মালয়েশিয়ার সঙ্গে এখন দরকার ‘অর্থনৈতিক কূটনীতি’
মুক্তবাণিজ্য চুক্তি (এফটিএ) ও বিদ্যমান অশুল্ক বাধা দূর করতে পারলে আগামী পাঁচ বছরে মালয়েশিয়ায় এক বিলিয়ন ডলারের পণ্য রফতানি সম্ভব- বলেছেন বাংলাদেশ-মালয়েশিয়া চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (বিএমসিসিআই) সভাপতি সৈয়দ মোয়াজ্জম হোসেন। জাগো নিউজ’র সঙ্গে একান্ত আলাপচারিতায় তিনি এমন মন্তব্য করেন।
সৈয়দ মোয়াজ্জম হোসেন একজন সফল উদ্যোক্তা ও ব্যবসায়ী। তিনি এসএমএইচ ইঞ্জিনিয়ারিং লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক। সম্প্রতি তার সঙ্গে বাংলাদেশ-মালয়েশিয়ার মধ্যে বাণিজ্যের বিভিন্ন ক্ষেত্র, সমস্যা ও সম্ভাবনার বিষয়ে কথা হয়। দুই পর্বের সাক্ষাৎকারের শেষটি থাকছে আজ।
আরও পড়ুন : মালয়েশিয়ায় ১ বিলিয়ন ডলারের পণ্য রফতানি সম্ভব
জাগো নিউজ : আপনারা তো অনেক দিন ধরে কাজ করছেন। দুই দেশের (বাংলাদেশ-মালয়েশিয়া) মধ্যে ব্যবসায়িক সম্পর্ক বিশেষ করে বাংলাদেশ সম্পর্কে তাদের মনোভাব কেমন?
মোয়াজ্জম হোসেন : আমরা ২০০২ সাল থেকে মালয়েশিয়ার সঙ্গে কাজ করছি। আমাদের মূল উদ্দেশ্য হলো, দুই দেশের মধ্যকার বাণিজ্যিক সম্পর্ক আরও বাড়ানো। পাশাপাশি সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সম্পর্ক উন্নয়নেও কাজ করছি। মালয়েশিয়ার অধিকাংশ মানুষ মুসলিম, আমরাও মুসলিম-প্রধান দেশ। দুই দেশের মধ্যে হালাল ফুডসহ বিভিন্ন বিষয়ে মিল রয়েছে। মালয়েশিয়ায় প্রতি বছর লাখ লাখ বাংলাদেশি যাচ্ছেন। বাংলাদেশিদের পেলে তারাও বেশ খুশি হন।
আমরা তো ব্যবসায়ী জাতি নই, কৃষির ওপর নির্ভরশীল ছিলাম। দেশ স্বাধীন হওয়ার পর আমাদের মধ্যেও কিছু প্রতিভা বিকাশের সুযোগ তৈরি হয়। আজ আমরা কৃষিনির্ভর দেশ থেকে শিল্পনির্ভর দেশে রূপান্তরিত হচ্ছি। আগে জিডিপিতে (মোট দেশজ উৎপাদন) কৃষির অবদান ছিল ৫০ শতাংশ। এখন তা ১৮ শতাংশ। শিল্প ছিল নিচে, সেটা এখন বাড়তে বাড়তে ৩০ শতাংশের ওপর উঠে গেছে। এটা যদি আমরা ৩৮ অথবা ৪০ শতাংশে নিতে পারি তাহলে উন্নত দেশের কাতারে পৌঁছাতে কোনো সমস্যাই হবে না।
জাগো নিউজ : আপনি হালাল ফুডের কথা বললেন। এ ক্ষেত্রে সনদের একটি বিষয় আছে…
মোয়াজ্জম হোসেন : আমরা যতটুকু জানি, মালয়েশিয়ায় শ্রমিকের অভাবে তাদের অনেক কারখানা বন্ধ হয়ে গেছে। প্রক্রিয়াজাত খাদ্যপণ্য বিশেষ করে হালাল ফুডের প্রতি তাদের আগ্রহ বেশি। আমাদের ৯৯ শতাংশ খাদ্যপণ্যই হালাল। তবে আমাদের একটা সমস্যা আছে, সেটা হলো হালাল ফুডের সনদ নিয়ে। ইতোমধ্যে আমরা মালয়েশিয়াকে প্রস্তাব দিয়েছি, হালাল পণ্যের সনদের জন্য একটা প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিতে। এ বিষয়ে তারা ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সঙ্গে কাজ করছে।
