ভিডিও EN
  1. Home/
  2. বিশেষ প্রতিবেদন

সন্ধ্যায় ক্লাস নিতে বেশি সুখ পান শিক্ষকরা!

সায়েম সাবু | প্রকাশিত: ০৭:৩৬ পিএম, ২২ ডিসেম্বর ২০১৯

অধ্যাপক এম শাহ্ নওয়াজ আলী। সদস্য, বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি)। সাবেক চেয়ারম্যান, রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রগতিশীল শিক্ষক রাজনীতির নেতৃত্ব দিয়েছেন দীর্ঘদিন।

উচ্চশিক্ষার মান, বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর অনিয়ম-দুর্নীতি, ছাত্র-শিক্ষক রাজনীতির প্রসঙ্গ নিয়ে মুখোমুখি হন জাগো নিউজ’র। বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর অনিয়ম-দুর্নীতি রোধে ইউজিসির ক্ষমতা বাড়ানোর ওপর গুরুত্বারোপ করেন। বলেন, বাংলাদেশের উচ্চশিক্ষা বিশ্বকে চ্যালেঞ্জের সক্ষমতা অর্জন করেছে। দুই পর্বের সাক্ষাৎকারের আজ থাকছে শেষটি। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন সায়েম সাবু।

জাগো নিউজ : আগের পর্বে শিক্ষা বাণিজ্যের সমালোচনা করেছেন। সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা সান্ধ্যকোর্সে ব্যস্ত টাকার বিনিময়ে। তারা ক্লাস-পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছেন বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়েও। সম্প্রতি রাষ্ট্রপতিও সমালোচনা করলেন শিক্ষকদের এমন বাণিজ্য নিয়ে…

শাহ্ নওয়াজ আলী : রাষ্ট্রপতি যথার্থই বলেছেন। এ নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের মধ্যেও দ্বিধা ছিল। সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা বাণিজ্যে যুক্ত হবেন, তা শোভনীয় নয়। জাতি গঠনে তাদের মুখ্য ভূমিকা রাখার কথা। সেই শিক্ষকরা যদি নিজের ক্লাস-পরীক্ষা রেখে অর্থের জন্য অন্যত্র ব্যস্ত থাকেন, তাহলে তাদের কাছ থেকে ভালো কিছু প্রত্যাশা করা যায় না।

আমি দেখেছি, সন্ধ্যা হলেই বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর রূপ বদলে যায়। দিনের আলোর চাইতে শিক্ষকরা সন্ধ্যায় ক্লাস নিতে বেশি সুখ পান এখন! দিনে শিক্ষকরা ক্যাম্পাসে না আসলেও রাত হলেই গাড়ি নিয়ে চলে আসেন। সান্ধ্যকোর্সের শিক্ষার্থীদের নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়ছেন শিক্ষকরা। এ চিত্র একটি জাতির জন্য কোনোভাবেই মঙ্গল বার্তা দেয় না।

আমরা ইতোমধ্যে ব্যবস্থা নিচ্ছি। সান্ধ্যকোর্স বন্ধের চিঠি প্রদান করা হয়েছে স্ব-স্ব বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে। শিক্ষার সঙ্গে এমন ব্যবসা কোনোভাবেই বরদাস্ত করা হবে না।

জাগো নিউজ : বিশ্ববিদ্যালয়ে সান্ধ্যকোর্স হচ্ছে, এটা তো ইউজিসি’র মনিটরিংয়ের কথা। তাহলে এতদিন কী করা হলো?

শাহ্ নওয়াজ আলী : এমন গণহারে সান্ধ্যকোর্স হবে এটা ধারণা ছিল না। ক্ষেত্রবিশেষে প্রয়োজন অনুভব করে সান্ধ্যকোর্স চালু করেছিল কোনো কোনো বিভাগ। তাই বলে সব বিষয়েই সান্ধ্যকোর্স হতে পারে না। এছাড়া সমগ্র বিষয়টি যেহেতু বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার সৌন্দর্য্য নষ্ট করছে, সেহেতু এখনই সময় এসেছে এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নেয়ার।

জাগো নিউজ : তাহলে এখন থেকে কী বার্তা মিলবে?

