উপাদান ছাড়াই দায়ের হয় পিটিশন মামলা
>> সাইবার ট্রাইব্যুনালে পিটিশন মামলা ৪২০টি
>> উপাদান না থাকায় ৯৮টি মামলা খারিজ
>> এজাহার হিসাবে গ্রহণ ১০টি মামলা
>> বাকি মামলাগুলো তদন্তের জন্য নির্দেশ
‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ একটি প্রত্যয়, একটি স্বপ্ন। একুশ শতকে দেশকে ডিজিটাল বাংলাদেশ হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে বর্তমান সরকার শপথ নেয়। এ লক্ষ্যে ইতোমধ্যে বিভিন্ন কার্যক্রম শুরু করেছে সরকার। ডিজিটাল যুগে অপরাধও হচ্ছে ডিজিটালভাবে। ডিজিটাল অপরাধীদের রুখতে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইন সংশোধন করে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে (২০১৮ সালের ১০ অক্টোবর) রূপান্তরিত করা হয়েছে। এ আইনে মামলাও হচ্ছে বেশ। কিন্তু অধিকাংশ পিটিশন মামলা উপাদান ছাড়াই দায়ের করা হচ্ছে।
অভিযোগ প্রমাণের মতো কোনো সাক্ষ্যপ্রমাণ না থাকায় মামলাগুলো খারিজ করে দিচ্ছেন ট্রাইব্যুনাল। জাগো নিউজের অনুসন্ধানে দেখা গেছে, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন প্রণয়ন হওয়ার পর থেকে এখন পর্যন্ত (২০১৯ সালের ৩১ জুলাই) সাইবার ট্রাইব্যুনালে পিটিশন মামলা হয়েছে ৪২০টি। এর মধ্যে মামলা গ্রহণ করার মতো উপাদান না থাকায় ৯৮টি খারিজ করা হয়েছে। ১০টি মামলা এজাহার হিসাবে গ্রহণের জন্য বিভিন্ন থানাকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। বাকি মামলাগুলো তদন্তের জন্য নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
বিচারক আদেশে বলেন, বাদী অভিযোগ দিয়েছেন, তা ফৌজদারি কার্যবিধি ২০০ ধারায় জবানবন্দি গ্রহণ করা হয়েছে। অভিযোগ, অভিযোগ সম্পৃক্ত কাগজপত্রাদি ও বাদীর জবানবন্দি পর্যালোচনা করা হয়েছে। বাদীপক্ষ যে অভিযোগ দাখিল করেছেন তা গ্রহণ করার মতো সুনির্দিষ্ট কোনো উপাদান নাই। তাই অভিযোগ খারিজ করা হলো।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলার মাধ্যমে অন্যকে হয়রানি করা খুব সহজ। অন্যকে হয়রানি করার জন্য অনেকে এ মামলাকে হাতিয়ার হিসেবে বেছে নেন। যারা অন্যকে হয়রানি করার জন্য এ ধরনের মিথ্যা মামলা করেন তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিতে হবে।
পিটিশন মামলা- ১
২০১৯ সালের ২২ জুলাই মিরপুরের কোং এন্ড সন্স লিমিটেডের মালিক মোজাম্মেল হোসেন বাদী হয়ে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ২৫/২৯/৩৫ ধারায় সাইবার ট্রাইব্যুনালে একটি পিটিশন মামলা দায়ের করেন। তাকে আইনগত সহযোগিতা করেন অ্যাডভোকেট শাহানুর সুমন।
মামলায় আসামি করা হয় চট্টগ্রামের ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজির ইউ এম ই মমিনুল, বরিশালের বাকেরগঞ্জ থানার চামটা গ্রামের রাইহান উদ্দিন এবং পূর্ব রামপুরার হোমল্যান্ড সিকিউরিটি গার্ড সার্ভিসেস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শাহিরুল ইসলাম সিকদারকে। এছাড়া আরও ১০/১২ জন অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়।
