ভিডিও EN
  1. Home/
  2. বিশেষ প্রতিবেদন

ময়মনসিংহের ৭ প্রকল্পের অগ্রগতিতে আইএমইডি’র অসন্তোষ

প্রদীপ দাস | প্রকাশিত: ১২:৪৮ পিএম, ২১ মার্চ ২০২১

আগের তুলনায় কারিগরি শিক্ষায় বেশি জোর দিচ্ছে সরকার। এক্ষেত্রে যেন নারীরা যেন পিছিয়ে না পড়ে সেদিকে বিশেষ নজর দিচ্ছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। তারই অংশ হিসেবে সিলেট, বরিশাল, রংপুর ও ময়মনসিংহ বিভাগে ‘নারী পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট’ স্থাপনে ২০১৮ সালের জানুয়ারি থেকে একটি প্রকল্পের কাজ চলছে। প্রকল্পটির প্রাক্কলিত মেয়াদ ২০২০ সালের জুনে শেষ হয়েছে। কিন্তু এই মেয়াদ শেষ হওয়ার মাত্র তিন মাস আগে ময়মনসিংহ নারী পলিটেকনিক নির্মাণে কার্যাদেশ দেয়া হয়েছে।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, চলতি বছরের জানুয়ারিতে ময়মনসিংহ বিভাগে চলমান সাতটি প্রকল্প পরিদর্শন করেন পরিকল্পনা কমিশনের বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগের (আইএমইডি) সচিব প্রদীপ রঞ্জন চক্রবর্তী। পরিদর্শন থেকে ফিরে তিনি একটি প্রতিবেদন দিয়েছেন।

সেই প্রতিবেদনে ময়মনসিংহ নারী পলিটেকনিক প্রকল্পের বিষয়ে আইএমইডি সচিব বলেছেন, ‘প্রকল্পটির বাস্তবায়নকাল ২০১৮ সালের জানুয়ারি থেকে ২০২০ সালের জুনে শেষ হলেও কার্যাদেশ দেয়া হয়েছে ২০২০ সালের ১৩ মার্চ। বাস্তবায়নে এই ধীরগতির কোনো সন্তোষজনক ব্যাখ্যা পাওয়া যায়নি। প্রকল্পটির ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের আরও নিবিড় তদারকি প্রয়োজন।’

প্রকল্প কর্তৃপক্ষকে ঠিকাদারের সঙ্গে সুনির্দিষ্ট সময়াবদ্ধ কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন করে দ্রুত কাজ শেষ করার নির্দেশ দেন সচিব।

jagonews24

প্রতিবেদনে আইএমইডি সচিব আরও উল্লেখ করেন, ‘প্রকল্প এলাকায় একটি পরিত্যক্ত ভবন আছে। ভবনটি অপসারণ করা হচ্ছে দেখা গেল। তবে কাজের গতি কম। বিভাগীয় শহরের প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত এই প্রকল্পের বাস্তবায়ন কাজের বর্তমান অবস্থা গ্রহণযোগ্য নয়। সময়াবদ্ধ কর্মপরিকল্পনার মাধ্যমে কাজের গতি দ্রুততর করতে হবে। এ বিষয়ে আইএমইডির পক্ষ থেকে বিভাগীয় উন্নয়ন সমন্বয় কমিটিকে অবহিত করা হবে।’

বিষয়টি নিয়ে কথা হয় ময়মনসিংহ শিক্ষা প্রকৌশল অধিদফতরের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. ইউসুফ আলীর সঙ্গে। জাগো নিউজকে তিনি বলেন, ‘প্রকল্প শুরু হয়েছে অনেক আগে। কিন্তু প্রথমে জমি পাইনি। জমি পেয়েছি গত বছরের জানুয়ারির দিকে। টেন্ডার করে কাজ দেয়া হয়েছে গত বছরের শুরুতে। মার্চ থেকে করোনা শুরু হয়। যার পরিপ্রেক্ষিতে ময়মনসিংহে সবকিছু বন্ধ হয়ে যায়। দুই মাস পুরোপুরি কাজ বন্ধ ছিল। ওটা নিচু জমি ছিল। মাটি ভরাট ছাড়া কাজ শুরু করা যাচ্ছিল না। এরপর আবার বন্যা শুরু হয়। বন্যার কারণে মাটি পাওয়া যাচ্ছিল না। তারপর সেখানে আড়াই ফুটের মতো মাটি ভরাট করা হয়েছে। সেই পরিপ্রেক্ষিতে কাজ শুরু করা যায়নি। তারপর আমরা কাজ শুরু করলাম যতটুকু মনে পড়ে, আগস্টের দিকে। আগস্টে পাইলের কাজ শুরু করি। পাইলের কাজ করতে সময় লাগে। পাইল কাস্টিংয়ের পরে টেস্ট করতে হয়। রিপোর্ট পেতে হয়, ড্রয়িং পেতে হয়। সবকিছু মিলে আমরা যথাসময়েই যে পরিমাণ কাজ হওয়ার সে পরিমাণ করেছি। অর্থাৎ আমাদের পাইলের কাজ শেষ হয়ে গেছে।’