শাহ্ নওয়াজ আলী : ব্যাপকভিত্তিক বাণিজ্যের বার্তা পেয়েছিলাম আমরা, যা শিক্ষার মূল কার্যক্রম ব্যাহত করছিল। এটি একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিস্থিতি হতে পারে না। জ্ঞানের সঙ্গে বাণিজ্যের কোনো সম্পর্ক নেই। জ্ঞান হচ্ছে সভ্যতা বিকাশের জন্য।

আমার বলতে কোনো দ্বিধা নেই, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা দিনের আলোর চাইতে রাতের আঁধারে ক্লাস-পরীক্ষা নিতে সুখ অনুভব করছেন। কারণ, এতে উপরি টাকা পকেটে আসছে। আমি নিজেও বাণিজ্য অনুষদের শিক্ষক। আমি দেখেছি, সান্ধ্যকোর্সের নামে যে বাণিজ্য, তা কোনোভাবেই শোভনীয় নয়।

জাগো নিউজ : সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের বেতন-ভাতা নিয়ে অসন্তোষ ছিল। বাণিজ্যে জড়িয়ে পড়া এটা একটি কারণ হতে পারে কি-না?

শাহ্ নওয়াজ আলী : আমি ১৯৭৬ সালে যখন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক হিসেবে যোগ দেই, তখন আমার বেতন ছিল সাড়ে ৪শ’ টাকা। আজ একজন প্রভাষক যোগ দেন ৩২ হাজার টাকায়। একজন মানুষের আসলে চলার জন্য কত টাকা দরকার! অর্থের পেছনে এত মোহ থাকলে তো শিক্ষকতা করার দরকার নাই, সরাসরি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে যুক্ত হওয়াই ভালো।

শিক্ষকতা আর দশটি পেশার মতো না। একজন শিক্ষকের দায় থাকে, অঙ্গীকার থাকে। শিক্ষাদান-কে ব্রত ভাবতে না পারলে, একজন শিক্ষকের আদর্শ থাকে না। তখন সে অর্থ-কে বড় করে দেখে। অথচ, অর্থ কোনোদিনই মানুষকে মহান করতে পারেনি, সম্মান দিতে পারেনি।

আমি তরুণদের বলব, যারা জাতিকে ভালো কিছু দেয়ার জন্য আসতে চাও, তারাই শিক্ষকতায় আসো। নইলে অন্য পেশায় চলে যাও। সমাজের অনেকেই অভাবে, অনাটনে থাকে। দেখবে, এরপরও তারা নীতিবোধ বিসর্জন দেয়নি।

সরকার শিক্ষকদের বেতন-ভাতা বাড়িয়েছে কয়েকগুণ। সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের জন্য স্বতন্ত্র বেতন কাঠামো রয়েছে। তারা তো বহুবিধ সুবিধা পায়। শিক্ষাব্যবস্থার আরও স্তর আছে। বেতন বৈষম্যও আছে। এরপরও যখন দেখি সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা সান্ধ্যকোর্সে বা বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ব্যস্ত থাকেন টাকার জন্য, তখন অবাক হই। মূলত শিক্ষার যে মহৎ উদ্দেশ্য, তা থেকে বিচ্যুতি ঘটার কারণেই এমনটি হচ্ছে।

জাগো নিউজ : উচ্চশিক্ষার এ বিশৃঙ্খল পরিস্থিতির জন্য অনেকেই শিক্ষক রাজনীতিকেও দায়ী করেন। প্রগতিশীল শিক্ষক সমাজের নেতৃত্ব দিয়ে এসেছেন দীর্ঘদিন। এ প্রশ্নের বিপরীতে কী বলবেন?

শাহ্ নওয়াজ আলী : প্রত্যেক মানুষের রাজনৈতিক জ্ঞান বা সচেতনতা থাকা সময়ের দাবি বলে মনে করি। কারণ, রাজনীতির মধ্য দিয়েই সমাজ, রাষ্ট্র পরিচালিত হয়। চাইলেই রাজনীতির আবশ্যকতা থেকে আপনি নিজেকে সরিয়ে রাখতে পারবেন না।

তেমনি একজন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকও রাজনীতি করবেন এবং এতে দোষের কারণ আছে বলে মনে করি না। কিন্তু ক্লাস-পরীক্ষা রেখে রাজনীতিই প্রধান পেশা মনে করছেন অনেকে। বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর জন্য এটি বড় ক্ষতি বয়ে আনছে। আমি মনে করি, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের সক্রিয় রাজনীতির কোনো প্রয়োজন নেই

দেশ এগিয়ে যাচ্ছে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ধারণ করেই। আমাদের যুদ্ধ করতে হচ্ছে না। পতাকা, সংবিধানের জন্য লড়াই করতে হচ্ছে না। এই এগিয়ে যাওয়া দেশকে সহায়তা করবেন শিক্ষকরা, তাদের জ্ঞান বিতরণের মধ্য দিয়ে। শিক্ষকের কাজ এখন মূল্যবোধ বিকাশের। ব্যক্তি স্বার্থের জন্য রাজনীতি হতে পারে না। একই কথা আমি ছাত্র রাজনীতির ক্ষেত্রেও বলব।

