ভিডিও EN
  1. Home/
  2. বিশেষ প্রতিবেদন

শপথ নিতে ‘কৌশলী অবস্থানে’ তারা

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ০৮:৫১ পিএম, ২৮ এপ্রিল ২০১৯

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপির নির্বাচিতরা শপথ নেয়ার বিষয়ে এতদিন দলীয় সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় ছিলেন। কিন্তু জাহিদুর রহমান জাহিদের (ঠাকুরগাঁও- ৩) শপথ নেয়া এবং তার বিরুদ্ধে দলের কঠোর অবস্থান বিবেচনায় নিয়ে বেশ ‘কৌশলী পন্থা’ অবলম্বন করছেন নির্বাচিত অপর চারজন।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, সার্বিক বিষয় বিবেচনায় নিয়ে শপথ নেয়া প্রসঙ্গে চুলচেরা বিশ্লেষণ করছেন বিএনপির নির্বাচিত ওই চার সদস্য। আগামীকাল সোমবার অথবা মঙ্গলবারের মধ্যে শপথের বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন তারা। ৩০ এপ্রিলের মধ্যে শপথ না নিলে তাদের আসনগুলো শূন্য হবে।

আরও পড়ুন >> এমপি জাহিদকে বিএনপি থেকে বহিষ্কার

সংসদের কার্যপ্রণালি বিধি অনুযায়ী, নির্বাচনে বিজয়ী কোনো সদস্য ওই সংসদের প্রথম অধিবেশন শুরু হওয়ার ৯০ দিনের মধ্যে শপথ না নিলে তার আসন শূন্য হবে। একাদশ জাতীয় সংসদের প্রথম অধিবেশন শুরু হয় গত ৩০ জানুয়ারি।

গত ৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত সংসদ নির্বাচনে বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায় আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন জোট ও মিত্ররা। মাত্র আটটি আসন পায় বিএনপি নেতৃত্বাধীন জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট। নির্বাচিত আটজনের মধ্যে ছয়জন বিএনপির আর দুজন গণফোরামের। নির্বাচনে অনিয়ম ও কারচুপির অভিযোগ তুলে তা প্রত্যাখ্যান করে ঐক্যফ্রন্ট।

গণফোরামের দুই সংসদ সদস্যের মধ্যে মৌলভীবাজার-২ আসন থেকে বিএনপির প্রতীক নিয়ে নির্বাচিত সুলতান মোহাম্মদ মনসুর গত ৭ মার্চ শপথ নিয়ে সংসদে যোগ দেন। সিলেট-২ আসন থেকে গণফোরামের প্রতীক নিয়ে নির্বাচিত মোকাব্বির খানও গত ২ এপ্রিল শপথ নেন।

সর্বশেষ গত বৃহস্পতিবার দলীয় সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে সংসদ সদস্য হিসেবে শপথ নেন জাহিদুর রহমান। এ কারণে গতকাল শনিবার রাতে তাকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়। ওই বহিষ্কারাদেশের মাধ্যমে সংসদে যোগ দেয়ার বিষয়ে দলটি তাদের অবস্থান পরিষ্কার করে। যদিও এতদিন বিষয়টি ঝুলে ছিল।

বিএনপির বিজয়ী প্রার্থী হিসেবে এখনও শপথ নিতে বাকি দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ পাঁচজন। কিন্তু মির্জা ফখরুল মহাসচিব হিসেবে যেহেতু দায়িত্বশীল পদে রয়েছেন সেহেতু তিনি বাদে বাকি যে চারজন আছেন তারা কি সংসদ সদস্য হিসেবে শপথ নেবেন, নাকি দলীয় সিদ্ধান্ত মেনে নেবেন- এটা নিয়ে রাজনৈতিক অঙ্গনে চলছে গুঞ্জন।

মির্জা ফখরুল ইসলাম ব্যতীত যারা নির্বাচিত হয়েছেন তাদের কেউই কখনও স্পষ্ট করে বলেননি যে, তারা সংসদ সদস্য হিসেবে শপথ গ্রহণ করবেন না। তাদের পক্ষ থেকে বিভিন্ন সময়ে বলা হয়েছে, শপথ নেয়ার বিষয়ে তারাও ভাবছেন।

তবে গতকাল শনিবার (২৭ এপ্রিল) রাতে জাহিদুর রহমান জাহিদকে দলের স্থায়ী কমিটির সভার সিদ্ধান্ত মোতাবেক বহিষ্কারের পর গণমাধ্যমকে কিছুটা পাশ কাটিয়ে চলছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া- ২ আসন থেকে নির্বাচিত উকিল আব্দুস সাত্তার, চাঁপাইনবাবগঞ্জ-৩ আসনের হারুনুর রশীদ, চাঁপাইনবাবগঞ্জ-২ আসনের আমিনুল ইসলাম এবং বগুড়া-৪ আসনের মোশারফ হোসেন। এখন তারা বেশ ‘কৌশলী পন্থা’ অবলম্বন করছেন। ধরছেন না সাংবাদিকদের মোবাইল কলও।

আরও পড়ুন >> ভোটের মাধ্যমে ‘পুনর্গঠন’ চায় তৃণমূল বিএনপি

গত শুক্রবার বেশ কয়েকবার মোবাইলফোনে তাদের পাওয়া গেলেও রোববার (২৮ এপ্রিল) থেকে তাদের কাছ থেকে সরাসরি কোনো বক্তব্য পাওয়া যাচ্ছে না। তবে উকিল আব্দুস সাত্তার রোববার গণমাধ্যমের কাছে বলেছেন, শপথ গ্রহণের বিষয়ে এখনও চিন্তা-ভাবনা করছি। দেখা যাক কী হয়!

‘শপথ গ্রহণের ব্যাপারে সবাইকে অপেক্ষা করতে বলা হয়েছে। আমরা অপেক্ষা করছি। আপনারাও অপেক্ষা করুন’- বিভিন্ন মাধ্যম থেকে এমন বক্তব্য পাওয়া গেছে চাঁপাইনবাবগঞ্জ-৩ আসন থেকে নির্বাচিত হারুনুর রশীদের।

চাঁপাইনবাবগঞ্জ-২ আসনের আমিনুল ইসলাম এবং বগুড়া-৪ আসনের মোশারফ হোসেনের মোবাইলফোন বন্ধ পাওয়া গেছে। তবে তাদের ঘনিষ্ঠজন সূত্রে জানা গেছে, সংসদে যেতে হলে ৩০ এপ্রিলের মধ্যে শপথ নিতে হবে। এ বিষয়ে সম্মিলিতভাবে (চারজন) সিদ্ধান্ত নেবেন তারা।

কেএইচ/এমএআর/এমএস

আরও পড়ুন