jagonews24

নির্বাহী প্রকৌশলী আরও বলেন, ‘এখানে আরেকটা পরিত্যক্ত ভবন ছিল। সেটা সরানোর দায়িত্ব আমাদের ছিল না। এ দায়িত্ব ছিল পুরোপুরি প্রকল্প পরিচালকের। সেটা মাত্র তিন-চার দিন আগে মোটামুটি ক্লিয়ার (সরানো) হয়েছে। অর্থাৎ একটা অংশে এখনও পাইল করতে পারিনি।’

উল্লিখিত বিষয়গুলোর কারণে দেরি হয়েছে উল্লেখ করে ইউসুফ আলী বলেন, ‘দেরিগুলো শতভাগ যৌক্তিক। স্যার (আইএমইডি সচিব) কেন বুঝলেন না, জানি না। আমি মৌখিকভাবে বোঝানোর চেষ্টা করেছি। তারপর যেহেতু মন্ত্রণালয় থেকে আসার কথা ছিল, এসেছেন। প্রকল্প পরিচালক নিজেই এসেছিলেন। তিনি অখুশি হননি। তিনি কোনো বিরূপ মন্তব্য করেননি।’

‘ময়মনসিংহ পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট এবং মেডিকেল কলেজের কোণে বেশকিছু জায়গা আছে, সেখানে মহিলা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট হচ্ছে। সামনে এখন বড় ধরনের কোনো সমস্যা নাই। পুরোদমে কাজ চলছে,’ যোগ করেন ইউসুফ আলী।

ময়মনসিংহ নারী পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট স্থাপন কাজের বাস্তব অগ্রগতি বর্তমানে ২২ থেকে ২৪ শতাংশ এবং আর্থিক অগ্রগতি ১৫ শতাংশের মতো উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘ছয়টা ভবনের মধ্যে ৫টার কাজ শুরু হয়েছে। আরেকটার টেন্ডার সম্পন্ন হলো আজ (১৬ মার্চ)। তিনটা ভবন করা হবে ৬ তলার, একটা ৪ তলা, একটা ৫ তলা, আরেকটা ৩ তলা।’

jagonews24

‘সিলেট, বরিশাল, রংপুর ও ময়মনসিংহ বিভাগে ৪টি মহিলা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট স্থাপন’ শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় ময়মনসিংহ ও রংপুরের কাজ কেবল শুরু হচ্ছে বলে জানান নির্বাহী প্রকৌশলী ইউসুফ আলী। তিনি বলেন, ‘এই প্রকল্পের মেয়াদ আরও তিন বছর বাড়বে। ইতোমধ্যে মেয়াদ বাড়ানোর প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।’

আইএমইডি প্রতিবেদন সূত্র জানায়, ময়মনসিংহ নারী পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট স্থাপন প্রকল্পে ৬ তলা প্রশাসনিক ভবন নির্মাণ কাজের অগ্রগতি ২২ শতাংশ। ৬ তলা একাডেমিক ভবন নির্মাণ কাজের অগ্রগতি ২০ শতাংশ। ৪ তলা ছাত্রী হোস্টেল ভবন নির্মাণ কাজের অগ্রগতি মাত্র ৫ শতাংশ। ৬ তলা ওয়ার্কশপ ভবন নির্মাণ কাজের অগ্রগতি ২০ শতাংশ। তবে ৫ তলা ডরমিটরি ভবন এবং ৩ তলা স্টাফ কোয়ার্টার ভবন নির্মাণ কাজের অগ্রগতি একেবারে শূন্যের ঘরে।

