ভিডিও EN
  1. Home/
  2. বিশেষ প্রতিবেদন

ছাত্রলীগ নয়, মারমুখী অবস্থানে ছাত্ররা

সায়েম সাবু | প্রকাশিত: ১০:৪৭ এএম, ১০ জুলাই ২০১৮

খালিদ মাহমুদ চৌধুরী এমপি। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক। ক্ষমতাসীন দলটির নীতিনির্ধারণী ফোরামেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছেন।

সাধারণ শিক্ষার্থীদের কোটাবিরোধী আন্দোলন এবং এ আন্দোলনে ছাত্রলীগের অবস্থান নিয়ে সম্প্রতি মুখোমুখি হন জাগো নিউজ’র। ‘বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে কোটা ব্যবস্থার প্রয়োজনীয়তা আছে’- এমন দাবি করে চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি এবং আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন প্রসঙ্গেও গুরুত্বপূর্ণ মতামত ব্যক্ত করেন। ‘মানুষ এখন উন্নয়নের রাজনীতিতে বিশ্বাসী, আর সরকার উন্নয়নের মহাসড়কেই হাঁটছে’ বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

সাক্ষাৎকারটি নিয়েছেন সায়েম সাবু। দুই পর্বের প্রথমটি থাকছে আজ।

জাগো নিউজ : কোটাবিরোধী আন্দোলনে মাঠে সাধারণ শিক্ষার্থীরা। শুরুতে ছাত্রলীগও এ আন্দোলনের পক্ষে-বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছিল। কোটাবিরোধী আন্দোলন নিয়ে আপনার মতামত জানতে চাচ্ছি?

খালিদ মাহমুদ চৌধুরী : এ আন্দোলনের পক্ষে-বিপক্ষে যারা অবস্থান নিচ্ছে, তারা কি কেউ বলছেন, এটি ছাত্রলীগের আন্দোলন? যারা পক্ষে-বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছেন, তারা কি মোহাম্মদপুর বা মিরপুর শাখা ছাত্রলীগের নেতাকর্মী? তারা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী। তাদের ছাত্রলীগ বানানো হচ্ছে কেন?

প্রশ্ন হচ্ছে, একজন ছাত্রের ছাত্রলীগ ছাড়া আর কি কোনো পরিচয় নেই? তারা শিক্ষার্থী হিসেবেই বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়েছেন। কোটা নিয়ে একটি গণআন্দোলন হলো। সেই বিশাল আন্দোলনে ছাত্রলীগও ছিল, অন্যরাও ছিল। অনুভূতিগুলো মিলে গেলেই একটি আন্দোলন বড় আকার ধারণ করে।

জাগো নিউজ : কিন্তু ছাত্রলীগ তো সে আন্দোলনের মৌলিক অবস্থান থেকে সরে আসলো?

খালিদ মাহমুদ চৌধুরী : দেখুন, প্রধানমন্ত্রী সংসদে দাঁড়িয়ে বললেন, সবাই যখন কোটা চাইছেন না, তাহলে কোটা পদ্ধতিই বাতিল করা হবে।

কিন্তু সংবিধানের মূল স্পিরিট সামনে রেখেই তো সিদ্ধান্ত নিতে হবে। সংবিধানে কোটা সংরক্ষণ করা হয়েছে মানুষে মানুষে সমতা আনার জন্য।

১৯৭১ সালে যারা মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিয়েছিলেন, তারা সাধারণ পরিবারের সদস্য ছিলেন। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধাদের একেবারেই মূল্যায়ন করা হয়নি বা স্বীকৃতি দেয়া হয়নি। বরং যারা মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতা করেছেন, তাদেরই স্বীকৃতি দেয়া হয়েছে।

স্বাধীনতাবিরোধীরা সমাজে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে, তারা শিক্ষার সুযোগ-সুবিধা পেয়েছে। মুক্তিযুদ্ধের সন্তানরা নানাভাবে বঞ্চিত হয়েছেন। সমাজ বা রাষ্ট্র থেকে তখন মুক্তিযুদ্ধের সন্তানদের কোনো সুবিধা দেয়া হয়নি।

