেল নেভিগেশন অ্যান্ড শিপিং লাইন, রিলায়েন্স সলিউশন লিমিটেড (বায়োলিপ ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড), রিলায়েন্স সলিউশন লিমিটেড (বায়ো এগ্রো ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড), ম্যাক্স ইনফোটেক লিমিটেড, বিএসসিআইসি, বায়ো-জিন, পিপিএস প্লাস্টিক পাইপ ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড, তাবাসসুম ইউনিভার্সাল লিমিটেড।

jagonews24

শিল্প নগরীগুলোর সাম্প্রতিক কার্যক্রম

গত ১৫ জানুয়ারি যুক্তরাজ্যভিত্তিক বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ রং নির্মাতা প্রতিষ্ঠান বার্জার বাংলাদেশ লিমিটেডের কাছে ৩০ একর জমি হস্তান্তর করেছে বেজা। চট্টগ্রামের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব শিল্পনগরে একটি অনুষ্ঠানের মাধ্যমে এ হস্তান্তর প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব শিল্পনগরে (মিরসরাই, ফেনী এবং সীতাকুণ্ড অর্থনৈতিক অঞ্চল) বার্জার বাংলাদেশ তাদের তৃতীয় ফ্যাক্টরি স্থাপন করতে যাচ্ছে। এখানে প্রায় ২০০ থেকে ২৫০ কোটি টাকা বিনিয়োগের মাধ্যমে তারা বৃহৎ কারখানা স্থাপন করবে, যা আগামী ৫ বছরের মধ্যে সমাপ্ত হবে বলে বার্জার আশা প্রকাশ করেছে।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব শিল্পনগরে গাড়ি এসেম্বলিং এবং প্রস্তুত করার লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে চলতি বছরের ২৪ মার্চ ৫০ একর উন্নত জমির ইজারা চুক্তিতে সই করেছে উত্তরা মোটর্স লিমিটেড। ৩৩ দশমিক ৬৩ মিলিয়ন মার্কিন ডলার বিনিয়োগের মাধ্যমে সেখানে সুজুকি ব্র্যান্ডের গাড়ি অ্যাসেম্বলিং এবং প্রস্তুতের পরিকল্পনা করেছে উত্তরা মোটর্স।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষ চট্টগ্রাম জেলার মিরসরাই ও ফেনী জেলার সোনাগাজী উপজেলায় প্রায় ৩০ হাজার একর জমিতে একটি পূর্ণাঙ্গ শিল্পনগর গড়ে তোলার লক্ষ্যে কাজ করছে। যার নামকরণ করা হয়েছে ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব শিল্প নগর’। শিল্প নগরটি ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক থেকে মাত্র ১০ কিলোমিটার এবং বাণিজ্যিক রাজধানী চট্টগ্রাম থেকে মাত্র ৬৫ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। এ শিল্পনগরে বিশ্বমানের সকল সুবিধা যেমন- বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র, সমুদ্র বন্দর, কেন্দ্রীয় বর্জ্য ব্যবস্থাপনা/পানি শোধনাগার, আবাসিক এলাকা, বাণিজ্যিক এলাকা, বিশ্ববিদ্যালয় ও হাসপাতাল ইত্যাদি থাকবে। এ লক্ষ্যে বেজা সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগের সহযোগিতায় সংযোগ সড়ক, ভূমি উন্নয়ন এবং প্রতিরক্ষা বাঁধ, ব্রিজ নির্মাণ, গ্যাস সংযোগ লাইন ইত্যাদি স্থাপনের কাজ করছে।

এদিকে, গত ২৯ এপ্রিল শ্রীহট্ট অর্থনৈতিক অঞ্চলে শিল্পনগর স্থাপনের কাজ শুরু করেছে পলমল গ্রুপের আয়েশা ক্লথিং লিমিটেড ও আসোয়াদ কম্পোসিট লিমিটেড, গ্রেট ওয়াল সিরামিকস লিমিটেড এবং ডাবল গ্লেজিং লিমিটেড।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, শ্রীহট্ট অর্থনৈতিক অঞ্চল মৌলভীবাজার সদর উপজেলার শেরপুরে ৩৫২ একর জমিতে অবস্থিত, যার পূর্বে সিলেট, পশ্চিমে হবিগঞ্জ, উত্তরে সুনামগঞ্জ ও দক্ষিণে মৌলভীবাজার জেলা। শিল্পের বিকেন্দ্রীকরণ ও প্রায় ৪৪ হাজার লোকের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ কর্মসংস্থানে অর্থনৈতিক অঞ্চলটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। ৬টি শিল্প প্রতিষ্ঠানকে ২৩১ একর জমি বরাদ্দ দেয়া হয়েছে, যেখানে ১৯টি শিল্প কারখানা নির্মাণ করা হবে। এই ৬টি প্রতিষ্ঠান প্রায় ১ দশমিক ৪ বিলিয়ন ইউএস ডলার বিনিয়োগের পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে।