জাগো নিউজ : ছাত্র রাজনীতির পক্ষে-বিপক্ষে আলোচনা চলছে। বুয়েট শিক্ষার্থী আবরার হত্যার পর সমালোচনা আরও বাড়ল…

শাহ্ নওয়াজ আলী : বাংলাদেশ সৃষ্টির পেছনে ছাত্র রাজনীতি, ছাত্র আন্দোলনের অগ্রণী ভূমিকা রয়েছে। বাংলাদেশের ইতিহাস আর ছাত্র রাজনীতির ইতিহাস পরিপূরক।

কিন্তু এখন তো সেই রাজনীতির দরকার নেই। ছাত্ররা রাজনীতি করবে শিক্ষার অধিকার আদায়ে। বাঙালির ঐতিহ্য ও সাধারণ মানুষের অধিকার রক্ষার আন্দোলন করবেন শিক্ষার্থীরা। সাধারণ মানুষকে ধারণ করে ছাত্রদের রাজনীতি হওয়ার কথা। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য যে, শিক্ষক রাজনীতির মতোই ছাত্র রাজনীতি স্বার্থের দেয়ালে ঘেরা। ছাত্র রাজনীতি কল্যাণের পরিবর্তে সাধারণের কাছে ভয়ের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এ অপরাজনীতি মূলধারার রাজনীতিকেও কোনো না কোনোভাবে কলুষিত করছে।

জাগো নিউজ : বিশ্ববিদ্যালয়গুলোয় অনিয়ম-দুর্নীতির জন্য ছাত্র-শিক্ষক রাজনীতিকেও দায়ী করা হচ্ছে। এজন্য মূলধারার রাজনীতিকেও দায়ী করা যায়…

শাহ্ নওয়াজ আলী : এটা দীর্ঘ আলোচনার ব্যাপার। রাজনীতি মানেই মানুষের কল্যাণ। একজন উপাচার্যকে যখন দায়িত্ব দেয়া হয়, তখন আমরা ধরেই নেই তিনি একজন জাতির বিবেক। জাতির স্বার্থেই তার কার্যক্রম পরিচালিত হবে। কিন্তু কখনও কখনও তার ব্যতিক্রমও ঘটে।

আমি মনে করি, রাজনীতির দোহাই দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্তারা যখন অনিয়ম-দুর্নীতিতে নিমজ্জিত হন, তখন অবশ্যই তাদের শাস্তি পাওয়া উচিত।

জাগো নিউজ : কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের দুর্নীতির খবর প্রকাশিত হয়েছে। ইউজিসি’র পক্ষ থেকে তদন্তও করা হচ্ছে। কেমন দেখছেন দুর্নীতি-অনিয়ম?

শাহ্ নওয়াজ আলী : তদন্তের চূড়ান্ত প্রতিবেদন এখনও আমরা পাইনি। আমরা মোটা দাগে কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের বিরুদ্ধে অনিয়মের কথা শুনছি। তদন্তে প্রমাণ মিললে অবশ্যই উপাচার্যদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। তদন্তের আগে কিছুই বলা ঠিক হবে না।

জাগো নিউজ : ইউজিসিতে দায়িত্বপালন শেষ হতে যাচ্ছে। তৃপ্তির জায়গা থেকে কী বলবেন?

শাহ্ নওয়াজ আলী : কওমি মাদরাসার শিক্ষার্থীদের সনদ প্রদানের বিষয়টি দীর্ঘদিনের দাবি ছিল। বিষয়টি ইউজিসির পক্ষ থেকে দেখার জন্য আমাকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছিল। আমরা ডিগ্রি সমমানের সনদ দিতে পেরেছি। সমালোচনা থাকলেও এটি একটি মাইলফলক বলে মনে করি। একটি পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীকে মূলধারার শিক্ষাব্যবস্থার সঙ্গে আনার প্রয়াস। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ইচ্ছা ও আন্তরিকতা আমাদের ইতিবাচক ভূমিকায় সহায়তা করেছে।

আমরা উচ্চশিক্ষায় যুগোপযোগী পরিবর্তন এনেছি। অর্থ বাড়ানোর পাশাপাশি সময়ের সঙ্গে তাল রেখে নতুন নতুন বিভাগ খোলা হয়েছে। আসন সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে। গবেষণায় অর্থ বাড়ানো হয়েছে। উচ্চশিক্ষা অর্জনের পাশাপাশি অসাম্প্রদায়িক চেতনা ধারণ করতে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোয় অসংখ্য সভা-সেমিনারের আয়োজন করা হয়েছে। জঙ্গিবাদবিরোধী একটি মনোভাব আপনি এখন যেকোনো শিক্ষিত মানুষের মাঝে দেখতে পাবেন।

