মেডিকেলে ‘শতভাগ ভর্তির নিশ্চয়তা’ দিচ্ছে সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্র
মেডিকেল কলেজের ভর্তি পরীক্ষাকে সামনে রেখে ‘শতভাগ ভর্তির নিশ্চয়তা’ প্রদানকারী সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রটি ফের সক্রিয় হয়ে উঠেছে। এ চক্রের সদস্যরা বিভিন্ন কোচিং সেন্টার ও ব্যক্তিগতভাবে ১০০ ভাগ কমন সাজেশন, সিক্রেট সাজেশন ও এক্সক্লুসিভ প্রোগ্রামের মাধ্যমে মেডিকেল কলেজে ভর্তির বিষয়ে গ্যারান্টি দিয়ে ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে মোটা অঙ্কের টাকা দাবি করছে। প্রতারক চক্রের সদস্যরা ভর্তি হতে না পারলে টাকা ফেরত দেবেন এমন কথা বলে আশ্বস্ত করছেন।
স্বাস্থ্য অধিদফতরের পরিচালক (চিকিৎসা শিক্ষা ও জনশক্তি উন্নয়ন) অধ্যাপক ডা. এ বি এম আবদুল হান্নান জাগো নিউজকে জানান, আগামী ১৮ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিতব্য সরকারি-বেসরকারি মেডিকেল ও ডেন্টাল কলেজের ভর্তি পরীক্ষাকে সামনে রেখে প্রতি বছরের মতো এবারও সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্র সক্রিয় হয়ে উঠেছে। তিনি মেডিকেল ভর্তিচ্ছুদের প্রতারণার জালে পা না দিয়ে নিবিড়ভাবে পড়াশুনায় মনোনিবেশ করে নিজ যোগ্যতার স্বাক্ষর রাখতে উপদেশ দিয়েছেন।
ইতোমধ্যেই বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থাসহ আইন-শৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের বিভিন্ন মেডিকেল কোচিং সেন্টারের প্রতারক চক্রের সদস্যদের অনৈতিক কর্মকাণ্ড সম্পর্কে অবহিত করে নজরদারি করতে চিঠি দেয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।
স্বাস্থ্য অধিদফতরের কর্মকর্তারা জানান, বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি মেডিকেল ও ডেন্টাল কলেজের বর্তমান ও সাবেক এক শ্রেণির অসৎ শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা মেডিকেল কলেজ ভর্তি কোচিং বাণিজ্যের সঙ্গে জড়িত। তাদের পরামর্শে বিভিন্ন কোচিং সেন্টারের লোকজন বিভিন্ন কলেজ থেকে মেধাবী শিক্ষার্থীদের বায়োডাটা সংগ্রহ করে।
এইচএসসি পরীক্ষার পর পরই সেই সব মেধাবী শিক্ষার্থীদের সঙ্গে যোগাযোগ করে সম্পূর্ণ বিনামূল্যে কিংবা নামমাত্র টাকা পরিশোধে তাদের কোচিং সেন্টারে ভর্তি করে। ওই সকল মেধাবী শিক্ষার্থীরা নিজেদের যোগ্যতা বলেই মেডিকেল কলেজে ভর্তির সুযোগ পায়।
প্রতি বছরই এ ধরনের মেধাবী শিক্ষার্থীদের উদাহরণকে পুঁজি করে অন্যান্য অপেক্ষাকৃত কম মেধাবী শিক্ষার্থী বিশেষ করে বিত্তবানদের ছেলেমেয়েদের ভর্তির গ্যারান্টি দিয়ে মোটা অংকের টাকা সংগ্রহ করে। অনেকটা অন্ধকারে ঢিল ছোড়ার মতো ভর্তির সুযোগ পেলে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়। আর ভর্তির সুযোগ না পেলে টাকা ফেরত দেয়া হয়।
অধ্যাপক ডা. এ বি এম আবদুল হান্নান জাগো নিউজকে জানান, সর্বোচ্চ সতর্কতার সাথে পরীক্ষা গ্রহণের ব্যাপারে সরকারের ঊর্ধ্বতন নীতি নির্ধারণী মহলের নির্দেশনা রয়েছে। সরকারের ভাবমূর্তি রক্ষায় সব ধরনের সতর্কতামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে বলে তিনি দাবি করেন।
এমইউ/এসএইচএস/এআরএস/এমএস