ভিডিও EN
  1. Home/
  2. বিশেষ প্রতিবেদন

অতিরিক্ত উৎপাদনের পরও লাখ লাখ টন চাল আমদানি!

মাসুদ রানা | প্রকাশিত: ০২:৪৪ পিএম, ০৫ ডিসেম্বর ২০১৭

গত ২০১৬-১৭ অর্থবছরে দেশের মোট চাল উৎপাদিত হয়েছে তিন কোটি ৩৮ লাখ দুই হাজার টন। সরকারি হিসাব অনুযায়ী, ওই বছরে চালের সর্বোচ্চ চাহিদা ছিল তিন কোটি ২০ লাখ ৮৩ হাজার টন। সে অনুযায়ী উদ্বৃত্ত চালের পরিমাণ ১৭ লাখ ১৯ হাজার টন। কিন্তু খাদ্য অধিদফতরের হিসাব অনুযায়ী, ২০১৬-১৭ অর্থবছরে বেসরকারি-পর্যায়ে এক লাখ ৩৩ হাজার টন চাল আমদানি করা হয়। আর সর্বশেষ হিসাব অনুযায়ী চলতি অর্থবছরে মাত্র পাঁচ মাসে সরকারি-বেসরকারি মিলিয়ে ১৮ লাখ টনের বেশি চাল আমদানি করা হয়।

অতিরিক্ত খাদ্যশস্য উৎপাদনের পরও চাহিদা মেটাতে আমদানির কারণে সরকারের খাদ্যের উৎপাদন ও চাহিদার হিসাব মিলছে না।

চলতি বছর এপ্রিলের পর থেকে বাজারে চালের সংকট উৎপাদন ও চাহিদার হিসাবকে বড় ধরনের প্রশ্নের মুখে ফেলেছে। লাফিয়ে লাফিয়ে চালের দাম বৃদ্ধির মধ্যে সরকারের পক্ষ থেকে উৎপাদন ও চাহিদার হিসাব অনুযায়ী বলা হয়, দেশে এক কোটি টন চাল মজুদ আছে। ব্যবসায়ীরা কারসাজি করে চালের দাম বাড়াচ্ছে। দাম সহনীয় করতে সরকারের নানা উদ্যোগ থাকলেও এখনও চালের বাজার লাগামহীন।

কৃষি মন্ত্রণালয়ের এক প্রতিবেদনে দেখা গেছে, বিগত ১৬ বছরে খাদ্যশস্য উৎপাদনে ঘাটতি থেকে খাদ্য উদ্বৃত্তের দেশে পরিণত হয়েছে বাংলাদেশ। আউশ, আমন, বোরো, গম ও ভুট্টার ফলনের চিত্রসহ ওই প্রতিবেদনে দেখা গেছে, এ সময়ের মধ্যে ২০০৮ সাল পর্যন্ত ছিল খাদ্য উৎপাদনে ঘাটতির উত্থান-পতন। এর মধ্যে ২০০৫-০৬ অর্থবছরে ঘাটতির পরিমাণ ছিল ২৭ লাখ ৭২ হাজার টন। ২০০৮-০৯ অর্থবছর থেকে শুরু হয় অতিরিক্ত খাদ্য উৎপাদন।

কৃষি-সংশ্লিষ্টরা বলছেন, উন্নত ও সহজলভ্য কৃষি উপকরণ, ব্যবস্থাপনার উন্নয়নের কারণে খাদ্যশস্যের উৎপাদন দিন দিন বাড়ছে। খাদ্যশস্যের মূল্য বৃদ্ধির প্রভাবে উৎপাদনের ঊর্ধ্বমুখী ধারা অব্যাহত আছে বলেও জানিয়েছেন কেউ কেউ। তবে চাহিদার অতিরিক্ত যে উৎপাদনের কথা বলা হয় তা নিয়ে অনেকেই প্রশ্ন তুলেছেন। তারা বলছেন, যতটা চাহিদার অতিরিক্ত উৎপাদনের কথা বলা হচ্ছে উৎপাদন ততটা নয়। খাদ্য ও কৃষি মন্ত্রণালয়ের একাধিক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, চাহিদা নিরূপণে জনসংখ্যার হিসেবে গলদ আছে। বাস্তবতার চেয়ে জনসংখ্যা কম ধরা হচ্ছে। মাঠ পর্যায় থেকে উৎপাদনের সঠিক তথ্যও অনেক সময় পাঠানো হয় না।