বাংলাদেশের খাদ্য প্রক্রিয়াজাত প্রতিষ্ঠান ‘প্রাণ’ হাজার হাজার পণ্য তৈরি করছে। এগুলো রফতানির ক্ষেত্রে হালাল সনদ গুরুত্বপূর্ণ। হালাল সনদ পেলে শুধু মালয়েশিয়ায় নয় পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে এসব পণ্য রফতানি করা সম্ভব। সনদ দেয়ার জন্য একটা স্বাধীন প্রতিষ্ঠান দরকার। এটা করা গেলে আমরা আরও এক ধাপ এগিয়ে যাব।
জাগো নিউজ : বাংলাদেশের অন্যতম শ্রমবাজার হলো মালয়েশিয়া। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, সম্ভাবনা থাকলেও বাজারটা আমরা সেভাবে সম্প্রসারণ করতে পারিনি। আপনার অভিমত কী?
মোয়াজ্জম হোসেন : আমাদের আজ যে অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি, এর পেছনের অন্যতম চালিকাশক্তি হলো সারাবিশ্বে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকা লাখো প্রবাসী বাংলাদেশি শ্রমিক। কিন্তু বড় সমস্যা হলো, আমরা সেভাবে দক্ষ শ্রমিক পাঠাতে পারছি না। শুধু অদক্ষ শ্রমিক পাঠালে আয় বাড়ানো সম্ভব নয়। এজন্য দক্ষ শ্রমিক তৈরি করতে হবে।
মালয়েশিয়ায় পেশাদার লোক যেমন- ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার, শিক্ষক- এ ধরনের পেশায় ৩৫ হাজার জনবল আছে। কিন্তু তাদের চাহিদা অনেক। তাদের প্রায় ১০ লাখ দক্ষ জনবল দরকার।
জাগো নিউজ : মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার নিয়ন্ত্রণ নিয়ে বিভিন্ন ধরনের ষড়যন্ত্র চলছে- এমন অভিযোগও আছে। বর্তমানে সেখানে বাংলাদেশি শ্রমিক নিয়োগের বিষয়েও বিধিনিষেধ আছে…
মোয়াজ্জম হোসেন : হ্যাঁ, কিছু জনশক্তি রফতানিকারক প্রতিষ্ঠান সিন্ডিকেট করে বাজার নিয়ন্ত্রণ করছে, যারা আমাদের অনেক বদনাম করেছে। আমার কাছে মনে হয়, শ্রমবাজার সম্প্রসারণের জন্য বাংলাদেশ-মালয়েশিয়ার মধ্যে জি-টু-জি যে উদ্যোগ ছিল, সেটা সঠিক ছিল। মালয়েশিয়া সরকার এটা বন্ধ করলেও আমাদের দেশ থেকে ওপেন টু অল- এ ধরনের কোনো বক্তব্য আসেনি।
বাংলাদেশ থেকে এখনও সাত-আট লাখ লোক মালয়েশিয়ায় পাঠানো সম্ভব। কিন্তু সিন্ডিকেট করে প্রতি ব্যক্তির কাছ থেকে তিন-চার লাখ টাকা নেয়া হচ্ছে। এটা বন্ধ করতে হবে। আশা করি, এ বিষয়ে সরকার জরুরিভিত্তিতে নজর দেবে। সবার জন্য এটা উন্মুক্ত করতে পারলে আরও সাত-আট লাখ লোক মালয়েশিয়ায় পাঠানো সম্ভব।
জাগো নিউজ : বিদেশিদের ব্যবসায়িক সুবিধা দিতে দেশে অসংখ্য অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে তোলা হচ্ছে। আপনি বলেছেন, মালয়েশিয়ায় অনেক ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। তাদের ব্যবসায়ীদের এখানে বিনিয়োগে আকৃষ্ট করতে আরও কী করা প্রয়োজন বলে মনে করেন?