ময়মনসিংহে গত জানুয়ারির এই সফরে আইএমইডি সচিব প্রদীপ রঞ্জন চক্রবর্তী আরও ছয়টি প্রকল্প এলাকা পরিদর্শন করেন।

সচিবের প্রতিবেদন এবং জাগো নিউজের অনুসন্ধানে প্রকল্পগুলোর অগ্রগতি সম্পর্কে যা জানা গেছে তা হলো-

এনআইডি নম্বর না দিলে গণমাধ্যমকে বক্তব্য দেন না প্রকল্প পরিচালক

জেলা মহাসড়ক যথাযথ মান ও প্রশস্ততায় উন্নীতকরণ (ময়মনসিংহ জোন) প্রকল্পের বিষয়ে আইএমইডির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০১৮ সালের জুলাইয়ে শুরু হওয়া প্রকল্পটি ২০২১ সালের জুনে শেষ হওয়ার কথা রয়েছে। প্রকল্পটি বাস্তবায়নে খরচ করা হচ্ছে ৫৬৮ কোটি ৪২ লাখ টাকা। অথচ এ পর্যন্ত প্রকল্পের আর্থিক অগ্রগতি মাত্র ৩৫ দশমিক ৫৪ শতাংশ এবং ভৌত অগ্রগতি মাত্র ৫০ শতাংশ।

নির্ধারিত সময়ে কাজ শেষ করতে ঠিকাদারের কাজে গতি আনা এবং গুণগত মান নিশ্চিতের লক্ষ্যে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা দেন আইএমইডি সচিব।

বিষয়টি নিয়ে কথা বলতে জাগো নিউজের পক্ষ থেকে প্রকল্পের পরিচালকের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, প্রতিবেদক তার জাতীয় পরিচয়পত্রের নম্বর না দিলে প্রকল্প নিয়ে তিনি কোনো বক্তব্য দেবেন না।

jagonews24

মেয়াদ শেষ ছয় মাস আগে, এখনও শেষ হয়নি কাজ

‘পাঁচটি র্যাব কমপ্লেক্স এবং একটি র্যাব ফোর্সেস ট্রেনিং স্কুল কমপ্লেক্স’ নির্মাণ প্রকল্পের আওতায় ময়মনসিংহের র্যাব-১৪ কমপ্লেক্স নির্মাণের মেয়াদ শেষ হয়ে ছয় মাসের বেশি সময় পেরিয়ে গেছে। কিন্তু এখনও কাজ শেষ হয়নি। আইএমইডির প্রতিবেদনে এ তথ্য উল্লেখ করা হয়েছে।

সেখানে বলা হয়েছে, ‘সরকারি অর্থায়নে কার্যাদেশ অনুযায়ী এই অংশের কাজ শেষ হওয়ার কথা ছিল ২০২০ সালের ৩১ জুলাই। কিন্তু এখনও কাজটি শেষ হয়নি। নির্ধারিত সময় পার হয়েও ছয় মাস অতিবাহিত হয়েছে। কিন্তু এখনও কাজ শেষ হয়নি। প্রকল্প কর্তৃপক্ষ এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।’

এ বিষয়ে ময়মনসিংহ গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. সাইফুজ্জামান (চুন্নু) জাগো নিউজকে বলেন, ‘এ প্রকল্পের সংশোধিত উন্নয়ন প্রকল্প প্রস্তাব (ডিপিপি) হয়েছে। এ প্রকল্পের মেয়াদ দুই বছর বাড়ছে। কিন্তু আমার বা র্যাব-১৪ কমপ্লেক্স কাজ শেষ করতে আরও ছয় মাস লাগবে। কারণ এখানে আরও কয়েকটা প্রকল্প আছে। সবগুলো প্রকল্প মিলে এখন থেকে আরও দুই বছর সময় লাগবে। এই প্রকল্প ২০২৩ সালের জুনে শেষ হবে। আমার প্রকল্প এ বছরই শেষ হবে। প্রকল্পের মেয়াদ বৃদ্ধি অনুমোদনের চূড়ান্ত পর্যায়ে আছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘ভূমি অধিগ্রহণ ও র্যাবের কার্যালয় স্থানান্তর করতে সময়ক্ষেপণের জন্য বাড়তি সময় লাগছে। ভূমি অধিগ্রহণ শেষ হয়ে প্রকল্পের কাজ শুরু হয়েছে। ওখানে র্যাবের অস্থায়ী কার্যালয় ছিল। র্যাবের কার্যক্রম বন্ধ করে কাজ করার সুযোগ ছিল না। সেজন্য আমরা একপাশ দিয়ে কাজ শুরু করেছিলাম। র্যাবের অফিসও চলছে, আবার কনস্ট্রাকশনও চলছে। এখন র্যাব কার্যালয় স্থানান্তরও করা হয়েছে। আগামী ছয় মাসে পুরো কাজ শেষ হবে।’