গত চার বছর ইউজিসি-তে দায়িত্বপালন করে দেখেছি, বাংলাদেশের মেধাবী শিক্ষিতরা বাইরের বিশ্ববিদ্যালয়ে গিয়ে প্রতিযোগিতা করছে। স্কলারশিপ নিয়ে বাইরে ডিগ্রি করতে যাচ্ছে হাজার হাজার শিক্ষার্থী। যদি বাংলাদেশে উচ্চশিক্ষার পরিবেশ উন্নত না হতো, তাহলে আমাদের শিক্ষার্থীরা বাইরে গিয়ে এভাবে মেধার স্বাক্ষর রাখতে পারত না। সামগ্রিক পরিবর্তন নিয়ে আমি খুবই আশাবাদী।

জাগো নিউজ : একটু ভিন্ন আলোচনা। আপনি শিক্ষক রাজনীতি করেছেন। মূলধারার রাজনীতিতে অংশ নেবেন কি-না?

শাহ্ নওয়াজ আলী : শিক্ষকতার পাশাপাশি আমি প্রগতিশীল শিক্ষকদের নেতৃত্ব দিয়ে রাজনীতি করেছি। আমি রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংকে দীর্ঘসময় চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করেছি।
এসব দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে দেখেছি, মানুষের জন্য কিছু করতে হলে, দেশের কল্যাণে নিজেকে আত্মনিয়োগ করতে হলে রাজনীতির কোনো বিকল্প নাই। আমি রংপুরে, আমার নির্বাচনী এলাকা থেকে সংসদ সদস্য পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে দুবার আবেদন করেছিলাম। দলের সভানেত্রী, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর প্রতি আস্থা রেখে নির্বাচন করা থেকে সরে এসেছি। আগামীতে নির্বাচনে অংশগ্রহণের মধ্য দিয়ে আমার রাজনৈতিক পরিক্রমার পথ আরও প্রশস্ত করতে চাই।

জাগো নিউজ : কোনো অতৃপ্তি?

শাহ্ নওয়াজ আলী : শিক্ষকতা পেশা-কে আমি ব্রত মানি। কল্যাণমুখী শিক্ষা ছাড়া মানুষের মুক্তি মেলে না। কিন্তু বস্তুবাদী সমাজে সে শিক্ষা এখনও অনুপস্থিত।

জীবন একটাই। এ জীবন সময়ের ঘেরে আটকা। এ খণ্ডকালীন জীবনে মানুষের জন্য কিছু করতে পারাই সুখের। আমি সমাজের বিত্তশালীদের প্রতি নিবেদন করি, আপনারা ওপরের দিকে না তাকিয়ে একটু নিচের দিকে তাকিয়ে হাঁটুন। তাতেই সমাজের আমূল পরিবর্তন আসবে। মানুষের সৃষ্টিই মানুষের জন্য।

আমরা বঙ্গবন্ধুর জীবনী পড়লেই সব পরিষ্কার দেখতে পাব। একজন মানুষ গোটা জীবন বিসর্জন দিয়েছেন শুধু মানুষের মুক্তির জন্য। হামলা-মামলা, জেল-জুলুম কোনো কিছুই বঙ্গবন্ধুকে তার আদর্শ থেকে বিচ্যুতি ঘটাতে পারেনি। একজন মানুষ একটি জাতিকে মুক্তি দিতে পারলে, আমরা কেন সমাজের মুক্তির জন্য সম্মিলিতভাবে কাজ করতে পারি না!

আমি বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার নিরলস প্রয়াসও আদর্শ হিসেবে মানি। তিনি বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন বাস্তবায়ন করতে দিন-রাত শ্রম দিয়ে যাচ্ছেন। জীবন বাজি রেখে মানুষের কল্যাণে এভাবে আর কোনো নেতাকে কাজ করতে দেখা যায়নি এ সময়ে। তার নেতৃত্বে বাংলাদেশ যেভাবে এগিয়ে যাচ্ছে, তাতে বিশ্ব অবাক। তার হাত ধরেই বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত কাজ বাস্তবায়ন হবে বলে বিশ্বাস করি। বাংলাদেশ মানে বঙ্গবন্ধু, বাংলাদেশ মানে শেখ হাসিনা।

এএসএস/এমএআর/জেআইএম