যেখানে এক বিদ্যুৎকেন্দ্রই ‘ভুলিয়ে দেবে’ লোডশেডিং, সেখানে আরও দুটি
যেখানে ১৩২০ মেগাওয়াটের পায়রা তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্র চালু হলে লোডশেডিং কী, তা দক্ষিণাঞ্চলের মানুষ ভুলে যাওয়ার কথা, সেখানে শুধু পটুয়াখালীতেই পায়রা ছাড়া আরও দুটি ১৩২০ মেগাওয়াটের বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মিত হচ্ছে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, কর্মপরিকল্পনা অনুযায়ী ২০২১ সালে ২৪ হাজার মেগাওয়াট, ২০৩০ সালে ৪০ হাজার মেগাওয়াট এবং ২০৪১ সালে ৬০ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের লক্ষ্যে কাজ করছে সরকার।
বিদ্যুৎ বিভাগের সর্বশেষ তথ্যানুযায়ী, ২০২০ সালে দেশে মোট বিদ্যুৎ উৎপাদনের ক্ষমতা দাঁড়িয়েছে ২৪ হাজার ৫৯৪ মেগাওয়াট। ২০২০ সালেই প্রথম লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করেছে সরকার।
অন্যদিকে ২০২০ সালে সর্বোচ্চ বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হয়েছিল ৫ সেপ্টেম্বর ১২ হাজার ৮৯২ মেগাওয়াট। অর্থাৎ প্রতিদিন বিদ্যুৎ উৎপাদনের যে সক্ষমতা, চাহিদা পূরণের জন্য তার অর্ধেকও উৎপাদনের প্রয়োজন পড়ে না।
এ অবস্থায় পটুয়াখালীতেই ১৩২০ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন তিনটি বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের লক্ষ্যে কাজ করছে সরকার। ফলে পটুয়াখালীর এই তিন বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকেই প্রতিদিন ৩৯৬০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করা সম্ভব হবে।
বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলো নির্মাণের জন্য ভূমি ও অবকাঠামোর উন্নয়নকাজ চলছে। ১৩২০ মেগাওয়াটের তিন বিদ্যুৎ প্রকল্প নির্মাণের আওতায় ভূমি ও অবকাঠামো উন্নয়নে তিনটি প্রকল্প নেয়া হয়েছে।
সেগুলো হলো ‘পায়রা ১৩২০ মেগাওয়াট তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্র সংযোগ সড়ক ও আনুষঙ্গিক অবকাঠামো নির্মাণ’, ‘পটুয়াখালী ১৩২০ মেগাওয়াট সুপার থার্মাল পাওয়ার প্ল্যান্টের জন্য ভূমি অধিগ্রহণ, ভূমি উন্নয়ন ও সংরক্ষণ’ এবং ‘পটুয়াখালী ১৩২০ মেগাওয়াট কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের জন্য ভূমি অধিগ্রহণ, ভূমি উন্নয়ন ও পুনর্বাসন’ প্রকল্প।
পায়রার মূল বিদ্যুৎকেন্দ্র সম্পর্কে পরিকল্পনা কমিশনের শিল্প ও শক্তি বিভাগের বিদ্যুৎ উইংয়ের উপ-প্রধান মোহাম্মদ তারিফুল বারী জাগো নিউজকে বলেন, ‘পায়রার ১৩২০ মেগাওয়াট প্রকল্পের অবকাঠামো উন্নয়নকাজ চলছে। অন্যদিকে পায়রার মূল বিদ্যুৎকেন্দ্রের একটা ইউনিট চালুও হয়েছে। আরেকটা ইউনিট এখনো করছে না, ওটা পরে করবে। এ বিদ্যুৎকেন্দ্রে নর্থ-ওয়েস্ট পাওয়ার জেনারেশন কোম্পানি লিমিটেডের সঙ্গে একটি চাইনিজ কোম্পানি জয়েন্ট ভেঞ্চারে কাজ করছে।’
