ভিডিও EN
  1. Home/
  2. বিশেষ প্রতিবেদন

সড়কবাতির ঝলকে আলোকিত ডিএনসিসি

নিজস্ব প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ০৮:৪৮ পিএম, ২৭ জানুয়ারি ২০১৯

বাড্ডা লিংক রোড থেকে অফিস শেষে প্রতিদিন রাতে হেঁটে রামপুরার বাসায় ফেরেন বেসরকারি চাকরিজীবী আসিফ ইকবাল। দীর্ঘদিন এভাবে বাসায় ফিরলেও কিছুদিন হলো তার অভিজ্ঞতাটা একটু ভিন্ন।

আসিফ বলেন, ‘অফিস শেষে যানজটের কারণে প্রতিদিনই বাড্ডা লিংক রোড থেকে হেঁটেই রামপুরার বাসায় ফিরি। আগে যখন ফিরতাম তখন আলো-আঁধারের খেলা দেখতাম। অন্ধকারাচ্ছন্ন হলদেটে হালকা আলো থাকত সড়কে। আবছা আলোয় ভালো করে গাড়ি বা মানুষের চেহারা দেখা যেত না। কিছু কিছু জায়গায় অন্ধকার বেশি থাকায় ছিনতাইয়ের ভয়ও পেতাম। কিন্তু গত কিছুদিন হলো পাল্টে গেছে দৃশ্যপট।’

তিনি বলেন, ‘এখন সন্ধ্যা নামলেই রাস্তায় জ্বলে উঠছে ঝকঝকে সড়কবাতি। অন্ধকারাচ্ছন্ন হলদেটে আলোর বদলে ঝকঝকে আলোর দেখা মিলছে এলইডি বাতি থেকে। ফলে পুরো সড়ক রাতেও এখন ফকফকা।’

road

ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) গুরুত্বপূর্ণ সড়কে এখন আধুনিক এলইডি বাতি লাগানো হয়েছে। পাইলট প্রকল্পের অংশ হিসেবে প্রাথমিকভাবে রাজধানীর গুলশান, বনানী, বারিধারা, কুড়িল বিশ্বরোড থেকে মালিবাগ রেলক্রসিং, মহাখালীসহ গুরুত্বপূর্ণ বেশকিছু সড়কে লাগানো হয়েছে এসব এলইডি বাতি।

ডিএনসিসি সূত্রে জানা গেছে, এর আগে উত্তরা ও পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের সামনের সড়কে প্রথমে এলইডি বাতি লাগানো হয়। এরপর গুলশান, বনানী, বারিধারা, প্রগতি সরণির আবুল হোটেল থেকে শুরু হয়ে কুড়িল বিশ্বরোড পর্যন্ত, সার্ক ফোয়ারার সামনে থেকে জাহাঙ্গীর গেট, মহাখালী হয়ে স্টাফ কোয়ার্টর পর্যন্ত এবং বিজয় সরণি, মানিক মিয়া অ্যাভিনিউ ও নতুন বাজার থেকে শুরু করে কাকলী পর্যন্ত বসানো হচ্ছে এলইডি বাতি।

তবে এখনই ডিএনসিসির সব ওয়ার্ডে এলইডি বাতির সেবা পাওয়া যাবে না। সবগুলো ওয়ার্ডে এলইডি বাতির সেবা পেতে আরও অপেক্ষা করতে হবে। প্রাথমিক অবস্থায় শুধু রাজধানীর উত্তরা এলাকায় মোবাইল থেকে নিয়ন্ত্রণ করা হবে সড়কবাতি। মোবাইলের মাধ্যমে নির্ধারিত সময়ে এ বাতিগুলো জ্বালানো ও নেভানো যাবে।

সূত্র জানায়, ডিএনসিসির নিজস্ব অর্থায়নে ২৪ কোটি ৭৯ লাখ টাকা ব্যয়ে সড়কগুলো আলোকোজ্জ্বল করার একটি পাইলট প্রকল্প চলমান রয়েছে। এ প্রকল্পে মোট তিন হাজার ৩৪৩টি বাতি লাগানো হবে। এলইডি বাতির আলোতে পথচারী ও চালকদের চোখে যেন কোনো সমস্যা না হয় সে বিষয়টি পর্যালোচনা করে জার্মানির ভালকান কোম্পানির বাতি লাগানো হয়েছে। ১০ বছরের ওয়ারেন্টি ও রক্ষণাবেক্ষণের চুক্তি সম্পন্ন হয়েছে কোম্পানিটির সঙ্গে।

road

প্রকল্প পরিচালক ও ডিএনসিসির তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী (বিদ্যুৎ) রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘জননিরাপত্তা, আইনশৃঙ্খলা ও জনস্বাস্থ্যের বিষয়টি চিন্তা করে এ প্রকল্প বাস্তবায়নের কাজ শুরু করেছি। এলইডি সড়কবাতি লাগিয়ে আলোকিত করার একটি পাইলট প্রকল্প চলমান রয়েছে। এ প্রকল্পে মোট তিন হাজার ৩৪৩টি বাতি লাগানো হবে।’

প্রসঙ্গত, প্রয়াত মেয়র আনিসুল হক দায়িত্বে থাকাকালে রাজধানীকে আলো ঝলমলে করার উদ্যোগ নিয়েছিলেন। সে সময় ডিএনসিসির জন্য পাঁচ হাজার সিসি ক্যামেরা ও ৩৯ হাজার ৬০০ এলইডি বাতি স্থাপনে প্রকল্পটি হাতে নেয়া হয়। কিন্তু বিভিন্ন কারণে তা পিছিয়ে যায়। পরবর্তীতে পুরনো নিয়নবাতির বদলে রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় এলইডি বাতি পর্যায়ক্রমে বসানোর কাজ শুরু করে ডিএনসিসি।

এএস/এএইচ/এমএআর/আরআইপি

আরও পড়ুন