ভিডিও EN
  1. Home/
  2. বিশেষ প্রতিবেদন

বিদেশে যাচ্ছেন ৬৯ হকার

প্রকাশিত: ০৭:৩৪ এএম, ০৪ মে ২০১৭

রাজধানীর গুলিস্তান থেকে উচ্ছেদের পর বেকার হয়ে পড়া হকারদের বিদেশে কর্মসংস্থানের উদ্যোগ নিয়েছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন (ডিএসসিসি)।

আড়াই হাজার প্রকৃত হকারের মধ্যে আবেদন করা ৬৯ জনকে বিদেশে পাঠাতে উদ্যোগ নিয়েছে সংস্থাটি। এরই মধ্যে এলজিইডি (স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতর) এবং জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর সঙ্গে বেশ কয়েকটি বৈঠকও করেছে সিটি কর্পোরেশন। মেয়র সাঈদ খোকন জাগো নিউজকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

গুলিস্তানসহ ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় সড়ক দখল করে দীর্ঘদিন ধরে ব্যবসা করে আসছিলেন হকাররা। যানজট নিরসন ও জনসাধারণের চলাচলের পথ উন্মুক্ত রাখতে দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন ঢাকার ফুটপাত হকারমুক্ত করার ঘোষণা দেয়। এ উদ্দেশে সম্প্রতি গুলিস্তানের ফুটপাত ও সড়ক থেকে হকারদের উচ্ছেদ করা হয়। সেই থেকে অদ্যাবধি ফুটপাতে কোনো হকারকে বসতে দেয়া হয়নি। অনেক আন্দোলন, প্রতিবাদ, সভা-সমাবেশ ও স্মারকলিপি প্রদানের পরও সিটি কর্পোরেশনের পক্ষ থেকে সড়কে বসার কোনো অনুমোদন পাননি হকাররা।

উচ্ছেদের পর গুলিস্তান ও এর আশপাশ এবং নিউমার্কেট এলাকার প্রকৃত হকারদের তালিকা তৈরি করে দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন। ইতোমধ্যে গুলিস্তান এলাকা থেকে দুই হাজার ৫০২ জন এবং নিউমার্কেট এলাকার ৯৩৪ জন প্রকৃত হকারের তালিকা চূড়ান্ত করা হয়েছে। এছাড়া শাহবাগের শিশুপার্ক ও অন্যান্য এলাকায় তালিকা তৈরির কাজ চলছে।

তালিকাভুক্ত এসব হকারকে আইডি কার্ড প্রদানসহ দেশে-বিদেশে কর্মসংস্থানের সুযোগ করে দেয়ার উদ্যোগ নিয়েছে ডিএসসিসি। বিকল্প পন্থায় তাদের পুনর্বাসনের উদ্যোগও নেয়া হয়েছে। এর মধ্যে আগ্রহী হকারদের কাজের জন্য বিদেশে পাঠানোর ঘোষণা দিয়েছে ডিএসসিসি। এ জন্য সংশ্লিষ্টদের আবেদন করতে বলা হয়েছে।

এ ঘোষণার পর এখন পর্যন্ত ৬৯ জন হকার স্বেচ্ছায় বিদেশ যেতে আবেদন করেছেন। সিটি কর্পোরেশনের পক্ষ থেকে তাদের তালিকা তৈরিসহ নাম, বিস্তারিত ঠিকানা, শিক্ষাগত যোগ্যতা, ছবি ও জাতীয় পরিচয়পত্রের ফটোকপি নেয়া হয়েছে।

