লাল সবুজের পতাকায় সেজেছে ঢাকা
রাত পোহালেই ১৬ ডিসেম্বর। বাঙ্গালি জাতির ৪৭তম মহান বিজয় দিবস। দেশমাতৃকাকে স্বাধীন করতে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে অস্ত্র হাতে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল দামাল মায়ের বীর সেনানী। নয় মাসের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ শেষে লাখো শহীদের প্রাণের বিনিময়ে ছিনিয়ে এনেছিল কাঙ্খিত বিজয়। স্বাধীন ভূমিতে উড়িয়েছিল লাল সবুজ পতাকা।
সেই বিজয় দিবস উপলক্ষে ঢাকা সেজেছে লাল সবুজের পতাকায়। শুক্রবার সন্ধ্যায় সরেজমিনে নিউমার্কেট, সায়েন্স ল্যাবরেটরি, ধানমন্ডি, কলাবাগান, সোবহানবাগ, সংসদ ভবন, ফার্মগেট, কারওয়ান বাজার, বাংলামোটর, শাহবাগ, টিএসসি, দোয়েল চত্বর, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, হাইকোর্ট, পল্টন ঘুরে দেখা গেছে, সড়কের ডিভাইডার ও ল্যাম্পপোস্টে বিজয় দিবসের বিভিন্ন ব্যানার ফেস্টুন উড়ানো হয়েছে। নানা রঙের বেলুন শোভা পাচ্ছে। এসব ব্যানার ফেস্টুনে সরকারি দল ও সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের উন্নয়নের তথ্য তুলে ধরে বিজয় দিবসের শুভেচ্ছা জানানো হয়েছে।
বিজয় দিবস উপলক্ষে সচিবালয়সহ বিভিন্ন গুরত্বপূর্ণ সরকারি ও ছোট বড় বেসরকারি বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান, হাসপাতাল, শপিং মল ও বিপণি কেন্দ্রে বিশেষ আলোক সজ্জার ব্যবস্থা করা হয়েছে। সন্ধ্যার পর দেখে মনে হয়েছে, লাল সবুজের পতাকার রঙের বন্যায় যেন ভাসছে গোটা রাজধানী। শুক্রবার ছুটির দিন হওয়ায় অনেকেই পরিবার পরিজন ও সন্তান নিয়ে ঘুরতে বের হন। বর্ণিল আলোকসজ্জা দেখে সকলেই বিশেষ করে শিশুরা আত্মহারা হয়ে উঠে।
সংসদ ভবনের সামনে স্ত্রী সন্তানকে নিয়ে ঘুরতে এসেছেন পুরান ঢাকার বাসিন্দা সানোয়ার হোসেন। তার সাত বছরের শিশু কন্যা ফারিয়া চারদিকে এতো আলোকসজ্জা কেন জানতে চাইলে সানোয়ার হোসেন মেয়েকে পাশে বসিয়ে ৭১ এর যুদ্ধ শেষে বিজয় দিবস কীভাবে আসল সে সম্পর্কে জানাচ্ছিলেন।
এ প্রতিবেদকের সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেন, আগামীকাল রাজধানীতে লাখো মানুষের ঢল নামবে। বিজয় দিবস উপলক্ষে বিভিন্ন স্থানে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও শোভাযাত্রা বের হবে। রাজধানীর বিভিন্ন গুরত্বপূর্ণ স্থানে যানজটে চলা দায় হবে। তাই তিনি স্ত্রী ও সন্তানকে নিয়ে আগের দিন ঘুরতে বের হয়েছেন। এ কাজটি তিনি প্রতি বছরই করেন। মোটরসাইকেলে স্ত্রী ও সন্তানকে নিয়ে রাজধানীর বিভিন্ন স্থান ঘুরে আলোকসজ্জা দেখেন। লাল সবুজের বর্ণিল আলোকসজ্জা দেখে আনন্দে উদ্বেলিত হন।
এমইউ/ওআর