গণমাধ্যমেই প্রকাশ পাচ্ছে, মুক্তিযোদ্ধারা মানবেতর জীবনযাপন করছেন। মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি রাষ্ট্রের যে দায়, তার স্বীকৃতি দিতেই বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা বলেছিলেন, মুক্তিযোদ্ধার সন্তান এবং তাদের পরবর্তী প্রজন্মকেও কোটার আওতায় এনে বিশেষ সুযোগ দেয়া হবে। সমাজের অগ্রভাগে থাকার কথা ছিল মুক্তিযোদ্ধাদের। অথচ তারাই সবার পেছনে। প্রধানমন্ত্রী মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মান দিতেই কোটার ওপর গুরুত্বারোপ করেছিলেন।

জাগো নিউজ : কিন্তু কোটার চাপে সাধারণরা তো হিমশিম খাচ্ছে…

খালিদ মাহমুদ চৌধুরী : উত্তরবঙ্গে এখনও অনেক জেলা আছে, যেখানকার কৃষক, সাধারণ মানুষ অর্থনৈতিক বৈষ্যমের শিকার। সেসব পরিবারের সন্তানরা বছরের পর বছর ধরে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়ার সুযোগ থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।

এই অবহেলা, বৈষম্য নিয়ে তো গণমাধ্যম নিয়মিত সংবাদ প্রকাশ করে আসছে। পশ্চাৎপদ ওই জনগোষ্ঠীকে তুলে আনার দায়িত্ব রাষ্ট্রের, সরকারের। এ কারণে জেলা কোটা রাখা হয়েছে। একইভাবে উপজাতি, প্রতিবন্ধী, নারী কোটার ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।

কিন্তু সেই নারীরাই দেখলাম, বিশ্ববিদ্যালয়ে হলের তিন স্তরের নিরাপত্তা বেষ্টনী ভেঙে বাইরে বেরিয়ে এলো কোটার বিরুদ্ধে। কোনো নারী সংগঠন কিন্তু নারী কোটার পক্ষে বললেন না। অথচ সংসদেও নারীদের জন্য কোটা রয়েছে। ঢাকায় এত জেলা সমিতি, অথচ কেউ জেলা কোটার জন্য কথা বললেন না।

প্রধানমন্ত্রী দেখলেন, কেউ যখন কোটার পক্ষে কথা বললেন না, তখন তিনি সংসদে কোটা পদ্ধতি বাতিলের ঘোষণা দিলেন। সংসদে যখন প্রধানমন্ত্রী কোনো ঘোষণা দেন, তখন সেটা নির্দেশ হয়ে যায়। সেই নির্দেশের বাস্তবায়ন কীভাবে হবে, তা নিয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব কাজ করছেন।

জাগো নিউজ : প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণার প্রজ্ঞাপন চাইছেন শিক্ষার্থীরা। তার নির্দেশ বাস্তবায়নে সময়ক্ষেপণ হচ্ছে কিনা?

খালিদ মাহমুদ চৌধুরী : সরকারের আরও জরুরি কাজ আছে। বাজেট গেলো। কোটা পদ্ধতিই তো সরকারের কাছে এখন প্রধান ইস্যু নয়। অনেক বড় বড় বিষয় নিয়ে সচিবদের ব্যস্ত থাকতে হচ্ছে।

প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ বাস্তবায়নে সাত সদস্যবিশিষ্ট কমিটি গঠন করা হয়েছে। কোন পদ্ধতিতে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ বাস্তবায়ন করা যায়, তার জন্য সময় লাগবে। এটি তো একটি দীর্ঘমেয়াদী প্রক্রিয়া।

এখন সবাই যদি ইমরান এইচ সরকার হতে চায়, তাহলে তো মুশকিল!

জাগো নিউজ : ইমরান এইচ সরকারের দাবির সঙ্গে তো আপনাদেরও সংহতি ছিল?

খালিদ মাহমুদ চৌধুরী : কাদের মোল্লার ফাঁসি চেয়ে ইমরান এইচ সরকার মাঠে নামলেন। ফাঁসি হলো। এখন তিনি সব বিষয় নিয়েই আন্দোলন করতে চান। কোথাও বাঁধ ভেঙে পানি ঢুকলে তা নিয়েও ইমরান কথা বলেন। কৃষক বা শ্রমিকদের মজুরি দিতে হবে, সেটা নিয়েও কথা বলেন।

সবাই যদি রাজনীতিবিদ বা নেতা হতে চান, তাহলে তো হবে না।

জাগো নিউজ : রাজনীতি সচেতন হওয়া তো দোষের নয়?

