উদ্দীপনায় ঐক্যফ্রন্ট, অভিমান ২০ দলে!
গত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সময় বিএনপির নতুন রাজনৈতিক জোট জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট-কে নিয়ে ২০ দলীয় জোটের নেতাদের মধ্যে একধরনের অস্বস্তি ছিল। বর্তমানে সেটা না কমে উল্টো আরও যেন গাঢ় হয়েছে। সরকারবিরোধী বৃহত্তর ঐক্য গঠনে ঐক্যফ্রন্টের তৎপরতা দৃশ্যমান। এক্ষেত্রে ২০ দলীয় জোট কার্যত নিষ্ক্রিয়। মাঝে-মধ্যে অস্তিত্ব জানান দেয়ার তাগিদ দেখা গেলেও তাতে বিশৃঙ্খলাই বেশি পরিলক্ষিত হচ্ছে।
সম্প্রতি অনুষ্ঠিত ২০ দলীয় জোটের একটি ভার্চুয়াল বৈঠকে সমন্বয়কারী বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলামের ওপর ক্ষোভ প্রকাশ করেন নেতারা। ২০২০-২১ অর্থবছরের বাজেট নিয়ে ২০ দলীয় জোট প্রতিক্রিয়া জানিয়ে যে বিবৃতি দেয় সেখানে জোটের বেশ কয়েকজন শীর্ষনেতার নাম বাদ পড়ে। অন্যদিকে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া মুক্তির (শর্তসাপেক্ষে মুক্তি) পর নিজ দলের এবং ঐক্যফ্রন্ট নেতাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। কিন্তু ২০ দলীয় জোট নেতাদের সঙ্গে দেখা করেননি তিনি। স্বাস্থ্যবিধি মেনে খালেদা জিয়ার সঙ্গে ২০ দলের নেতাদের দেখা করানোর ব্যাপারে নজরুল ইসলাম খানের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয় ভার্চুয়াল ওই বৈঠকে।
সূত্র বলছে, সরাসরি রাজনৈতিক কোনো বিষয়ে খালেদা জিয়ার কথা বলার ব্যাপারে বিধিনিষেধ রয়েছে। তবে শুরু থেকে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট গঠনে তার ইতিবাচক মনোভাব ছিল এবং তিনি এখন তা আরও কার্যকর দেখতে চান। অন্যদিকে, বিএনপির ভবিষ্যৎ নেতৃত্ব ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানও জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট-কে কার্যকর করার পক্ষে— নানা সূত্র থেকে এমন তথ্য জানা গেছে। সেই মোতাবেক ঐক্যফ্রন্ট নেতারা সরকারবিরোধী বৃহত্তর ঐক্য গঠনের প্রক্রিয়ায় রয়েছেন।
জাতীয় প্রেস ক্লাবে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতারা
এদিকে ‘২০ দলীয় জোট জীর্ণশীর্ণ অবস্থায় রয়েছে’ উল্লেখ করে দলের এক শীর্ষনেতা বলেন, জোটের অন্যতম শরিক জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন নেই। অন্যদিকে জামায়াত-কে নিয়ে আন্তর্জাতিক রাজনীতিতে রয়েছে নানামুখী চাপ। এই কারণে আন্তর্জাতিক রাজনীতির বিষয়টি মাথায় রেখে জামায়াতে ইসলামীর সঙ্গে সম্পর্ক রাখা, না রাখা নিয়েও নতুন করে ভাবতে চাচ্ছে বিএনপি। করোনার কারণে বিষয়টি নিয়ে না ভাবলেও ইতোমধ্যে বিএনপির সর্বোচ্চ ফোরামে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। জোটেও দলটির কর্মকাণ্ড অনেকটা সীমিত।
বিএনপির দীর্ঘদিনের শরিক ব্যারিস্টার আন্দালিভ রহমান পার্থের নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি- বিজেপি জোট ছেড়েছে অনেক আগে। ইসলামী ঐক্যজোটের মূল অংশটি মাওলানা আবদুল লতিফ নেজামীর নেতৃত্বে বেরিয়ে গেছে জোট থেকে। জোট ছেড়েছে জেবেল রহমান গানির নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি- বাংলাদেশ ন্যাপ, খোন্দকার গোলাম মোর্তজার নেতৃত্বাধীন ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক পার্টি- এনডিপি। যদিও