ভিডিও EN
  1. Home/
  2. বিশেষ প্রতিবেদন

গণতন্ত্রের চাবিকাঠি সরকারের কাছে

প্রকাশিত: ০৭:৫০ পিএম, ১৩ অক্টোবর ২০১৫

সরকারি দল আওয়ামী লীগ ও প্রধান বিরোধী শক্তি বিএনপি তাদের অবস্থানে অনড় থাকলে দেশে রাজনৈতিক সংকট তৈরি হতে পারে। তবে সংকট সমাধানের চাবিকাঠি সরকারের হাতে বলে মনে করেন ইসলামী ঐক্যজোট ও খেলাফতে ইসলামীর সাবেক চেয়ারম্যান মুফতি ফজলুল হক আমিনীর ছোট ছেলে মাওলানা আবুল হাসানাত আমিনী।

তিনি বলেন, দেশে গণতন্ত্রের ধারাবাহিকতা রাখতে সরকারকেই সিদ্ধান্ত নিতে হবে এবং এগিয়ে আসতে হবে। প্রথমে তিনি আলোচনায় আসেন নারী নীতি বাতিলের প্রতিবাদে ২০১১ সালের ৪ এপ্রিল হরতাল পালিত হওয়ার পর গুম ও ফিরে আসা নিয়ে। ২০১২ সালে পিতা মুফতি আমিনীর মৃত্যুর পর হাল ধরেন বাবার প্রতিষ্ঠিত সংগঠন ‘খেলাফতে ইসলামী বাংলাদেশ’ এর। বর্তমানে তিনি এ সংগঠনের আমির। পাশাপাশি ইসলামী দলগুলোর বৃহত্তর জোট ইসলামী ঐক্যজোটের ভাইস চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করছেন।

সম্প্রতি তিনি জাগোনিউজ২৪.কমের সঙ্গে লালবাগস্থ নিজ কার্যালয়ে একান্ত সাক্ষাৎকারে নিজ দল খেলাফতে ইসলামীর আদর্শ, রাজনীতি, আন্দোলনসহ সার্বিক বিষয়ে কথা বলেন। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন জাগো নিউজের নিজস্ব প্রতিবেদক মানিক মিয়াজী।

জাগো নিউজ : আপনি কেমন আছেন?
হাসানাত আমিনী : আলহামদুলিল্লাহ। ভালো আছি।

জাগো নিউজ : দেশের সার্বিক অবস্থা কেমন?
হাসানাত আমিনী : সরকারি দল আওয়ামী লীগ ও প্রধান বিরোধী শক্তি বিএনপি রাজনৈতিক কারণে দেশে স্বস্তি নেই। তাদের অবস্থানে অনড় থাকলে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া বাধার শঙ্কা থাকে। সংকট সমাধানের চাবিকাঠি সরকারের হাতে। সরকারকেই সিদ্ধান্ত নিতে হবে, যাতে দেশে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া অব্যাহত থাকে।

জাগো নিউজ : সংসদ ও সরকার নিয়ে আপনার মন্তব্য কী?
হাসানাত আমিনী : সংসদ চলছে। তবে কতোটা কার্যকর তা সাধারণ মানুষ জানেন। কার্যকর বিরোধী দল নেই। যারা আছে তারা সরকারেরই মিত্র শক্তি। মন্ত্রিসভায় তাদের রয়েছে চারজন মন্ত্রী। দলের প্রধান এইচ এম এরশাদ প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ দূত। এটা বিরোধী দল হয় কীভাবে? দেশের মানুষের মধ্যে সৃষ্টি হচ্ছে বিভাজন। বাধাগ্রস্ত হচ্ছে উন্নয়ন, অগ্রগতি।

জাগো নিউজ : ২০ দলের বর্তমান অবস্থা প্রসঙ্গে আপনি কী বলবেন?
হাসানাত আমিনী : সারাদেশে ২০ দলের হাজার হাজার নেতা-কর্মী জেলে। মামলার জালে আটকে পড়ে অনেকেই পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। জোটপ্রধানের বিরুদ্ধেও রয়েছে ডজনখানেক মামলা। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়ে অনেক নেতা-কর্মীকে গুম করা হয়েছে।

জাগো নিউজ : মধ্যবর্তী নির্বাচন প্রসঙ্গে আপনার মন্তব্য কী?
হাসানাত আমিনী : ৫ জানুয়ারির একতরফা নির্বাচনে জনগণ নিজেদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারেনি। তাই মধ্যবর্তী হোক আর যে নামেই হোক, জনগণ একটি অবাধ, সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছে।

জাগো নিউজ : দল চালাতে অর্থনৈতিক সাপোর্ট কোথা থেকে পান?
হাসানাত আমিনী : সদস্যদের অর্ন্তভুক্তি ফি, মাসিক ও বার্ষিক চাঁদা, ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের স্বেচ্ছাদান- অনুদান ইত্যাদিই দলের অর্থনৈতিক চালিকা শক্তি।

জাগো নিউজ : অপনার দল সম্পর্কে বলুন।
হাসানাত আমিনী : আমার দল ‘খেলাফতে ইসলামী বাংলাদেশ’ ইসলামী ঐক্যজোটের প্রধান শরিক হিসেবে ২০ দলের সঙ্গে জোটবদ্ধ। বর্তমান রাজনৈতিক দুরবস্থার মধ্যেও ন্যায়ভিত্তিক ইসলামী কল্যাণরাষ্ট্র কায়েমের জন্য সারা দেশে কর্মীরা নিরলসভাবে কাজ করছে।

জাগো নিউজ : সরকারের সফলতা ও ব্যর্থতার মূল্যায়ন কি ভাবে করবেন?
হাসানাত আমিনী : সরকার পদ্মা সেতুর কাজ শুরু, রাস্তাঘাট তৈরি, সরকারি চাকরিজীবীদের বেতন বৃদ্ধি, ইন্টারনেট পরিসেবা ও তথ্যপ্রযুক্তির অগ্রগতি এগুলোকে আমরা অস্বীকার করি না। তবে আমরা মনে করি সরকারের সফলতার চেয়ে ব্যর্থতার পাল্লাও কম ভারী নয়।

এএম/এসকেডি/বিএ