ঘরে বাইরে অস্বস্তি, বাড়ছে অসুখ-বিসুখ
ঘরে-বাইরে সর্বত্রই অস্বস্তিতে মানুষ। বাইরে গেলে প্রচণ্ড রোদে ঘামছে শরীর। আর দু-এক ঘণ্টা পরপর বিদ্যুৎ যাচ্ছে আর আসছে। ফলে ঘরের ভেতরেও গরম। তাই ঘরেও ঘামছে শরীর। এতে বাড়ছে অসুখ-বিসুখ। এ অবস্থায় বৃদ্ধ আর শিশুরা পড়েছে চরম বিপাকে।
আবহাওয়াবিদরা বলছেন, দেশব্যাপী মৃদু তাপদাহ বয়ে যাচ্ছে। ফলে বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ বেশি। এজন্য প্রচণ্ড গরম অনুভূত হচ্ছে।
বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা বলছেন, এ সময়ে নিম্নবিত্ত থেকে উচ্চবিত্ত সব পরিবারের সদস্যই সাধারণ ঠান্ডা-কাশি, ভাইরাস জ্বর, ডেঙ্গু, চিকুনগুনিয়া জ্বর, জন্ডিস, টাইফয়েড, ডায়রিয়া ও আমাশয়সহ বিভিন্ন অসুখ-বিসুখে আক্রান্ত হচ্ছে। অতিরিক্ত গরমে হিট স্ট্রোকে আক্রান্ত হচ্ছেন অনেকে। ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতাল ও ঢাকা শিশু হাসপাতাল ঘুরে এ তথ্য পাওয়া গেছে।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) মেডিসিন অনুষদের ডিন অধ্যাপক ডা. এবিএম আবদুল্লাহ জাগো নিউজকে বলেন, এ সময়ে অতিরিক্ত গরমের কারণে নারী, পুরুষ ও শিশু সবার অসুখ-বিসুখ বাড়ছে।
বিশেষ করে বাইরে সরাসরি রোদের নিচে যেসব শ্রমিক কাজ করেন তারা প্রচণ্ডভাবে ঘামছেন। এ কারণে শরীর থেকে প্রয়োজনীয় লবণ ও পানি বের হয়ে যাচ্ছে। অনেক সময় হিট স্ট্রোকে আক্রান্ত হয়ে শরীর দুর্বল, অবসাদগ্রস্ত ও প্রেসার কমে যাচ্ছে।
এছাড়া রাস্তা-ঘাটে তৃষ্ণা মেটাতে অনেকে বিভিন্ন বরফ মিশ্রিত শরবত খাচ্ছেন। এ কারণেও অনেকে ডায়রিয়া-আমাশয়সহ বিভিন্ন ধরনের পেটের পীড়ায় আক্রান্ত হচ্ছেন।
তিনি বলেন, আবহাওয়ার তারতম্যের কারণে এখন গরমের মাঝেই হঠাৎ বৃষ্টি নেমে পানি জমে ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়ার বাহক এডিস মশার জন্ম হচ্ছে। সম্প্রতি ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়ার রোগীও বেশি পাচ্ছেন তারা।
তিনি অসুখ-বিসুখের হাত থেকে বাঁচতে কিছু পরামর্শ দিয়েছেন। তার পরামর্শগুলো হলো- পারতপক্ষে রোদে কম ঘোরাফেরা করা। ছাতা নিয়ে বের হওয়া। সাধারণ শ্রমিকদের রোদে ঘণ্টাখানেক কাজ করার পর কিছুক্ষণ ছায়ায় বিশ্রাম নেয়া এবং লবণ মেশানো পানি খেয়ে ফের কাজে নামা। এ গরমে ঢিলেঢালা পোশাক-পরিচ্ছদ পরিধান করা উচিত।
সোমবার ঢাকায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৬ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং সর্বনিম্ন ২৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় যশোর ও চুয়াডাঙ্গায় ৩৭ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং সর্বনিম্ন সৈয়দপুর ২২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
এমইউ/জেডএ/আরআইপি