দলগুলোর চতুর্থ সারির নেতাদের দিয়ে তাদের একাংশকে ধরে রেখে ২০ দলীয় জোটকে টিকিয়ে রাখা হয়েছে। বস্তুত যাদের নিয়ে জোট রক্ষার চেষ্টা, তারা কেউ-ই মূল দলগুলোর বিকল্প হতে পারে না। ফলে ২০ দলীয় জোট অনেকটাই হাস্যকর পরিস্থিতির মুখে পড়েছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, জোটের অরেক শরিক কর্নেল (অব.) অলি আহমেদ বীরবিক্রমের নেতৃত্বাধীন লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি- এলডিপির সঙ্গেও জোটের সম্পর্ক তেমন ভালো যাচ্ছে না। কর্নেল অলির নেতৃত্বে কল্যাণ পার্টি, জাগপা, বাংলাদেশ জাতীয় দলের সমন্বয়ে জাতীয় মুক্তিমঞ্চ গঠন হলে বিষয়টিকে ভালোভাবে গ্রহণ করেনি বিএনপি। জাতীয় মুক্তিমঞ্চের সঙ্গে সম্পর্ক না রাখার জন্য জোটের শরিকদের ওপর চাপও প্রয়োগ করা হয়। ফলে একসময় জাতীয় মুক্তিমঞ্চ অনেকটা নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়ে। এ সময় জাতীয় মুক্তিমঞ্চের প্রধান কর্নেল অলি আহমেদের দল এলডিপিতেও বিভক্তির সৃষ্টি হয়। এর পেছনে বিএনপির ইন্ধন রয়েছে বলে অলি ও তার সমর্থকরা মনে করেন। গত ৫ জুলাই ২০ দলীয় জোটের ভার্চুয়াল বৈঠকে অলি আহমেদ যোগ দিলেও এলডিপির অপর অংশের নেতা শাহাদাত হোসেন সেলিমকে দেখে তিনি সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, জাতীয় মুক্তিমঞ্চ-কে কেন্দ্র করে মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ মুহম্মদ ইবরাহিম বীরপ্রতীকের দল- বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির মহাসচিব এম এম আমিনুর রহমানও দলত্যাগ করেন। দুই ভাগে বিভক্ত হয় জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি- জাগপা। জাগপা বিভক্তির পেছনে বিএনপির দুই শীর্ষনেতা— এমন সন্দেহের তির ব্যারিস্টার তাসমিয়া প্রধান ও তার সমর্থকদের। তাদের সন্দেহের যথেষ্ট কারণও রয়েছে। তাসমিয়া প্রধানের নেতৃত্বাধীন জাগপা ২০ দলীয় জোটে আছেন বলে দাবি করলেও বিএনপি জোটের বৈঠকে তাদের আমন্ত্রণ জানায় না। বিএনপি খন্দকার লুৎফর রহমানের নেতৃত্বাধীন জাগপাকে জোটের বৈঠকে আমন্ত্রণ জানায়। সর্বশেষ জোটের ভার্চুয়াল বৈঠকেও তাসমিয়া প্রধানকে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি।
এদিকে জোটের শরিক দলের অনেকের বিরুদ্ধে রয়েছে মানবপাচার, পাসপোর্ট জালিয়াতিসহ নানা ধরনের অনৈতিক অভিযোগ। অস্তিত্বহীন শরিক দলগুলো হলো- বাংলাদেশ পিপলস্ লীগ, বাংলাদেশ ইসলামিক পার্টি, বাংলাদেশ মুসলিম লীগ- বিএমএল, ন্যাপ-ভাসানী, ডেমোক্রেটিক লীগ- ডিএল।
জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট নেতাদের সংবাদ সম্মেলন
এমন পরিস্থিতিতে বিএনপির অনেক নেতাই বলছেন, ২০ দলের প্রয়োজন নেই। বরং ২০ দলীয় জোটের কার্যকর দলগুলো এবং জোটের বাইরে থাকা অন্য দলগুলোর সমন্বয়ে গঠিত জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট-কে নিয়ে পথচলাই শ্রেয়। এই জোট প্রধান সরকারবিরোধী রাজনৈতিক প্লাটফর্ম হোক— এমনটি চান খালেদা জিয়াও। এছাড়া যুদ্ধাপরাধী দল জামায়াতে ইসলামী এই জোটে না থাকায় বাম ও অপেক্ষাকৃত লিবারেল দলগুলোর সঙ্গে বিএনপির আলোচনা চালাতে সুবিধা হচ্ছে, এমনটিও দাবি করছেন অনেকে।
