ভিডিও EN
  1. Home/
  2. বিশেষ প্রতিবেদন

হলি আর্টিসান হামলা : আরও ৫ জঙ্গিকে খুঁজছে পুলিশ

প্রকাশিত: ০১:২২ পিএম, ৩০ জুন ২০১৭

রাজধানীর গুলশানের হলি আর্টিসান রেস্টুরেন্টে জঙ্গি হামলার মামলায় তদন্তকাজ শেষ দ্রুত শেষ করতে আরও পাঁচ জঙ্গিকে খুঁজছে ডিএমপির কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিট। তাদের মধ্যে অন্তত তিনজনকে গ্রেফতার করতে পারলেও তদন্ত কাজ শেষ করা সম্ভব হবে বলে মনে করছেন তদন্ত সংশ্লিষ্টরা।

তদন্ত সংশ্লিষ্টরা বলছে, গুলশান হামলার পরিকল্পনা ও এটি বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে পলাতক ওই পাঁচজন জঙ্গির বড় ধরনের ভূমিকা ছিল। মামলার তদন্ত শেষ করতে হলে ওই ৫ জঙ্গির অন্তত তিনজনকে গ্রেফতার করা জরুরি হয়ে পড়েছে। তারা হলেন- সোহেল মাহফুজ ওরফে হাতকাটা মাহফুজ, রাশেদ ওরফে র্যা শ ও বাশারুজ্জামান ওরফে চকলেট।

ডিএমপি’র কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিট বলছে, হলি আর্টিসান রেস্টুরেন্টে হামলায় সরাসরি অংশ নেয়া জঙ্গিরা সবাই মারা গেলেও ধরাছোঁয়ার বাইরে ছিল আরও দেড় ডজন জঙ্গি। যারা নেপথ্যে থেকে বিভিন্নভাবে ভূমিকা পালন করেছেন। এদের মধ্যে ৮ জন র্যা ব ও পুলিশের জঙ্গিবিরোধী বিভিন্ন অভিযানে নিহত হন।

এই মুহূর্তে গ্রেফতার রয়েছেন আরও ৪ জন। যাদের মধ্যে ৩ জন স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিও দিয়েছেন। বাকি ৫ জনকে গ্রেফতার করা গেলেই এই হামলায় প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে অংশগ্রহণকারীদের নাম পরিচয় নিশ্চিত হওয়া যাবে। গ্রেফতার থাকা এ ৪ জঙ্গির তিনজনকে গুরুত্বপূর্ণ আসামি বলে মনে করছে কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিট।

পুলিশ আরও জানায়, এর বাইরে গুলশান হামলার পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নের সঙ্গে পলাতক ৫ জঙ্গির বড় ধরনের ভূমিকা ছিল। এদের মধ্যে তিনজনকে গুরুত্বপূর্ণ মনে করা হচ্ছে। তাদের একজন হলেন সোহেল মাহফুজ। আরেকজনের কথা একাধিক সাক্ষীদের জবাবনবন্দিতে এসেছে তাকেও আমরা খুঁজছি। তার নাম রাশেদ ওরফে র্যা শ। এছাড়া বাশারুজ্জআমান ওরফে চকলেট। এ তিনজন মোস্ট ইম্পর্টেন্ট আসামি। তাদেরকে পাওয়া গেলে মামলার তদন্ত কাজ দ্রুত শেষ হবে।

এ ব্যাপারে কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের প্রধান ও ডিএমপি’র অতিরিক্ত কমিশনার মনিরুল ইসলাম বলেন, এ হামলার ঘটনা টুইনটাওয়ার হামলার মত গুরুত্ব দিচ্ছি। কারণ এত সংখ্যক বিদেশি একসঙ্গে কখনোই মারা যায়নি। যে নিষ্ঠুরতা তারা দেখিয়েছে অত্যন্ত নিন্দনীয়।

তিনি আরও বলেন, ঘটনার পর কাউন্টার টেরোরিজমের পক্ষ থেকে তদন্ত করা হচ্ছে। তদন্ত করতে গিযে আমরা গত এক বছরে অনেকগুলো পদক্ষেপ গ্রহণ করেছি। মামলায় সরাসরি জড়িত সবাই ঘটনাস্থলেই মারা গেছেন। তবে নেপথ্যে পরিকল্পনাকারী ও বিভিন্ন মাধ্যমে ভূমিকা পালনকারীদের আমরা চিহ্নিত করেছিলাম। হলি আর্টিসান হামলায় জড়িত ছিলেন এ রকম ৮ জন নিহত হয়েছেন। ৪ জন গ্রেফতার রয়েছে। তাদের মধ্যেকার ৩ জন সম্পৃক্ততার বিষয়ে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিও দিয়েছেন।

মনিরুল ইসলাম বলেন, ঘটনার সঙ্গে জড়িত আরও ৫ জনকে খুঁজছি। তদন্তে যাদের সংশ্লিষ্টতা এসেছে। এই ৫ জনের দু-একজনকে গ্রেফতার করা গেলে এ মামলার তদন্তে নতুন মাত্রা পাবে এবং তদন্ত কাজও শেষ হয়ে যাবে। সবকিছু ঠিক থাকলে এ বছরই তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করা হবে।

উল্লেখ্য, রাজধানীর কূটনৈতিক এলাকা গুলশান টার্গেট করে গত বছরের ১লা জুলাই রাতে হলি আর্টিজান রেস্তোরাঁয় হামলা চালায় নব্য জেএমবি। হামলায় দেশি-বিদেশি ২০ জন নিহত এবং দুই পুলিশ সদস্য নিহত হন। নিহত বিদেশীদের মধ্যে ৯ জন ইতালীয়, ৭ জন জাপানি ও একজন ভারতের নাগরিক। বাকি তিনজন বাংলাদেশি। প্রায় ১২ ঘণ্টার ওই ‘জিম্মি সংকট’ শেষ হয় সেনাবাহিনীর কমান্ডো অভিযান ‘অপারেশন থান্ডারবোল্ট’ দিয়ে।

জেইউ/জেএইচ/পিআর

আরও পড়ুন