শাহাবুদ্দীন নাগরী ও ভাবির ফাঁসি চান নিহতের বোন
আমার ভাই ছিলেন একজন ভালো মানুষ। সব সময় আমাদের খবর নিতেন। আজ সে নেই। আমার ভাইকে তার স্ত্রী নুরানি আকতার সুমি ও তার বন্ধু কবি শাহাবুদ্দীন নাগরী হত্যা করেন। আমি তাদের ফাঁসি চাই। জানের বদলা জান চাই। আদালত যেন রায়ে ফাঁসি দেন। কান্নার জড়িত কণ্ঠে এমনটাই জাগো নিউজকে বলেন, রাজধানীর নিউমার্কেট এলাকায় পরকীয়ার জেরে খুন হওয়া নিহত ব্যবসায়ী নুরুল ইসলামের বোন শাহানা রহমান।
১৩ এপ্রিলে ব্যবসায়ী নুরুল ইসলাম হত্যার এক বছর হতে চলছে। এ মামলায় গত বছরের অক্টোবরে নুরুল ইসলামের স্ত্রী সুমি ও তার বন্ধু শাহাবুদ্দীন নাগরী বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন ডিবি পুলিশ। নভেম্বরে ঢাকার চতুর্থ অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালত দুই আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন। ১৭ এপ্রিল মামলাটির প্রথম সাক্ষ্যগ্রহণের দিন ধার্য রয়েছে।
এ বিষয়ে নিহত ব্যবসায়ী নুরুল ইসলামের বোন ও মামলার বাদী শাহানা রহমান বলেন, সুমি ও শাহাবুদ্দীন নাগরী আমার ভাইকে হত্যা করেছেন। আমি তাদের ফাঁসি চাই। জানের বদলে জান চাই। আশা করি, আদালত রায়ে তাদের ফাঁসি দেবেন। সরকারের কাছে আকুল আবেদন মামলাটি যেন দ্রুত শেষ হয়।
তিনি আরও বলেন, আমার ভাই খুবই ভালো মানুষ ছিল। দিনে ১০/১২ বার ফোন দিয়ে আমার খবর নিতো। ভাইও নেই আমাদের খবর নেয়ার কেউ নেই।
ঢাকা মহানগর পাবলিক প্রসিকিউটর আব্দুল্লাহ আবু বলেন, ব্যবসায়ী নুরুল ইসলাম হত্যা মামলাটি খুবই চাঞ্চল্যকর মামলা। এ মামলায় ইতোমধ্যে আদালত আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেছেন। ১৭ এপ্রিল মামলাটির সাক্ষ্যগ্রহণের দিন ধার্য রয়েছে। রাষ্ট্রপক্ষ মামলার দুই আসামি নিহতের স্ত্রী সুমি ও তার বন্ধু শাহাবুদ্দীন নাগরী সর্বোচ্চ শাস্তি ফাঁসি চাই। মামলাটি দ্রুত শেষে করার চেষ্টা করবো।
উল্লেখ্য, ২০১৭ সালের ১৩ এপ্রিল রাজধানীর এলিফ্যান্ট রোডের ১৭০/১৭১ ডম-ইনো অ্যাপার্টমেন্টে নিজ বাসায় পরকীয়ার জেরে খুন হন ব্যবসায়ী নুরুল ইসলাম।
এ ঘটনায় গত ১৪ এপ্রিল নিহতের বোন শাহানা রহমান বাদী হয়ে নিউমার্কেট থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। মামলায় নিহতের স্ত্রী সুমি ও শাহাবুদ্দিন নাগরীসহ অজ্ঞাতনামা কয়েকজনকে আসামি করা হয়।
২০১৭ সালের ৪ আগস্ট মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের ইন্সপেক্টর রবিউল ইসলাম কবি শাহাবুদ্দীন নাগরী ও নিহতের স্ত্রী সুমির বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
মামলার অপর আসামি গাড়িচালক সেলিমের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তাকে অব্যাহতি প্রদানের আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা। মামলায় কবি শাহাবুদ্দীন নাগরী বর্তমানে জামিনে রয়েছেন। নিহতের স্ত্রী সুমি কারাগারে।
জেএ/জেএইচ/জেআইএম