ক্যাটারিংয়ের জনপ্রিয়তা বাড়ছে
সভা-সম্মেলন, বিয়ে, পিকনিক, জন্মদিনসহ যেকোনো অনুষ্ঠানে ভোজের বিষয়টি আসে সবার আগে। খাবারের আইটেমের পাশাপাশি রান্নাটাও হতে হবে সুস্বাদু। তাই তো এসব অনুষ্ঠানে সবার আগে খোঁজ পড়ে বাবুর্চির।
সময়ের সঙ্গে বদলেছে এসব অনুষ্ঠানের প্রস্তুতি। মানুষ এখন বাবুর্চি খোঁজা, বাজার করে রান্নাবান্নার ঝামেলায় আর যেতে চান না। অনেকেই এসব অনুষ্ঠানে রান্না আর পরিবেশনের পুরো বিষয়টি ক্যাটারিং সার্ভিসকে দিয়ে নিশ্চিন্তে থাকতে চান। তাই দিনদিন এ সার্ভিসের (খাবার রান্না করে সরবরাহ) চাহিদা বেড়ে চলেছে।
এ বিষয়ে কথা হয় ক্যাটারিং সার্ভিসের মাধ্যমে বোনের বিয়ের অনুষ্ঠান করা রায়ের বাজারের বাসিন্দা মোবারক হোসেনের সঙ্গে। তিনি জানান, গত ২৫ সেপ্টেম্বর তার ছোট বোনের বিয়ে সম্পন্ন হয়। বাড়ির আশেপাশে তেমন জায়গা না থাকায় ছাদের ওপর খাওয়ার ব্যবস্থা করা হয়। কিন্তু রান্না কোথায় হবে- সেটা নিয়ে খুব চিন্তিত হয়ে পড়ি। পরে আমার এক বন্ধু জানায়, রান্নাবান্নার ঝামেলা এড়াতে চাইলে ইকবাল ক্যাটারিং সার্ভিসের সঙ্গে যোগাযোগ করো। পরে তাদের মাধ্যমে খাবার আনিয়ে ভালোমতো অনুষ্ঠান শেষ করি।
নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয়ের যেকোনো সভা-সম্মেলন কিংবা অনুষ্ঠানের খাবার সরবরাহের দায়িত্বে থাকেন মনসুর আলী। তিনি বলেন, প্রায় ১০ বছর ধরে এ মন্ত্রণালয়ে চাকরি করছি। আগে বিভিন্ন অনুষ্ঠানের জন্য হোটেল থেকে খাবার সরবরাহ করতাম। হোটেল কর্তৃপক্ষ খাবার হস্তান্তর করেই দায় সারতো। পরবর্তীতে হোটেল থেকে খাবার আনা, নির্দিষ্ট স্থানে সময় মতো পৌঁছানো, খাবারের মান ঠিক থাকা- নানা ঝক্কি-ঝামেলা পোহাতে হতো। কিন্তু এখন খাবারের প্রয়োজন হলে ক্যাটারিং সার্ভিসকে খবর দিলেই হয়। তারাই সব ব্যবস্থা করে দেয়।
ক্যাটারিং সার্ভিসের খাবারের মানের বিষয়ে তিনি বলেন, খাবারের মানের বিষয়টি নির্ভর করবে আপনার অর্ডারের ওপর। আপনি যে ধরন ও মানের খাবার অর্ডার করবেন, সেভাবেই তারা সরবরাহ করবে। এখন পর্যন্ত তাদের খাবারের মান খারাপ পায়নি।
প্রিমিয়ার ক্যাটারিংয়ের কর্মকর্তা আজিজ রহমান বলেন, দিনদিন ক্যাটারিং সার্ভিসের চাহিদা বাড়ছে। আমাদের এখানে বিভিন্ন ধরনের প্যাকেজ আছে। জনপ্রতি ১২০ থেকে শুরু করে ৫০০ টাকা পর্যন্ত প্যাকেজ পাবেন। শুধু ১২ ঘণ্টা আগে অর্ডার করবেন। নির্দিষ্ট সময়েই প্যাকেজ অনুযায়ী খাবার আপনার ঠিকানায় পৌঁছে যাবে।
‘কর্পোরেট অনুষ্ঠান, সভা-সম্মেলন, বিয়ে, পিকনিক, জন্মদিনসহ যেকোনো অনুষ্ঠানের জন্য আমরা খাবার সরবরাহ করি’- যোগ করেন তিনি।
খাবারের মানের বিষয়ে আজিজ রহমান বলেন, ‘সর্বোচ্চ গুণগত মান বজায় রেখে আমরা সার্ভিস দেই। এ ক্ষেত্রে স্বাস্থ্যসম্মত পরিবেশে বাজারের সেরামানের উপকরণ দিয়ে রান্না এবং তা পরিবেশনের ব্যবস্থা করা হয়। ২০১৫ সালে যাত্রা শুরু করে খুব স্বল্প সময়ে আমরা সবার আস্থা অর্জনে সক্ষম হয়েছি।’
‘বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড, আনসার, মেঘনা, ইমপ্রেস ও বেক্সিমকো গ্রুপ, বিএসটিআই (বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ড অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউট), স্ট্যান্ডার্ড চ্যার্টার্ড ব্যাংক, ইবিএল (ইস্টার্ন ব্যাংক লিমিটেড), ইনসেপ্টা ফার্মা, স্ক্যান সিমেন্ট, হোলসিম সিমেন্ট, ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকোর মতো প্রতিষ্ঠানে সুনামের সঙ্গে আমরা খাবার সরবরাহ করে আসছি।’
‘মাত্র ২৫ জনের অর্ডার দিলে যেকোনো দিন যেকোনো সময় একদম বিয়ে বাড়ির স্বাদের খাবার পাবেন, তাও আবার হোম ডেলিভারি। শুধু ঢাকা শহরই নয়, দেশের যেকোনো জায়গায় প্রিমিয়ার ক্যাটারিং সেবা দিতে প্রস্তুত’- বলেন তিনি।
এমইউএইচ/জেডএ/এমএআর/জেআইএম