মোয়াজ্জম হোসেন : দেশে ১০০টি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে তোলা হচ্ছে। শ্রমিকের অভাবে মালয়েশিয়ার অনেক ইন্ডাস্ট্রি (কারখানা) বন্ধ হয়ে গেছে। সেগুলো কীভাবে বাংলাদেশে স্থানান্তর করা যায় এ বিষয়ে সরকার ও সংশ্লিষ্টদের উদ্যোগ নিতে হবে। সরকার মালয়েশিয়ার আগ্রহী ব্যবসায়ীদের জন্য পৃথক একটা ইকোনমিক জোন দিতে পারে। অথবা তাদের বুঝাতে হবে যে, আমাদের এ জায়গায় বিনিয়োগের ব্যাপক সম্ভাবনা রয়েছে। আশা করি, তারা বিনিয়োগ করবে। এটা কিন্তু একক উদ্যোগের বিষয় নয়। এক্ষেত্রে সরকারকে বিশেষ উদ্যোগ নিতে হবে।
জাগো নিউজ : সরকার তো বিদেশি বিনিয়োগকারীদের জন্য জয়গা দিচ্ছে। আপনি ‘বিশেষ উদ্যোগের’ কথা বললেন। এক্ষেত্রে আর কী কী করা যেতে পারে?
মোয়াজ্জম হোসেন : কোনো দেশ থেকে সুবিধা নিতে গেলে যে দক্ষতার প্রয়োজন তা অনেক ক্ষেত্রেই আমাদের নেই। সরকারি কর্মকর্তারা, যারা এসব কাজে সংশ্লিষ্ট, তাদের বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ঘুরতে ঘুরতেই সময় চলে যায়। তারা দক্ষ হতে পারছেন না। এ বিষয়ে সরকারকে বিশেষ নজর দিতে হবে।
ইউরোপ, অস্ট্রেলিয়া, ব্রিটেন, কানাডাসহ বিভিন্ন দেশে আমরা বিনা শুল্কে পণ্য রফতানি করতে পারছি। চায়না আমাদের জন্য ওপেন হচ্ছে। আমাদের নেগোসিয়েশনের দক্ষতা অনেক কম। এ বিষয়ে জোর দিতে হবে।
আরও পড়ুন : বাণিজ্য ঘাটতি ৯০ হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়েছে
ভারত, চায়না, শ্রীলংকা, ইন্দোনেশিয়া, থাইল্যান্ড, তুরস্কসহ আটটা দেশ এখন বসে আছে আমাদের সঙ্গে এফটিএ করার জন্য। তাদের সঙ্গে চুক্তি করতে হলে দরকষাকষির প্রয়োজন আছে। কোন কোন ক্ষেত্রে আমাদের লাভ হবে- সেসব বিষয় নির্ণয় করতে হবে। এটা দক্ষ কর্মকর্তা ছাড়া সম্ভব নয়। এ বিষয়ে সরকারকে গুরুত্ব দিতে হবে।
মালয়েশিয়ার সঙ্গে এখন দরকার অর্থনৈতিক কূটনীতি। এ কারণে সেখানে উচ্চপর্যায়ের কর্মকর্তা নিয়োগ দিতে হবে। ব্যবসায়িক পরিস্থিতি বোঝেন- এমন রাষ্ট্রদূত নিয়োগ দিতে হবে। অধিকাংশ ক্ষেত্রে দেখা যায়, আমাদের দূতাবাসগুলো বাণিজ্যিক বিষয়ে কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারছে না। সেখানে অভিজ্ঞ লোকের অভাব রয়েছে।
জাগো নিউজ : আন্তর্জাতিক বাণিজ্য সম্প্রসারণে মিডিয়ার ভূমিকা সম্পর্কে যদি বলতেন…
মোয়াজ্জম হোসেন : বাংলাদেশে অনেক টিভি চ্যানেল রয়েছে। কিন্তু বাণিজ্য সম্প্রসারণে চ্যানেলগুলো কতটুকু কাজ করতে পারছে? আমি বলব, আশানুরূপ কোনো ভূমিকা রাখতে পারছে না। অর্থাৎ আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বাংলাদেশি গণমাধ্যমের কোনো অবস্থান নেই বললেই চলে।
যেমন- খাদ্য প্রক্রিয়াজাতকরণ পণ্য উৎপাদনে দেশের অন্যতম প্রতিষ্ঠান প্রাণ গ্রুপ। অনেক পণ্য উৎপাদন করছে তারা। সারাবিশ্বে তা রফতানিও হচ্ছে। কিন্তু আন্তর্জাতিক অঙ্গনে এসব পণ্যের প্রচার-প্রসারে আমাদের গণমাধ্যমগুলো কোনো ভূমিকা রাখতে পারছে কি?
