ভিডিও EN
  1. Home/
  2. বিশেষ প্রতিবেদন

কাশ্মীরের উন্নয়নে ৩৭০ ধারা বাতিল জরুরি ছিল

সায়েম সাবু | প্রকাশিত: ০৯:৫২ পিএম, ০৯ সেপ্টেম্বর ২০১৯

শাহরিয়ার কবির। সাংবাদিক, কলামিস্ট, প্রামাণ্যচিত্র নির্মাতা। একজন খ্যাতনামা শিশু সাহিত্যিক হিসেবেও পরিচিত তিনি। বাংলাদেশের স্বাধীনতাবিরোধী শক্তির বিরুদ্ধে সোচ্চার ভূমিকা পালন করছেন দীর্ঘদিন ধরে। ঘাতক-দালাল নির্মূল কমিটির নির্বাহী সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।

সাংবাদিকতা ও গবেষণার স্বার্থে কাশ্মীরে গেছেন বহুবার। লিখছেন, কাশ্মীরের সংগ্রাম-রাজনীতি, ইতিহাস-ঐতিহ্য নিয়ে। সম্প্রতি কাশ্মীর, আসাম, রোহিঙ্গা প্রসঙ্গ নিয়ে মুখোমুখি হন জাগো নিউজ- এর। দীর্ঘ সাক্ষাৎকারে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণের পাশাপাশি নিজস্ব মতামতও ব্যক্ত করেন।

তিন পর্বের সাক্ষাৎকারের আজ থাকছে প্রথমটি। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন সায়েম সাবু

জাগো নিউজ : শুরুটা করতে চাই ভারত প্রসঙ্গ দিয়ে। আপনি বহুবার কাশ্মীরে গেছেন। কাশ্মীর প্রসঙ্গে বইও লিখেছেন। ভারতের সংবিধান থেকে ৩৭০ অনুচ্ছেদ বাতিলের ঘটনা কীভাবে পর্যবেক্ষণ করছেন?

শাহরিয়ার কবির : আমি এটিকে বিচ্ছিন্নভাবে দেখছি না। সোভিয়েত ইউনিয়নের পতনের পর বিশ্বজুড়ে দক্ষিণপন্থার উত্থান ঘটেছে। সমাজতন্ত্রের পতনের পর আমরা আফগান জিহাদ লক্ষ্য করেছি। তালেবান, আল-কায়েদার মতো সংগঠন যুক্তরাষ্ট্র তৈরি করেছে। সোভিয়েত ইউনিয়নের পতন ঘটেছে ঠিক-ই, তবে এ সংগঠনগুলোর তো জায়গার দরকার ছিল। মধ্যপ্রাচ্যের পাশাপাশি কাশ্মীরে তারা অবস্থান নেয় সে সময়ে।

১৯৮৯ সালে সোভিয়েত ইউনিয়নের পতনের পরপরই কাশ্মীরে জঙ্গি মৌলবাদের বিস্তার ঘটে। ২০০০ সালে ‘কাশ্মীরের আকাশে মৌলবাদের কালোমেঘ’ নামে আমার একটি বই বের হয়। বইটিতে কাশ্মীরের সাতশ বছরের ইসলামের ইতিহাস, রাজনীতি, সমাজ, সংস্কৃতি তুলে ধরা হয়। আমি দেখেছি, ভারতের সবচেয়ে সেক্যুলার রাজ্য ছিল কাশ্মীর। কাশ্মীরিদের মতো অসাম্প্রদায়িক মানুষ এ উপমহাদেশে ছিল না।

১৯৪৭ সালের আগে ভারতজুড়ে সংঘাত হয়েছিল, শুধু কাশ্মীর বাদে। মহাত্মা গান্ধী সেই সময় বলেছিলেন, ‘ধর্মনিরপেক্ষ ভারতের একমাত্র আশার আলো হচ্ছে কাশ্মীর।’ হিন্দুরা গরুকে দেবতা মানে বলে কাশ্মীরের মুসলমানরা গরুর মাংস খেত না। এরও ইতিহাস আছে। মুসলমান শাসকরাই গরুর মাংস খাওয়া বন্ধ করেছিল।

অনেকেই কাশ্মীরের ইতিহাস না জেনে কথা বলেন। পাকিস্তানের দৃষ্টিভঙ্গি থেকেই অনেকে মত দিচ্ছেন।

জাগো নিউজ : কাশ্মীরের সমাজে পরিবর্তনটা ঠিক কখন দেখা গেল?

