শ্রমিক সন্তুষ্ট থাকলে ব্যবসা ভালো হবেই
শোভন ইসলাম। ব্যবস্থাপনা পরিচালক, স্প্যারো গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজ। পেশায় কম্পিউটার বিজ্ঞানী। কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে মাস্টার্স করেছেন ইউনিভার্সিটি অব টেক্সাস অ্যাট অস্টিন থেকে। ক্যালিফোর্নিয়ার প্রখ্যাত স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এমবিএ করেছেন। চাকরি করেছেন বিশ্বখ্যাত প্রতিষ্ঠান হিলেট প্যাকার্ড ও মাইক্রোসফটে।
দেড় দশক আগে বাবার অনুরোধে দেশে ফিরে হাল ধরেন গার্মেন্ট ব্যবসার। বাবার গড়া প্রতিষ্ঠানে দুই হাজার শ্রমিকের হাত ধরে যাত্রা শুরু করলেও এখন প্রায় ১৪ হাজার শ্রমিক কাজ করছেন। দেশের বাইরে জর্ডানেও গার্মেন্ট ফ্যাক্টরি করে ২২শ’ বাংলাদেশি নারী শ্রমিককে নিয়োগ দিয়েছেন। শুরুতে শত কোটি টাকার রেভিনিউ হলেও এখন তা কয়েক হাজার কোটিতে দাঁড়িয়েছে।
দীর্ঘ সাক্ষাৎকারে নিজের ব্যবসার সফলতার পাশাপাশি বাংলাদেশের গার্মেন্ট শিল্পের সমস্যা ও সম্ভাবনার কথা তুলে ধরেন। তিন পর্বের সাক্ষাৎকারের আজ থাকছে প্রথমটি।
জাগো নিউজ : ক্যালিফোর্নিয়ার প্রখ্যাত স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এমবিএ করেছেন। কম্পিউটার সায়েন্সের ওপর মাস্টার্স করেছেন ইউনিভার্সিটি অব টেক্সাস অ্যাট অস্টিন বিশ্ববিদ্যালয়ে। কম্পিউটার বিজ্ঞানী হিসেবেই পরিচিত প্রযুক্তি জগতে। এখন গার্মেন্ট ব্যবসা করছেন। শুরুর কথাটা জানতে চাই।
শোভন ইসলাম : শিক্ষার পরিবেশে জন্ম আমার। বাবা অধ্যাপক ড. মাযহারুল ইসলাম বাংলা একাডেমির প্রথম মহাপরিচালক এবং পরবর্তীতে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ছিলেন। চাচা অধ্যাপক আব্দুল খালেকও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ছিলেন। বড় ভাই চয়ন ইসলাম আওয়ামী লীগের সাবেক সংসদ সদস্য এবং দুই বোন শিক্ষকতার সঙ্গে জড়িত। আমি প্রথমে কম্পিউটার বিজ্ঞানে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করি ইউনিভার্সিটি অব টেক্সাস অ্যাট অস্টিন থেকে। পরবর্তীতে এমবিএ করি যুক্তরাষ্ট্রের স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে।
মূলত বাবার হাতেই গার্মেন্ট ব্যবসার পত্তন। সিরাজগঞ্জ জেলার শাহজাদপুরের মানুষ নিয়েই ব্যবসা শুরু করেন তিনি। ধীরে ধীরে ব্যবসার প্রসার ঘটতে থাকে। আমি তখন আমেরিকায় পড়াশোনা করছি। পড়াশোনা শেষে যুক্তরাষ্ট্রের বড় বড় প্রতিষ্ঠানে চাকরিও পেতে থাকলাম। অনেক বছর চাকরি করলাম Hewlett Packard (HP) ও Microsoft প্রতিষ্ঠানে।
জাগো নিউজ : কোন সময়ের কথা বলছেন?
