আ.লীগের হাছান মাহমুদ, বিএনপির হুম্মাম কাদের?
আগামী ডিসেম্বর মাসের শেষ সপ্তাহে অনুষ্ঠিত হবে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। নির্বাচন নিয়ে কিছুটা অনিশ্চয়তা কাজ করলেও এরই মাঝে ‘দৌড়ঝাঁপ' শুরু করেছেন প্রায় সব রাজনৈতিক দলের মনোনয়নপ্রত্যাশীরা। এক্ষেত্রে নির্বাচনের আগে শেষ ঈদে ‘এক ঢিলে দুই পাখি' মেরেছেন চট্টগ্রাম অঞ্চলের সম্ভাব্য প্রার্থীরা।
ঈদুল আজহায় চট্টগ্রামের শহর-গ্রাম সব স্থানেই চোখে পড়েছে সম্ভাব্য প্রার্থীদের জনসংযোগ। আওয়ামী লীগ, বিএনপি, জাতীয় পার্টি- বড় এই তিন দলের সম্ভাব্য প্রার্থীরা গেছেন ভোটারদের দ্বারে দ্বারে। প্রায় প্রতিটি আসনেই বড় দুই দল আওয়ামী লীগ ও বিএনপির প্রার্থিতার ছড়াছড়ি। মন্ত্রী-এমপিরা ঘন ঘন যাচ্ছেন নিজ এলাকায়। ভোটাররাও চুলচেরা বিশ্লেষণ করেছেন তাদের কর্মকাণ্ডের।
আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চট্টগ্রামের ১৬টি আসনে রাজনৈতিক দলগুলোর আসনভিত্তিক প্রস্তুতি, দলের অভ্যন্তরীণ সমস্যা, সর্বশেষ অবস্থান এবং ভবিষ্যৎ সম্ভাবনা, মাঠের অবস্থাইবা কী- এসব নিয়ে জাগো নিউজ’র ধারাবাহিক প্রতিবেদন ‘ভোটের বাদ্য’। সপ্তম কিস্তিতে আজ থাকছে ‘চট্টগ্রাম-৭’ এর সার্বিক চিত্র।
উপমহাদেশের রাজনীতির ইতিহাসে রাঙ্গুনিয়া একটি প্রাচীন নাম। ১৮৭৪ সালের আগ পর্যন্ত রাঙ্গুনিয়া ছিল চাকমা রাজ্যের রাজধানী। এখানেই আরকানিরা মুঘল রাজশক্তির কাছে পরাজিত হয়। বর্তমান চট্টগ্রাম-৭ সংসদীয় আসনটি সেই রাঙ্গুনিয়া ও বোয়ালখালীর উপজেলার দুটি ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত।
এ সংসদীয় আসনে মোট ভোটার সংখ্যা দুই লাখ ৬৯ হাজার ৮৭২ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার এক লাখ ৩৯ হাজার ৬২৬ এবং মহিলা ভোটার এক লাখ ৩০ হাজার ২৪৬ জন।
আওয়ামী লীগের সম্ভাব্যপ্রার্থী ড. হাছান মাহমুদ, জাতীয় পার্টি নজরুল ইসলাম ও ইসলামী ঐক্যজোট মুফতি ফয়জুল্লাহ
অতীতে যেমন রাঙ্গুনিয়ার শাসক পরিবর্তন হয়েছে বারবার, তেমনি স্বাধীন বাংলাদেশের রাজনীতিতেও এ আসনে কোনো দলের একক আধিপত্য নেই। এখানে কখনও আওয়ামী লীগ, কখনও বিএনপি আবার কোনো সময় জাতীয় পার্টিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও স্বতন্ত্র প্রার্থী নির্বাচিত হয়েছেন।
তবে রাঙ্গুনিয়ার বর্তমান সংসদ সদস্য ড. হাসান মাহমুদ সেদিক দিয়ে সৌভাগ্যবানই বলতে হবে। নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মানবতাবিরোধী অপরাধে মুত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত বিএনপি নেতা সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীকে বিপুল ভোটের ব্যবধানে পরাজিত করে প্রথমবারের মতো সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন তিনি। দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও তিনি আসনটি