শাহরিয়ার কবির : ১৯৪৭ সালে পাকিস্তান কাশ্মীর দখলের চেষ্টার মধ্য দিয়েই পরিবর্তনটা ঘটতে থাকল। কাশ্মীর স্বাধীন থাকার কথা ছিল। ১৯৪৭ সালের অক্টোবর মাসে পাকিস্তান প্রথম তাদের উপজাতিদের পাঠাল কাশ্মীর দখলের জন্য। তারা একটার পর একটা শহর দখল করতে থাকল। এরপর ওই বছরের ২১ অক্টোবর পাকিস্তান তাদের সৈন্যবাহিনী পাঠাল। কাশ্মীরের মহারাজার সৈন্যরা পাকিস্তানের সৈন্যদের মোকাবিলা করতে থাকল। কিন্তু ব্যর্থ হচ্ছিল। পরে মহারাজা ভারতের সাহায্য প্রত্যাশা করল। এ সময় ২৬ অক্টোবর এক বিশেষ চুক্তির মধ্য দিয়ে কাশ্মীর ভারতের অংশ হয়ে গেল।

কাশ্মীর নিয়ে ভারত প্রথম জাতিসংঘে নালিশ করে। জাতিসংঘের প্রস্তাব ছিল, কাশ্মীর থেকে ভারত ও পাকিস্তানকে সরে আসতে হবে এবং গণভোটের মাধ্যমে কাশ্মীরিরা সিদ্ধান্ত নেবে। এ নিয়ে পাকিস্তান-ভারত কোনো যুদ্ধে জড়াবে না।

পাকিস্তান সৈন্য সরাল না। ভারতও সরে এলো না। ১৯৬৫ সালে পাকিস্তান-ভারত যুদ্ধও হলো কাশ্মীর নিয়ে। ফলে আগের চুক্তি সব ভেস্তে গেল। কাশ্মীরের সংকট ঠিক তখন থেকেই তীব্র হলো।

জাগো নিউজ : ৩৭০ ধারা বাতিল এ সংকটকে বাড়াল না-কি প্রশমিত করল?

শাহরিয়ার কবির : ৩৭০ ধারা থাকার কারণে কাশ্মীর উন্নয়নের ধারা থেকে বঞ্চিত হয়েছে। ভারতের অন্য রাজ্যগুলো থেকে তারা পিছিয়ে। কাশ্মীরে শিক্ষার উন্নয়ন হলো। কিন্তু শিল্পায়ন হলো না। এতে হাজার হাজার শিক্ষিত বেকার তৈরি হতে থাকল। হাজার বছর ধরে হস্তশিল্পে তারা সুনাম কুড়িয়ে আসছে। কাশ্মীরি শাল, চাদর জগৎখ্যাত। কিন্তু ভারতের অন্য রাজ্যগুলোর সঙ্গে তাল মেলাতে পারছিল না। শিল্পায়ন করতে হলে বিনিয়োগ দরকার। কিন্তু বিনিয়োগের মতো অর্থ ছিল না তাদের।

৩৭০ ধারা কাশ্মীরে ভারতের পুঁজি সরবরাহ বন্ধ করে দিয়েছিল। শিল্পায়নের জন্য জমির দরকার। ভারতের শিল্পপতিরা কাশ্মীরে জমি কিনতে পারেনি। আমি কাশ্মীর ঘুরে এসে যে বই লিখেছিলাম, সেখানে ৩৭০ ধারা বাতিলের কথা বলেছি। কাশ্মীরের উন্নয়নের জন্যই ৩৭০ ধারা বাতিল জরুরি ছিল। কারণ বিশেষ মর্যাদার নামে তারা বছরের পর বছর ধরে বঞ্চিত হয়ে আসছিল।

জাগো নিউজ : উন্নয়ন হবে কি হবে না, অথবা কোন পন্থায় হবে- সেটা তো কাশ্মীরিদের চাওয়ার ব্যাপার। তারা তো ভারতের মূলধারার উন্নয়নে যুক্ত না হয়ে বরং লড়াই করে আলাদা থাকতে চেয়েছে...

শাহরিয়ার কবির : আমি বহুবার কাশ্মীরে গিয়েছি। বহুদিন থেকেছি। কাশ্মীর নিয়ে ধারাবাহিক লিখেছি। মূল কাশ্মীরে মুসলমানরা বেশি। কাশ্মীরের আরও দুটি অংশ ছিল জম্মু ও লাদাখ। জম্মুতে হিন্দু বেশি। লাদাখে বৌদ্ধ বেশি। সব মিলে হচ্ছে কাশ্মীর এবং মুসলমানের সংখ্যাই বেশি।

ধর্মীয় সহিংসতা কাশ্মীরে ছিল না। জামায়াতে ইসলামীর মতো দলের কারণে হয়েছে। কাশ্মীরের পাকিস্তানের অংশের চেয়ে ভারতের অংশ অনেক উন্নত। ভারতের অর্থনীতির সঙ্গে পাকিস্তানের উন্নয়ন মেলালেই হবে। ভারতের শিল্পনীতি কাশ্মীরে প্রযোজ্য হয়নি ওই ৩৭০ ধারার কারণে।