আমরা প্রাণের মতো প্রতিষ্ঠানকে বিশ্ববাজারে তুলে ধরতে পারছি না। আমি বলব, বাংলাদেশের সামাজিক ও অর্থনৈতিক উন্নয়নে মিডিয়াগুলো যেভাবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে সেভাবে আন্তর্জাতিক অঙ্গনেও আমাদের ব্যবসা-বাণিজ্য সম্প্রসারণে বিশেষ ভূমিকা রাখতে পারে মিডিয়া। এ বিষয়ে দেশের মিডিয়াগুলোকে আরও কার্যকর ভূমিকা রাখতে হবে।
জাগো নিউজ : আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বাণিজ্য সম্প্রসারণে আর কী কী করা যেতে পারে?
মোয়াজ্জম হোসেন : আমরা এফটিএ করতে পারি। সরকার যদি কিছু উদ্যোগ নেয়। বাংলাদেশে অনেক প্রতিভাবান লোক আছেন, তাদের কাজে লাগানো যেতে পারে। আমাদেরও সুযোগ দিলে বাণিজ্য ঘাটতি অনেক কমাতে পারব। তাদের (মালয়েশিয়ার বিনিয়োগকারী) বুঝাতে হবে, আমরাও মুসলিম, তাহলে আমরা কেন তোমাদের বিনিয়োগ পাব না? এক্ষেত্রে সরকারি ও বেসরকারি উদ্যোগ প্রয়োজন। সমন্বিত উদ্যোগ নিতে পারলে আমরা সফল হব।
এছাড়া মালয়েশিয়ায় দক্ষ জনশক্তি পাঠাতে পারলে আমাদের আয় বাড়বে। সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে পারলে আগামী পাঁচ বছরে মালয়েশিয়ায় আমরা এক বিলিয়ন ডলারের পণ্য রফতানি করতে পারব। এফটিএ করা গেলে এবং অশুল্ক বাধা দূর হলে শুধু এ অঞ্চলেই বাণিজ্য করে আমরা শেষ করতে পারব না। তখন আমাদের ইউরোপ-আমেরিকার দিকে তাকাতে হবে না।
বাংলাদেশ-মালয়েশিয়ার বাণিজ্য ঘাটতি
রফতানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি) ও বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, ২০১৭-১৮ অর্থবছর শেষে বাংলাদেশ-মালয়েশিয়ার বাণিজ্য ঘাটতি ছিল ১১৩ কোটি ছয় লাখ ডলার।
গত ২৮ বছরের তথ্য পর্যালোচনা করে দেখা যায়, ধারাবাহিকভাবে দুই দেশের বাণিজ্য বাড়ছে। ১৯৯০ সালে বাংলাদেশ-মালয়েশিয়ার বাণিজ্য ছিল তিন কোটি ৩২ লাখ ডলারের। এর মধ্যে বাংলাদেশ রফতানি করে ১৫ লাখ ৯০ হাজার ডলারের পণ্য। আমদানি হয় তিন কোটি ১৬ লাখ ডলার। ওই সময় বাণিজ্য ঘাটতি ছিল তিন কোটি ডলার।
