ভিডিও EN
  1. Home/
  2. বিশেষ প্রতিবেদন

সংসদ লাইব্রেরিতে থাকছে হাসিনা-রেহানার বই

সিরাজুজ্জামান | প্রকাশিত: ০৩:৩০ পিএম, ০৪ জুন ২০১৮

প্রায় তিন কোটি টাকা ব্যয়ে সংস্কার হচ্ছে জাতীয় সংসদের লাইব্রেরি। এখানে থাকছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার লেখাসহ সংসদ, গণতন্ত্র, আত্মজীবনী, মুক্তিযুদ্ধ, বঙ্গবন্ধু, ভাষা আন্দোলনসহ বিভিন্ন আইনবিষয়ক বই। এছাড়া ২৭ বিদেশি বই থাকবে বলে জানা গেছে।

সূত্র জানায়, সংসদ লাইব্রেরিতে রাখতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার ছোট বোন শেখ রেহানা, জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও সাবেক প্রেসিডেন্ট এইচ এম এরশাদ এবং বিএনপি নেতা মওদুদ আহমদসহ দেশি-বিদেশি ৩৬৫ কপি বই কেনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে জাতীয় সংসদ লাইব্রেরি। এসব বই কিনতে খরচ হবে তিন লাখ ১৯ হাজার ৩৭৫ টাকা। পাঁচ সদস্য বিশিষ্ট বাজারমূল্য নিরূপণ কমিটি দেশের বিভিন্ন প্রকাশনীর ক্যাটালগ সংগ্রহ করে নতুন বইয়ের তালিকা তৈরি করেছে।

কমিটির আহ্বায়ক উপ-সচিব মো. ফজলুল হক এ বিষয়ে জাগো নিউজকে বলেন, বইয়ের বর্তমান বাজারমূল্য যাচাইপূর্বক মূল্যপ্রতিবেদন তৈরি করা হয়েছে। ৫ মার্চ বৈঠকে এটি চূড়ান্ত হয়। তবে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে আরও বই কেনা হবে।

বইয়ের তালিকায় সংসদ, গণতন্ত্র, আত্মজীবনী, মুক্তিযুদ্ধ, বঙ্গবন্ধু, ভাষা আন্দোলন এবং বিভিন্ন আইনবিষয়ক বই ছাড়াও ২৭ বিদেশি বই রয়েছে।

বইয়ের তালিকা থেকে জানা গেছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার লেখা ‘শেখ মুজিব আমার পিতা’ শিরোনামে বইটি দুই কপি কেনা হবে। আগামী প্রকাশনী থেকে প্রকাশিত বই দুটি কিনতে খরচ হবে ৫০০ টাকা। নিউ বুক সোসাইটি থেকে প্রকাশিত তার আরেকটি বই ‘মাইলস টু গো’ এর দুই কপি কিনতে খরচ হবে ৬০০ টাকা। এ প্রকাশনী থেকে প্রকাশিত ‘দি কুইস্ট ফর ভিশন ২০২১’ এর এক সেট বইয়ের দাম পড়বে ২৫০০ টাকা।

অনিন্দ্য প্রকাশনী থেকে প্রকাশিত শেখ রেহানার লেখা ‘জাতীয় নির্বাচন ২০০৮’ দুই কপি কেনা হবে। এর দাম পড়বে দুই হাজার টাকা।

বিনিময় প্রিন্টার্স থেকে প্রকাশিত এইচ এম এরশাদের ‘আমার কর্ম আমার জীবন’ বইটির দুই কপি কেনা হবে। দাম পড়বে ২৪০০ টাকা।

ইউপিএল থেকে প্রকাশিত বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদের লেখা ‘গণতন্ত্র এবং উন্নয়নের চ্যালেঞ্জ- প্রেক্ষাপট বাংলাদেশের রাজনীতি এবং সামরিক শাসন’ বইটি কেনা হবে। এর দাম পড়বে এক হাজার টাকা। একই প্রকাশনী থেকে বের হওয়া মওদুদ আহমদের আরেকটি বই ‘কারাগারে কেমন ছিলাম’ এক কপি কেনা হবে। এর মূল্য ৭০০ টাকা।

এছাড়া দেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী এবং স্বাধীনতা সংগ্রামের অন্যতম নেতা তাজউদ্দীন আহমেদ, বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ, অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, শিক্ষামন্ত্রী নূরুল ইসলাম নাহিদ, সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর, সংরক্ষিত নারী আসনের সাবেক এমপি ও সাংবাদিক বেবি মওদুদ, কাজী রোজীর বইও কিনবে সংসদ।

সংসদের লাইব্রেরির জন্য বই কেনার সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ও বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা অধ্যাপক আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ। তিনি জাগো নিউজকে বলেন, ‘জনপ্রতিনিধিরা পড়ার অভ্যাস করলে তাদের সমর্থকরাও বইয়ের দিকে ঝুঁকবে। এতে সমাজ শুদ্ধ ও সুন্দর হবে।’

জানা গেছে, স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী সংসদের কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করে বঙ্গবন্ধুর ওপর দেশে-বিদেশে প্রকাশিত সব বই সংগ্রহ করে লাইব্রেরিতে রাখার নির্দেশ দিয়েছেন। এছাড়া ভারতের লোকসভা ও যুক্তরাজ্যের হাউস অব কমন্সের ওপর যতগুলো বই আছে তা সংগ্রহেরও নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। একই সঙ্গে সিপিএ ও আইপিইউ’র ওপর সবগুলো প্রকাশনা সংগ্রহ করতে বলেছেন স্পিকার।

এমপিদের ওই দুটি বৃহৎ সংগঠনের জন্য দুটি আলাদা কর্নার রাখা হয়েছে সংসদের লাইব্রেরিতে। থাকছে বঙ্গবন্ধুর নামে একটি কর্নারও।

ডেপুটি স্পিকার অ্যাডভোকেট ফজলে রাব্বী মিয়া জাগো নিউজকে বলেন, ‘সংবিধান সংসদে পাস হওয়ার দিন জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যে বক্তব্য দিয়েছিলেন ছবিসহ সেই বক্তব্য যেন বঙ্গবন্ধু কর্নারে থাকে সেই সুপারিশ করেছি। কারণ এটি একটি ঐতিহাসিক দলিল।’

এইচএস/এএইচ/এমএআর/এমএস

আরও পড়ুন