বিদেশ যেতে আগ্রহী আবেদনকারী হকাররা হলেন- কাপ্তান বাজারের নেছার আহাম্মদ, মো. কামাল হোসেন, মো. ফারুক হোসেন, মো. মনির, মো. রাব্বানী, মো. বেল্লাল হোসেন, হারুন, জাফর আহাম্মেদ, মো. খবির, মো. সেন্টু মাতুব্বর, জিয়া শেখ, মো. মুকুল মাতুব্বর ও মো. বশির হাওলাদার, শাদ মার্কেট কমপ্লেক্সের মো. শাহ আলম, নারায়ণগঞ্জের শহীদুল ইসলাম, মো. সোলেমান, নুর আলম ও মো. জাহাঙ্গীর, নবাবপুরের জয়নাল, শনির আখড়ার মো. হাসান শেখ, মোসা. সুলতানা আক্তার ও মো. মনির হোসেন, কদমতলীর নান্টু মিয়া, মিরাজ নগরের মো. আলম মিয়া, সাভারের মো. শাহিনুল হক, দনিয়ার আব্দুর রহমান, নবাব কাটারার মো. শাহাবউদ্দিন ও মো. স্বপন, উত্তর রায়ের বাগের মো. ফরহাদ হোসেন মামুন, মো. ফয়েজ উল্যাহ মোহন ও জব্বার মিয়ার বাড়ির মো. হানিফ, আবুল হাসনাত রোডের মো. নাজির উদ্দিন আহমেদ, বঙ্গবন্ধু এভিনিউর কামরুল পাটোয়ারী, সেক্রেটারিয়েট রোডের মো. মাইনুল ইসলাম (অপু), সিদ্দিক বাজারের মো. আবুল হোসেন খান, কায়েতটুলীর মাঈন উদ্দিন, কাজী আলাউদ্দিন রোডের মো. আরিফ হোসেন, শরৎ চন্দ্র চক্রবর্তী রোডের মো. ফালান, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মো. কাজল মিয়া, বংশাল রোডের মো. সাকের, গিরিধারা মাতুয়াইলের শাকিবুর রহমান, নন্দীপাড়া ১নং মাদরাসা রোডের মো. রফিকুল ইসলাম, কোনপাড়া কাঠেরপুলের কাদের শরীফ, পাঁচ ভাই ঘাট লেনের আব্দুর মান্নান সরদার, রূপগঞ্জের মো. রাকিব হাসান ও মো. শহিদুল ইসলাম, গুলিস্তানের মো. ফরিদ, মীর হাজীরবাগের মো. মানিক খান, উত্তর মান্ডার মো. আজহারুল ইসলাম, ফকিরাপুলের মো. সাত্তার, উত্তর মুগদা পাড়ার মো. আতাবুল করিম, খিলবাড়ীর টেকের রিনা আক্তার, ভোলার সুমাইয়া বেগম (সুমি), করিমুল্লাহ বাগের মো. আরিফুর রহমান, চাঁদপুরের মো. শাহেন শাহ, সিদ্ধিরগঞ্জের মো. রাসেল হায়দায়, কামরাঙ্গীরচরের পারুল বেগম, ঝিনাইদহের মো. শাহিন বিশ্বাস, কেরানীগঞ্জের মো. খাইরুল বাশার, মো. আমির. মো. শুকুর আলী ও মো. ইলিয়াস আলী, ডেমরা সারুলিয়ার মো. ইস্কান্দার বেপারি, মনির হাওলাদার, মো. লাবলু কাজী ও মো. ছরোয়ার হোসেন বেপারি, চাঁদপুরের মো. হারুন এবং কাজী আব্দুল হামিদ লেনের মো. জাহাঙ্গীর ফরাজী।

এ বিষয়ে দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মোহাম্মদ সাঈদ খোকন জাগো নিউজকে বলেন, আমরা ঢাকার ফুটপাত দখলমুক্ত এবং পথচারীদের চলাচল নির্বিঘ্ন রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। ইতোমধ্যে গুলিস্তান ও নিউমার্কেট এলাকা হকারমুক্ত করা হয়েছে। এ অবস্থায় অনেকে বেকার হয়ে পড়েছেন। আমরা তাদের পুনর্বাসনের উদ্যোগ নিয়েছি।

তিনি আরও বলেন, যেসব হকার বিদেশে যেতে আগ্রহী আমরা তাদের আবেদন করতে বলেছি। ইতোমধ্যে ৬৯ জন হকার স্বেচ্ছায় বিদেশ যেতে আবেদন করেছেন। তাদের বিদেশে পাঠানোর উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে। এর অংশ হিসেবে এলজিইডি এবং জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর সঙ্গে একাধিক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে।

এমএসএস/এমএমজেড/এমএআর/এআরএস/পিআর

আরও পড়ুন