যুক্তরাষ্ট্রে চীনকে ছাড়িয়ে যাচ্ছে প্রাণ-আরএফএলের পণ্য
যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে প্রাণ-আরএফএলের পণ্যের চাহিদা চীনের পণ্যের চাহিদাকে ছাড়িয়ে যাচ্ছে। বিশেষ করে আরএফএল প্লাস্টিক সামগ্রির চাহিদা চীনের প্লাস্টিকের থেকে অনেক বেশি। আর এর কারণ, সহনীয় দাম আর গুণগত মান। আরএফএলের পণ্যের ক্রেতা শুধু যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী বাঙালিরাই নয়। আরএফএল এর গৃহস্থালি সামগ্রির চাহিদা রয়েছে নেপাল, শ্রীলংকা, ভারত ও পাকিস্তানিদের কাছেও।
এভাবেই দেশের অন্যতম বৃহৎ শিল্পগোষ্ঠী প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের পণ্যসামগ্রী যুক্তরাষ্ট্রে আমদানি ও বিক্রি করে নিজের সন্তুষ্টির কথা বলছিলেন ব্যবসায়ী সৈয়দ রহমান (মান্নান)। সৈয়দ রহমান গত ২৭ বছর ধরে যুক্তরাষ্ট্রে বসবাস করছেন। আর প্রাণ-আরএফএলের পণ্য যুক্তরাষ্ট্রে বিক্রি করছেন গত ১৫ বছরেরও বেশি সময় ধরে।
সোমবার ঢাকায় জাগো নিউজের সঙ্গে কথা বলেন বিশিষ্ট এই ব্যবসায়ী। কথা বলেন যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে বাংলাদেশি পণ্যের বাজার, প্রাণ-আরএফএলের পণ্যের চাহিদা ও বাজার সম্প্রসারণসহ নানা দিক নিয়ে।
মান্নান জানান, জ্যাকসান হাইটস এর বিভিন্ন স্থানে তার ৬টি নিজস্ব বিক্রয় কেন্দ্র (আউটলেট) রয়েছে। মান্নান হালাল সুপারমার্কেট, মান্নান বেকারি, মান্নান স্টোর নামে এসব আউটলেটগুলো প্রাণ-আরএফএলের পণ্যের বিক্রয় কেন্দ্র হিসেবেই যেন বেশি পরিচিত। তিনি আরএফএলের প্লাস্টিকের গৃহস্থালী জিনিসপত্র এবং কৃষিজাত পণ্য বিক্রি করেন এসব বিক্রয় কেন্দ্রগুলোতে। ইতোমধ্যে বাঙালিদের মধ্যে যেমন চাহিদা তৈরি হয়েছে তেমনি দক্ষিণ এশিয়ার অন্যদেশের নাগরিকরা কিনছেন এসব পণ্য।
‘এতোদিন চিন্তাও করিনি দেশীয় কোন কোম্পানির পণ্য যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে যাবে। এখন সেটিও হচ্ছে। এর মধ্যে প্রাণ-আরএফএল অন্যতম। বিদেশের মাটিতে বাংলাদেশের ব্র্যান্ড। এখন আমারা চায়নার সঙ্গে প্রতিযোগিতা করছি। চায়নাকে ছাড়িয়ে যাচ্ছে আরএফএল প্লাস্টিক’ -বলছিলেন সৈয়দ রহমান।
কেন চাহিদা বাড়ছে এমন এক প্রশ্নে সৈয়দ রহমান বলেন, সহনীয় মূল্য একটি বড় বিষয়। আবার পণ্যের গুণগত মানও। প্রাণের বিভিন্ন ধরনের জুস, লিচি, ম্যাঙ্গো বার, টোস্ট, মুড়ি, কেকের চাহিদা বাড়ছে যুক্তরাষ্ট্রে। প্লাস্টিক সামগ্রী তো আছেই। বাড়ছে মসলার বাজারও।
তবে প্রাণ-আরএফএল পণ্যের বাজার আরো বাড়াতে যুক্তরাষ্ট্রে স্থানীয়ভাবে আয়োজিত বিভিন্ন বাণিজ্যিক মেলা ও শোগুলোতে অংশ নেয়া দরকার বলে মত দেন এ ব্যবসায়ী।
তার মতে, যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে প্রাণ-আরএফএলের পণ্য সামগ্রী খাদ্য প্রশাসন কর্তৃপক্ষের মান রক্ষা করে ক্রেতাদের কাছে যাচ্ছে। তাই মান নিয়ে ক্রেতাদের কোন সংশয় নেই। ক্রেতারা সন্তুষ্ট। আর তাই একদিন যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকরাও প্রাণ-আরএফএলের পণ্যের ক্রেতা হবে। সেদিন আর বেশি দূরে নয়।
সৈয়দ রহমান মান্নানকে সব ধরনের সহযোগিতা করে যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে প্রাণ-আরএফএলকে আরো জনপ্রিয় করতে চান প্রতিষ্ঠানটির উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক আহসান খান চৌধুরী। তিনি সৈয়দ রহমানকে বলেন, আপনারা আমাদের যেভাবে পরামর্শ দেবেন আমরা সেভাবে পণ্য মান নিশ্চিত করবো। এটি আমাদের প্রতিশ্রুতি।
প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের রফতানি শাখার সহকারী মহাব্যবস্থাপক গোলাম রসুল জাগো নিউজকে বলেন, শিগগিরই যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকরা যাতে বাংলাদেশি পণ্য কিনতে আগ্রহী হয় সেটি চিন্তায় রেখে আমারা কৃষিজাত পেয়ারা, তেতুলের জুসসহ কিছু নতুন পণ্য নিয়ে আসছি।
এসএ/আরএস/এসএইচএস/পিআর