বাড়তি চাহিদা মেটাতে খাদ্য মন্ত্রণালয়কে খাদ্য আমদানির দিকে যেতে হয়। কৃষি মন্ত্রণালয় বলছে, বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর তথ্য অনুযায়ী, জনসংখ্যা ও ভোগ ধরে তারা চাহিদা নিরূপণ করেন। গমের ক্ষেত্রে উৎপাদন ঘাটতি রয়েছে জানিয়ে তারা বলেছেন, দেশে ৩০ লাখ টনের বেশি গমের চাহিদার বিপরীতে উৎপাদন হয় কম-বেশি ১৩ লাখ টন।

খাদ্য সচিব মো. কায়কোবাদ হোসেন জাগো নিউজকে বলেন, ‘দেশে খাদ্যশস্যের চাহিদার হিসাব ইন্টারন্যাশনাল ফুড পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের (ইফরি) মাধ্যমে আমরা নতুনভাবে করাচ্ছি। পুরনো যেটা আছে সেটা দিয়ে হয় না।’

তবে খাদ্যশস্য উৎপাদন ও জনসংখ্যার হিসাবের বিষয়ে কোনো মন্তব্য না করে সচিব বলেন, ‘খাদ্যশস্য উৎপাদন ও জনসংখ্যার যে হিসাব রয়েছে সেটা প্রতিষ্ঠিত। এগুলো বিবেচনায় নিয়েই আমরা কাজ করি।’

বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (বিআইডিএস) বিশেষ ফেলো এম আসাদুজ্জামান জাগো নিউজকে বলেন, ‘চাল শুধু উৎপাদিত হলেই হবে না। সেটা বাজারে আসতে হবে। বড় কৃষকরা তো ধরে রাখেন, বেশি দাম ছাড়া বিক্রি করেন না। আর কৌশলগত কারণে চাল আমদানি করতে হয়, কারণ কোথাও ক্রাইসিস হলে সেখানে তো খাদ্য সরবরাহ করতে হবে।’

তিনি বলেন, ‘চাহিদার প্রকৃতিটা আমাদের পরিষ্কার জানা নেই। আমরা একটা হিসাব করি, এত লোকে খায় কিন্তু কে কতটুকু খায়, কীভাবে খায় সেটা যে পরিষ্কার তা কিন্তু নয়। এটার মিস ম্যাচ হয় সেজন্য সমস্যাটা থেকে যায়।’

এম আসাদুজ্জামান আরও বলেন, ‘জনসংখ্যার শুমারি নিয়ে বিভিন্ন জন বিভিন্ন সময়ে হরেক রকম কথা বলেছেন। বিবিএসকে বলে লাভ নেই, বিবিএসের সিস্টেম, সেখানে কারা-কীভাবে আছে সেটা দেখতে হবে। তবে যখন হিসাব করব, তখন বেশিটা ধরেই হিসাব করলে হয়। এতে তো সমস্যা নেই।’

কৃষি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মোহাম্মদ মঈনউদ্দীন আবদুল্লাহ্ জাগো নিউজকে বলেন, ‘একেবারে ইউনিয়ন-পর্যায়ে একটি নির্দিষ্ট পদ্ধতিতে আমাদের কৃষি কর্মকর্তারা উৎপাদনের হিসাব করেন। আমরা উৎপাদনের রিপোর্ট দেই, বিবিএসের (বাংলাদেশ পরিসংখ্যার ব্যুরো) লোকজনও আবার সার্ভে করে। এরপর কৃষি কর্মকর্তা ও বিবিএসের লোকজন বসে যুক্তি দিয়ে উৎপাদনের হিসাব চূড়ান্ত করা হয়। তাই উৎপাদনের হিসাব নিয়ে প্রশ্ন তোলার সুযোগ নেই।’

