ভিডিও EN
  1. Home/
  2. বিশেষ প্রতিবেদন

উপনির্বাচন করোনা ঝুঁকি বাড়াবে না

সায়েম সাবু | প্রকাশিত: ১২:৫০ পিএম, ১৪ জুলাই ২০২০

খালিদ মাহমুদ চৌধুরী। প্রতিমন্ত্রী, নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়। করোনা পরিস্থিতি ও দুর্নীতির প্রসঙ্গ নিয়ে মুখোমুখি হন জাগো নিউজের। দীর্ঘ আলোচনায় নৌ ও নৌপথের উন্নয়ন এবং সংরক্ষণের বিষয়টি গুরুত্ব পায়। সরকার ডেল্টা প্ল্যানের মাধ্যমে যে উন্নয়নের রূপরেখা দাঁড় করিয়েছে, তা বাস্তবায়ন করতে পারলে আগামীর বাংলাদেশ নদীমাতৃকায় ফের উজ্জীবিত হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন। আলোকপাত করেন করোনাকালে উপনির্বাচন প্রসঙ্গেও। তিন পর্বের সাক্ষাৎকারের আজ থাকছে প্রথমটি। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন সায়েম সাবু।

জাগো নিউজ : করোনা মহামারির মধ্যে উপনির্বাচন হতে যাচ্ছে। এ নিয়ে সমালোচনাও হচ্ছে। কী বলবেন সমালোচনার বিপরীতে?
খালিদ মাহমুদ চৌধুরী : চ্যালেঞ্জ নিতেই হবে। নির্বাচন কমিশন (ইসি) তেমন একটি চ্যালেঞ্জ নিয়েছে। সামাজিক দূরত্ব এবং স্বাস্থ্যবিধি মেনেই নির্বাচনী প্রচারণা চলছে। স্বাস্থ্যবিধি মেনেই ভোটগ্রহণ প্রক্রিয়া চলবে।

জাগো নিউজ : এমন নির্বাচনী আয়োজন করোনা ঝুঁকি বাড়াবে কি-না?
খালিদ মাহমুদ চৌধুরী : আমি তা মনে করছি না। উপনির্বাচন করোনা ঝুঁকি বাড়াবে না। করোনার কারণে আমরা ঘরে বসে থাকতে পারি না। এইডস রোগ যখন বিশ্বে বিস্তৃত হতে থাকে তখন পুরো বিশ্ব আতঙ্কিত হয়। পৃথিবী থমকে গিয়েছিল। এইডস নিয়ে বিজ্ঞাপন পর্যন্ত দেখতে মানুষ অভ্যস্ত ছিল না। টেলিভিশন বন্ধ করে দিত। ৩৯ বছরেও এইডসের ভ্যাকসিন আবিষ্কার হয়নি।

এইডস নিয়েই বিশ্ব চলছে। অনেক দেশ আছে যেখানে ৬৫ ভাগ মানুষ এই এইচআইভি ভাইরাসে আক্রান্ত। বাংলাদেশেও প্রথম যখন এইডস শনাক্ত হয়, তখন হৈ-হুল্লোড় পড়ে যায়। এখন কিন্তু মানুষ সচেতনভাবেই মোকাবিলা করেছে। ক্যান্সারের বেলায়ও তাই হয়েছে। মানুষ সৃষ্টির সেরা জীব। মানুষ বসে থাকতে পারে না। করোনা পরিস্থিতিতে কীভাবে বেঁচে থাকবে, কীভাবে এগিয়ে যাবে, সে সম্পর্কে মানুষ জ্ঞান অর্জন করে ফেলেছে। এ কারণেই আমি মনে করি, করোনার মধ্যে ভোটগ্রহণ খুব বেশি অসুবিধা তৈরি করবে না।

khalid-mahmud

জাগো নিউজ : করোনা মোকাবিলা করতে গিয়ে এখনও নানা বিধিনিষেধ বহাল রয়েছে। সেই ক্ষেত্রে এমন নির্বাচন নিয়ে সমালোচকরা প্রশ্ন তুলতেই পারেন?
খালিদ মাহমুদ চৌধুরী : অনেক কিছুই এখন ভার্চুয়াল ব্যবস্থা দ্বারা প্রভাবিত। আপনি ঝুঁকি নিয়ে সাক্ষাৎকার নিতে এসেছেন। পেশাগত কারণেই এই ঝুঁকি নিতে হচ্ছে। সাংবিধানিক ধারা, গণতন্ত্র, মানুষের রায় প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে নির্বাচন কমিশন একটি বড় প্রতিষ্ঠান। দায় থেকেই কমিশন উপনির্বাচনের আয়োজন করছে। চ্যালেঞ্জ নিচ্ছে। বাংলাদেশ ডিজিটাল ব্যবস্থায় ভর করে এগিয়ে যাচ্ছে। মাইক লাগিয়ে বিশাল জনসভা করে নির্বাচনী প্রচার চালাতে হয় না। এখানে বসেই আমি আমার নির্বাচনীবার্তা মানুষের হাতে হাতে পৌঁছে দিতে পারব। স্বাস্থ্যবিধি মেনে সবই করা সম্ভব। এখন মানুষ অভ্যস্তও বটে।

জাগো নিউজ : সংবিধান, গণতন্ত্র মানুষের জন্য। সরকার মানুষের বেঁচে থাকার স্বার্থে নানা উদ্যোগ নিচ্ছে করোনা মোকাবিলায়। আবার এমন সময়ই উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। বৈপরিত্য দেখায় কি-না?
খালিদ মাহমুদ চৌধুরী : জীবনের ছন্দ ফিরিয়ে আনতে স্বাভাবিকতায় যেতেই হবে। অফিস-আদালত খুলে দেয়া হচ্ছে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বাদ দিয়ে সবই প্রায় উন্মুক্ত। নির্বাচনের আয়োজনকে জটিলভাবে দেখার সুযোগ নেই। এসবও মানুষের জীবনের অংশ। মানুষ সচেতন থাকলে সবকিছুই স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায় চলতে পারে।

এএসএস/বিএ/পিআর