পরের দুটির ভূমি উন্নয়ন প্রকল্প বিষয়ে তারিফুল বারী বলেন, ‘পটুয়াখালীতে ১৩২০ মেগাওয়াটের দুটি বিদ্যুৎ প্রকল্প স্থাপনের জন্য দুটি ভূমি অধিগ্রহণের প্রকল্প নেয়া হয়েছে। প্রথমে ভূমি অধিগ্রহণ করা হবে, তারপর সেখানে বিদ্যুৎকেন্দ্র বানানো হবে। বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের প্রকল্প আলাদা এবং সেগুলো এখনো নেয়া হয়নি। দুটা দুই কোম্পানির এবং দুটা বিদ্যুৎকেন্দ্র হবে।’
তিনি বলেন, ‘মূল বিদ্যুৎ প্রকল্প এক্সপোর্ট ক্রেডিট অ্যাগ্রিমেন্টের (ইসিএ) মাধ্যমে হতে পারে। কিন্তু ভূমি অধিগ্রহণ ইসিএ’র মাধ্যমে হবে না, এটা হচ্ছে সরকারের টাকায়। ইসিএ সাধারণ বিদেশি ব্যাংকের সঙ্গে হয়। যেমন- চায়নার এক্সিম ব্যাংক। এখানে চায়না এক্সিম ব্যাংকেরই বিনিয়োগ করার কথা রয়েছে।’
নিজের কাছে থাকা সর্বশেষ তথ্যের আলোকে তারিফুল বারী বলেন, ‘পটুয়াখালী ১৩২০ মেগাওয়াট কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের জন্য ভূমি অধিগ্রহণ, ভূমি উন্নয়ন ও পুনর্বাসন প্রকল্পের কাজ এগিয়ে গেছে। চায়না কোম্পানিও কিছু কিছু কাজ শুরু করেছে। কিন্তু পটুয়াখালী ১৩২০ মেগাওয়াট সুপার থার্মাল পাওয়ার প্ল্যান্টের জন্য ভূমি অধিগ্রহণ, ভূমি উন্নয়ন ও সংরক্ষণ প্রকল্পের কাজ অত এগোয়নি। মূল প্রকল্প জয়েন্ট ভেঞ্চার কোম্পানির মাধ্যমে করে, ওগুলো পরিকল্পনা কমিশনে আসে না বা জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় অনুমোদনের প্রয়োজন পড়ে না।’
এদিকে ২০১৮ সালের ৩ জানুয়ারি ‘পায়রা তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র চালু হচ্ছে ২০১৯ সালে’ শিরোনামের এক নিবন্ধে জাতীয় তথ্য বাতায়ন বলেছে, ‘গত এক বছরের বেশি সময় ধরে দক্ষিণাঞ্চলে বিদ্যুতের লোডশেডিং খুব কম হচ্ছে। কোনো সমস্যা বা দুর্ঘটনা না ঘটলে বিদ্যুৎজনিত ভোগান্তি মানুষের নেই বললেই চলে। বিদ্যুতের জাতীয় গ্রিড লাইনের বরিশাল স্টেশনের পর সমস্যা দেখা দিলেও ভোলার বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে পটুয়াখালী ও বরগুনায় বিদ্যুৎ সরবরাহ করে সাময়িক সমস্যা মেটানো হচ্ছে। বিদ্যুৎ বিষয়ে স্থানীয় মানুষের অভিযোগ-অনুযোগের হার নিম্নমুখী। এ অঞ্চলে এখন নতুন আশার আলো পায়রা তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্র। দেশের সবচেয়ে বড় কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের নির্মাণকাজ দ্রুতগতিতে চলছে। বাংলাদেশ-চীন পাওয়ার কোম্পানির ১৩২০ মেগাওয়াটের বিদ্যুৎকেন্দ্রটি চালু হয় ২০১৯ সালে। পায়রা তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলো চালু হলে লোডশেডিং কী, তা দক্ষিণাঞ্চলের মানুষ ভুলে যাবে বলে বিদ্যুৎ বিভাগের কর্মকর্তারা মনে করেন।’
যেখানে একটি ১৩২০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎকেন্দ্রের বিদ্যুতে লোডশেডিং দক্ষিণাঞ্চলের মানুষ ভুলে যাওয়ার কথা বলছে তথ্য বাতায়ন, সেখানে পটুয়াখালীতেই এই ক্ষমতার আরও দুটি বিদ্যুৎকেন্দ্র করা নিয়ে আলোচনা চলছে।
কনজ্যুমার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) জ্বালানিবিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক শামসুল আলম মনে করেন, নতুনভাবে বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা বৃদ্ধির এ প্রচেষ্টা বিদ্যুৎ খাত উন্নয়নের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয় এবং এটা গণস্বার্থবিরোধী।
