ভারতের নির্বাচন প্রক্রিয়া থেকে শেখার আছে
সাত ধাপে অনুষ্ঠিত হচ্ছে প্রতিবেশী ভারতের লোকসভা নির্বাচন। গত ১১ এপ্রিল শুরু হয়ে ১৮ মে শেষ হবে নির্বাচন। ২৩ মে দেশটির নির্বাচন কমিশন ফলাফল ঘোষণা করবে।
এ নির্বাচনে যে দলই নির্বাচিত হোক না কেন বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্কে কোনো প্রভাব পড়বে না বলে মনে করে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ।
আওয়ামী লীগ নেতারা মনে করেন, নির্বাচন ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয়। এটি নিয়ে বাংলাদেশের প্রত্যাশা প্রতিবেশী হিসেবে সদাচরণ ও সুসম্পর্ক। পাশাপাশি কোনো দেশের রাজনীতি নিয়ে অন্য কোনো দেশের কোনো দলের অতি উৎসাহী বা অতি কথন শোভনীয় নয়। তবে ভারতের নির্বাচনী প্রক্রিয়াটার মধ্যে দুটি জিনিস শেখার আছে বলে মনে করেন তারা।
আওয়ামী লীগের আন্তর্জাতিক বিষয়ক উপ-কমিটির চেয়ারম্যান ও সাবেক রাষ্ট্রদূত জমির বলেন, নির্বাচন প্রক্রিয়াটা সাত ধাপে হচ্ছে। বেশিরভাগ জায়গায় ইভিএম ব্যবহার হচ্ছে। তারা যে শুধু ভোট দিতে যাচ্ছে তাই নয়, অপেক্ষা করছে যে ভোটের রেজাল্ট এক দিনে ২৩ তারিখে বের হবে। অপেক্ষার জন্য সহিষ্ণুতা যেটা, বিশ্বাস যেটা- নির্বাচন কমিশন অন্যায়ভাবে তাদেরকে প্রতিহত করবে না। যারা নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় সম্পৃক্ত তারা সবাই মিলে সার্বিকভাবে সক্ষমতার সঙ্গে নির্বাচনটা সম্পন্ন করবে।
সাবেক এ কূটনীতিক বলেন, সব রাজনৈতিক দলগুলো নিজেদের ওপর আস্থা রাখছে। তারা বিদেশিদের কাছে কোনো প্রকার ভিক্ষা চাইছে না। আমাদের উচিত ছিল সব দলেরই নির্বাচন কমিশনের ওপর আস্থা রাখা। ভারতের নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করে আমাদের নির্বাচন প্রক্রিয়া কীভাবে করতে পারি সে বিষয়ে চিন্তা করা উচিত। আমাদের অপেক্ষা করতে হবে ফলাফল পাওয়ার জন্য। তারপর বলা যাবে।
আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য কর্নেল (অব.) ফারুক খান বলেন, আমরা চাই ভারতে একটা শান্তিপূর্ণ, সুষ্ঠু নির্বাচন হোক এবং ভারতের জনগণ যাদের উপর আস্থা আছে তাদেরকে ভোট দিক। নিরপেক্ষ ভোটের মাধ্যমে ভালো একটি সরকার হোক। সেই সরকার যেন আমাদের সঙ্গে প্রতিবেশী হিসেবে সৎ আচরণ করে এবং আমাদের অঞ্চলে শান্তি বিরাজ করে এটাই প্রত্যাশা।
দলের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ বলেন, সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণ যে রায় দেবে সে রায়ের প্রতি সব সময় আমাদের সম্মান থাকবে, সমর্থন থাকবে। আমরা অপেক্ষা করি নির্বাচনের ফলাফল আসুক। আমরা দেখি, ভারতের জনগণ তাদের জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত করবেন। তারা যাকে ভালো মনে করবে, যোগ্য মনে করবে তাকেই তারা নির্বাচিত করবেন।
তিনি বলেন, জনগণের রায়ের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হওয়াই গণতন্ত্রের প্রথম শর্ত। আওয়ামী লীগ একটি গণতান্ত্রিক দল হিসেবে সব সময় জনগণের রায়ের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তবে একটি দেশের রাজনীতি নিয়ে অন্য কোনো দেশের কোনো দলের অতি উৎসাহী বা অতি কথনও শোভনীয় নয়।
আওয়ামী লীগের আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ড. শাম্মী আহমেদ বলেন, ভারতের নির্বাচন দেশটির আভ্যন্তরীণ বিষয়। যে কোনো দেশের নির্বাচন সে দেশের আইন অনুযায়ী অনুষ্ঠিত হবে। আমি মনে করি, প্রতিবেশী দেশ হিসেবে বাংলাদেশের সঙ্গে সুসম্পর্ক থাকবে।
এইউএ/এএইচ/এমকেএইচ