ভিডিও EN
  1. Home/
  2. বিশেষ প্রতিবেদন

শিগগিরই জট খুলছে মহিলা দলের

খালিদ হোসেন | প্রকাশিত: ০৭:৩৩ পিএম, ২৬ মার্চ ২০১৯

অবশেষে জট খুলছে জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের। সব প্রতিবন্ধকতার অবসান ঘটিয়ে চলতি মাসের মধ্যেই ঘোষণা হচ্ছে সংগঠনটির পূর্ণাঙ্গ কমিটি।

২০১৬ সালের ২৭ সেপ্টেম্বর আফরোজা আব্বাসকে সভাপতি, নুরজাহান ইয়াসমিনকে সিনিয়র সহ-সভাপতি, জেবা খানকে সহ-সভাপতি, সুলতানা আহমেদকে সাধারণ সম্পাদক ও হেলেন জেরিন খানকে যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক করে সুপার ফাইভ কমিটি ঘোষণা করে তিন মাসের মধ্যে পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠনের নির্দেশনা দেয়া হয়। এরপর তিন বছর গত হতে চললেও পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করতে পারেননি তারা।

জানা গেছে, ২০১৭ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি আফরোজা আব্বাস ৩০১ সদস্য বিশিষ্ট পূর্ণাঙ্গ কমিটির একটি প্রস্তাবিত তালিকা দলের চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ও মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের কাছে জমা দেন।

কিন্তু প্রস্তাবিত সেই কমিটি নিয়ে আপত্তি থাকায় একই বছর মার্চের প্রথম সপ্তাহে ২৭১ সদস্য বিশিষ্ট পূর্ণাঙ্গ কমিটির আরেকটি প্রস্তাবিত তালিকা বিএনপি চেয়ারপারসন ও মহাসচিবের কাছে জমা দেন সাধারণ সম্পাদক সুলতানা আহমেদ।

দলীয় সূত্র জানায়, মহিলা দলের ঘোষিত সুপার ফাইভ কমিটির সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকের দ্বন্দ্বের পাশাপাশি সরকারবিরোধী আন্দোলন এবং খালেদা জিয়ার কারবাসের কারণে এত দিন পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠনের প্রক্রিয়া বাধাগ্রস্ত হয়।

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর বিএনপি এবং এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনগুলো পুনর্গঠনের অংশ হিসেবে জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠনের তাগিদ অনুভব করছেন দলের হাইকমান্ড। এ লক্ষ্যে লন্ডন থেকে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান মহিলা দলের সুপার ফাইভ কমিটির নেত্রীদের সঙ্গে স্কাইপেতে দুই দফা বৈঠক করেন।

বৈঠকে নিজেদের মধ্যে ভেদাভেদ মিটিয়ে পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠনের তাগিদ দেন তিনি। তারপর পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠনের লক্ষ্যে মহিলা দলের নেত্রীরা বিএনপির নয়াপল্টন ও গুলশানে চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে দফায় দফায় বৈঠক করেন।

এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক সুলতানা আহমেদ জাগো নিউজকে বলেন, ‘পূর্ণাঙ্গ কমিটি এখনও ঘোষণা হয়নি, এ বিষয়ে আমি কিছু বলতে চাই না।’

আফরোজা আব্বাস ৩০১ সদস্য বিশিষ্ট কমিটির তালিকা প্রস্তাব করেছিলেন- এমন তথ্য অস্বীকার করে সুলাতানা আহমেদ বলেন, ‘আমরা সুপার ফাইভ বসে ২৭১ সদস্য বিশিষ্ট কমিটির তালিকা প্রস্তাব করেছিলাম।’ তিন মাসের মধ্যে পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করতে না পারার কারণ হিসেবে তৎকালীন পরিস্থিতিকে দায়ী করেন মহিলা দলের এ নেত্রী।

তিনি বলেন, ‘এক বছরে ৩০ জেলায় মহিলা দলের সম্মেলন হয়েছে। ম্যাডাম জেলে যাওয়ার পর অন্যরকম পরিস্থিতি তৈরি হয়। এখন সেন্ট্রাল কমিটি জমা দিয়েছি। ডিক্লেয়ার হলে আপনারাই সবার আগে জানতে পারবেন।’

বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির মহিলা বিষয়ক সম্পাদক নূরে আরা সাফা বলেন, ‘খুব শিগগিরই মহিলা দলের কমিটি দিয়ে দেব, ইনশাল্লাহ।’ দীর্ঘ সময়ে পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করতে না পারার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘ম্যাডামের কাছে কমিটি জমা দেয়া হয়েছিল। কিন্তু তিনি জেলে থাকায় এত দিন পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করা সম্ভব হয়নি। এখন আবার কাজ শুরু হয়েছে, চলতি সপ্তাহের মধ্যে পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা হবে।’

মহিলা দলের সভাপতি ৩০১ সদস্য বিশিষ্ট এবং সাধারণ সম্পাদক ২৭১ সদস্য বিশিষ্ট পৃথক দুটি তালিকা দিয়ে পূর্ণাঙ্গ কমিটির প্রস্তাব করেছেন। এটা তাদের মধ্যে দ্বন্দ্ব কিনা- জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘না কোনো দ্বন্দ্ব নয়। সব সমস্যা মিটে গেছে। দুটা প্রস্তাব নিয়ে একসঙ্গে বসে এখন একটাই করা হয়েছে।’

নূরে আরা সাফা আরও বলেন, সংগঠনে এখন কোনো ভেদাভেদ নেই। সবকিছুই ঠিক হয়ে গেছে। সব বড় দলে কিছু মতপার্থক্য থাকে। গঠনতন্ত্র অনুযায়ী অচিরেই মহিলা দলের পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা হবে।

এদিকে, মহিলা দলের পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠনের বিষয়ে সভাপতি আফরোজা আব্বাসের মোবাইলে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

কেএইচ/এমএমজেড/এমএআর/এমএস

আরও পড়ুন