তিনি জাগো নিউজকে বলেন, ‘সরকারের একটা অ্যাসেসমেন্ট সংশ্লিষ্ট দফতর থেকে দেয়া হয়েছে। বিদ্যুতের চাহিদার সঙ্গে বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতার সামঞ্জস্য নেই। চাহিদার তুলনায় উৎপাদনক্ষমতা বেশি তৈরি হয়ে গেছে। অব্যবহৃত থাকছে এবং বিদ্যুৎ উৎপাদন ব্যয় বেশি হচ্ছে। সরকার ইতোমধ্যে বিদ্যুৎ রফতানি করার কথাও ভাবছে। প্রণোদনা দিয়ে বিদ্যুৎ বিক্রি করার কথাও ভাবছে। এরকম অবস্থায় যে পরিকল্পনা রয়ে গেছে, সে অনুযায়ী যদি বিদ্যুৎ উৎপাদন হয়, ২০২৩-২৪ সালে সারপ্লাস বিদ্যুৎ থাকবে ৬৬ থেকে ৬৭ শতাংশ। এক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ সরকারকে পিছিয়ে দিয়েছে। যেটাকে সিওডি বলে বা কর্মাশিয়াল অপারেশন ডেটফিক্সআপ ২০৩০-এ যেতে বলেছে। সুতরাং নতুনভাবে বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা বৃদ্ধির এ প্রচেষ্টা বিদ্যুৎ খাত উন্নয়নের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়, ভোক্তার স্বার্থের পরিপন্থী এবং গণস্বার্থবিরোধী।’
অবশ্য সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বলছেন, পায়রা তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্রের একটি ইউনিট চালু হয়েছে। এই তিন প্রকল্পের উদ্বৃত্ত বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হবে।
অন্যদিকে ভূমি ও অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্পের তিনটির একটিও যথাসময়ে শেষ হচ্ছে না।
পটুয়াখালী সুপার থার্মাল পাওয়ার প্ল্যান্টের ভূমি অধিগ্রহণ নিয়ে দুরকম তথ্য
‘পটুয়াখালী ১৩২০ মেগাওয়াট সুপার থার্মাল পাওয়ার প্ল্যান্টের জন্য ভূমি অধিগ্রহণ, ভূমি উন্নয়ন ও সংরক্ষণ’ প্রকল্পটি ২০১৮ সালের জানুয়ারি থেকে ২০২১ সালের জুন মেয়াদে বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। প্রকল্পটির মোট খরচ ৮১৯ কোটি ৫১ লাখ ৪৬ হাজার টাকা। তার মধ্যে সরকার দিচ্ছে ৭৭৩ কোটি ৮৯ লাখ ৯ হাজার এবং সংস্থার নিজস্ব অর্থায়ন ৪৫ কোটি ৬২ লাখ ৩৭ হাজার টাকা। বিদ্যুৎ বিভাগের উদ্যোগে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে আশুগঞ্জ পাওয়ার স্টেশন কোম্পানি লিমিটেড (এপিএলসিএল)।
এদিকে পটুয়াখালী ১৩২০ মেগাওয়াট সুপার থার্মাল পাওয়ার প্ল্যান্টের ভূমি অধিগ্রহণ এখনো শেষ হয়নি বলে তারিফুল বারী জানালেও প্রকল্পটির পরিচালক মো. কামরুজ্জামান ভূঞা জাগো নিউজকে বলেন, ‘আমাদের পুরো জমি অধিগ্রহণ হয়ে গেছে। ৯২৫ একরই অধিগ্রহণ হয়ে গেছে। এখন আমাদের কনসালট্যান্ট নিয়োগ হচ্ছে প্রকল্পের বাকি কাজগুলো সম্পন্ন করার জন্য। কনসালট্যান্ট কাজ শুরু করেছে। কনসালট্যান্ট ডিজাইন, ড্রয়িং করবে। আমার প্রকল্পে অন্যান্য যেসব অঙ্গ আছে সেসব অঙ্গের ডিজাইন, ড্রয়িং করবে। ল্যান্ড ডেভেলপমেন্ট, এমব্যাংকম্যান্ট প্রটেকশন– এগুলোর ডিজাইন, ড্রয়িং করবে।’
প্রকল্প শেষ হতে ছয় মাসেরও কম সময় থাকলেও এর আর্থিক ও বাস্তব অগ্রগতি প্রায় ২৬ শতাংশ বলে জানান প্রকল্প পরিচালক।