কাশ্মীরের পশ্চাৎপদ অর্থনীতি আর সুশাসনের অভাব রয়েছে। গত সপ্তাহে ফারুক আব্দুল্লাহ সাক্ষাৎকারে বলেছেন, ‘জম্মু থেকে বিদ্যুৎ ভারতে যাচ্ছে। অথচ কাশ্মীরে বিদ্যুৎ উৎপাদন করব, সে অর্থ নেই আমাদের কাছে।’ কেন্দ্রীয় সরকার বলছে, আমরা টাকা দিচ্ছি, তারা খরচ করছে না। এমন সমস্যা সব ক্ষেত্রেই দেখা দিল।

কাশ্মীরে মূলত মিলিটেন্সি (চরমপন্থা) শুরু হলো নির্বাচন-কে কেন্দ্র করে। হুরিয়াত কনফারেন্সের পর ১৯৮৬ সালে সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলো বলল, ভারতের অধীনে নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হবে না। তারা নির্বাচন বয়কট করে সন্ত্রাসের জন্ম দিল ধারাবাহিকভাবে। হুরিয়াত নেতাদের সঙ্গে আমি কথা বলেছি। জম্মু-কাশ্মীর লিবারেশন ফ্রন্ট কাশ্মীরের স্বাধীনতার কথা বলছে। জামায়াতে ইসলামী পাকিস্তানের সঙ্গে যুক্ত থাকার কথা বলছে। জামায়াতের আমিরের সঙ্গেও আমি কথা বলেছি। তার মানে কাশ্মীরের মানুষের তিনটি অবস্থান। কেউ ভারতের সঙ্গে থাকতে চান। কেউ পাকিস্তানে যুক্ত হতে চান। আবার কেউ চান স্বাধীন হতে।

জাগো নিউজ : এখন কোনটি গুরুত্ব পাচ্ছে?

শাহরিয়ার কবির : প্রেক্ষাপট না বুঝলে কাশ্মীরিদের অবস্থান সম্পর্কে পরিষ্কার ধারণা রাখা যায় না। ২০০০-০১ সালে আমি হুরিয়াত কনফারেন্স, ন্যাশনাল কনফারেন্স, জেকেএলএফ, মুফতি মেহবুবার দল, জামায়াতে ইসলাম, বিজেপি- সবার সঙ্গে কথা বলেছি। কাশ্মীর নিয়ে অটল বিহারী বাজপেয়ীর সঙ্গেও কথা বলেছি।

তখনকার মন্ত্রী আনসারী সাহেবকে উল্লিখিত তিন ধরনের অবস্থানের কথা বলেছিলাম। তিনি বললেন, ‘দেখেন, ভারত বলছে, কাশ্মীর ভারতের। পাকিস্তান বলছে, তাদের। এ নিয়ে তিনটি যুদ্ধও হলো। কিন্তু আমাদের জিজ্ঞাসা করছে না, আমরা কাশ্মীরিরা কী চাই?’

আমি হুরিয়াত নেতাদের অভিব্যক্তির কথা জানালাম। আনসারী সাহেব বললেন, ‘দেখেন, হুরিয়াতের কোনো কোনো নেতা কাশ্মীরের স্বাধীনতার কথা বলেন। তবে বেশির ভাগ নেতা পাকিস্তানের সঙ্গে যুক্ত হতে চান। কাশ্মীরের স্বাধীনতা প্রহসনের দাবি ছাড়া আর কিছুই নয়।’

জাগো নিউজ : এর ব্যাখ্যা কী দিলেন আনসারী?

শাহরিয়ার কবির : আমিও প্রশ্ন করলাম, কেন প্রহসন বলছেন? তিনি বললেন, ‘ধরুন আজ সকালে ভারত ও পাকিস্তান কাশ্মীর থেকে তাদের সৈন্য প্রত্যাহার করল। পরের দিন হয় চীনের সৈন্য নতুবা যুক্তরাষ্ট্রের সৈন্য অবস্থান নেবে এবং সেটা ভৌগোলিক গুরুত্ব বিবেচনা করেই আসবে। কাশ্মীরের সঙ্গে সীমানা রয়েছে চীনের ও রাশিয়ার, আছে আফগানিস্তান, ভারত ও পাকিস্তানের। এমন একটি জায়গায় বড় শক্তিগুলো অরক্ষিত রাখবে না। চীন ও পাকিস্তান তো কাশ্মীরের অংশ দখল করেছে। অবস্থানের কারণেই কাশ্মীর স্বাধীন থাকতে পারবে না আর এটিই হচ্ছে বাস্তবতা।’

