ভিডিও EN
  1. Home/
  2. বিশেষ প্রতিবেদন

আরজে প্রত্যয়ের মৃত্যু বিষক্রিয়ায় হয়নি

প্রকাশিত: ১২:৪৮ পিএম, ২৪ নভেম্বর ২০১৫

রেডিও জকি (আরজে) সামিউল কবীর প্রত্যয়ের মৃত্যু বিষক্রিয়ায় হয়নি। মৃত্যুর সঠিক কারণ অনুসন্ধানে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) ফরেনসিক মেডিসিন বিভাগের পাঠানো নমুনা পরীক্ষা শেষে ভিসেরা প্রতিবেদনে এমনই মন্তব্য করেছেন সিআইডির কেমিক্যাল ল্যাবরেটরি বিশেষজ্ঞরা।  

গত ৪ অক্টোবর ফরেনসিক মেডিসিন বিভাগ থেকে ভিসেরার নমুনা হিসেবে পাকস্থলি, যকৃত ও কিডনির অংশবিশেষ পাঠানো হয়। ভিসেরা পরীক্ষার জন্য মহাখালি সিআইডি কেমিক্যাল ল্যাবরেটরির উপ-প্রধান রাসায়নিক পরীক্ষক কায়সার রহমান ও সহকারী রাসায়নিক পরীক্ষক পিংকু পোদ্দারকে দিয়ে দুই সদস্য বিশিষ্ট মেডিকেল বোর্ড গঠন করা হয়।

প্রয়োজনীয় পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে গত ৯ নভেম্বর ভিসেরা প্রতিবেদন (৩৫২৪) তৈরি করে ফরেনসিক বিভাগে প্রেরণ করা হয়। সিআইডি কেমিক্যাল ল্যাবরেটরির প্রধান রাসায়নিক পরীক্ষক দিলীপ কুমার সাহা মঙ্গলবার বিকেলে জাগো নিউজকে বলেন, ফরেনসিক মেডিসিন বিভাগের চিকিৎসকরা সামিউল কবির প্রত্যয়ের মৃত্যু বিষক্রিয়ায় হয়েছে কিনা তা জানতে চেয়ে চিঠি ভিসেরার নমুনা পাঠিয়েছিল। পরীক্ষায় নমুনায় কোনো প্রকার বিষের আলামত পাওয়া যায়নি।

গত ২ অক্টোবর শুক্রবার রাজধানীর রূপনগরের নিজ বাসা থেকে টহল পুলিশ প্রত্যয়ের মরদেহ উদ্ধার করে। তার মামা সাঈদ কবীর সেদিন গণমাধ্যমকে জানান, রূপনগরের শিয়ালবাড়ি এলাকার ২/১ নম্বর সড়কের তিন নম্বর বাসার ৩য় তলায় থাকতেন প্রত্যয়। বুধবার রাতের খাবার খেয়ে নিজের ঘরে ঘুমাতে যান তিনি। বৃহস্পতিবার সকালে তার মা স্কুল শিক্ষিকা হামিদা বেগম গুলশানে কর্মস্থলে যান। দুপুরে তার ছোটভাই শাফিউল কবীর অরিত্র যান শ্বশুরবাড়িতে। এরপর থেকে প্রত্যয় একাই বাসায় ছিলেন।

শুক্রবার সকালে গৃহকর্মী মরিয়ম ওই বাসায় যান। বাসার ভেতরে ঢুকে তিনি প্রত্যয়কে ‘ঘুমন্ত’ দেখতে পান। পরে ডাকাডাকি করে তিনি বুঝতে পারেন প্রত্যয় বেঁচে নেই। চিকিৎসকদের বক্তব্যের ভিত্তিতে স্বজনদের ধারণা, ব্রেইন স্ট্রোকে তার মৃত্যু হয়েছে।

পারিবারিক সূত্র জানায়, প্রত্যয়ের বাবা আবদুল হাদী প্রায় ১০ বছর আগে একইভাবে স্ট্রোক করে মারা যান। পরে তার মা আবারও বিয়ে করেন। তিনি মাঝে মাঝে রূপনগরের বাসায় এবং বাকি সময় নিকেতনে স্বামীর সঙ্গে থাকেন।

সংশ্লিষ্টরা জানান, প্রত্যয় এবিসি রেডিওতে ‘অন দ্য রান’ ও ‘কুয়াশা’ নামে দুটি অনুষ্ঠান উপস্থাপনা করতেন। এর আগে তিনি রেডিও টুডেতে কাজ করেছেন। মাসখানেক আগে তিনি এবিসি রেডিওর চাকরি ছেড়ে দেন।

যেদিন মৃতদেহ উদ্ধার হয় সেদিন রূপনগর থানার ওসি রেজাউল হাসান গণমাধ্যমকে জানান, প্রাথমিকভাবে এটি স্বাভাবিক মৃত্যু বলেই মনে হয়েছে। তার শরীরে কোনো আঘাতের চিহ্ন ছিল না। শুধু নাক-মুখে রক্তের দাগ ছিল। মৃতদেহ ফুলে গেছে ও ডান হাতে নীল ফোস্কা পড়েছে।

ফরেনসিক মেডিসিন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডা. সোহেল মাহমুদ প্রত্যয়ের লাশের ময়নাতদন্ত করেন। ময়নাতদন্ত শেষে ভিসেরার নমুনা সিআইডি কেমিক্যাল ল্যাবে পাঠানো হয়।

এমইউ/এসএইচএস/পিআর

আরও পড়ুন