মূল বিদ্যুৎ প্রকল্পের বিষয়ে কামরুজ্জামান ভূঞা বলেন, ‘মূল প্রকল্প এখনো প্রক্রিয়াধীন। এখনো চূড়ান্ত হয়নি। মূল প্রকল্প একনেকে যাবে না, এটা ইপিসি প্রকল্প হবে। জয়েন্ট ভেঞ্চার হবে হয়তো বা কারও সঙ্গে। সরকারের অনুমতি নিয়েই জয়েন্ট ভেঞ্চার হবে। সেই প্রকল্প আন্ডার প্রসেস আছে।’
পটুয়াখালী কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রে ভূমি অধিগ্রহণে আর্থিক অগ্রগতি ৭৬ শতাংশ
বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগ (আইএমইডি) সূত্রে জানা গেছে, ‘পটুয়াখালী ১৩২০ মেগাওয়াট কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের জন্য ভূমি অধিগ্রহণ, ভূমি উন্নয়ন ও পুনর্বাসন’ প্রকল্পের মোট খরচ ছিল ৮৬৯ কোটি ৭০ লাখ ৬২ হাজার টাকা। প্রথম সংশোধনীতে খরচ কমিয়ে ধরা হয়েছে ৮৫৬ কোটি ২০ লাখ ৯ হাজার টাকা। ২০১৬ সালের জুলাই থেকে ২০২১ সালের ডিসেম্বর মেয়াদে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। বিদ্যুৎ বিভাগের উদ্যোগে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে রুরাল পাওয়ার কোম্পানি লিমিটেড। প্রকল্পের শুরু থেকে ২০২০ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত প্রকল্পের আর্থিক অগ্রগতি ৬০৫ কোটি ৯০ লাখ ৩৭ হাজার টাকা বা ৭৬ দশমিক ৪৫৬ শতাংশ।
এ প্রকল্পের বিষয়ে আইএমইডির পর্যবেক্ষণ হলো- জমি অধিগ্রহণ সংক্রান্ত দেরির কারণে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন ধীরে হচ্ছে। ইতোমধ্যে প্রকল্পের আওতায় লক্ষ্যমাত্রা অনুসারে মোট ৯১৫ দশমিক ৭৪ একর ভূমি অধিগ্রহণ করা হয়েছে। অধিগ্রহণ করা ভূমির চারপাশে সীমানা প্রাচীর ও অন্যান্য পূর্ত কাজ চলমান।
এ বিষয়ে প্রকল্প পরিচালক মো. সেলিম ভূঁইয়ার সঙ্গে কথা বলতে ফোন করা হলেও তার সাড়া মেলেনি।
পায়রা বিদ্যুৎকেন্দ্রের অবকাঠামো নির্মাণ প্রকল্পের মেয়াদ বাড়ছে
পায়রা ১৩২০ মেগাওয়াট তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্রের সংযোগ সড়ক ও আনুষঙ্গিক অবকাঠামো নির্মাণ প্রকল্প ২০১৮ সালের জুলাই থেকে ২০২১ সালের জুন মেয়াদে বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। এতে খরচ করা হচ্ছে ২৫০ কোটি ৬১ লাখ ৯৭ হাজার টাকা। প্রকল্পটি বিদ্যুৎ বিভাগের উদ্যোগে নর্থ-ওয়েস্ট পাওয়ার জেনারেশন কোম্পানি লিমিডেট বাস্তবায়ন করছে।
আইএমইডির তথ্যমতে, শুরু থেকে ২০২০ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত প্রকল্পের প্রকৃত ব্যয় ৬৬ কোটি ৬৭ লাখ ১৪ হাজার টাকা, যা মোট ব্যয়ের ২৭ দশমিক ৯০ শতাংশ।
প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হচ্ছে, কিন্তু অগ্রগতি চারভাগের প্রায় একভাগ মাত্র। অগ্রগতি এত কম হওয়ার কারণ জানতে চাইলে প্রকল্প পরিচালক অরুণ কুমার দত্ত জাগো নিউজকে বলেন, ‘জমি অধিগ্রহণ করতে দেরি হয়েছে। জমি অধিগ্রহণ শেষ হয়েছে। এখন আর কোনো প্রতিবন্ধকতা নেই। আমরা ইতোমধ্যে সময় বাড়ানোর আবেদন করেছি। আমরা আরও এক বছর সময় চেয়েছি। এর মধ্যেই কাজ শেষ হয়ে যাবে।’
পিডি/এমআরআর/এইচএ/জেআইএম