মামলার অভিযোগে মোজাম্মেল বলেন, ‘আমি দীর্ঘদিন যাবৎ সুনামের সাথে কোং অ্যান্ড সন্স লিমিটেডের কর্ণধার হিসেবে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করে আসছি। মামলার আসামি রাইহান উদ্দিন ও শাহিরুল ইসলাম সিকদারের সাথে ব্যবসায়িক বিরোধ ছিল। আসামি মমিনুল গত ২ জুলাই দুপুরে মোবইল ও টিএন্ডটি নম্বরে ফোন করে পাঁচ লাখ টাকা দাবি করেন। টাকা না দিলে যেকোনো সময়ে তুলে নিয়ে যাবেন এবং আরও জানায়, তাদের সংঘবদ্ধ গ্রুপ আছে। তাদের গ্রুপের কথা মতো চাঁদার টাকা পরিশোধ না করলে আমাকে প্রাণে মেরে ফেলবে। ৯ জুলাই আসামি মমিনুল, রাইহান উদ্দিন ও শাহিরুল ইসলাম সিকদার ফেসবুক ওয়ালে বাদীর নামে একটি পোস্ট করেন। সেখানে কোটি কোটি টাকা বিভিন্ন লোকের কাছ থেকে চাকুরীর কথা বলে হাতিয়ে নিয়েছেন বলে উল্লেখ করা হয়। এছাড়া আমাকে ধরিয়ে দিতে পারলে পুরস্কার দেয়া হবে বলে ঘোষণা দেয়া হয়।’
‘আমার বিরুদ্ধে আসামিদের আক্রমণাত্মক, মিথ্যা ও ভীতি প্রদর্শন এবং মানহানিকর তথ্য প্রকাশ ও প্রচার করিয়া ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ২০১৮ এর ২৫/২৯/৩৫ ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন। যা আদালতের এখতিয়ারাধীন এবং বিচার্য বিষয়। উল্লেখিত বিষয় নিয়ে আমি থানায় গেলে থানা কর্তৃপক্ষ আদালতে মামলা দায়েরের পরামর্শ দেন। তাই আমি আদালতে এসে মামলাটি দায়ের করি।’
বিচারক আদেশে বলেন, ‘অভিযোগকারী মো. মোজাম্মেল হোসেন কর্তৃক অভিযুক্ত মমিনুলসহ চারজনের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ২০১৮ এর ২৫/২৯/৩৫ ধারায় অভিযোগ দায়ের করা হয়। অভিযোগটি পিটিশন মামলা হিসাবে নিবন্ধন করা হইল। মামলা গ্রহণ করার মতো সাক্ষ্যপ্রমাণ না থাকায় মামলাটি খারিজ করে দেয়া হলো।’
এ বিষয়ে মোজাম্মেল হোসেন জাগো নিউজকে বলেন, ‘আসামিরা আমাকে ভীতি প্রদর্শন করে মানহানিকর তথ্য প্রকাশ ও প্রচার করিয়া অপরাধ করেছে। মহামান্য আদালতের কাছে এর প্রতিকার চেয়ে একটি পিটিশন মামলা দায়ের করি। আদালত তা খারিজ করে দিয়েছেন। এর বিরুদ্ধে আমি উচ্চ আদালতে যাব।’
আইনজীবী শাহানুর সুমন জাগো নিউজকে বলেন, ‘মামলা খারিজ করা সম্পূর্ণ আদালতের এখতিয়ার।’
মামলার আসামি মমিনুল বলেন, ‘সম্পূর্ণ মিথ্যাভাবে আমাদের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছিল। যার কোনো সাক্ষ্যপ্রমাণ নেই। এর কোনো ভিত্তিও নেই। আল্লাহ আমাদের মিথ্যা মামলা থেকে হেফাজত করেছেন।’
পিটিশন মামলা- ২
চলতি বছরের ১৬ জুলাই ঢাকা জেলার নবাবগঞ্জ থানার মাঝিরকান্দা গ্রামের বাসিন্দা আবুল খায়ের (আবু) বাদী হয়ে একই গ্রামের বাসিন্দা মান্না হকের বিরুদ্ধে ডিজিটাল আইন ২০১৮ এর ২৩/২৪/২৫/২৯ ধারায় একটি মামলা করেন। মামলায় তাকে আইনি সহায়তা করেন সাইফুল ইসলাম।