শোভন ইসলাম : ১৯৯২ সালের কথা। ওই সময়ে আমি পড়াশোনা শেষ করি। অস্টিনের টেক্সাস ইউনিভার্সিটি থেকে কম্পিউটার সায়েন্সের ওপর মাস্টার্স করি। এরপর Hewlett Packard (HP) এবং এর মতো বিশ্বখ্যাত প্রতিষ্ঠানে চাকরি করতে থাকি। সেসময় ক্যালিফোর্নিয়ার স্ট্যানফোর্ড ইউনিভার্সিটি থেকে এমবিএ করি। স্ট্যানফোর্ড ইউনিভার্সিটি হচ্ছে বিশ্বের সবচেয়ে সেরা বিজনেস ইউনিভার্সিটি।
বাবার ব্যবসা শুরু আরও আগে। আশির দশকের মাঝামাঝির দিকে গার্মেন্ট ব্যবসা শুরু করেন তিনি । দুই হাজার সালের শুরুর দিকে বাবা খুবই অসুস্থ হয়ে পড়েন। দুরারোগ্য রোগে আক্রান্ত বাবার চিকিৎসার ঘাটতি ছিল না। কিন্তু সে রোগের সঠিক চিকিৎসা উন্নত বিশ্বেও মিলছিল না।
জাগো নিউজ : ওই সময়েই ব্যবসার হাল ধরলেন?
শোভন ইসলাম : ২০০০-২০০১ সালের দিকে বাবার অবস্থার অবনতি হয়। বাবা আমাকে আরও আগে থেকেই ব্যবসার হাল ধরতে বলছিলেন। কিন্তু আমার কখনই বাংলাদেশে ফিরে আসার ইচ্ছা ছিল না।
তবে বাবা কোনোভাবেই আমাকে দেশের বাইরে রাখতে চাইছিলেন না। আমরা দুই ভাই, দুই বোন। সবাই প্রতিষ্ঠিত। আমি গার্মেন্ট ব্যবসা বন্ধ করে দেয়ার কথা বললাম। বাবা বললেন, ব্যবসা বন্ধ করে দিলে তোমাদের হয়তো কোনো সমস্যা হবে না কিন্তু কারখানার সাধারণ শ্রমিকদের কী হবে?
বাবার ওই কথাটা আমাকে দারুণভাবে প্রভাবিত করে। আমি ফিরে আসার সিদ্ধান্ত নিলাম। তখন আমাদের প্রতিষ্ঠানে দুই হাজারের মতো শ্রমিক কাজ করত। সেই সময়ে আমাদের প্রতিষ্ঠান স্প্যারো গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজ বেশ নামকরা। গাজীপুরের ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের বিপরীতে তখন আমাদের একটিই প্রতিষ্ঠান।
আমি ফিরে এসে প্রতিষ্ঠানের হাল ধরলাম। তখন প্রতিষ্ঠানকে টিকে রাখাই প্রথম চ্যালেঞ্জ ছিল। আমার যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠান হিলেট প্যাকার্ডও সমর্থন দিল।
জাগো নিউজ : কী ধরনের সমর্থন?
শোভন ইসলাম : বাংলাদেশে ফিরে আসছি জেনেও হিলেট প্যাকার্ড আমার জন্য দরজা খুলে রাখল। তারা বলল, তুমি বাংলাদেশে বসেই আমাদের জন্য কাজ করো। তখন ইন্ডিয়াতে (ভারত) হিলেট প্যাকার্ডের সফটওয়্যার ব্যবসার ব্যাপক বিস্তার ঘটছে। আমাকে বলল, তুমি বাংলাদেশ থেকে ইন্ডিয়াতে মাঝে মাঝে সময় দাও।
জাগো নিউজ : রাজি হলেন?