খালিদ মাহমুদ চৌধুরী : মানুষ এখন সচেতন বলেই ভুল পথে আন্দোলন করে লাভ হয় না। বিএনপি ২০১৪ সালে আন্দোলন করেছিল বটে, তাতে সচেতন মানুষ সাড়া দেয়নি।

জাগো নিউজ : তার মানে ইমরান এইচ সরকারের যে ইস্যু সরকারের পক্ষে যায়, সেখানে আপনাদের সমর্থন, আর বিপক্ষে গেলেই...

খালিদ মাহমুদ চৌধুরী : এটিই ভুল ধারণা। সরকারের পক্ষে যায়নি। দেশের পক্ষে গিয়েছে। কাদের মোল্লার ফাঁসি কি দেশের মানুষ চায়নি?

জাগো নিউজ : সাঁওতাল পল্লী পোড়ানো বা হিন্দুপাড়ায় আগুন লাগানোর বিরুদ্ধেও কথা বলছেন ইমরান এইচ সরকাররা?

খালিদ মাহমুদ চৌধুরী : আমরাও গিয়েছি সাঁওতাল পল্লীতে। যে কোনো অন্যায়ের প্রতিবাদে আমরাও কথা বলছি, ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানিয়ে আসছি।

কিন্তু যারা এসব ঘটনায় মায়াকান্না করছেন, তারা কিন্তু দশমিক এক ভাগ ভোটও পায়নি। তারা জনগণের পক্ষে কথা বলছেন। অথচ জনগণের কোনো সমর্থন নেই তাদের প্রতি। রাস্তায় দাঁড়িয়ে কথা বলছেন, অথচ সামনে কোনো দর্শক নেই।

জাগো নিউজ : কথা বলা তো মৌলিক অধিকার। জনগণের সমর্থন না থাকলে কি কথা বলা যাবে না?

খালিদ মাহমুদ চৌধুরী : কথা বললে সমস্যা নেই। কথা বলার অধিকার কেউ হরণ করেনি। কিন্তু বাসে ঢিল কেন? পুলিশের ওপর হামলা কেন? কথা বলতে গিয়ে রাস্তা অবরোধ করছেন কেন?

জাগো নিউজ : প্রধানমন্ত্রীর কোটা বাতিলের ঘোষণা ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ ছিল কিনা?

খালিদ মাহমুদ চৌধুরী : ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ নয়। আন্দোলনের বিপরীতে দাঁড়িয়ে কোটা ব্যবস্থার পক্ষে কেউ অবস্থান নেয়নি বলেই প্রধানমন্ত্রী একেবারে বাতিলের ঘোষণা দিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রীর ওই ঘোষণা বাস্তবায়ন করা যাবে, কি যাবে না- তা দেখার দায়িত্ব সচিবালয়ের। দায়িত্বপ্রাপ্ত সচিবরা বিষয়টি দেখছেন।

জাগো নিউজ : সাধারণদের অভিযোগ, সরকার প্রজ্ঞাপন জারি করতে উদ্দেশ্যমূলকভাবে বিলম্ব করছে?

খালিদ মাহমুদ চৌধুরী : চাইলেই এমন একটি বিষয়ে রাতারাতি সিদ্ধান্ত নেয়া যায় না। সংবিধান বলছে, পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর সমতা বিধানের কথা। এজন্য করণীয় কী সেটাও তো দেখতে হবে। বিশেষজ্ঞ, আইনজ্ঞের সঙ্গে কথা বলতে হবে। সবার পরামর্শ নিয়েই এমন একটি বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে হয়।

জাগো নিউজ : কোটা পদ্ধতি নিয়ে আপনার নিজের পর্যবেক্ষণ কী?

খালিদ মাহমুদ চৌধুরী : আমি মনে করি, কোটা বাতিল করার মতো পর্যায় বাংলাদেশে এখনও তৈরি হয়নি। আমার রংপুর, দিনাজপুরের মানুষ এখনও অনেক পিছিয়ে আছে।

রংপুরের মানুষ আজ থেকে ১০ বছর আগে অনাহারে দিন কাটাতো। চাকরির ক্ষেত্রে এখনও মানুষ বৈষম্যের শিকার। এক সময়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে রংপুর অঞ্চলের ছাত্ররা আগে দেখতে যেতেন ডাইনিংয়ে আগে কারা খাচ্ছেন। খাবারের সময় উত্তরবঙ্গের ছাত্রদের উঠিয়ে দেয়া হতো। এখনও মঙ্গা আর মফিজ বলে আমাদের পরিচয় মেলে। আমরা তো মূল ভূখণ্ডের সঙ্গে যুক্তই হলাম ২০ বছর আগে।