এ অঞ্চলে ইতোমধ্যে গ্যাস, বিদ্যুৎ ও পানি সংযোগ দেয়ার কাজ শেষ হয়েছে। এছাড়া অভ্যন্তরীণ সড়ক নির্মাণের কাজ চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে বলেও জানা গেছে।

শিল্পনগরে বিনিয়োগ করলে মিলবে যেসব সুযোগ-সুবিধা

অর্থনৈতিক অঞ্চলে বিনিয়োগ করলে বিনিয়োগকারীরা ২০টি সুবিধা পেয়ে থাকেন। সেগুলো হলো- পণ্য উৎপাদনে ১০ বছর বিভিন্ন হারে কর অবকাশ সুবিধা (ভোজ্য তেল, চিনি, আটা, সিমেন্ট, ইস্পাত ও ইস্পাত জাতীয় পণ্য ছাড়া), আয়ের ওপর ১০ বছরের জন্য কর অবকাশ, শেয়ার হস্তান্তরে মূলধনী মুনাফা, রয়্যালটি, কারিগরি সহায়তা ইত্যাদি থেকে পাওয়া অর্থের ওপর কর অবকাশ, বিনিয়োগের ক্ষেত্রে উপকরণ ও যন্ত্রপাতি কেনায় কর ছাড় (রড, সিমেন্ট, প্রি ফেব্রিকেটেড বিল্ডিং, ইস্পাত পণ্য), ওয়্যারহাউজিং সুবিধা, বন্ড সুবিধা, উৎসে কর অব্যাহতি (ট্যাক্স ডিডাকশন অ্যাট সোর্স), বিশেষ শুল্কায়ন সুবিধা, ডমেস্টিক ট্যারিফ এরিয়াতে (ডিটিএ) ২০ শতাংশ ফিনিশড পণ্য বিক্রির সুবিধা, ডমেস্টিক ট্যারিফ এরিয়াতে সাব-কন্ট্রাকটিং, পরিবহন আমদানিতে শুল্ক, ভ্যাট, সহায়ক বিভিন্ন ছাড় (২০০০ সিসি), পণ্য রফতানিতে শুল্ক অব্যাহতি, ভূমি উন্নয়নে শুল্ক অব্যাহতি, জমি লিজের জন্য নিবন্ধনে স্ট্যাম্প ডিউটিতে ছাড়, গ্যাস, বিদ্যুৎ ও অন্যান্য সংযোগ দেয়ার ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার, এক্সটার্নাল সোর্স থেকে ঋণ সুবিধা, বৈদেশিক মুদ্রায় ব্যাংকে অ্যাকাউন্ট খোলার সুবিধা (প্রতিষ্ঠান ও কর্মরত বিদেশিদের জন্য), প্রতিষ্ঠানে কর্মরত বিদেশিরা রেমিটেন্স আকারে বর্তমান আয়ের ৭৫ ভাগ নিজ দেশে পাঠাতে পারবেন, সিনথেটিক ও ফ্রেবিকসের তৈরি স্যান্ডেল ও পাদুকা ৩০ শতাংশ মূল্য সংযোজন সাপেক্ষে ৪ শতাংশ নগদ সহায়তা পাবে, তৈরি পোশাকের ক্ষেত্রে বিশেষ সুবিধা এবং একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ বিনিয়োগ সাপেক্ষে দেশের নাগরিকত্ব ও রেসিডেন্ট ভিসা প্রদান।

অর্থনৈতিক অঞ্চলের বাইরে যারা নিজস্ব উদ্যোগে বিভিন্ন জায়গায় কারখানা করছে তারা এসব সুবিধা থেকে বঞ্চিত হবেন।

যা বলছেন সংশ্লিষ্টরা

এ বিষয়ে বেজার কনসালটেন্ট (সোশ্যাল অ্যান্ড রিসেটম্যান্ট) মো. আব্দুল কাদের খান জাগো নিউজকে বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু, সাবরাং, মহেশখালী, জামালপুর, শ্রীহট্টসহ আরও কয়েকটি শিল্প নগরে বিনিয়োগ এসেছে।’

বেজার নির্বাহী চেয়ারম্যান পবন চৌধুরীকে ফোন করা হলে তিনি জাগো নিউজের সঙ্গে কথা বলতে রাজি হননি।

তবে সম্প্রতি এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে তিনি বলেছেন, ‘বাংলাদেশে অর্থনৈতিক অঞ্চলের হাত ধরে বাংলাদেশে বিনিয়োগবান্ধব সুস্থ পরিবেশ গড়ে তুলতে সমর্থ হয়েছে এবং বহির্বিশ্বের কাছে উন্নয়নের একটি রোল মডেল স্থাপন করেছে।’

পিডি/এসএস/এসএইচএস/জেআইএম