ধরে রাখেন। আসছে একাদশ সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে যেসব প্রার্থীকে চূড়ান্ত হিসেবে গ্রিন সিগন্যাল দেয়া হয়েছে, তাদের মধ্যে চট্টগ্রাম-৭ আসনে আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ও সাবেক মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ অন্যতম। তবে এর বাইরেও অনেক আওয়ামী লীগ নেতা নির্বাচনী দৌড়ে আছেন। তারা হলেন- চট্টগ্রাম উত্তর জেলা যুবলীগের সহ-সভাপতি ওসমান গণি চৌধুরী, উপজেলা চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আলী শাহ এবং আবুধাবি প্রবাসী আওয়ামী লীগ নেতা ইফতেখার হোসেন বাবুল।
আওয়ামী লীগের মতোই এ আসনে বিএনপির প্রার্থীও প্রায় চূড়ান্ত। মানবতাবিরোধী অপরাধে সালাউদ্দিন কাদের (সাকা) চৌধুরীর ফাঁসি কার্যকর হওয়ার পর এ আসনে তার স্ত্রী ফরহাত কাদের চৌধুরী ও ছেলে হুম্মাম কাদের চৌধুরীর নাম শোনা যাচ্ছে জোরেশোরে। স্থানীয় নেতাকর্মীরাও মনে করেন, রাঙ্গুনিয়ার আসন পুনরুদ্ধারে সাকা পরিবারের ইমেজটা প্রয়োজন।
তবে এ আসনে বিএনপির সড় সমস্যা হলো, স্থানীয়-অস্থানীয় বিরোধ। সাকা পরিবারকে ‘বহিরাগত’ হিসেবে আখ্যায়িত করে স্থানীয় কাউকে প্রার্থী করতে তৎপর বিএনপির একপক্ষ। আলোচনায় আছেন- রাঙ্গুনিয়া উপজেলা বিএনপির একাংশের আহ্বায়ক অধ্যাপক কুতুব উদ্দিন বাহার, যুগ্ম আহ্বায়ক ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আবু আহমেদ হাসনাত। তারা বিএনপির আসলাম চৌধুরীর সমর্থিত। গিয়াস উদ্দিন কাদের চৌধুরীর গ্রুপ থেকে মনোনয়ন দৌড়ে রয়েছেন উপজেলা বিএনপির অপরাংশের আহ্বায়ক শওকত আলী নুর ও সদস্য সচিব অধ্যাপক মোহাম্মদ মহসিন।
বড় দু’দলের বাইরে রাঙ্গুনিয়া থেকে জাতীয় পার্টির মনোনয়ন প্রত্যাশা করছেন দলের ভাইস চেয়ারম্যান ও সাবেক এমপি নজরুল ইসলাম। লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি (এলডিপি) থেকে প্রার্থী হতে পারেন পার্টির উত্তর জেলা সভাপতি নুরুল আলম। এছাড়া সম্ভাব্যপ্রার্থী হিসেবে আলোচনায় আছেন ইসলামী ঐক্যজোট একাংশের মহাসচিব ও হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের যুগ্ম মহাসচিব মুফতি মোহাম্মদ ফয়জুল্লাহ।
বিএনপির সম্ভাব্যপ্রার্থী হুম্মাম কাদের চৌধুরী, ফরহাত কাদের চৌধুরী ও গিয়াস কাদের চৌধুরী
স্থানীয় সূত্র জানায়, আগামী একাদশ সংসদ নির্বাচনে বর্তমান সংসদ সদস্য, আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক এবং সাবেক মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ ছাড়া রাঙ্গুনিয়ায় অন্য কেউ প্রার্থী হতে আগ্রহ দেখাচ্ছেন না। তারা বলছেন, হাছান মাহমুদের একক প্রচেষ্টায় গত সাড়ে নয় বছরে রাঙ্গুনিয়ায় আড়াই হাজার কোটি টাকার উন্নয়নমূলক কাজ হয়েছে। যা অতীতের অন্য কোনো সরকারের আমলে হয়নি।
আরও পড়ুন >> আ.লীগ-বিএনপির গলার কাঁটা জোট-মহাজোট!