কৃষি সচিব বলেন, মানুষের চাল গ্রহণের সার্ভে হয়েছে, কিন্তু মানুষই শুধু চাল খায় না। চালের আরও ব্যবহার আছে। অনেক চাল গোডাউনে নষ্ট হয়। বীজের জন্য ধান রাখা হয়, গরু ও মাছকে খাওয়ানো হয়। এছাড়া কৃষকসহ বিভিন্ন-পর্যায়ে ধান-চাল মজুদও তো থাকে। এগুলো তো বিবেচনায় নিতে হবে।

কৃষি মন্ত্রণালয় প্রতি বছরই খাদ্যশস্যের উৎপাদন বাড়ানোর চেষ্টা করে, জানিয়ে মঈনউদ্দীন আবদুল্লাহ্ বলেন, ‘প্রতি বছর আমাদের ২২ লাখ লোক ভাত-খাওয়া শুরু করে। এজন্য বাড়তি চার লাখ টন চাল লাগে।’

কৃষি মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, গত ২০১৬-১৭ অর্থবছরে মোট তিন কোটি ৮৬ লাখ ৯১ হাজার টন খাদ্যশস্য উৎপাদিত হয়েছে। উৎপাদিত খাদ্যশস্যের মধ্যে আউশ ২১ লাখ ৩৩ হাজার, আমন এক কোটি ৩৬ লাখ ৫৬ হাজার, বোরো এক কোটি ৮০ লাখ ১৩ হাজার টন। এছাড়া গম ১৩ লাখ ১১ হাজার এবং ভুট্টা ৩৫ লাখ ৭৮ হাজার টন উৎপাদিত হয়েছে।

খাদ্য অধিদফতরের তথ্য অনুযায়ী, ২০১৬-১৭ অর্থবছরে আমদানি করা ৫৮ লাখ ২৩ হাজার ৪৬০ টনের মধ্যে চাল এক লাখ ৩৩ হাজার দুই টন এবং গম ৫৬ লাখ ৯০ হাজার ৪৪০ টন।

তবে চলতি অর্থবছরে ১ জুলাই থেকে চলতি বছরের ২১ নভেম্বর পর্যন্ত ৪৪ লাখ ৫৪ হাজার টন খাদ্যশস্য আমদানি করা হয়েছে। এর মধ্যে চাল ১৮ লাখ ১৮ হাজার ২৪০ টন এবং গম ২৬ লাখ ৩৫ হাজার ৯৩০ টন।

চাহিদার হিসাবে গরমিল

বাংলাদেশের মানুষের খাদ্যশস্যের ভোগের চাহিদা এক এক সংস্থার এক এক রকম। বাংলাদেশ পরিসংখ্যার ব্যুরোর (বিবিএস) ২০১০ সালের জরিপ অনুযায়ী, বাংলাদেশে একজন মানুষ প্রতিদিন গড়ে ৪১৬ গ্রাম চাল ও ২৫ গ্রাম আটা খান।

বিবিএসের সর্বশেষ ২০১৬ সালের খানা আয় ও ব্যয় জরিপ (এইচআইইএস) অনুযায়ী, ভোগের পরিমাণ আরও কমেছে। এ জরিপ অনুযায়ী, একজন মানুষ দৈনিক গড়ে ৩৬৭ দশমিক ১৯ গ্রাম চাল ও ১৯ দশমিক ৮৩ গ্রাম আটা খান।

তবে কৃষি মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা বিবিএসের এ পরিসংখ্যানের সঙ্গে দ্বিমত পোষণ করেছেন। তবে তারা কেউ নাম ও পদবি প্রকাশ করতে চাননি। তারা বলছেন, যে চাহিদা দেখানো হয়েছে তা বাস্তবতার তুলনায় কম।