শোভন ইসলাম : হ্যাঁ। হিলেট প্যাকার্ড বলল, দুই সপ্তাহ বাংলাদেশে এবং দুই সপ্তাহ ব্যাঙালোরে কাজ করো। প্রতিষ্ঠানটিকে বাড়িয়ে নাও। আমি তা-ই করতে থাকলাম।
২০০৪ ও ২০০৫ সালের দিকে আমাদের প্রতিষ্ঠানের পরিধি বাড়তে থাকে।
জাগো নিউজ : একই সঙ্গে দুই প্রতিষ্ঠানে! আবার নিজের প্রতিষ্ঠানের পরিধিও বাড়ছে। কৌশল কী ছিল?
শোভন ইসলাম : আমাদের গার্মেন্টে সাধারণ ক্রেতাদের পোশাক তৈরি হতো না। যাদের কাজ আমরা করতে পারছি না, কিন্তু তাদের জন্য সঠিক ভাষাটি আমি ব্যবহার করতে পারতাম। আমি তখন গোটা বিশ্বের চাহিদা বুঝতে পারছি।
বাংলাদেশের সাধারণ গার্মেন্ট কারখানায় যে প্রোডাক্ট উৎপাদন করে এগিয়ে যাচ্ছিল, আমরা ঠিক সেভাবে যাইনি। যেমন- বেসিক প্যান্ট ও শার্টে বাংলাদেশের গার্মেন্ট ভালো ব্যবসা করে। আমি পরিকল্পনা করলাম, বেসিকের বাইরে কিছু করার। আমি ঠিক স্বতন্ত্র কিছু করতে থাকলাম। যেমন- প্যান্ট আমরাও করছি। কিন্তু যে প্যান্ট উন্নতমানের, বানানো কঠিন, সেলাই কঠিন, তা তৈরি করতে থাকলাম। আমরা বেসিক শার্ট করি না। মহিলাদের জন্য শার্ট বানানো শুরু করলাম। মহিলাদের প্যান্টও আমরা করতে থাকি।
জাগো নিউজ : এ স্বতন্ত্রতা কী আপনি আসার পর থেকে...
শোভন ইসলাম : হ্যাঁ। আগে বেসিক প্রোডাক্ট করা হতো। আমি এসে বেসিকের বাইরে উৎপাদনে গেলাম। এর মধ্য দিয়ে ব্যবসার পরিধি দ্রুত বাড়তে থাকে। কারণ সবাই প্রায় একই ধরনের প্রোডাক্ট নিয়ে প্রতিযোগিতা করছিল। আমি সেই মার্কেটের বাইরে চলে গেলাম। এতে করে আমি চীনে যে পোশাকগুলো উৎপাদন হতো সেগুলো আরও সাশ্রয়ী মূল্যে বাংলাদেশ থেকে উৎপাদন করতে শুরু করি। ওই সময় চীনের ক্রেতারা ভিয়েতনাম ও ইন্দোনেশিয়ায় চলে যাচ্ছিল।
জাগো নিউজ : প্রচলিত বাজারের বাইরে ভিন্ন ধারার প্রোডাক্ট তৈরি করা তো চ্যালেঞ্জেরও ছিল…
শোভন ইসলাম : হ্যাঁ। প্রথমত, উন্নতমানের দক্ষ কারিগরের দরকার পড়ে। এ কমপ্লেক্স প্রোডাক্ট আপনি যেকোনো কারিগর দিয়ে তৈরি করতে পারবেন না। যেমন- মেয়েদের প্যান্টের কোমর একটু বাঁকানো থাকতে হবে। তাদের প্যান্টের ফিটিং হতে হবে পারফেক্ট।
আবার মেয়েদের শার্ট সাধারণত সুতির হয় না। জর্জেট, সিল্কের কাপড়ে হয়ে থাকে। এ ধরনের কাপড় মেশিনে সেলাই করা কষ্টকর। অর্থাৎ যারা এ ধরনের মেশিনে কাজ করছেন, তাদেরকে হারালে চলবে না।
বাংলাদেশে গার্মেন্ট শ্রমিকদের প্রধানতম বৈশিষ্ট্য হচ্ছে, চাকরিতে স্থির না থাকা। একটি মেয়ে একটি কারখানায় এক বছর বা ছয় মাস কাজ করেই অন্য কারখানায় চলে যায়। কিন্তু আমি মনে করি, একটি কারখানার জন্য কর্মচারীই সবচেয়ে বড় সম্পদ। তাদের ধরে রাখাই বড় চ্যালেঞ্জ। কারণ উৎপাদনের জন্য একজন শ্রমিকই সবার আগে। একটি প্রোডাক্ট সম্পর্কে শ্রমিকই সব জানেন। আর একটি জটিল প্রোডাক্ট আপনি যেকোনো শ্রমিক দিয়ে তৈরি করতে পারবেন না। অভিজ্ঞ শ্রমিক এক্ষেত্রে খুবই দরকার। বারবার যদি আপনি নতুন শ্রমিক নিয়োগ দিতে থাকেন, তাহলে উৎপাদন ব্যাহত হবে।
জাগো নিউজ : এই ভাবনায় কী...