জানা গেছে, ইতোমধ্যে ডান ও বাম ঘরানার কয়েকটি দলের মধ্যে ব্যক্তিগত পর্যায়ে আলোচনা শুরু হয়েছে। বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলামের সঙ্গে আলোচনা করেছেন বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক। এছাড়া জেএসডি সভাপতি আ স ম আবদুর রব, নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্নার সঙ্গে কথা বলেছেন সাইফুল হক। ধর্মভিত্তিক একাধিক দলের সঙ্গেও নানাপর্যায়ে আলোচনা শুরু হয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।
মুজাহিদুল ইসলাম সেলিমের নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি), কমরেড খালেকুজ্জামানের নেতৃত্বাধীন বাসদ, জোনায়েদ সাকির গণসংহতি আন্দোলনসহ বাম ঘরানার দলগুলোর সঙ্গে ইস্যুভিত্তিক কর্মসূচি পালন এবং চরমোনই পীরের ইসলামী আন্দোলনের সঙ্গে সংযোগ স্থাপনের চেষ্টা চলছে বলে জানা গেছে। অন্যদিকে, ২০ দলীয় জোট ত্যাগ করা ইসলামী ঐক্যজোট, ব্যারিস্টার আন্দালিভ রহমান পার্থের বিজেপি, জেবেল রহমান গানির বাংলাদেশ ন্যাপ, খোন্দকার গোলাম মোর্তজার এনডিপির সঙ্গেও যোগাযোগ রক্ষা করা হচ্ছে বলে দলীয় সূত্রে জানা গেছে।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বিএনপির মূল টার্গেট হলো জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট-কে শক্তিশালী করা। এছাড়া আরও কয়েকটি ইসলামী দলের সঙ্গে আলোচনা করে তাদের জোটভুক্ত করা। এমনকি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বীরউত্তম-কেও জাতীয় ঐক্যফ্রন্টে ফিরিয়ে আনার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।
মার্চের ২৫ তারিখে সরকারের এক নির্বাহী আদেশে শর্তসাপেক্ষে ছয় মাসের জন্য মুক্তি পান বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। করোনার এই মহামারির সময় রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড বেশ সীমিত। অসুস্থতা ও ঝুঁকি বিবেচনায় খালেদা জিয়াও প্রথমদিকে সবার সঙ্গে সাক্ষাৎ করা বন্ধ রাখেন। পরবর্তীতে নিরাপদ দূরত্ব বজায় রেখে গত ১১ মে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সঙ্গে দেখা করেন। ঈদের দিন সাক্ষাৎ করেন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্যদের সঙ্গে। এছাড়া নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক ও জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের অন্যতম নেতা মাহমুদুর রহমান মান্নাও খালেদা জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। বেগম জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাতের পর মান্না জোরেশোরে অনেক দলের শীর্ষপর্যায়ের নেতাদের সঙ্গে কথা বলছেন বা যোগাযোগ রক্ষার চেষ্টা করছেন বলে শোনা যাচ্ছে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে বিএনপির কয়েকজন নেতা জানান, করোনাভাইরাস পরিস্থিতির মধ্যে নেত্রী মুক্তি পেয়েছেন। তার সঙ্গে সহসাই যোগাযোগ করা সম্ভব না হলেও দলে খালেদা জিয়ার একটা প্রভাব অনুভব করতে পারছেন তারা। যেটি তার কারাবন্দি অবস্থায় ছিল না। দল এখন অনেকটা চাঙা। শীর্ষনেতাদের মাধ্যমে দেশবাসীর প্রতি যে বার্তা তিনি (খালেদা জিয়া) দিচ্ছেন তাতে নেতারা সন্তুষ্ট।
বিএনপি সূত্রে জানা যায়, দলের নেতৃত্বে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানই আছেন। তবে খালেদা জিয়া এখন মুক্ত, তার প্রভাব দলে স্পষ্ট। এছাড়া মুক্তির শর্ত এবং আইনগত বিষয়েও তিনি সচেতন।