অনুন্নত জনপদ রাঙ্গুনিয়াকে উন্নত ও আলোকিত জনপদে পরিণত করার লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছেন হাছান মাহমুদ। উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে আগামী নির্বাচনেও ড. হাছান মাহমুদের বিকল্প নেই।
বিএনপির স্থানীয় সূত্র জানায়, মামলা ও গ্রেফতার আতঙ্কে প্রকাশ্যে দলীয় কর্মসূচি সেভাবে পালন করতে পারে না রাঙ্গুনিয়া উপজেলা বিএনপি। উপজেলার পোমরা এলাকার জিয়ানগরে প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের প্রথম মাজারেও তড়িঘড়ি করে দিবসভিত্তিক কিছু কর্মসূচি পালনের চেষ্টার করা হয়। বিভিন্ন সময় বিএনপির কর্মসূচির কোনোটাই পালন করতে পারেননি নেতাকর্মীরা। তবে দলীয় কর্মসূচি পালন করতে না পারলেও রাঙ্গুনিয়ার তৃণমূল পর্যায়ের নেতাকর্মী ও সমর্থকদের দাবি, সুষ্ঠু ভোট হলে বিএনপি এখানে ভালো করবে।
বিএনপির মনোনয়নের ক্ষেত্রে বারবারই ঘুরেফিরে আলোচানায় আসছে সাকা পরিবারের নাম। জোর সম্ভাবনা আছে, বিএনপি নির্বাচনে এলে এ আসনে মানবতাবিরোধী অপরাধে ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর ছেলে দলের নির্বাহী কমিটির সদস্য হুম্মাম কাদের চৌধুরীর প্রার্থী হবার। সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর পর তার ছেলে হুম্মাম কাদের চৌধুরী রাঙ্গুনিয়া বিএনপির সাংগঠনিক বিষয়াদি তদারকি করেন।
সম্প্রতি উত্তর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আসলাম চৌধুরী সমর্থিত নেতাকর্মীরা রাঙ্গুনিয়ায় নতুন কমিটি ঘোষণা দিলে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ওই কমিটির কার্যক্রম স্থগিত করে কেন্দ্র। এ সময় রাঙ্গুনিয়া উপজেলা ও পৌরসভায় সাকা পরিবার সমর্থিত বিএনপির পূর্বের আহ্বায়ক কমিটিই দায়িত্ব পালন করবেন বলে জানানো হয়।
নৌকা প্রতীক পাওয়া প্রসঙ্গে ড. হাছান মাহমুদ জাগো নিউজকে বলেন, ‘বিগত সাড়ে নয় বছর ধরে রাঙ্গুনিয়ার উন্নয়নে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছি। রাঙ্গুনিয়ার মানুষ এখন মিলেমিশে আছে। দলমত নির্বিশেষে সাধ্যমতো সেবা করার চেষ্টা করছি। বিগত প্রায় পাঁচ বছরে এলাকার শিক্ষা, যোগাযোগ ব্যবস্থাসহ নানা খাতে আড়াই হাজার কোটি টাকার উন্নয়নমূলক কাজ করেছি। অন্তত এক হাজার বেকার যুবকের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করেছি। আমার এলাকায় কে বিএনপি করে, কে জাতীয় পার্টি করে তা দেখিনি। সবাইকে সমান চোখে দেখেছি।’
নিজ হাতে মাটি কেটে রাস্তা মেরামত করছেন হাছান মাহমুদ। ফেসবুকে ভাইরাল হওয়া ছবি
‘বিএনপির আমলে সন্ত্রাসের জনপদ হিসেবে পরিচিতি পাওয়া রাঙ্গুনিয়ায় এখন শান্তির সুবাতাস বইছে। অপরাধ সংগঠনের ক্ষেত্রে অভিযোগ পেয়ে দলের নেতাকর্মীদেরও ছাড় দেইনি। তাই এবার আগের চেয়ে বেশি ভোটে জয়ী হবো ইনশাআল্লাহ’- যোগ করেন তিনি।
নির্বাচন প্রসঙ্গে রাঙ্গুনিয়া বিএনপির সম্ভাব্যপ্রার্থী সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর ছেলে হুম্মাম কাদের চৌধুরীর সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। তবে তার চাচা বিএনপি নেতা গিয়াস উদ্দিন কাদের চৌধুরী এর আগে বলেছিলেন, সাকা পরিবারের সদস্যরা রাউজান, রাঙ্গুনিয়া, ফটিকছড়ি থেকে নির্বাচন করবে।