শোভন ইসলাম : আমাকে প্রথমে ভাবতে হলো, কী করলে শ্রমিকরা এ প্রতিষ্ঠানকে নিজের মনে করতে থাকবেন, আমি সে বিষয়ে গুরুত্ব দিলাম। প্রতি কর্মচারীকে সঠিকভাবে মূল্যায়ন, সঠিক সময়ে বেতন এবং ওভারটাইমের যথাযথ হিসাব করতে থাকলাম।
শ্রম আইনে শ্রমিকদের অংশগ্রহণে কারখানায় সংগঠন করার কথা বলা আছে। কিন্তু অনেকেই তা ফলো করত না। ২০১৬ সালের পর এটি সবাই করছে। কিন্তু আমি ২০০৭ সালেই শ্রমিক সংগঠন করার তাগিদ দেই। অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে শ্রমিক সংগঠন হয় ওই সময়ে।
ফলাফলও আমি পরবর্তীতে পাই। আমি কমপ্লেক্স (জটিল) প্রোডাক্ট করার মতো পর্যাপ্ত শ্রমিক পেলাম। পর্যাপ্ত প্রোডাক্ট করতে পারছি বলে ক্রেতাদের অর্ডারও বাড়তে থাকল।
জাগো নিউজ : এটিকে ব্যবসা প্রসারের কৌশলও মানলেন…
শোভন ইসলাম : অবশ্যই। কারণ আমি যদি আমার কারখানার শ্রমিকদের নিজ পরিবারের সদস্য মনে করতে না পারি, তাহলে শ্রমিকরাও প্রতিষ্ঠানকে নিজের মনে করবে না। শ্রমিককে পরিবারের সদস্য মনে করাটা বাবার কাছ থেকে শেখা। শ্রমিকদের স্বার্থে মালিক নিবেদিত থাকলে কারখানায় তাদের অনুপস্থিত কম হয়।
একজন শ্রমিক কেন সারা মাস কাজ করতে পারে না, তা নিয়ে ভাবতে থাকলাম। স্পেশাল বোনাস দেয়ার পরও একজন নারী শ্রমিক মাসে তিনদিন কাজে অনুপস্থিত থাকছে। মূলত প্রাকৃতিক কারণেই তিনি কাজের পরিবেশের সঙ্গে হয়তো এ সময় স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করছেন না। যিনি অনুপস্থিত থাকছেন, সেই মেশিনে অন্য কাউকে হঠাৎ করে এনে বসিয়ে দিলে সমান প্রোডাক্ট আসবে না।
অনুপস্থিত থাকা শ্রমিককে কোনো প্রকার শাস্তি না দিয়ে, তার কারণ খুঁজতে থাকলাম। দেখলাম, মাসিকের সময় যত্নবান না হওয়ায় অনেকেই অস্বস্তিবোধ করেন। এক জায়গায় বসে কাজ করার কারণে নারীদের আয়রনের সমস্যাও হয়। এ ধরনের সমস্যাগুলো আমি খুঁজে বের করতে থাকলাম। আয়রনের সমস্যা দূর করতে প্রতি সপ্তাহে একটি ফলিক এসিড ট্যাবলেট দিলাম নিয়মিত। একটি এনজিওর সঙ্গে চুক্তি করে প্রায় ফ্রি-তে নারীদের স্যানিটারি ন্যাপকিন দিলাম। ২০১০ সালের আগের কথা বলছি।