মামলার অভিযোগে তিনি উল্লেখ করেন, ‘চলতি বছরের ৩ জুলাই মান্নান হক তার ফেসবুক আইডিতে পোস্ট করেন যে, মাঝির কান্দার কুখ্যাত আন্তঃজেলার ডাকাত আবুল খায়ের আবু। তিনি বিভিন্ন থানার এক ডজন ডাকাতি মামলার আসামি। তিনি তার আপন ছোট ভাইয়ের শ্বশুরের বাড়িতে ডাকাতি করেন। পাদরি কান্দার লাইসেন্স করা বন্দুক ডাকাতি মামলার আসামি তিনি। হযরতপুরের চারটি ডাকাতি মামলার আসামি ও দোহার থানার তিনটি ডাকাতি মামলার আসামিও তিনি। তিনি ঢাকা জেলা যুবলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক দেওয়ান মোছালেম উদ্দিনের ছায়ায় বিভিন্ন অপকর্মে বহু বছর ধরে জড়িত। মাদক ব্যবসার মূলহোতা এবং তার নামে সাধারণ মানুষ মুখ খুলতে গেলে বিভিন্ন মিথ্যা মামলায় হয়রানি হতে হয়। এ কুখ্যাত ডাকাতের হাত থেকে এলাকাবাসী মুক্তি চায়।’
এর কিছুক্ষণ পর আরও একটি পোস্ট করেন তিনি। সেখনে উল্লেখ করেন, ‘মাঝির কান্দার আবুল খায়ের আবু, তিনি বিভিন্ন থানার বহু ডাকাতি মামলার আসামি। তার জীবনের শুরু ছিনতাই ও মেয়েদের দেহ ব্যবসা দিয়ে। আজ তিনি কোটি টাকার মালিক। তার নাম শুনলেই এলাকার মা ও বোনদের বুক কেপে ওঠে। কিছুদিন আগে বান্দুরা সারকে যে জোড়া খুন হয়, ক্রস ফায়ারের আসামি নাকি তার নাম বলে গেছে। তারপরও সে দাপটের সাথে বিভিন্ন অপকর্ম চালিয়ে যাচ্ছে। বর্তমান উপজেলার চেয়ারম্যান নাসির উদ্দিন ঝিলু ভাই ও ভাইস চেয়ারম্যান তাবির হোসেন খাঁন (পাবেল) ভাইকে বিনয়ের সাথে বলছি, আপনরা দুজন আমাদের অভিভাবক। আমরা আপনাদের সন্তানের সমতুল্য। এ কুখ্যাত ডাকাতের হাত থেকে রক্ষা করুন। এ দায়িত্বটা আপনাদের দুজনের। দায়িত্বে অবহেলা করলে রোজ হাশরের মাঠে জবাবদিহি করতে হবে। এ কুখ্যাত ডাকাতের ব্যাপারে পুলিশ নীরব ভূমিকা পালন করতেছে।’
গত ২৬ জুন ও ১ জুলাই আসামি তার ছদ্মনাম ‘মুছাফির বনিক’ ব্যবহার করে উপরোক্ত বক্তব্য ফেসবুকে পোস্ট করেন। যা বাদী ১৩ জুলাই তার মোবাইলে দেখতে পান। আসামি নিজে ও ছদ্মনাম ধারণ করে আমার বিরুদ্ধে কুৎসা রটিয়ে বাদীর ব্যক্তিগত ক্ষতি ও মানহানি করায় এবং আমাকে ভীতি প্রদর্শন করায় ডিজিটাল আইন ২০১৮ এর ২৩/২৪/২৫/২৯ ধারায় অপরাধ করেছেন। আসামির বিরুদ্ধে উক্ত ফেসবুক পোস্ট করাতে বাদী মর্মাহত, অপমানিত, লজ্জিত বোধ করেন। পরবর্তীতে বাদী নিরুপায় হয়ে নবাবগঞ্জ থানায় মামলা করতে গেলে থানা কর্তৃপক্ষ মামলা গ্রহণ না করে সাইবার ট্রাইব্যুনালে মামলা করার পরামর্শ দিলে এ মামলা দায়ের করেন।
বিচারক আদেশে বলেন, ‘অভিযোগকারী আবুল খায়ের (আবু) কর্তৃক অভিযুক্ত মান্নান হকের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ২০১৮ এর ২৩/২৪/২৫/২৯ ধারায় অভিযোগ দায়ের করা হয়। অভিযোগটি পিটিশন মামলা হিসেবে নিবন্ধন করা হইল। ফৌজদারি কার্যবিধি ২০০ ধারায় বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করিলাম। অভিযোগ, অভিযোগ সম্পৃক্ত কাগজপত্রাদি, বাদীর জবানবন্দি পর্যালোচনা করিলাম। বাদীপক্ষে দাখিলীয় অভিযোগের সুনির্দিষ্ট কোনো উপাদান নাই। তর্কিত স্ক্রিন শটে কোনো ইউআরএল (url) নাই। সুতরাং, অভিযোগটি খারিজ করা হইল।‘
অভিযোগকারী আবুল খায়ের আবু জাগো নিউজকে বলেন, ‘অভিযুক্ত মান্নানের বিরুদ্ধে পর্যাপ্ত পরিমাণ সাক্ষ্যপ্রমাণ রয়েছে। এ বিষয়ে আমার এলাকার লোকজন ভালো জানেন। তদন্ত দিলে এর মূল রহস্য উদঘাটন হতো। আমি সাক্ষ্যপ্রমাণ নিয়ে সাইবার আদালতে মামলাটি দায়ের করি। কিন্তু বিচারক মামলাটি খারিজ করে দিয়েছেন।’