অপরদিকে, স্বায়ত্তশাসিত গবেষণা প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠান (বিআইডিএস) ও খাদ্য মন্ত্রণালয়ে ২০১২ সালের চাহিদার একটি হিসাব রয়েছে। তাতে বলা হয়েছে, একজন মানুষ প্রতিদিন গড়ে ৪৬৩ গ্রাম চাল ও ৪৬ গ্রাম আটা খান। কৃষি মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা এ হিসাব বেশি গ্রহণযোগ্য বলে মনে করেন।

জনসংখ্যা ১৬ কোটি ৩০ লাখ ধরে বিবিএসের ২০১৬ সালের হিসাব অনুযায়ী দেশে বছরে চালের চাহিদা দুই কোটি ১৮ লাখ ৪৫ হাজার ৯৬৯ টন। এর সঙ্গে বীজ, ফিড, অপচয়সহ সব মিলিয়ে বছরে চালের মোট চাহিদা দুই কোটি ৬৩ লাখ ৮২ হাজার টন।

অপরদিকে, জনসংখ্যা ১৬ কোটি ৩০ লাখ ধরে বিআইডিএস ও খাদ্য মন্ত্রণালয়ের হিসাব অনুযায়ী দেশে বছরে চালের চাহিদা দুই কোটি ৭৫ লাখ ৪৬ হাজার ১৮৫ টন। এর সঙ্গে বীজ, ফিড, অপচয়সহ সব মিলিয়ে বছরে চালের মোট চাহিদা তিন কোটি ২০ লাখ ৮৩ হাজার টন।

তথ্যে ঘাটতি থেকে উদ্বৃত্ত উৎপাদন

কৃষি মন্ত্রণালয়ের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০০১ থেকে ২০১৬ পর্যন্ত ১৬ বছরের মধ্যে ২০০৮-০৯ অর্থবছর থেকে শুরু হয় খাদ্যশস্যের (চাল, গম ও ভুট্টা) বর্ধিত উৎপাদন। ২০০১-০২ অর্থবছরে মোট খাদ্যশস্যের উৎপাদন হয় দুই কোটি ৫৯ লাখ ৭০ হাজার টন। ওই বছর খাদ্যশস্যের মোট চাহিদা ছিল দুই কোটি ৭০ লাখ ৪৫ হাজার টন। ঘাটতি ছিল ১০ লাখ ৭৫ হাজার টন।

এর পরের অর্থবছরে খাদ্য ঘাটতি কিছুটা কমে হয় নয় লাখ ১১ হাজার টন। ২০০২-০৩ অর্থবছরে মোট উৎপাদন ছিল দুই কোটি ৭৭ লাখ ৮৮ হাজার টন। ওই বছর খাদ্যের চাহিদা ছিল দুই কোটি ৭৭ লাখ ৮৮ হাজার টন।

২০০৩-০৪ অর্থবছরে খাদ্যশস্যের ঘাটতি আরও কমে যায়। ওই বছর খাদ্য ঘাটতির পরিমাণ দাঁড়ায় নয় লাখ ১১ হাজার টনে। ওই বছর দেশে খাদ্যের চাহিদা ছিল দুই কোটি ৮৫ লাখ ৯৪ হাজার টন। উৎপাদনের পরিমাণ ছিল দুই কোটি ৭৬ লাখ ৮৩ হাজার টন।

এর পরের বছর খাদ্য উৎপাদন কমে যায়। এতে খাদ্যশস্যের ঘাটতির পরিমাণ ঊর্ধ্বমুখী হয়। ২০০৪-০৫ অর্থবছরে দুই কোটি ৮১ লাখ ৩৫ হাজার খাদ্যশস্যের চাহিদার বিপরীতে উৎপাদিত হয় দুই কোটি ৬৪ লাখ ৮৯ হাজার টন।

প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০০৫-০৬ অর্থবছরে বর্ধিত চাহিদার কারণে ঘাটতির পরিমাণ এর আগের বছরের তুলনায় প্রায় দ্বিগুণ হয়ে যায়। এ বছর খাদ্য উৎপাদন হয় দুই কোটি ৭৭ লাখ ৮৭ হাজার টন। চাহিদা ছিল তিন কোটি পাঁচ লাখ ৫৯ হাজার টন।

