ভিডিও EN
  1. Home/
  2. বিশেষ প্রতিবেদন

দ্বিধাদ্বন্দ্বে ছোটদল, তবে বেড়েছে গুরুত্ব

আমানউল্লাহ আমান | প্রকাশিত: ১০:৫৪ এএম, ৩১ জুলাই ২০১৮

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে ক্ষমতার প্রতিদ্বন্দ্বী বড় রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে গুরুত্ব বাড়তে শুরু করেছে ছোট ছোট রাজনৈতিক দলগুলোর। গুরুত্ব বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে দ্বিধাদ্বন্দ্বেরও মধ্যে রয়েছেন রাজনীতিতে বিকল্প বা তৃতীয় রাজনৈতিক শক্তির ডাক দেয়া দলগুলোর নেতারা।

তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, নির্বাচনী বৈতরণী পার হতে জোট সম্প্রসারণ করে ভোটের কৌশল গ্রহণ করেছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ও ক্ষমতার প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপি। এরই অংশ হিসেবে ছোটদলগুলোর সঙ্গে আলাপ-আলোচনা চালাচ্ছে আওয়ামী লীগ, বিএনপি, জাতীয় পার্টি ও অন্যান্য দলগুলোর নেতারা।

এরই অংশ হিসেবে গত ১৮ জুলাই ব্যারিস্টার নাজমুল হুদার নেতৃত্বাধীন নয় দলীয় জোটের নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন ১৪ দলীয় জোটের নেতারা।

নাজমুল হুদার নেতৃত্বাধীন জাতীয় জোটের সদস্য দলগুলো হলো— তৃণমূল বিএনপি, গণতান্ত্রিক আন্দোলন, ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক অ্যালায়েন্স, সম্মিলিত ইসলামিক জোট, কৃষক শ্রমিক পার্টি, একামত আন্দোলন, জাগো দল, ইসলামিক ফ্রন্ট ও গণতান্ত্রিক জোট।

এদিকে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) নেতাদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। গত মঙ্গলবার (২৪ জুলাই) প্রায় ঘণ্টাব্যাপী ওই সাক্ষাৎকার সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘জাস্ট এটা সৌজন্য সাক্ষাৎ। আমি বাসদের খালেকুজ্জামানের সঙ্গেও ফোনে কথা বলেছি। আমি ফোনে কাদের সিদ্দিকী সাহেবের সঙ্গেও কথা বলেছি। উনি গতকাল আমাকে কল করেছিলেন কিন্তু খেয়াল করতে পারিনি। আজ তাকে কল করেছি, কথা বলেছি। এটা একটা সৌজন্যবোধের ব্যাপার। একটা ওয়ার্কিং রিলেশনশিপ রাজনীতিতে থাকা উচিত।’

কাদের বলেন, ‘রাজনীতিতে সৌজন্যবোধটা দরকার। কর্নেল অলিও আমাকে ফোন করেছেন। আ স ম আব্দুর রবও আমাকে ফোন করেছেন। মেজর মান্নানও করেছেন। এভাবে ফোনালাপটা থাকলে অনেক কিছুই সমাধান হয়ে যায়।’

গত বৃহস্পতিবার (২৬ জুলাই) সচিবালয়ে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রীর কার্যালয়ে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকীর সঙ্গে বৈঠক করেন। একই দিন ব্যারিস্টার নাজমুল হুদার সঙ্গেও বৈঠক করেন ওবায়দুল কাদের। একটি সূত্রের দাবি, বাংলাদেশ লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির চেয়ারম্যান কর্নেল (অব.) অলী আহমেদের সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলেছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।

অপরদিকে সাবেক রাষ্ট্রপতি ও বিকল্প ধারা বাংলাদেশের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. এ কিউ এম বদরুদ্দৌজা চৌধুরীর নেতৃত্বে গঠিত হওয়া যুক্তফ্রন্টের সঙ্গে ঐক্য চায় বিএনপি। এ বিষয়ে গত ১২ জুলাই জোটের চেয়ারম্যান বদরুদ্দৌজা চৌধুরীর সঙ্গে বৈঠক করেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

বিকল্পধারা বাংলাদেশ, আ স ম আবদুর রবের নেতৃত্বাধীন জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল জেএসডি ও মাহমুদুর রহমান মান্নার নেতৃত্বাধীন নাগরিক ঐক্য নিয়ে গঠিত যুক্তফ্রন্টে থাকার কথা থাকলেও ক্ষমতাসীন জোটের সঙ্গে যোগাযোগ করছেন কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী। এ জোটে প্রবীণ আইনজীবী ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বাধীন গণফোরাম যুক্ত হওয়ার কথা থাকলেও এ বিষয়ে এখনও কিছু জানা যায়নি।

যুক্তফ্রন্ট নাকি ১৪ দলীয় জোটে যোগ দেবেন- কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ সভাপতি কাদের সিদ্দিকীর কাছে এমন প্রশ্ন করা হলে তিনি এ বিষয়ে এখনই কোনো উত্তর দিতে রাজি হননি।

বিএনপি নেতৃত্বাধীন জোটে থাকা লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) চেয়ারম্যন কর্নেল (অব.) অলী আহমদের সঙ্গে কথা বলেছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। এলডিপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব শাহাদাৎ হোসেন সেলিম বিষয়টি নিশ্চিত করে জাগো নিউজকে জানান, সম-সাময়িক বিষয় নিয়ে কথা হয়েছে। আমাদের পার্টির চেয়ারম্যান আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদকের কথার পরিপ্রেক্ষিতে বলেছেন, অবাধ, সুষ্ঠু, জনগণের কাছে গ্রহণযোগ্য ও সবার অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের জন্য সরকারের সঙ্গে আলোচনায় বসতে এলডিপি প্রস্তুত।

এইউএ/এমএআর/জেআইএম

আরও পড়ুন