এটি আমার দায় বটে, কিন্তু চ্যালেঞ্জিং প্রোডাক্ট উৎপাদনের জন্য শ্রমিকের শারীরিক ফিটনেসের দিকে বিশেষ নজর দিতে হলো আমাকে। ভাবলাম, শ্রমিকরা যেন ভাবে তারা চাকরি ছেড়ে যাবে না। আর চাকরির নিশ্চয়তা থাকলে শ্রমিকরা সর্বোচ্চটাই দিতে পারবে। বেতন ও চাকরির নিশ্চয়তাই শ্রমিকের কাছে সবচেয়ে বড় বিষয়। কিন্তু অনেক সময় কাজের পরিবেশও গুরুত্বপূর্ণ। আমি শ্রমিকদের সবদিকে গুরুত্ব দিতে থাকলাম।
জাগো নিউজ : বাংলাদেশের প্রেক্ষাপট ঠিক ভিন্ন। যে ফ্যাক্টরিতে কাজ করে শ্রমিকরা, আন্দোলনে আবার সেই ফ্যাক্টরি ভাঙচুরও করে। মালিক-শ্রমিক ব্যবধান বাড়ছেই…
শোভন ইসলাম : আমি কারখানা পরিচালনা করতে গিয়ে তিনটি বিষয় সমন্বয় করেছি। প্রথমত, আমার ব্যবসা প্রসারের কথা চিন্তা করেছি। দ্বিতীয়ত, শ্রমিকের স্বার্থ। তৃতীয়ত, বিদেশে পড়াশোনা এবং চাকরির অভিজ্ঞতা। এ তিন বিষয়কে একত্রে কাজে লাগানোর চেষ্টা করেছি।
আমি সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার। সফটওয়্যার প্রতিষ্ঠানে চাকরি করে দেখেছি, বারবার ব্যক্তি পরিবর্তন করলে ভালো সফটওয়্যার তৈরি করা যায় না। অ্যাপেল, গুগলের মতো প্রতিষ্ঠান কিন্তু একজন শ্রমিককে সর্বোচ্চ সুবিধা দিয়ে ধরে রাখে।
কিন্তু বাংলাদেশের পোশাক কারখানায় বেতনটাই বড় করে দেখানো হয়। কিন্তু একজন মানুষের কাছে টাকাই সব নয়। আরও অনেক বিষয় থাকে। আমি সেই বিষয়গুলো ফোকাস করি। গার্মেন্ট ব্যবসার কেন্দ্রেই থাকে শ্রমিক। শ্রমিককে বাদ দিয়ে তো ব্যবসা হতে পারে না। শ্রমিক সন্তুষ্ট থাকলে ব্যবসা ভালো হবেই।
জাগো নিউজ : বর্তমানে কতজন শ্রমিক কাজ করছে আপনার কারখানায়?
শোভন ইসলাম : আমি যখন দায়িত্ব নেই তখন দুই হাজারের মতো শ্রমিক কাজ করছিল। রেভিনিউ ছিল তখন প্রায় ১০০ কোটি টাকা। এখন ১৪ হাজারের ওপরে শ্রমিক কাজ করছে। এ বছর রেভিনিউ ছাড়িয়েছে দুই হাজার কোটি টাকার ওপরে।
ব্যবসা প্রসারের অংশ হিসেবে আমি জর্ডানেও একটি গার্মেন্ট ফ্যাক্টরি করি।
এএসএস/এমএআর/জেআইএম