ফেসবুকের সাহায্যে ইজিবাইক পেলেন নিঃস্ব ছবেদ আলী
পঙ্গু তিন ছেলের চিকিৎসা করাতে গিয়ে নিঃস্ব কৃষক ছবেদ আলীকে ফেসবুক ব্যবহারকারীদের টাকায় ইজিবাইক কিনে দেয়া হয়েছে। শনিবার দুপুরে গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া উপজেলা পরিষদ চত্বরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ জিলাল হোসেন ছবেদ আলীর হাতে এ ইজিবাইকের চাবি তুলে দেন।
এসময় কোটালীপাড়া থানা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ কামরুল ফারুক, জেলা পরিষদ সদস্য নজরুল ইসলাম হাজরা মন্নু, উপজেলা নির্বাচন অফিসার হাসান উদ্দিন, প্রেসক্লাব সভাপতি মিজানুর রহমান বুলু, সাংবাদিক এইচ এম মেহেদী হাসানাত, রতন সেন কংকন, গৌরাঙ্গ লাল দাস, সজীব রায়, জাহিদুল ইসলাম, শিক্ষক জান্নাত সুলতানা সুবর্ণাসহ অনেকেই উপস্থিত ছিলেন।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক ব্যবহার করে ইজিবাইক ক্রয়ের জন্য অর্থ সংগ্রহের কাজটি করেছেন সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর উপজেলার সংবাদকর্মী মামুন বিশ্বাস। তিনি এর আগেও ফেসবুক ব্যবহার করে অসংখ্য অসুস্থ মানুষকে চিকিৎসার মাধ্যমে সুস্থ ও গৃহহীন মানুষকে আবাসনের ব্যবস্থা করেছেন।
মামুন বিশ্বাস বলেন, সাংবাদিকদের লেখালেখির মাধ্যমে আমি জানতে পারি কোটালীপাড়া উপজেলার কান্দি-বানিয়ারী গ্রামের কৃষক ছবেদ আলী তার তিন পঙ্গু সন্তানকে নিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছেন। এরপর আমি কোটালীপাড়ায় এসে ছবেদ আলীর পরিবারের খোজঁখবর জেনে আমার ফেসবুকে সাহায্যের আবেদন চেয়ে একটি পোস্ট দেই। সেই পোস্ট দেখে অনেকেই সাহায্য সহযোগিতা পাঠিয়েছেন আমার কাছে। সেই অর্থ দিয়ে আমি ছবেদ আলীকে একটি বাইক ক্রয় করে দেই। আমি আশা করি এই ইজি বাইকের আয় দিয়ে কিছুটা হলেও ছবেদ আলীর পরিবারে সচ্ছলতা ফিরে আসবে।
কোটালীপাড়া থানা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ কামরুল ফারুক বলেন, মামুন বিশ্বাসের এ ধরনের কার্যক্রমকে আমি সাধুবাদ জানাই। তিনি সিরাজগঞ্জের শাহাজাদপুর থেকে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ছুটে গিয়ে যেভাবে অসহায় মানুষদের পাশে দাঁড়ান সেটি সত্যিই প্রশংসনীয়।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ জিলাল হোসেন বলেন, মামুন বিশ্বাস হচ্ছেন মানবতার ফেরিওয়ালা। যেখানে মানবতা বিপন্ন হয় সেখানেই তিনি ছুটে যান। তিনি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকের মাধ্যম থেকে যে অর্থ আসে তা তিনি সততা ও নিষ্ঠার সঙ্গে অসহায় মানুষদের হাতে তুলে দেন। মামুন বিশ্বাস তার সততার কারণে সব শ্রেণির মানুষের আস্তা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছেন।
উল্লেখ্য, কোটালীপাড়া উপজেলার বানিয়ারী গ্রামের কৃষক ছবেদ আলীর তিন ছেলে জন্ম থেকেই অজানা রোগে আক্রান্ত হয়ে পঙ্গুত্ববরণ করে। তাদের চিকিৎসা করাতে গিয়ে নিঃস্ব হয়ে পড়েছেন তিনি।
এমএএস/আরআইপি