আমি তাকে ফের প্রশ্ন করলাম, আপনার কাছে পাকিস্তান না-কি ভারত গুরুত্ব পাবে? তিনি বললেন, ‘অবশ্যই আমার কাছে ভারত গুরুত্ব পাবে। পাকিস্তান এমন একটি রাষ্ট্র, যেখানে গণতন্ত্র বলতে কিছু নেই। দেশটির অর্থনীতি ভেঙে পড়েছে। মানবাধিকার, সাম্প্রদায়িক পরিস্থিতি ভারতের চেয়ে অনেক খারাপ। আমরা ভারতেই থাকতে চাই। তবে আমি মনে করি, কাশ্মীরের রাজ্য সরকারের হাতে আরও বেশি ক্ষমতা দেয়া দরকার। লাইন অব কন্ট্রোল-কে আন্তর্জাতিক সীমানা ঘোষণা করা উচিত। এটিই বাস্তবতা।’

জাগো নিউজ : একজন মন্ত্রীর প্রতিক্রিয়ার কথা জানালেন। কাশ্মীরের সাধারণ মানুষের পরিসংখ্যানগত সিদ্ধান্ত কী হতে পারে?

শাহরিয়ার কবির : আমি তাকে গণভোটের কথা বলেছিলাম। কিন্তু কীসের ভিত্তিতে হবে গণভোট? ভারতের সংবিধান না-কি পাকিস্তানের সংবিধানে? কেউ জাতিসংঘ অথবা এনজিও’র তত্ত্বাবধানে গণভোট হওয়ার কথা বলেন। কে কারটা মানবে?

ভারত তো এমন ভোটে যাবে না। তাদের দাবি, আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী কাশ্মীর তাদের। আমি সাধারণ মানুষের সঙ্গে কথা বলেছি। গ্রামের সাধারণ মানুষের কাছে কাশ্মীর ভারতে থাকল, না-কি পাকিস্তানে গেল, তাতে কিচ্ছু যায়-আসে না। তাদের সমস্যা ‘রুটি-রুজি, বেঁচে থাকা’।

কাশ্মীরে মানুষ মারা যাচ্ছে। গণহত্যা হচ্ছে। ভারতের সেনাবাহিনীর হাতে মানুষ মারা যাচ্ছে। পাকিস্তানের মুজাহিদিনদের হাতে মানুষ মারা যাচ্ছে। অথচ সাধারণরা জানে না যে, তারা কেন মারা যাচ্ছে?

আমি সেখানকার একটি এতিমখানায় গিয়ে তিনটি শিশুর সঙ্গে কথা বলেছি। প্রথম শিশু বলল, তার বাবা পাকিস্তান থেকে আসা মুজাহিদিনদের হাতে মারা গেছে। পরের জন বলল, ইন্ডিয়ার আর্মি আমার বাবাকে মেরেছে। শেষের জন বলল, আমার বাবা ইন্ডিয়ান আর্মি ও মিলিশিয়াদের গোলাগুলিতে ক্রসফায়ারে পড়ে মারা গেছে। এটিই কাশ্মীরের চিত্র।

আমি পরের দিন কাশ্মীরের জামায়াতের আমির আলী শাহ গিলানীর সঙ্গে কথা বললাম। বললাম, জিহাদ শুরুর পর থেকে কত লোক মারা গেছে? বললেন, আনুমানিক ৬০ হাজার হবে। ২০০০ সালের কথা। তিনি বললেন, ৩৫ হাজারের মতো বাচ্চা এতিম হয়েছে। ২০ হাজারের মতো বিধবা হয়েছে। আমি বললাম, এতিম ও বিধবাদের পুনর্বাসনের জন্য আপনাদের কোনো কর্মসূচি আছে? তিনি বললেন, এটি কেন্দ্রীয় (ভারত) ও রাজ্য সরকারের দায়।

তখন আমি বললাম, আপনারা ইন্ডিয়ার বিরুদ্ধে জিহাদ ঘোষণা করেছেন। অথচ দায় নিচ্ছেন না। তিনি বললেন, মানুষ হত্যা করছে ইন্ডিয়ান আর্মি, আমরা দায় নেব কেন? অথচ গিলানীর গ্রামের বাড়ি সেনাবাহিনী পুড়িয়ে দিয়েছে বলে শ্রীনগরে ভারত সরকারের দেয়া বিশাল বাড়িতে তখন তিনি অবস্থান করছিলেন। বাড়িতে পাহারায় ছিলেন ইন্ডিয়ান আর্মিরাই।

প্রশ্ন হচ্ছে, সাধারণ মানুষ কী চায়? ৭০ ভাগ মানুষ আমাকে বলেছে, তারা শান্তি চায়। তারা বলেছে, শান্তি থাকলে ট্যুরিস্ট আসবে। ট্যুরিস্ট আসলে আয় বাড়বে। আমরা ভালো থাকব।

এএসএস/এমএআর/পিআর

আরও পড়ুন