২৮ বছর পর ২০১৭-১৮ অর্থবছর শেষে দুই দেশের বাণিজ্য দাঁড়ায় ১৫৯ কোটি ৫৫ লাখ ডলার। এর মধ্যে বাংলাদেশ আমদানি করেছে ১৩৬ কোটি ৩১ লাখ ডলারের পণ্য। এর বিপরীতে রফতানি করেছে মাত্র ২৩ কোটি ২৪ লাখ ডলারের পণ্য। অর্থাৎ বাণিজ্য ঘাটতি ১১৩ কোটি ছয় লাখ ডলারের।
বর্তমানে মালয়েশিয়ায় নিটওয়্যার, ওভেন, গার্মেন্টস, কৃষিজাত, প্রকৌশল ও প্লাস্টিক পণ্য, রাবার জুতা, কেমিকেল পণ্য, হোম টেক্সটাইল, পাট ও পাটজাত দ্রব্য, কাঠ ও কাঠজাত পণ্য রফতানি হচ্ছে। এছাড়া ফ্রোজেন ফুড, টেক্সটাইল, ফার্মাসিউটিক্যাল, চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য, তুলা, হস্তশিল্প, সিরামিক পণ্য, কার্পেট, সিমেন্ট, গ্লাস ও কাচের জিনিসপত্র, কাগজ ও কাগজপত্র, লবণ, সালফার, পাথর, প্লাস্টার ও চুন রফতানি হচ্ছে।
অন্যদিকে মালয়েশিয়া থেকে আমরা আমদানি করি তেল, চর্বি ও খনিজ পণ্য, প্লাস্টিক ও রাবার, যানবাহনের যন্ত্রপাতি, বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম, বেজ মেটাল, রাসায়নিক, টেক্সটাইল, খাদ্যশস্য, পানীয়, স্পিরিট ও ভিনেগার, তামাক ও তৈরিকৃত তামাকপণ্য, কাগজ, যানবাহন, বিমান, জাহাজ, পরিবহন সরঞ্জাম, লাইভ জন্তু ও পশুপণ্য, কাঠ, কাঠের তৈরি পণ্য ও কাঠকয়লা, অপটিক্যাল, ফটোগ্রাফিক, সিনেমাটোগ্রাফিক, পরিমাপ, চিকিৎসা বা অস্ত্রোপচার যন্ত্র, সবজিপণ্য, বিবিধ জুতা, শিরস্ত্রাণ, ছাতা, কাঁচা চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য।
ইপিবির তথ্য বলছে, মালয়েশিয়ায় রফতানি করে সবচেয়ে বেশি আয় হয় নিটওয়্যার, ওভেন গার্মেন্টস, কৃষিজাত পণ্য থেকে। এর মধ্যে ২০১৬-১৭ অর্থবছরে নিটওয়্যার থেকে রফতানি আয় হয় আট কোটি ৬১ লাখ ডলার, ওভেন গার্মেন্টস থেকে আসে পাঁচ কোটি ৭১ লাখ ডলার এবং কৃষিজাত পণ্য রফতানি করে আয় হয় চার কোটি ৫০ লাখ ডলার।
অন্যদিকে, মালয়েশিয়া থেকে সবচেয়ে বেশি আমদানি হয় ৩১ কোটি ৩৪ লাখ ডলারের তেল ও চর্বিজাতীয় পণ্য। খনিজ পণ্য আমদানি হয় ২১ কোটি ৬১ লাখ ডলারের। প্লাস্টিক ও রাবার জাতীয় পণ্য আমদানি হয় ১৪ কোটি ২১ লাখ ডলারের। ১২ কোটি ৯৯ লাখ ডলারের যানবাহনের যন্ত্রপাতি ও বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম আমদানি হয়।
এসআই/এমএআর/জেআইএম