একাডেমিক পড়ালেখা করলেই সমাজের সব বাস্তবতার উপলব্ধি হয় না। মাঠের খবর নিয়ে কথা বলতে হয়। বয়ঃসন্ধিকালে নারীদের কী সচেতনতা, তা তো আমাদের নারীরা জানতই না। বিশেষ সুবিধায় নারীদের সামনে আনার পরই তারা এখন সচেতন হচ্ছেন। শহরে এসে বাবু সেজে কথা বললে তো হবে না।

সব ইস্যুতে সরকারকে ঘায়েলের যে প্রক্রিয়া, তা একটি সমাজের জন্য ভালো কিছু বয়ে আনে না। সঠিক পথে রাজনীতি করতে গিয়ে ব্যর্থ বলেই এখন সবকিছুতে রাজনীতি খোঁজার চেষ্টা করছে বিরোধীপক্ষ।

জাগো নিউজ : রাজনীতি তো আপনারাও খোঁজার চেষ্টা করছেন?

খালিদ মাহমুদ চৌধুরী : না। আমরা রাজনীতি খোঁজার চেষ্টা করিনি। এটি ভুল ধারণা। আমরা মূলত সমাধান করতে চাইছি।

মানুষের কল্যাণে শেখ হাসিনার সরকার নিরন্তর চেষ্টা করে যাচ্ছে। আমরাই শ্রমিকের ন্যায্য মজুরি বাস্তবায়ন করছি। যারা আজ চাকরির বিষয় নিয়ে কথা বলছেন, তারা কৃষক বা শ্রমিক শ্রেণির অধিকার নিয়ে কী করেছেন?

জাগো নিউজ : এ পরিস্থিতির শেষ কোথায়?

খালিদ মাহমুদ চৌধুরী : কিছুই হবে না। সময়ের ব্যাপার। সব ঠিক হয়ে যাবে। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর সব ঠিক হবে।

জাগো নিউজ : ভরসা পাচ্ছেন কিসে? আন্দোলন তো চলমান?

খালিদ মাহমুদ চৌধুরী : আন্দোলনের কোনো যৌক্তিকতা নেই। এমন আন্দোলন করার মানে হচ্ছে দুরভিসন্ধি। যে আন্দোলনের কোনো সৎ উদ্দেশ্য থাকে না, তা কখনও সফল হয় না। সফল হবেও না।

জাগো নিউজ : কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের দায়িত্বে ছিলেন। কোটাবিরোধী আন্দোলনে অংশ নেয়া শিক্ষার্থীদের ওপর ছাত্রলীগ হামলা করলো। কী বলবেন?

খালিদ মাহমুদ চৌধুরী : ছাত্রলীগ কোথাও মারমুখী অবস্থানে যায়নি। মারমুখী অবস্থানে গেছে ছাত্ররা। মনে রাখতে হবে, ছাত্রলীগ হওয়ার আগে তার পরিচয় হচ্ছে সে একজন ছাত্র। কোটার পক্ষে-বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছে শিক্ষার্থীরা। ছাত্রলীগের কোনো অবস্থান নেই। এ আন্দোলনে ষড়যন্ত্র চলছে।

জাগো নিউজ : যেমন?

খালিদ মাহমুদ চৌধুরী : স্বাধীনতাবিরোধী জামায়াত-শিবির এখন পর্যুদস্ত। জয় বাংলা স্লোগান দিয়ে এখন অনেক কিছুই ঘটতে পারে।

আমরা সকল ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করতে প্রস্তুত। জাতিসংঘের মহাসচিব ও বিশ্বব্যাংকের প্রেসিডেন্ট বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকে মাঝে রেখে যখন ছবি তোলেন, তখন এর চেয়ে আর বড় অর্জন আর কী হতে পারে। পৃথিবীতে এমন ছবি কি আর আছে?

জাগো নিউজ : জাতিসংঘের মহাসচিব ও বিশ্বব্যাংকের প্রেসিডেন্ট কিন্তু বাংলাদেশের নির্বাচন, গণতন্ত্র নিয়েও কথা তুলছেন?

খালিদ মাহমুদ চৌধুরী : আমরা কোথায় আছি, সেটাই বড় বিষয়। তারা কী বললো, তা নিয়ে আমাদের ভাবনা নেই। জটিল বিষয় আমরা বুঝি না। প্রধানমন্ত্রীকে মাঝখানে রেখে ছবি তুলেছেন, এটিই সরল কথা। আর আমরা তো সরল মানুষ।

এএসএস/এমএআর/এমআরএম/জেআইএম

আরও পড়ুন