মাঠ নিয়ন্ত্রণের চেষ্টায় ক্ষমতাসীনরা
>> অশুভ শক্তির অসাংবিধানিক সরকার প্রতিষ্ঠার চেষ্টা
>> মাঠে থাকলে ব্যর্থ হবে অশুভ শক্তির অপতৎপরতা
>> ষড়যন্ত্র মোকাবেলায় কৌশল অনুযায়ী কার্যক্রম গ্রহণ
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতির আড়ালে রাজনীতির মাঠ নিজেদের নিয়ন্ত্রণে রাখার চেষ্টায় ক্ষমতাসীনরা। আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন জোট নির্বাচনের প্রস্তুতির অংশ হিসেবে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে গণসংযোগ শুরু করেছে। পাশাপাশি চলতি মাসের ১৮ তারিখ থেকে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার আগ পর্যন্ত মাঠে থাকার ঘোষণা দিয়েছে তারা।
ক্ষমতাসীন শিবিরের নীতিনির্ধারণী মহলের ভাষ্য অনুযায়ী, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে একটি অশুভ শক্তি অসাংবিধানিক সরকার প্রতিষ্ঠার ষড়যন্ত্র নিয়ে মাঠে নেমেছে। রাজনীতির মাঠে আন্দোলন করতে ব্যর্থ হয়ে নির্বাচন বানচালে তৎপরতা চালাচ্ছে ওই শক্তি। তাই সব ধরনের অশুভ শক্তি মোকাবেলা করে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতি নিতে মাঠে নেমেছেন নেতারা।
গত শনিবার (৮ সেপ্টেম্বর) আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের নেতৃত্বে দলটির একটি প্রতিনিধি দল নির্বাচনী গণসংযোগ করতে রেলপথে উত্তরবঙ্গ সফর করেন। ওই সফরে একাধিক পথ সভায় অংশ নেয় প্রতিনিধি দলটি। ১৩ সেপ্টেম্বর লঞ্চযোগে বরিশাল বিভাগে নির্বাচনী গণসংযোগে অংশ নেয়ার কথা থাকলে সেটি বাতিল করা হয়। পরবর্তী যেকোনো সময়ে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদকের নেতৃত্বাধীন প্রতিনিধি দলটি বরিশাল বিভাগ সফর করবে বলে জানানো হয়। এছাড়া সড়ক পথে চট্টগ্রাম ও ময়মনসিংহ বিভাগ এবং কিশোরগঞ্জে গণসংযোগে যাওয়ার কথা রয়েছে প্রতিনিধি দলটির।
দলটির নেতারা জানিয়েছেন, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দলের পাশাপাশি স্থানীয় পর্যায়ে নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণা চালাচ্ছেন মনোনয়নপ্রত্যাশীরা। তাদের প্রচার-প্রচারণার সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। নির্বাচনকালীন সরকার গঠনের আগে আরও কয়েকটি জেলা সফরের কথা রয়েছে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার। এসব কর্মসূচি মূলত সরকারের বিভিন্ন উন্নয়নের চিত্র তৃণমূলে পৌঁছে দেয়ার পাশাপাশি ক্ষমতাপ্রত্যাশীদের রাজনীতির নেতিবাচক দিকগুলো তুলে ধরছেন নেতারা।
আরও পড়ুন >> আলোচনায় বসলেই সমাধান কিন্তু তারা বসবেন না
আওয়ামী লীগ নেতারা মনে করেন, এসব কর্মসূচির মাধ্যমে রাজনীতির মাঠে আওয়ামী লীগের নিয়ন্ত্রণ থাকার বিষয়টি আরও স্পষ্ট হয়ে ওঠে। দলটির নেতাকর্মীরা মাঠ কর্মসূচিতে অংশ নেয়ার পাশাপাশি সজাগ ও সতর্ক অবস্থানে থাকেন। ফলে রাজনীতির মাঠে কোনো অপ্রত্যাশীত শক্তির অনুপ্রবেশ ঘটনার আশঙ্কা অনেকটাই কমে যায়।
এদিকে গত ১ সেপ্টেম্বর ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন ১৪ দলীয় জোটের সভা শেষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে জোটের মুখপাত্র মোহাম্মদ নাসিম চলতি মাসের ১৮ তারিখ থেকে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার আগ পর্যন্ত মাঠে থাকার ঘোষণা দিয়েছেন। ওই সংবাদ সম্মেলনে আওয়ামী লীগের এই সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য বলেন, যখনই নির্বাচন আসে, ভোটের মাধ্যমে জনগণের রায় নেয়ার সময় আসে, তখনই একটি অশুভ মুখচেনা মহল তৎপরতা শুরু করেন।
এর আগে আওয়ামী লীগের সম্পাদকমণ্ডলীর এক সভায় দলীয় নেতাকর্মীদের সতর্ক ও সজাগ থাকার নির্দেশ দিয়েছিলেন দলটির সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
আরও পড়ুন >> সুষ্ঠু নির্বাচন না দিলে সরকারের পতন অনিবার্য
আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য কর্নেল (অব.) ফারক খান বলেন, সব ষড়যন্ত্র ও চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করে রাষ্ট্রক্ষমতায় আবারও আওয়ামী লীগ অধিষ্ঠিত হবে।
দলটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. আব্দুর রহমান বলেন, নির্বাচন এলে ষড়যন্ত্রের ডালপালা গজাতে থাকে। এগুলো মোকাবেলার প্রস্তুতি নিয়ে আওয়ামী লীগ কৌশল নির্ধারণ করে। এবারও আমাদের কৌশল নির্ধারণ আছে। সে অনুযায়ী কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে।
এইউএ/এমএআর/পিআর