আইসিটি খাতে রফতানির লক্ষ্যমাত্রা ৮ হাজার কোটি টাকা
বর্তমান সরকারের বিগত ৯ বছরের শাসনামলে তথ্য-প্রযুক্তি খাতে বাংলাদেশের আয়কে 'ডিজিটাল বিপ্লব' মনে করছেন প্রযুক্তিবিদরা। আইসিটি খাতে ২০০৮ সালে রফতানি আয় ছিল ২৬ মিলিয়ন ডলার। বিগত ৯ বছরে সেই আয় বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৮০০ মিলিয়ন ডলারে (ছয় হাজার চারশ কোটি টাকা)।
তথ্য-প্রযুক্তি (আইসিটি) খাতে ২০০৯ সালে বাংলাদেশের আয় ছিল মাত্র ২ কোটি ৬০ লাখ মার্কিন ডলার। সেখানে ২০১৬ সালে এই খাতে আয় ৪০ কোটি মার্কিন ডলার ছাড়িয়ে গেছে। সম্ভাবনার এসব কথা জানিয়েছেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ এবং তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী মোস্তফা জাব্বার। বুধবার তিনি জাগো নিউজকে বলেছেন, ডিজিটাল বাংলাদেশ গঠনে বাংলাদেশের সাফল্য অসাধারণ। বাংলাদেশ আইসিটিতে এখন উপরের সারির দেশ।
সদ্য সমাপ্ত ডিজিটাল ওয়ার্ল্ড এ প্রধানমন্ত্রীর তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেছেন, ২০১৮ সালের মধ্যে আইটি খাতে বাংলাদেশের রফতানি আয় ১ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে যাবে। গার্মেন্টস শিল্পের পরেই জায়গা করে নেবে আইসিটি খাত। সরকার ২০২১ সালের মধ্যে আইসিটি সেক্টরে রফতানি আয়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে। ২০১৮ সালের মধ্যেই আইসিটি খাতে রফতানি আয় এক বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে যাবে।
বর্তমান সরকার ডিজিটাল বাংলাদেশ প্রকল্প গ্রহণের পর সবচেয়ে বেশি নজর দেয় সরকারি সেবা খাতে। আট বছর আগে সরকারি সেবা খাতে মাত্র ৩ ভাগ মানুষ ডিজিটাল বা অনলাইন মাধ্যমে সেবা লাভ করত। এই ক্ষেত্রে সবচাইতে উল্লেখযোগ্য সরকারের তথ্য সেবা খাত।
বর্তমানে দেশে সরকারি সেবা ক্ষেত্রে ৩৫ ভাগ মানুষ ডিজিটাল সেবা লাভ করছে। সরকারের প্রতিটি মন্ত্রণালয়ের সেবা ব্যবস্থার সংক্ষিপ্ত বিবরণ সেখানে পাওয়া যাচ্ছে। ২০১৫ সালে সরকারের উদ্যোগে স্থাপন করা হয়েছে ৬০ হাজার বর্গফুটের সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্ক। সেখানে ইতোমধ্যে ১৬টি কোম্পানি তাদের কার্যক্রম শুরু করেছে। আরও ৩৪টি কোম্পানি সেখানে দ্রুতই তাদের কার্যক্রম শুরু করবে।
এ সময়ের মধ্যে সারাদেশে ৫ হাজার ডিজিটাল সেন্টার স্থাপন করা হয়েছে। এই সার্ভিস সেন্টারের মাধ্যমে ২০০টির বেশি সরকারি সেবা পাচ্ছে প্রান্তিক পর্যায়ের মানুষ। সেই সঙ্গে পৃথকভাবে ৮ হাজার পোস্ট অফিসে স্থাপন করা হয়েছে ডিজিটাল সেন্টার। এই সেন্টারগুলোর মাধ্যমে অর্থ আদান-প্রদানসহ আরও বেশকিছু সেবা পরিচালনা করা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ডিজিটাল বাংলাদেশ প্রকল্প গ্রহণের পর এই খাত নিয়ে কাজ করা শুরু করেন তার পুত্র এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়। তার হাত ধরেই দেশের আইসিটি সেক্টরে আসে অভাবনীয় সাফল্য।
আরএম/ওআর/বিএ