ব্যবসায়ীদের সঙ্গে বসবে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়
হঠাৎ করে রড, সিমেন্টসহ নির্মাণসামগ্রীর মূল্য বেড়ে যাওয়া ‘অস্বাভাবিক’ মনে করছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। এ জন্য সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীদের সঙ্গে শিগগিরই সভায় বসবে তারা। সভায় ব্যবসায়ীদের কাছে মূল্য বৃদ্ধির কারণ জানতে চাইবে সরকার। এরপর তা সহনীয় পর্যায়ে রাখতে পদক্ষেপ নেয়া হবে বলে জানা গেছে।
দুই মাসের ব্যবধানে টনপ্রতি রডের মূল্য বেড়েছে ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকা। নির্মাণসামগ্রীর মূল্য বৃদ্ধির কারণে বিপাকে পড়েছেন আবাসন ব্যবসায়ীরা। সাধারণ মানুষ বন্ধ করে দিয়েছেন নির্মাণকাজ।
নির্মাণসামগ্রীর অস্বাভাবিক মূল্য বাড়ার বিষয়ে জানতে চাইলে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মুন্সী সফিউল হক জাগো নিউজকে বলেন, ‘এ সম্পর্কে আমরা অবহিত। আমরা ব্যবসায়ীদের সঙ্গে বসার চেষ্টা করছি। শিগগিরই তাদের ডাকব। আমরা ডেটটা (তারিখ) এখনও ঠিক করিনি।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা তাদের কাছে জানতে চাইব- কেন তারা হঠাৎ করে এভাবে মূল্য বাড়িয়েছেন। যেভাবে মূল্য বেড়েছে এটা তো অস্বাভাবিক।’
সরকারি বাণিজ্য সংস্থা ট্রেডিং কর্পোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) হিসেবে, এক মাস আগে ৬০ গ্রেডের রডের বাজারমূল্য ছিল ৫৯ থেকে ৬০ হাজার টাকা এবং ৪০ গ্রেডের রডের বাজারমূল্য ৫০ থেকে ৫১ হাজার টাকা। এখন ৬০ গ্রেডের রডের বাজারমূল্য ৬৯ থেকে ৭২ হাজার টাকা। আর ৪০ গ্রেডের দাম ৫৭ হাজার থেকে ৬০ হাজার টাকা।
শুধু রডের মূল্য নয় নির্মাণশিল্পের অপরিহার্য পণ্য সিমেন্ট ও ইটের দামও বেড়েছে। কোম্পানি ভেদে সিমেন্টের মূল্য বেড়েছে বস্তাপ্রতি প্রায় ১০০ টাকা এবং ইটের মূল্য বেড়েছে প্রতি হাজারে এক হাজার টাকা। ৩৬০ থেকে ৩৯০ টাকার সিমেন্টের বস্তা এখন ৪৭০ থেকে ৫১০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
আবাসন সংশ্লিষ্টরা বলছেন, রড-সিমেন্টের ওপর নতুন করে কোনো শুল্ক বা কর আরোপ হয়নি। কাঁচামালেরও মূল্য বাড়েনি। তাই হঠাৎ করে মূল্য বেড়ে যাওয়া অযৌক্তিক। অসাধু ব্যবসায়ীদের কারসাজিতেই এটি হয়েছে। এ বিষয়ে তারা সরকারের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
তবে রড ব্যবসায়ীদের দাবি, আন্তর্জাতিক বাজারে রডের কাঁচামালের মূল্য বাড়ায় আমদানি ব্যয় বেড়েছে। এছাড়া পরিবহন ব্যয়, আমদানি পণ্য বন্দরে খালাসের ব্যয়, টাকার বিপরীতে ডলারের বিনিময় হার বৃদ্ধি এবং নির্মাণসামগ্রীর চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় মূল্য বেড়েছে।
আরএমএম/জেডএ/বিএ