প্রসঙ্গত, ২০১৮ সালের নির্বাচনের আগে বিএনপি, গণফোরাম, নাগরিক ঐক্য ও জেএসডি মিলে গড়ে তোলা হয় জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট। নির্বাচনের পর থেকে এই জোটের শরিক দলের মধ্যে মনোমালিন্য দেখা দেয়। কাদের সিদ্দিকীর দল জোটে যোগ দিলেও নির্বাচনের পর বেশকিছু অভিযোগ তুলে জোট ছেড়ে যায়। এছাড়া শুরুর দিকে বিএনপির যেসব নেতা নিয়মিত জোটের বৈঠকে অংশ নিতেন তারাও একপর্যায়ে আসা বন্ধ করে দেন।
শরিকদের নিয়ে ২০ দলের বৈঠক
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলামসহ অন্য নেতারা প্রথম প্রথম ঐক্যফ্রন্টের স্টিয়ারিং কমিটির বৈঠকে অংশ নিতেন। তারাও একপর্যায়ে অংশ নেয়া বন্ধ করে দেন। করোনাভাইরাসের সংক্রমণের পর ঐক্যফ্রন্টের কিছু বিবৃতি ছাড়া আর কোনো কার্যক্রম লক্ষ্য করা যায়নি। শরিক দলগুলো যে যার মতো করে কাজ চালিয়ে যায়।
অনেকটা স্থিমিত এই জোট নিয়ে আশাবাদী খালেদা জিয়া— এমনটি জানালেন ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ কয়েক নেতা এবং বিএনপির একটি সূত্র। জোটের এক শীর্ষ নেতা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, সম্প্রতি দলের নেতাদের সঙ্গে সাক্ষাতের পর জোট নিয়ে খালেদা জিয়ার ইতিবাচক মনোভাবের বিষয়টি টের পেয়েছেন। জোটের আরেক শীর্ষ নেতা জানান, জোট নিয়ে বিএনপির অনেকের মধ্যে অসন্তোষ থাকলেও খালেদা জিয়া কিন্তু ইতিবাচক। তিনি পরিস্থিতি বোঝার চেষ্টা করছেন। জোটের কোনো কার্যক্রম না থাকলেও মির্জা ফখরুলের সঙ্গে শরিক দলের নেতাদের নিয়মিত যোগাযোগ হয় বলেও জানান তিনি।
বিএনপির দুই জোটের সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে ২০ দলীয় জোটের শরিক ন্যাপ-ভাসানীর চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট আজহারুল ইসলাম জাগো নিউজকে বলেন, ‘২০ দলীয় জোট ঠিক আছে। আরেকটু গতিশীল করা দরকার, সক্রিয় করা দরকার। কর্তৃত্ববাদী সরকার রাজনীতির পরিবেশ নষ্ট করছে বলে জোটের সক্রিয়তা কম।’
খালেদা জিয়ার মুক্তির পর ঐক্যফ্রন্ট নেতা মাহমুদুর রহমান মান্না তার সাথে দেখা করেছেন। পাশাপাশি বিএনপির সিনিয়র নেতারাও দেখা করেছেন কিন্তু ২০ দলের কেউ দেখা করেননি— এক্ষেত্রে কোনো ধরনের বৈষম্য তৈরি হয়েছে কি-না, জবাবে আজহারুল ইসলাম বলেন, ‘কে বলেছে, ২০ দলের নেতাদের সঙ্গে ম্যাডাম দেখা করেন নাই? নজরুল ইসলাম খান ২০ দলীয় জোটের সমন্বয়কারী। তিনি ২০ দলের নেতা। বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ২০ দলের নেতা। ওনারা দেখা করেছেন মানেই ২০ দলের নেতারা দেখা করেছেন।’
বিষয়টি নিয়ে ২০ দলের শরিক লেবার পার্টির মুস্তাফিজুর রহমান ইরান বলেন, ‘ম্যাডাম কারাগারে থাকার কারণে মাহমুদুর রহমান মান্না দেখা করতে পারেন নাই। কিন্তু মুক্তির পর তিনি ম্যাডামের সঙ্গে দেখা করেছেন।’
২০ দলে আরও গতির প্রয়োজন আছে কি-না, এমন প্রশ্নে ইরান বলেন, জোটের নীতিনির্ধারক আমাদের প্রধান শরিক বিএনপি তো আছে, জামায়াতও আছে; তারা সিদ্ধান্ত নেবে।
বৃহত্তর ঐক্য গঠনে ২০ দলীয় জোট-কে সম্পৃক্ত করার কোনো চিন্তা আছে কি-না, জানতে চাইলে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট সদস্য ও নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, ‘না, এসব বিষয়ে আমার জানা নেই।’
কেএইচ/এমএআর/এমকেএইচ