তিনি বলেন, ‘রাউজানে আমি অথবা আমার ভাবি ফরহাত কাদের চৌধুরী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবো। রাঙ্গুনিয়া থেকে নির্বাচন করবে আমার ভাতিজা হুম্মাম কাদের চৌধুরী।’
রাঙ্গুনিয়া উপজেলা শাখার আহ্বায়ক ও চট্টগ্রাম উত্তর জেলার সদস্য মো. শওকত আলী নূর বলেন, ‘দেশনেত্রী খালেদা জিয়ার সঙ্গে বিভিন্ন সময় দলীয় ও সাংগঠনিক বিষয়াদি নিয়ে যখন দেখা করতে গেছি তখন ম্যাডাম বলেছেন, সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর পরিবারের সঙ্গে আলাপ করে রাঙ্গুনিয়ার মনোনয়ন কিংবা যে কোনো সাংগঠনিক বিষয়ে সিদ্ধান্ত হবে। যেহেতু এ আসন থেকে তিনি তিনবার এমপি নির্বাচিত হয়েছিলেন এবং তার ছেলে বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা হুম্মাম কাদের চৌধুরী এখন এলাকার সাংগঠনিক বিষয়াদি তদারকি করছেন, তাই এলাকায় দলের অবস্থান এখন অনেক শক্তিশালী। আগামী নির্বাচনে সালাউদ্দিন কাদেরের পরিবারের কেউ নির্বাচন না করলে আমি অবশ্যই দলের মনোনয়ন চাইবো।’
দলীয় কর্মসূচিতে জাতীয় পার্টির সম্ভাব্য প্রার্থী সাবেক এমপি নজরুল ইসলাম
সাবেক সংসদ সদস্য নজরুল ইসলাম বলেন, ‘১৯৮৮ সালের নির্বাচনে দল থেকে প্রার্থী হয়ে আমি এ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলাম। আগামী নির্বাচনে আমি মনোনয়নপ্রত্যাশী। দল এককভাবে নির্বাচন করলে আমি মনোনয়ন পাবো, আশা করছি। তবে মহাজোট হলে জোট থেকে যাকে মনোনয়ন দেয়া হবে তার পক্ষে কাজ করবো।’
ইসলামী ঐক্যজোটের মহাসচিব ও হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের যুগ্ম মহাসচিব মুফতি ফয়জুল্লাহ বলেন, ‘রাঙ্গুনিয়ার ছেলে হিসেবে গণমানুষের আশা-আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন ঘটাতে আমি আগামী নির্বাচনে অংশ নেবো, এটা নিশ্চিত। দুর্নীতিমুক্ত ও আলোকিত রাঙ্গুনিয়া গড়ার লক্ষ্যে গণমানুষের সেবা, মানবতার কল্যাণের জন্য এবং রাঙ্গুনিয়াবাসীকে উন্নয়নের শীর্ষে পৌঁছে দেয়ার জন্য কাজ করবো।’
বিগত নির্বাচনের ফলাফল
এই আসন থেকে মুসলিম লীগের টিকিটে একবার (১৯৭৯) এবং বিএনপির টিকিটে দুবার (১৯৯৬ ও ২০০১) নির্বাচিত হন মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে ফাঁসির রায় কার্যকর হওয়া সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী। ১৯৯১ সালে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন ১৫ দলীয় জোটের মনোনয়নে নির্বাচিত হন কমিউনিস্ট পার্টির মোহাম্মদ ইউসুফ। জাতীয় পার্টি থেকে এ আসনে ১৯৮৬ সালে গিয়াস উদ্দিন কাদের চৌধুরী এবং ১৯৮৮ সালে নজরুল ইসলাম নির্বাচিত হন। ২০০৮ সালে বিএনপি নেতা সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীকে বিপুল ভোটের ব্যবধানে পরাজিত করে প্রথমবারের মতো সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন ড. হাছান মাহমুদ। ২০১৪ সালের নির্বাচনেও তিনি আসনটি ধরে রাখেন।
[‘ভোটের বাদ্য’র অষ্টম কিস্তিতে থাকছে ‘চট্টগ্রাম-৮’ আসনের সম্ভাব্যপ্রার্থীদের নাম এবং তাদের নিয়ে স্থানীয়দের চুলচেরা বিশ্লেষণ। বিস্তারিত জানতে চোখ রাখুন জাগো নিউজে]
আবু আজাদ/এমএআর/এমএস