ভিডিও EN
  1. Home/
  2. বিশেষ প্রতিবেদন

খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে সংসদে সিদ্ধান্ত প্রস্তাব আসছে

সিরাজুজ্জামান | প্রকাশিত: ১১:০০ এএম, ০৮ জুন ২০১৯

কারাবন্দি বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে জাতীয় সংসদে সিদ্ধান্ত প্রস্তাব আসছে। এছাড়াও বিএনপিসহ সকল বিরোধী দলের নেতাকর্মীর নামে দায়েরকৃত ‘মিথ্যা-গায়েবি’ মামলাসমূহ প্রত্যাহারের প্রস্তাব আনা হবে। ‘সংসদের অভিমত এই যে, অবিলম্বে সাবেক প্রধানমন্ত্রী দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্তি দেওয়া হোক’ শিরোনামে সিদ্ধান্ত প্রস্তাবটি আনছেন বিএনপির এমপি মো. হারুনুর রশীদ (চাঁপাইনবাবগঞ্জ-৩)।

আসন্ন বাজেট অধিবেশনের বেসরকারি দিবসে নোটিশ আনার জন্য সংসদের সংশ্লিষ্ট শাখা তা গ্রহণও করেছে। তবে সংসদে গ্রহণ করার জন্য বিভিন্ন ধরনের সিদ্ধান্ত প্রস্তাব জমা দেয়ার পর অনেক এমপিরা তা সমর্থন করেন। কিন্তু সংসদের বিএনপির সংরক্ষিত নারী আসনসহ আরও পাঁচজন এমপি থাকলেও এখন পর্যন্ত অন্যরা তা সমর্থন করেননি।

জানা গেছে, ১১ জুন সংসদের বাজেট অধিবেশন শুরু হচ্ছে। সংসদ চলাকালীন বৃহস্পতিবার বেসরকারি দিবস হিসেবে রাখা হয়। এ দিন মন্ত্রী নন, শুধু এমপিদের বিল ও সিদ্ধান্ত প্রস্তাব আনা হয়। তাই অধিবেশনেই বেসরকারি দিবস অর্থাৎ বৃহস্পতিবার তিনি এটি সংসদের উত্থাপনের সুযোগ পাবেন। তবে বিষয়টি আদালতের সিদ্ধান্ত হওয়ায় স্পিকার যদি মনে করেন এই সিদ্ধান্ত প্রস্তাবের ফলে বিচার কাজে প্রভাব ফেলতে পারে- তাহলে তিনি উত্থাপনের অনুমতি নাও দিতে পারেন।

MP-Harun

চাঁপাইনবাবগঞ্জ-৩ আসনে বিএনপির এমপি মো. হারুনুর রশীদ

এছাড়াও ওই একই এমপি নিরাপদ সড়কের দাবিতে আন্দোলনকারী ছাত্র-ছাত্রীদের দাবিসমূহ অবিলম্বে বাস্তবায়ন করা হোক, শেয়ারবাজারে ক্ষতিগ্রস্ত-সর্বস্বান্ত ব্যক্তিদের অবিলম্বে পুনর্বাসন করা হোক এবং ব্যাংক ও শেয়ারবাজার লুণ্ঠনকারীদের অবিলম্বে গ্রেফতার করা হোক নামে গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি সিদ্ধান্ত প্রস্তাব আনবেন।

এ বিষয়ে হারুনুর রশিদ জাগো নিউজকে বলেন, খালেদা জিয়ার মুক্তি সময়ের দাবি। সরকার তাকে রাজনৈতিক কারণে বন্দি করে রেখেছে। এজন্য আমি ওই সিদ্ধান্ত প্রস্তাবটি এনেছি। এছাড়া বিএনপি নেতাকর্মীদের মুক্তিসহ আরও কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত প্রস্তাব সংসদের সংশ্লিষ্ট শাখা গ্রহণ করেছে। আশা করি আমি আলোচনার সুযোগ পাব।

সংসদের আইন শাখা-২ এর সূত্র জানায়, এমপিদের আনা সিদ্ধান্ত প্রস্তাবে মন্ত্রী একমত না হলে তিনি (সংশ্লিষ্ট মন্ত্রী) ব্যাখ্যা করে সেই সিদ্ধান্ত প্রস্তাবটি প্রত্যাহারের অনুরোধ করেন। গ্রহণ করা হলে গ্রহণ করেন। তবে সিদ্ধান্ত প্রস্তাব গ্রহণ বা প্রত্যাখ্যান-দুটোই হ্যাঁ বা না ভোটে দিয়ে পাস করে নিতে হয়। ফলে এটি এক ধরনের আইনও বলা যায়।

সূত্র জানায়, স্বাধীনতার পর সংসদে এমপিদের ভোটে ২৩টি সিদ্ধান্ত প্রস্তাব গৃহীত হলেও এগুলো তেমন বাস্তবায়ন হয়নি। বিগত দশম সংসদে চারটি সিদ্ধান্ত প্রস্তাব গৃহীত হয়। কিন্তু যত সমারোহে সিদ্ধান্ত প্রস্তাবগুলো গ্রহণ করা হয় তত গুরুত্ব দিয়ে সংশ্লিষ্ট বিষয়ে আইন করা বা ব্যবস্থা নেয়া হয় না।

সংসদের কার্যপ্রণালি বিধি ১৪৩ এর (২) ধারা অনুযায়ী, গৃহীত সিদ্ধান্ত সম্পর্কে কোনো ব্যবস্থা নিয়ে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রী পরে সংসদে তা জানাবেন। কিন্তু দশম সংসদে চারটি সিদ্ধান্ত প্রস্তাব পাস হলেও এ সম্পর্কে মন্ত্রীরা কে কী করেছেন -তা সংসদে জানানো হয়নি।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে সাবেক আইনমন্ত্রী ব্যারিস্টার শফিক আহমেদ জাগো নিউজকে বলেন, ‘সিদ্ধান্ত প্রস্তাব সম্পর্কে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রীরা সংসদে জানাবেন- এটাই আইন। সেটা না মানাটা সংসদীয় চর্চার বড় ব্যাঘাত।’

এইচএস/এসএইচএস/এমকেএইচ

আরও পড়ুন