বাদীপক্ষের আইনজীবী সাইফুল ইসলাম জাগো নিউজকে বলেন, ‘পর্যাপ্ত সাক্ষ্যপ্রমাণ নিয়ে মামলাটি দায়ের করি। আদালত মামলাটি খাজির করে দেন।’
বাংলাদেশ সাইবার ট্রাইব্যুনালে যেসব মামলা খারিজ করে দিয়েছে সেগুলোর প্রায় সবগুলোরই একই দশা! কোনোটিতে মামলা গ্রহণ করার মতো উপাদান নেই। আবার কোনোটিতে মামলা গ্রহণ করার মতো পর্যাপ্ত সাক্ষ্যপ্রমাণও নেই।
ঢাকা মহানগর পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) আব্দুল্লাহ আবু বলেন, ‘ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের কিছু পিটিশন মামলা গ্রহণ করার মতো সাক্ষ্যপ্রমাণ না থাকায় বিচারক মামলাগুলো আমলে না নিয়ে খারিজ করে দেন। অধিকাংশ মামলার ধারার সাথে ঘটনার মিল থাকে না। আবার অনেক মামলা অন্যকে হয়রানি করার জন্য করা হয়। আদালত নথি পর্যালোচনা করে মামলা গ্রহণ করার মতো কোনো উপাদান খুঁজে পান না। তাই মামলা খারিজ করে দেন। এ ধরনের মামলা করার ক্ষেত্রে বাদীকে আরও সচেতন হতে হবে। আর যারা মিথ্যা মামলা করেন তাদের শাস্তির আওতায় আনতে হবে।’
বাংলাদেশ সাইবার ট্রাইব্যুনালের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) নজরুল ইসলাম শামীম বলেন, ‘ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনটি নতুন। অনেকেই এ আইনের বিষয়ে ভালো জ্ঞান বা ধারণা রাখেন না। সামান্যতম কিছু ইলেক্ট্রনিক ডিভাইজে প্রচার হলেই মনে করে মামলা হয়ে যাবে। অনেকে আবার মানহানির সংজ্ঞা কী, তাও বোঝেন না। ইলেক্ট্রনিকে কিছু প্রচার হলেই আদালতে মামলা করতে আসে। আদালত তখন মামলা খারিজ করে দেন। অনেক সময় অন্যকে হয়রানি করার জন্য অনেকে মামলা করতে আসেন। আদালত যখন বোঝেন তখন মামলাটি খারিজ করে দেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘অনেক সময় স্ক্রিন শটে লিংক থাকে না। স্কিন শটে লিংক না থাকলে মামলা নিয়ে তদন্ত করে কোনো ফলাফল আসবে না। তাই আদালত মামলা খারিজ করে দেন। আবার অনেক সময় রাজনৈতিকভাবে হয়রানি করতে অনেকে মামলা করেন। মূলতা লিংক, কনটেইন ও সংজ্ঞার আওতায় না আসায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের পিটিশন মামলা খারিজ করে দেন আদালত।’
বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার জ্যোতির্ময় বড়ুয়া জাগো নিউজকে বলেন, ‘ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলার মাধ্যমে অন্যকে হয়রানি করা খুব সহজ। এ আইনে কেউ গ্রেফতার হলে সহজে জামিন পান না। অনেকে অন্যকে হয়রানি করার জন্য এ আইনের মামলাকে হাতিয়ার হিসেবে বেছে নেন। যারা অন্যকে হয়রানি করার জন্য এ ধরনের মিথ্যা মামলা করে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিতে হবে। এতে অপরাধ অনেকটাই কমে আসবে।’
আইনজীবী ফারুক আহম্মেদ বলেন, ‘ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের অধিকাংশ মামলা অন্যকে হয়রানির জন্য করা হয়। এছাড়া সামান্য বিষয়কে কেন্দ্র করে অনেকে মামলা করতে আদালতে আসেন। মামলা গ্রহণের মতো সামান্যতম কোনো উপাদানই থাকে না। এ ধরনের মামলা যারা করেন তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিতে হবে।’
জেএ/এমএআর/এমকেএইচ