ভিডিও EN
  1. Home/
  2. বিশেষ প্রতিবেদন

ঝিমিয়ে আছে পলাতকদের ফিরিয়ে আনার উদ্যোগ

প্রকাশিত: ০৯:৫৯ পিএম, ২০ আগস্ট ২০১৫

একুশে আগস্ট গ্রেনেড হামলার ঘটনায় চার্জশিটভুক্ত ১৯ আসামি পলাতক। এই ঘটনায় ৫২ জনকে আসামি করা হয় সম্পূরক অভিযোগপত্রে। পলাতকদের দেশে ফিরিয়ে আনতে খুব একটা কার্যকর উদ্যোগ চোখে পড়ছে না। অথচ ঘটনার ১১ বছর চলছে।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে এমন তথ্য পাওয়া গেছে। অবশ্য স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল জাগোনি উজকে বলেছেন, পলাতক সব আসামিকে ফিরিয়ে আনতে সরকার কাজ করছে। ইতোমধ্যে রেড এলার্ট জারি করা হয়েছে। সহায়তা চাওয়া হয়েছে ইন্টারপোলের।

তিনি বলেন, মাওলানা তাজউদ্দিন আহমেদ দক্ষিণ আফ্রিকায় আছেন। দেশটির উপ-পররাষ্ট্র মন্ত্রীকে বুধবার আমরা অনুরোধ করেছি তাজউদ্দিনকে ফিরিয়ে দিতে। তিনি আমাকে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন তাকে ফিরিয়ে দেয়ার উদ্যোগ নেবেন।

পলাতক আসামিদের ফিরিয়ে আনার ব্যাপারে আইনমন্ত্রী অ্যাডভোকেট আনিসুল হক জাগো নিউজকে বলেন, পলাতক আসামিদের ফিরিয়ে আনার বিষয়ে সরকারের পদক্ষেপ অব্যাহত রয়েছে। সময় হলে দেখতে পারবেন।

সূত্রগুলো বলছে, হামলার অন্যতম পরিকল্পনাকারী ও গ্রেনেড সরবরাহকারী মাওলানা তাজউদ্দিনসহ পলাতক অন্য সবাই নিরাপদ আশ্রয় নিয়েছেন। তবে দীর্ঘদিন তাজউদ্দিন আহমেদের অবস্থান জানতে না পারলেও শেষ পর্যন্ত তিনি কোথায় অবস্থান নিয়েছেন সুনির্দিষ্টভাবে জানতে পেরেছে সরকার।

জানা গেছে, অন্যদের ব্যাপারে কোনো তথ্য এখন নেই সরকারের কাছে। তাদের বিরুদ্ধে হুলিয়া জারি করা হয়েছিল। হাজির না হওয়ায় ১৯ জনের অনুপস্থিতিতে বিচার হচ্ছে। বিচারের রায় হলে গ্রেফতার করতে ইন্টারপোলের সহায়তা নেয়া হবে।

একুশে আগস্ট গ্রেনেড হামলার পর মতিঝিল থানায় হত্যা ও বিস্ফোরক আইনে দুটি মামলা করা হয়। পরে `জজ মিয়া` নাটক সাজিয়ে মামলা ভিন্ন খাতে নেয়ার চেষ্টা করে বিএনপি-জামায়াত জোট সরকার। তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া গ্রেনেড হামলা সম্পর্কে পূর্বেই অবহিত ছিলেন বলে অভিযোগ রয়েছে।

সম্পূরক চার্জশিটে যাদের অভিযুক্ত করা হয়েছে তারা হলেন তারেক রহমান, ডিজিএফআইর সাবেক মহাপরিচালক মেজর জেনারেল (অব.) রেজ্জাকুল হায়দার চৌধুরী, এনএসআইর সাবেক মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আবদুর রহিম, পুলিশের সাবেক আইজি আশরাফুল হুদা, শহিদুল হক, অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক খোদা বকস, ডিএমপির তৎকালীন উপকমিশনার (পূর্ব) ওবায়দুর রহমান, সাবেক উপকমিশনার (দক্ষিণ) খান সাঈদ হাসান, হুজির আমির মাওলানা শেখ ফরিদ, নায়েবে আমির মাওলানা আবদুল হান্নান ওরফে সাব্বির, মাওলানা আবদুর রউফ, খালেদা জিয়ার ভাগ্নে লে. কমান্ডার (অব.) সাইফুল ইসলাম ডিউক, ডিজিএফআইর সাবেক কর্মকর্তা লে. কর্নেল সাইফুল ইসলাম জোয়ার্দার (বরখাস্ত), বিএনপির ঢাকা মহানগর নেতা আরিফুর রহমান, হুজির সাবেক আমির ও ইসলামিক ডেমোক্রেটিক পার্টির আহ্বায়ক মাওলানা আবদুস সালাম, কাশ্মিরী জঙ্গি আবদুল মাজেদ ভাট ওরফে ইউসুফ ভাট, আবদুল মালেক ওরফে গোলাম মোস্তফা, সিআইডির সাবেক এসপি রুহুল আমিন, সাবেক এএসপি মুন্সি আতিকুর রহমান, সাবেক এএসপি আবদুর রশিদ, হানিফ পরিবহনের মালিক মো. হানিফ, হুজি সদস্য হাফেজ মাওলানা ইয়াহিয়া, মুফতি শফিকুর রহমান, মুফতি আবদুল হাই, বাবু ওরফে রাতুল বাবু, মেজর জেনারেল (অব.) এটিএম আমিন প্রমুখ। আসামির মধ্যে সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবরসহ অনেকে বর্তমানে কারাগারে রয়েছেন।

সূত্র মতে, তারেক রহমান, খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক উপদেষ্টা হারিছ চৌধুরী, শাহ মোফাজ্জল হোসেন কায়কোবাদ, সাবেক মন্ত্রী পিন্টুর ভাই মাওলানা তাজউদ্দিন, লে. কর্নেল (অব.) সাইফুল ইসলাম জোয়ার্দার, মেজর (অব.) এটিএম আমিন, ঢাকা মহানগর পুলিশের উপ কমিশনার ওবায়দুর রহমান, খান সাঈদ হাসান, মুফতি আবদুল হাই, হাফেজ ইয়াহিয়া, মুফতি শফিকুর রহমান, মাওলানা আবু বকর, ইকবাল, খলিলুর রহমান, জাহাঙ্গীর আলম ওরফে বদর, মাওলানা লিটন ওরফে জোবায়ের ওরফে দেলোয়ার, রাতুল বাবু, ভারতের তিহার জেলে বন্দি আনিসুল মোরসালিন ও মহিবুল মোত্তাকিন পলাতক। পলাতকের মধ্যে তারেক রহমান দীর্ঘদিন ধরে সপরিবারে লন্ডনে অবস্থান করছেন।

এসএ/বিএ