এর পরের বছর মোট খাদ্যশস্যের উৎপাদন ছিল দুই কোটি ৮৯ লাখ ৫৪ হাজার টন। সারাদেশে চাহিদা ছিল তিন কোটি তিন লাখ ৫৯ হাজার টন। খাদ্য ঘাটতির পরিমাণ কমে হয় ১৪ লাখ পাঁচ হাজার টন।

২০০৭-০৮ অর্থবছরে খাদ্যশস্যের উৎপাদনের সঙ্গে সঙ্গে চাহিদার পরিমাণও বাড়ে। ওই বছরে তিন কোটি ১১ লাখ ২১ হাজার টন খাদ্যশস্য উৎপাদিত হলেও চাহিদার পরিমাণ ছিল তিন কোটি ২০ লাখ ৯৭ হাজার টন। ঘাটতির পরিমাণ নয় লাখ ৭৬ হাজার টন।

এর পরের বছর থেকে উদ্ধৃত্ত খাদ্যশস্য উৎপাদন হয় দেশে। ২০০৮-০৯ অর্থবছরে অতিরিক্ত খাদ্য উৎপাদিত হয় এক লাখ ৪৬ হাজার টন। ওই বছর তিন কোটি ২৭ লাখ ৫০ হাজার টন খাদ্য চাহিদার বিপরীতে উৎপাদিত হয় তিন কোটি ২৮ লাখ ৯৬ হাজার টন।

তথ্যানুযায়ী, ২০০৯-১০ অর্থবছরে খাদ্য উদ্ধৃত্তের পরিমাণ বেড়ে দাঁড়ায় ছয় লাখ ৩৯ হাজার টন। এ বছর খাদ্য উৎপাদিত হয় তিন কোটি ৩৮ লাখ ৩১ হাজার টন। চাহিদা ছিল তিন কোটি ৩১ লাখ ৯২ হাজার টন।

২০১০-১১ বছর অতিরিক্ত খাদ্য উৎপাদনের পরিমাণ ২০ লাখ ৪৫ হাজার টনে উন্নীত হয়। ওই অর্থবছরে তিন কোটি ৪০ লাখ ২০ হাজার টন খাদ্যশস্যের চাহিদা থাকলেও উৎপাদিত হয় তিন কোটি ৬০ লাখ ৬৫ হাজার টন।

২০১১-১২ অর্থবছরে তিন কোটি ৬৮ লাখ ৩৯ হাজার টন চাল, গম ও ভুট্টা উৎপাদিত হয়। ওই বছর চাহিদা ছিল তিন কোটি ৪৫ লাখ চার হাজার টন। অতিরিক্ত খাদ্যশস্য উৎপাদনের পরিমাণ ছিল প্রায় ২৩ লাখ টন।

২০১২-১৩ অর্থবছরে খাদ্যশস্য উৎপাদনের পরিমাণ তিন কোটি ৭২ লাখ ৬৬ হাজার টন এবং ২০১৩-১৪ অর্থবছরে খাদ্যশস্য উৎপাদনের পরিমাণ ছিল তিন কোটি ৭৭ লাখ ৮২ হাজার টন। ওই দুই বছরে খাদ্যশস্যের চাহিদার পরিমাণ দেখানো হয় সাড়ে তিন কোটি টনের মতো।

২০১৪-১৫ অর্থবছরে দেশে মোট উৎপাদন হয়েছে তিন কোটি ৬০ লাখ ৫৮ হাজার টন। ওই অর্থবছরে দেশে খাদ্যশস্যের চাহিদা ছিল তিন কোটি ৫৮ লাখ ২০ হাজার টন।

২০১৫-১৬ অর্থবছরে দেশে মোট খাদ্যশস্য উৎপাদিত হয় তিন কোটি ৮৪ লাখ ১৮ হাজার টন। ওই বছরও চাহিদার চেয়ে উদ্বৃত্ত উৎপাদন হয়েছিল দেশে।

আরএমএম/এমএআর/এমএস

আরও পড়ুন