পুলিশ হাসপাতাল করার ক্ষেত্রে দূরদৃষ্টিসম্পন্ন মনোভাব রাখার প্রস্তাব

বিদ্যমান পুলিশ হাসপাতাল আধুনিকীকরণ প্রকল্পের আওতায় ময়মনসিংহ জেলা পুলিশ হাসপাতাল নির্মাণ প্রকল্পের বিষয়ে আইএমইডির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রকল্পটি ২০১৬ সালের জুলাই থেকে ২০২০ সালের জুন মেয়াদে বাস্তবায়িত হয়েছে। প্রকল্পের আওতায় তিন তলা ভবন নির্মাণ করা হয়েছে। এই কাজের প্রাক্কলিত মূল্য ৯ কোটি ৪৬ লাখ ৯৩ হাজার ৭১১ টাকা এবং চুক্তিমূল্য ৮ কোটি ৫২ লাখ ২৪ হাজার ৩৪০ টাকা এবং ভেরিয়েশনসহ মূল্য ৯ কোটি ২৭ লাখ ৮৭ হাজার ৯৩৭ টাকা।

jagonews24

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, ‘নির্মিত ভবনটি ফ্লোর বাই ফ্লোর ঘুরে দেখা হলো। কাজের মান ভালো হয়েছে বলে প্রতীয়মান হয়, ফিটিংসগুলোও ভালো। তবে ভবনটি চার তলা ফাউন্ডেশন বিশিষ্ট বিধায় এটির এক তলার বেশি ঊর্ধ্বমুখী সম্প্রসারণ সম্ভব হবে না। হাসপাতালটিতে ৫০টি বেডের সংস্থান রয়েছে। বিভাগীয় শহরের হাসপাতাল হিসেবে এর সংখ্যা অপ্রতুল। এ জাতীয় প্রকল্প গ্রহণের সময় ভবিষ্যৎ কর্মপরিকল্পনার ক্ষেত্রে আরও দূরদৃষ্টি সম্পন্ন মনোভাব রাখার জন্য প্রকল্প কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ জানানো হলো। হাসপাতালটি দ্রুত হস্তান্তরের ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে অনুরোধও জানান আইএমইডি সচিব।’

পানির উৎস স্থাপন প্রকল্পগুলোতেও গতি নেই

আইএমইডির প্রতিবেদনে বলা হয়, সারাদেশে নিরাপদ পানি সরবরাহ প্রকল্পের আওতায় ময়মনসিংহ বিভাগের বিভিন্ন উপজেলায় পানির উৎস স্থাপন প্রকল্পে ২০২০-২১ অর্থবছরে মোট বরাদ্দের সংখ্যা ৩৭৭০টি। কাজের অগ্রগতির হার ৫৭ শতাংশ। ৩২টি পৌরসভায় পানি সরবরাহ ও মানব বর্জ্য ব্যবস্থাপনাসহ এনভায়রনমেন্টাল স্যানিটেশন প্রকল্পের আওতায় চারটি পরীক্ষামূলক নলকূপ, দু’টি উৎপাদক নলকূপ ও দু’টি পাম্প হাউজের কাজ সম্পন্ন হয়েছে। জিপিএস প্রকল্পের আওতায় বিভিন্ন উপজেলায় ৫০টি ওয়াশ ব্লকের কাজ চলমান, যার অগ্রগতি ৮৫ শতাংশ।

এছাড়া, এনজিপিএস প্রকল্পের আওতায় বিভিন্ন উপজেলায় একটি ওয়াশ ব্লকের কাজ চলমান। যার ভৌত অগ্রগতি ৯০ শতাংশ। পিইডিপি৪ প্রকল্পের আওতায় বিভিন্ন উপজেলায় ২৫টি ওয়াশ ব্লকের কাজ চলমান, যার ভৌত অগ্রগতি ৬০ শতাংশ।

জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদফতরের উল্লিখিত প্রকল্পগুলোর কার্যক্রম সরাসরি জনসাধারণের মৌলিক চাহিদার সঙ্গে সম্পর্কিত। প্রকল্পগুলোর কার্যক্রম নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সম্পন্ন করার জন্য এবং এই বিষয়ে বিভাগীয় উন্নয়ন সমন্বয় কমিটিকে অবহিত করার জন্য নির্বাহী প্রকৌশলীকে পরামর্শ দেন আইএমইডি সচিব।

jagonews24

মান বজায় রেখে ত্রিশাল-নান্দাইল সড়ক শেষ করার পরামর্শ

‘ত্রিশাল-বালিপাড়া-নান্দাইল (কানুরামপুর) জেলা সড়ক প্রশস্তকরণ ও মজবুতিকরণ’ প্রকল্পের বিষয়ে আইএমইডির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০১৮ সালের জানুয়ারিতে শুরু হওয়া প্রকল্পটি চলতি বছরের জুনে শেষ হওয়ার কথা রয়েছে। প্রকল্পটির প্রাক্কলিত ব্যয় ১০৪ কোটি ৯৮ লাখ ২৮ হাজার টাকা।

এর আওতায় ময়মনসিংহ জেলার ১৩ দশমিক ৪৫ কিলোমিটার এবং কিশোরগঞ্জ জেলার ৯ কিলোমিটার (মোট ২২ দশমিক ৪৫ কিলোমিটার) সড়ক ৩ দশমিক ৭ মিটার/৫ দশমিক ৫০ মিটার থেকে ৭ দশমিক ৩০ মিটার পর্যন্ত প্রশস্ত করা হচ্ছে। প্রকল্পের এ পর্যন্ত আর্থিক অগ্রগতি ৮৫ দশমিক ৬১ শতাংশ এবং ভৌত অগ্রগতি ৯৫ শতাংশ।

আইএমইডি সচিব বলছেন, ‘প্রকল্পের দু’টি প্যাকেজের মধ্যে একটি প্যাকেজের (ময়মনসিংহ অংশ) কাজ পরিদর্শন করি। প্রকল্প কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, যথাসময়ে প্রকল্পের কাজ শেষ হবে। গুণগত মান বজায় রেখে দ্রুত প্রকল্পের কাজ শেষ করতে বলা হয়েছে।’

ভালুকা-গফরগাঁও-হোসেনপুর সড়কের মেয়াদ বাড়ছে

‘ভালুকা-গফরগাঁও-হোসেনপুর সড়ক যথাযথ মান ও প্রশস্ততায় উন্নীতকরণ’ প্রকল্পের বিষয়ে আইএমইডির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘প্রকল্পটি ২০১৮ সালের জুলাই থেকে চলতি বছরের জুন মেয়াদে বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। এর প্রাক্কলিত ব্যয় ২১৮ কোটি ৫৮ লাখ ৩২ হাজার টাকা। প্রকল্পের আওতায় ময়মনসিংহ জেলায় ভালুকা ও গফরগাঁও উপজেলার ৩২-৮৫ কিলোমিটার সড়ক ৩ দশমিক ৭০ মিটার এবং ৫ দশমিক ৫০ মিটার থেকে ১০ দশমিক ৩০ মিটার প্রশস্ততায় উন্নয়ন করা হবে। প্রকল্পের ৩টি প্যাকেজের সবকটিরই কাজ চলমান। এ পর্যন্ত আর্থিক অগ্রগতি ৪৯ শতাংশ এবং ভৌত অগ্রগতি ৭০ শতাংশ।’

প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, নির্ধারিত সময়ে কাজ শেষ করা যাবে না। আরও অন্তত ৬ মাস প্রকল্পের মেয়াদ বাড়াতে হবে।

তারা আরও জানান, নির্দিষ্ট সময়ে প্রকল্পের জন্য পর্যাপ্ত বরাদ্দ না পাওয়ায় প্রকল্পের অগ্রগতি কম হয়েছে। এ বিষয়টিও বিভাগীয় উন্নয়ন সমন্বয় কমিটির সভায় আলোচনা করার পরামর্শ দিয়েছেন আইএমইডি সচিব। তিনি প্রকল্পের মেয়াদ বাড়ানোর ব্যাপারে দ্রুত পদক্ষেপ নেয়ার এবং গুণগত মান বজায় রেখে কাজ শেষ করতে বলেছেন।

পিডি/এসএস/এসএইচএস/জিকেএস